রহস্য সমাচার
সংগ্রহেঃ এম ডি আলী
#তিনটি_রহস্য
পর্ব : ২৪
বিষয় : কি হচ্ছে মাটির নিচে?
........................................
ধর্মীয় বিষয় ব্যতীত মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত অবিশ্বাস্য জিনিসগুলো পরিপূর্ণ বিশ্বাস করে না,যতক্ষন না সে অবিশ্বাস্য জিনিসগুলো তার নিজ চোখের সামনে দৃশ্যমান হয়।
উদাহরণ : বিমান তৈরীর আগে যখন বিমানের আবিস্কারক বলত আকাশ পথে মানুষের ভ্রমণ সম্ভব, তখন অনেকেই বিশ্বাস করেনি। আর যখন তা আবিস্কৃত হয়ে মানুষের সামনে দৃশ্যমান হয়েছে তখনই মানুষ বিশ্বাস করতে পরেছে বিশ্বমন্ডল পরিভ্রমণ করাও মানুষের পক্ষে সম্ভব, গোপনে পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের পূর্বেও মানুষ জানত না পৃথিবী ধ্বংস করার মত বোমাও আবিস্কার করা সম্ভব, অতঃপর লোকচক্ষুর অন্তরাল থেকে যখন প্রকাশ পেল, তখন বিশ্ববাসী জানলো এ বোমা দ্বারা পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করা সম্ভব।
পৃথিবীতে এখনও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা সম্পর্কে জানে না পৃথিবীতে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ। যেখানে মানুষের অজান্তে ঘটে যাচ্ছে ব্যাপক কাযর্ক্রম। বিষয়গুলো নিয়ে যদিও বর্তমান সকল প্রজন্মেরই অনাগ্রহ, কিন্তু একদিন না একদিন এ রহস্য উন্মোচন হয়ে মানুষের সামনে প্রকাশ পাবেই। বিশ্বায়নের যুগেও পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ বা জনসাধারণের আড়ালে। তার মধ্যে অন্যতম জিটকার, রাশিয়া।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমানে রাশিয়ার অনেক কিছুই এখনও বিশ্ববাসীর কাছে অজানা রয়ে গেছে। রাশিয়াতে গুজব আছে দেশজুড়ে অন্তত 90টি গোপন সামরিক ঘাটি তৈরি করেছে দেশটি। এগুলোর মধ্যে “কাপোস্টিন ইয়ার” নামে একটি ঘাটি নির্মিত হয় 1946 সালে। এটাকে রকেট উৎক্ষেপণ ও গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো এখান থেকে স্পুতনিক- 1 ও 2 নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এ সকল গবেষণাগার গুলোতে এমন সব বৈজ্ঞানিক বা গবেষকগণ কাজ করেন যাদের সম্পর্কে মানুষ কিছুই জানে না। পৃথিবীতে গোপন রাখা এসমস্ত জায়গাগুলো গুগোল ম্যাপেও গোপন রাখা হয়। মূল স্থাপত্যে বা পরিস্থিতি ম্যাপে গোপন রেখে এডিট করে ভুল ম্যাপ বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরা হয়। এসমস্ত জায়গাগুলোতে মাটির নিচে গভীরে তৈরী করা হয় গোপন গবেষণাগার। রাশিয়ার এ গবেষণাগারটি আমেরিকার এরিয়া 51 সাথে তুলনা করেন অনেকে। ধারণা করা হয় এ জায়গাগুলোতে UFO ও এলিয়েন নিয়ে ব্যাপক গবষণা করা হয়। এমনকি সুপার ভাইরাস নিয়েও তারা গবেষণা করে থাকে। 1948 সনের একটি ঘটনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। যুক্তরাষ্টের রসেলে একটি রাডারে তৎকালীন সোবিয়েত ইউনিয়নের এক পাইলট দাবী করেন একটি উজ্জ্বল আলো তার চোখকে ধাঁধিয়ে দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে এর পিছু নিলে রহস্যজনক ভাবে বিমানটি ও যানটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, অজানা যানের ধ্বংসাবশেষগুলো গবেষণার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ার জিটকার গোপন ঘাটিতে। শুধু এখাানেই নয় যুক্তরাষ্টের এরিয়া- 51 এর পাশেই অবস্থিত এরিয়া- 6, 1945-1992 সাল পর্যন্ত মাটির গভীরে পারমানবিক বোমার গবেষনা ও বিষ্ফোরণ করা হত। 2005 সালে এখানে 5000 ফুট লম্বা একটি রানওয়ে নিমার্ণ করা হয়। জায়গাটির পরিচালনায় রয়েছে দেশটির নিউক্লিয়াস সোসাইটি, সাথে প্রতিরক্ষা বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগও। যার ফলে এর ভিতরে কি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে তা জানা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
উত্তর স্যানটিনো দ্বীপ : এ দ্বীপটি বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান দ্বীপকুঞ্জেরর মাঝামাঝি অবস্থিত। সবচেয়ে আশ্চর্য্যজনক বিষয় হচ্ছে এদ্বীপে বসবাসরত মানুষ সম্পর্কে এখনও কিছু জানতে পারেনি বিশ্ববাসী। ঐ দ্বীপে কেউ গেলেই হত্যা করে দ্বীপের অধিবাসীরা। 1896 সালে এক ভারতীয় কয়েদি পালিয়ে ঐদ্বীপে গেলে তাকে হত্যা করে সমুদ্রের ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার লাশ সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়। একজন দৈব বিজ্ঞানী ঐ দ্বীপে পৌছাতে সক্ষম হন। তিনি এ দ্বীপবাসীকে বুঝাতে সক্ষম হন তিনি দ্বীপবাসীর কোন বিপদের কারণ নন। ভাষাবিদগণ অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারেননি দ্বীপবাসী কোন ভাষায় কথা বলে।
বিঃদ্রঃ পরবর্তী পর্বে আলোচনা করব এমন এক জায়গা সম্পর্কে, যেখানে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ববৃন্দ সমবত হন, বৈঠকের কারণ ক্লাবের সদস্য ব্যতীত কেউ জানে না।
===========================================
কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্স ছাড়া সম্পূর্ণ্য মানবীয় দৃষ্টিকোন থেকে আজ আমি প্রমাণ করব স্রষ্টার অস্তিত্ব!!
-------------------------------------------------------------
যদিও স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বাক্ষর বহন করে সৃষ্টির প্রতিটি কণা! কিন্তু, আমি সে দিকে গিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে চাইনা। শুধু মানবীয় দৃষ্টিকোন থেকে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মূল্যায়ন করেই প্রমান করব স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কি নেই।
-
আমি আমার আলোচনা ও প্রমানের সার্থে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে কিছুক্ষনের জন্য নবী হিসেবে মানতে চাইনা। মানতে চাই একজন সাধারন মানুষ!!
তো,
এই মানুষটি সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত মানুষ গুলোর মন্তব্য কি?
দুঃখের বিষয় মুহাম্মদ সম্পর্কে তাদের একেক জনের মন্তব্য সম্পূর্ণ্য ভিন্ন, ভিন্ন!!
এক সাথে তাদের মন্তব্য গুলো নিম্নরুপ-
মুহাম্মদ মহা সত্যবাদী, তিনি ইতিহাসের চরম মিথ্যুকদের একজন, তিনি পাগল, মস্তিষ্কবিকৃত, তিনি কবি, তিনি সাহিত্যিক, তিনি গণক, জাদুগর, তিনি যুদ্ধবাজ, তিনি মহা সমর নায়ক, তিনি লোভী, তিনি কামুক, তিনিই প্রথম নারীর মর্যাদা দান কারী, তিনি প্রজ্ঞাবান, তিনি চতুর, প্রবল ক্ষমতাধর, সফল রাষ্ট্রনায়ক, তিনি মহা ইতিহাসবিদ, দার্শনিক, পন্ডিত, আদর্শ পিতা, স্বামী, শিশুকামি, খুনি, ধ্বর্ষক, মহা বিজ্ঞানী, তিনি নিরক্ষর, মেষপালক, তিনিই প্রথম মানবিতিহাসের লিখিত সনদের প্রবক্তা, তিনি ডাক্তার, তিনি দক্ষ পররাষ্ট্রনীতিবিদ!!
এভাবে যদি লিখতে যায় কয়েক মাস লেগে যাবে। পোষ্ট সংক্ষিপ্ত করার সার্থে আর লিখছিনা।
এখন আমার প্রশ্ন-
একজন মানুষেরর পক্ষে একই সাথে এত্তগুলো হওয়া কি কখনো সম্ভব?
এরকম নযির কি মানবিতিহাসের কোন একটি পাতাই কেউ কি দেখেছে?
বিখ্যাত মণীষীদের জীবনীর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই- একজন খুব ভাল কবি কিন্তু সে বিজ্ঞানের আঘামাথা কিছুই জানেনা!
একজন নামি বিজ্ঞানী কিন্তু সে জানেনা ইতিহাস কি, সাহিত্যে কি, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা- প্রশাখা কি!!
একজন নামি ইতিহাসবিদ, কিন্তু সে জানেনা, যুদ্ধনীতি কি, রাষ্ট্রনীতি কি।।
যা করা বা হওয়া মানবিতিহাসের সকল নামি- দামি কোন মানবের পক্ষে সম্ভব না, তা একাই কি করে সম্ভব উত্তপ্ত মরুর একজন নিরক্ষর, মেষপালক রাখালের পক্ষে? যার ছিলনা কোন শিক্ষক, ছিলনা তখন কোন প্রতিষ্ঠিত পাঠাগার, ছিলনা তার সামনে কোন বিজ্ঞান গ্রন্থ, ইতিহাস গ্রন্থ!!
তবে,
৪০ বছর পর তার এই মহা বৈচিত্র্যপূর্ণ জ্ঞানের হঠাৎ উত্থান কি করে হল?
এর কি কোন উৎস নেই?
এর উৎস কি?
আসলেই এর উৎস কি?
এর অবশ্যয় একটি উৎস আছে। যদি কেউ বলে না তবে তা হচ্ছে সম্পূর্ণ্য অযৌক্তিক কথা, অবৈজ্ঞানিক কথা, হিংসাত্নক কথা, সত্যের প্রতি চরম বৈরিতা।
এর একমাত্র উৎস- মহাজগতের স্রষ্টা।
=====================================================
কলাবিজ্ঞানীদের মাথার মুকুট, নাস্তিক ধর্মের শীর্ষস্থানীয় কিছু গুরুদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে হালকা আলোচনা করা যাক,
১. ভ্লাদিমির লেনিন: উনি সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 'কনস্পিরেটর : লেনিন ইন এক্সিল' বইয়ে লেখিকা বলেছেন, প্যারিসের এক পতিতার দ্বারা তিনি এই রোগে আক্রান্ত হন।
২. কার্ল মার্ক্স: জোরালো মতামত হলো, বাড়ির কাজের মহিলা হেলেন ডেমুতের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে জন্ম নেয়া ফ্রেডিরক ডিমথের পিতা হলেন কথিত মহামানব কার্ল মার্ক্স।
৩. জোসেফ স্তালিন: স্তালিনের বয়স যখন ৩০ তখন ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন এবং এক অবৈধ সন্তানের পিতাও হন।
৪. মাও সেতু: এই মহাপুরুষ সম্পর্কে লিখতে গেলে পুরো দিন শেষ হয়ে যাবে। উনি একবার বলেছিলেন, He ‘Washed Himself Inside The Bodies Of His Women’. ৬৯ বছর বয়সে 'চেন' নামের ১৪ বছরের এক নাবালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান এই মহামান্য। বলে রাখা ভালো, উনি কখনো দাঁত ব্রাশ করতেন না, উনি চা খেয়ে দাঁত পরিষ্কার করতেন।
৫. ফিদেল ক্যাস্ট্রো: সামরিক উর্দিপরা আলাভোলা চেহারা দেখে ইমপ্রেস হওয়ার কিছু নাই। একজন উনার পার্সোনাল গার্ড ছিলেন ১৭ বছর ধরে, তিনি একটা বই লিখেছেন, সেখানে উল্লেখ আছে কাস্ত্রো সাহেব নিজের দুই স্ত্রী ছাড়াও আরো ৪ জন নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেছেন ইনক্লুডিং এ ফেলো কমরেড!! বাজারে জোর গুঞ্জন আছে, চার দশক ধরে উনি প্রতিদিন অন্তত দুইজন নারীকে শয্যা সঙ্গী করেছিলেন।
অন্যদিকে....
মুমিনদের হৃদয়স্পন্দন আস সাদিক আল আমিন(সা) তার পরিবার পরিজনদের (রা:) বলতেন, আমার ভিতরে এবং বাইরে যা কিছু আছে সবাইকে জানিয়ে দাও।
পার্থক্যটা কি বুঝা গেছে?
=========================================
[চলুন জাহান্নাম দেখে আসি] (আপডেট)
নাস্তিক ভাইএরা আপনারা অনেকেই ভুলে বসে আছেন আপনাদের পরিণতি কি হবে তার ব্যাপারে। ভূলে বসে থাকার মূল কারণ হিসেবে আপনারা যেটা মনে করেন তার সারমর্ম হল এই যে, "আপনারা সেটা বিশ্বাস করেন না"। যদি যেতে চান, তবে আজকে আপনাদের জাহান্নাম ভ্রমনে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। তবে আগে চিনে নেই জাহান্নাম কি দিয়ে তৈরি, না হয় পরে বলতে পারেন জাহান্নাম তো দেখতে পেলাম না।
‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করেনা তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে’ [সূরা আত-তাহরীম: ৬]
তো এখানে দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষের পাশাপাশি জাহান্নামের ইন্ধন হবে পাথর ও। পাথরকে জাহান্নামে জ্বালাইতে পাথরের হাসর অথবা মীযান অথবা পুলসিরাত অপেক্ষার প্রয়োজন নাই। তার মানে এটা সম্ভব যে, কিছু পাথর অলরেডি জাহান্নামে প্রবেশ করেছে। আবার এটাও সম্ভব যে কিছু পাথর জাহান্নাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেটা ঘটে থাকুক আর নাই থাকুক, আমাদের নিকটেই কিছু পাথর আমরা আজ খুঁজে পাব, যেগুলো জাহান্নামের আগুন আমাদের নিকটে বয়ে নিয়ে এসেছে নিদর্শন হিসেবে। তবে জাহান্নাম দেখার আগে জাহান্নামের আগুন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
“তোমাদের দুনিয়ার আগুন, জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের ১ ভাগ। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, এটা কি যথেষ্ট নয়? তিনি উত্তরে বলেন: এর সাথে আরো ৬৯ গুন যোগ করা হবে এবং প্রত্যেকটির গুণ এ আগুনের মতো।” (বুখারী, ৩২৬৫ ও মুসলিম, ২৮৪৩)
‘চল তিন শাখাবিশিষ্ট ছাঁয়ার দিকে, যে ছাঁয়া শীতল নহে এবং যা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হতে, উহা উৎক্ষেপ করবে বৃহৎ স্ফুলিংগ অট্টালিকাতুল্য, উহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী সদৃশ’ [সূরা মুরসালাত: ৩০-৩৩]
তার মানে আগুনের প্রকারভেদ রয়েছে। আমরা পৃথিবীতে তিন ধরনের রঙ্গের আগুন দেখতে পাই- নীল, হলুদ ও লাল। পৃথিবী থেকে এই তিন রঙ্গের আগুনের বাইরে আমরা অন্য কোন রঙ কল্পনা করতে পারি না। তবে জাহান্নামের আগুন যেমন ভয়াবহ রকমের গরম হবে, তেমনি তার রঙ ও স্তরভেদে আলাদা হবে।
নীচের এই হাদিসটি ভালোভাবে খেয়াল করুন-
সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
“যা দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বছর, যার ফলে সে লাল হয়ে গেছে; পুনঃরায় দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বৎসর, যার ফলে সে সাদা হয়ে গেছে; পুনঃরায় দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বছর, যার ফলে সে কালো হয়ে গেছে। সে বিদঘুটে কালো; অন্ধকার; তার এক অংশ অপর অংশকে ভস্ব করে দিচ্ছে।”
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার একমাত্র কালো আগুনের ক্ষমতা আছে একে অপরকে ভস্ম করে দেয়ার। এর আগ পর্যন্ত আগুন অপেক্ষাকৃত কম গরম হয়ে থাকে।
[34,9] "তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।"
[9,49] "আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে।"
আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাস। তোমরা শীতল করে (রোদের তাপ কমলে) নামায আদায় কর”। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (৪২৯), বুখারী ও মুসলিম।
কিয়ামতের দিন সূর্য ও চাঁদ দু’টোকে পনীরের আকৃতি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। কারণ জিজ্ঞেস করলে আবু হুরায়রা (রা) বলেন, নবী রাসূল (সা.) এর কাছে যা শুনেছি তাই বর্ণনা করলাম। এর অধীক কিছু জানি না। এতে হাসান বাসরী (রহ.) নিরব হয়ে গেলেন।- (বায়হাকি, হাসান বসরী [রা.])
এবার আসুন কিছু বাস্তব পাথরের খণ্ড দেখি যা কিনা জাহান্নামের অস্তিত্ব চিৎকার করে বর্ণনা করবে। হ্যা আপনাদের সামনে কিছু পাথর হাজির করছি যা পর্যায়ক্রমে সব স্তরের জাহান্নামের আগুনে জ্বলছে। বলছি আমাদের পরিবেষ্টনকারী তারকাসমূহের কথা। এরা আদতে পাথরের বড় বড় খণ্ড যা আমাদের নিকট নিদর্শনস্বরূপ। এদের পরিবেষ্টনকারী আগুন এর বর্ণনা জানতে পারলে আমরা জাহান্নাম এর একটা ধারনা পাব। তো চলুন গুগল মামার সাথে পাথরগুলো পরিদর্শন করে আসি।
প্রথমেই পিত বর্ণের আগুনের কথায় আসি, বেশি দুর যেতে হবে না, আমাদের সূর্য মামাকেই দেখে নিন। এখন হাদিস অনুসারে হাজার বছরের উত্তাপে এ ধরনের আগুন লাল বর্ণ ধারন করতে পারে। আমাদের পৃথিবীর সাধারণ পাথর এই ধরনের আগুন বা তার কম উত্তাপের আগুনেই লাল বর্ণ ধারন করে, আর গলে যায় আর সে জিনিসটাকে আমরা লাভা বলি।
এবার আসুন আমাদের তারকা সমূহের রঙ এর পার্থক্যে তাদের তাপমাত্রার তুলনামুলক বিশ্লেষণ করি-
আধুনিক বিজ্ঞান বলে, একটি লাল তারকা একটি সাদা তারকা তুলনায় শীতল, এবং একটি সাদা তারকা একটি নীল (অতি উজ্জল সাদাকে নীল বলা হচ্ছে) তারকা চেয়ে শীতল হয়। আবার এদিকে আমাদের সূর্যের আলো মটেও হলুদ না, সাদা। কিন্তু আমাদের পৃথিবী সূর্যের আলোকে কম তেজস্কিও করে হলুদ মিষ্টি আলো হিসেবে ঢুকতে দেয়। আমাদের পৃথিবীর আগুনের রঙ হলুদ কেননা সেটাও জাহান্নামের আগুন থেকে অনেক গুনে কম উত্তাপের।
এখন হাদিস বলছে জাহান্নাম এর উত্তাপ দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তো এখন প্রমাণ করা দরকার যে তারকা সমূহের জ্বালানি এর রুপ ও রঙ পরিবর্তিত হতে পারে এবং কোনোভাবে সেটা বৃদ্ধি পায়। লাভা আমাদের নরমাল আগুণ থেকে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়ায় যার রং লাল। তবে এই লাভা আর যাই হোক মারাত্মক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়ায় না। তার মানে আমরা লাল তারকা বলতে যে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা যে তারকাগুলো দেখে থাকি সেগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর তখনই হবে যখন সেটা এই লাভা থেকে অনেক বেশি বিকিরণ ছড়াবে। আবার এই লাল তারকা হাজার বছর (আরব অঞ্চলে আগে লক্ষ বা কোটির হিশাব মানুষ জানতো না, তাই তাদেরকে বোঝাতে হাজার বছর দিয়েই উল্লেখ পাওয়া যায় সবকিছু) ধরে আগুনে পোড়ার (ফিউশন বিক্রিয়া) পর সেটা হয় সাধারণ সাদা তারকা। পরবর্তীতে হয় নীলাভ বিকিরণযুক্ত তারকা। আবার এদিকে নীলাভ সাদা তারকাসমূহের উত্তাপ এতই বেশি যে, একে পরিবেষ্টনকারী অন্যান্য তারকাসমূহ এর প্রভাবে গলে যেতে পারে। এদের বড় সাইজের নক্ষত্রকে বলা হয় নোভা বা সুপার-নোভা। তো নোভা বা সুপার নোভা তার তেজস্ক্রিতা হারিয়ে আরো সঙ্কুচিত হয়ে সাদা বামনে রুপান্তরিত হচ্ছে। এখন সাদা বামন এর উত্তাপ সুপার নোভা থেকে বেশি। এখন সাদা বামন নামে পরিচিত এই তারকা সমূহের যদি উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়ে কালো রঙের আগুনে জ্বলে, তবে বলা যেতে পারে যে সেটা অত্যন্ত জাহান্নাম এর আগুনের ফর্মুলা সমর্থন করে। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সে হিসেবে যদি কোনোভাবে এই সাদা বামন আরও উত্তপ্ত হয়ে কালো বর্ণ ধারন করে, তবে সেই কালো বর্ণের আগুনকে জাহান্নামের আগুনের স্যাম্পল ধরা যেতে পারে।
আধুনিক বিজ্ঞান বলছে এই সাদা বামন এর এক চা চামচ এর উপাদানের ওজন পৃথিবীতে কয়েক টন হতে পারে। কিন্তু তাপমাত্রা এর বৃদ্ধি একে আরও সঙ্কুচিত করে ফেলে। তখন এর রঙ হয় কালো, আমরা যাকে ব্লাক হোল বলছি। মনে আছে তো কালো আগুনের বৈশিষ্ট্য? কালো আগুনএর এই ছোট্ট ব্লাক হোল গালাক্সির পর গালাক্সি নিমিষে খেয়ে ফেলে, আর এই কালো আগুন আরও তীব্র হলে একে অপরকে খেতে থাকে।
[6,37] তারা বলেঃ তার প্রতি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন? বলে দিনঃ আল্লাহ নিদর্শন অবতরণ করতে পূর্ন সক্ষম; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
===========================================
জীবনের উদ্দেশ্য/
উদ্দেশ্যহীন ↓
কিছু উদাহরণ দিচ্ছি→
এক লোক পথ দিয়ে হাটতে হাটতে একটা মড়ে চলে গেলো। সে এক পথিকে জিজ্ঞেস করলো ভাই এই পথটা কোন দিকে গেছে? পথিক তাকে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কোথায় জাবেন? সে বল্লো যে কোনো এক যায়গায়। পথিক বল্লো তাইলে যে কোনো এক পথ ধরে চলে যান, সমস্যা হবে না,
এখানে এই লোকের কোনো উদ্দেশ্য নেই। লোক টা যে সব কাজ করে তার ভিতর কোনোরকম পার্থক্য সৃষ্টি করে না, কারন তার কোনো গন্তব্য নেই।
আরো কিছু উদাহরণ দেই↓
একজন বিন্ডার একটা বিন্ডিং বানানোর জন্য, বিন্ডিংয়ের পিলারের জন্য মাটি গর্থ করলো, তাকে প্রশ্ন করা হল, আপনার বিন্ডিং কত তলা করবেন? সে বল্লো জানি না, তাকে আরেকটা প্রশ্ন করা হল, এটা কত স্কয়ার ফিট করবেন, সে বল্লো তা এখনো চিন্তাই করি নি,
আসলে এই বিন্ডারের কোনক উদ্দেশ্য নেই।
এক লোক তার প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করলো,
আপনার কুকুর টা সবসময়, গাড়ি দেখলেই ধাওয়া করে। কুকুর টা কি কখনো গাড়ি ধরতে পারবে? প্রতিবেশি বল্লো গাড়িটা ধরতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে ভাবছি না, বরং আমি ভাবছি গাড়ি ধরতে পারলে কি করবে?😊 এখানে এই লোক্টি কিন্তু কুকুটির উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি, তার প্রতিবেশি কুকুরের মালিক, সে কিন্তু বুঝতে পেরেছে কুকুরটার উদ্দেশ্যটা কি?
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমারা অনেকে আমাদের জীবন এই কুকুরের মত করে পার করে দিচ্ছি।😒
লোকজন গ্রাজুয়েশন করে। আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করছি, আপনি গ্রাজুয়েশন করছেন কেনো? আপনি আসলে কারনটা জানেন না। কারন হল এই যে আপনি গ্রাজুয়েশন করতে যাচ্ছেন। গ্রাজুয়েশন করে আপনি কি করবেন? আপনি বলেল আপনি জানেন না। এরাকম আপনি বা আমাদের বেশিরভাগই জীবন টা পার করছি গন্তব্য ছাড়া লোকটার মত অথবা কুকুটার মত। যে গাড়িটা ধরতে পিছনে পিছনে ছুটছে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া।
উদ্দেশহীন ব্যবসা
ধরুন আপনি একটা দোকান করবেন, বা একটা কারখানা দিবেন বলা, একটা দোকান রেডি করলেন,
আপনাকে জিজ্ঞেস করা হল। আপনি কিসের দোকান দিবেন বা কি কি বিক্রি করবেব?আপনি বল্লেল আপনি জানেন না, বা আপনি যে মাল ই বিক্রি করেন না কেনো, এই দোকানে জন্য ভাল সেল ম্যান যার অনেক দিনের অভিজ্ঞতা আছে , আপনি বল্লেল এই কথা আপনি চিন্তা ই করেন নাই। বা যে কারখানায় মাল তৈরি করবেন, সেখানে ভাল অভিজ্ঞ কারিকর নেই।
এখানে আপনার ব্যবসা কোনো উদ্দেশ্য ই নেই।
এরকম হাজার ও উদাহরণ দেয়া যায়, উদ্দেশ্যহীন নিয়ে।
আল্লাহ্ বলেন
মানুষকে সৃষ্টি করার আল্লাহ্ তাআলার একমাত্র উদ্দেশ্য তাঁর ইবাদত। তিনি বলছেন : “আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে, তারা আমার আহার যোগাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জীবিকা প্রদানকারী এবং তিনি অত্যন্ত পরাক্রমশালী”। [সূরা যারিয়াত ৫১: ৫৬-৫৮]
এবং নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের আধিপত্য আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃজনে এবং দিবারাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য নিদর্শন আছে। যারা দণ্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে। হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি এটা বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্রতম, সুতরাং আপনি আমাদেকে জাহান্নামের অগ্নিকুণ্ড হতে রক্ষা করুন”। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৮৯-১৯১]
এই পার্থিব্ জীবন একটি পরীক্ষা। যারা নিজেদেরকে স্বীয় স্রষ্টার সামনে পুরোপুরি সমর্পণ করবে এবং তাঁর আনুগত্য করবে শুধু তারাই এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হবে। কুরআনে উল্লেখ আছে : “মানুষ কি মনে করে কোনো জবাবদিহি ছাড়াই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে?” [সূরা কিয়ামাহ্ ৭৫:৩৬]
=======================================
টাইটানিক জাহাজে যাত্রী সংখ্যা ছিলো ২২৩০ জন ৷
জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ৭০৬ জন ৷ ডুবে প্রাণ হারায় মোট ১৫২৪ জন যাত্রী ৷
টাইটানিক মুভিতে দেখা যায়, অধিকাংশ যাত্রী পানিতে ডুবে মারা যায় ৷ কিন্তু মুভির হিরো "জ্যাক" বরফ শীতল পানিতে শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রার কারণে মারা যায় ৷ একজন দর্শক যখন মুভিটি দেখে তখন তিনি জ্যাকের মৃত্যুতে যতটা শোকাহত।হন, জাহাজের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য তার ততটা শোক হয় না ৷ তখন দর্শকের অবস্থা হয় এমন যে, সব মরে যাক তবুও নায়ক জ্যাক বেঁচে থাক ৷ '
কখনো কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, কেনো এমন হলো? মানুষ হিসেবে সকল যাত্রীর মৃত্যুতে সমান দুঃখ পাবার কথা ছিলো ৷ অথচ নায়ক জ্যাকের প্রতি দর্শকের এতো দরদ হয় কেনো? জ্যাক একজন জুয়ারী, মদ্যপ, ধুমপায়ী, অশ্লীল ছবি অঙ্কনকারী, সর্বপরি জ্যাক।একজন ব্যভিচারী ৷
এতকিছুর পরও দর্শকের কাছে জ্যাকের জীবন অন্যদের চেয়ে বেশি মূল্য রাখে কেনো? উত্তর খুবই সহজ__প্রযোজক ক্যামেরাটি শুধু "জ্যাক ও রোজ" এর দিকে ফিরিয়ে রাখে ৷ ফলে দর্শকের মনেহয়, জাহাজে যাত্রী শুধু। ওরা দুজনই ৷ কিন্তু একই সময় ক্যামেরার অপর প্রান্তে হাজার হাজার নারী ও শিশুর চিৎকার ও আর্তনাদ দর্শকের কানে পৌঁছে না ৷ ফলে দর্শক তা অনুধাবনের চেষ্টাও করে না ৷
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনও এমন ৷ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে সামান্য ককটেল ফুটলেই মিডিয়া তা কয়েক সপ্তাহ হাইলাইট করতে থাকে ৷ কিন্তু একই সময় এই মিডিয়ার অপর প্রান্তে আফগানিস্তান, ওয়াজিরিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনে প্রতি দিন শত শত বোমা ফেলা হচ্ছে ৷ হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে ৷ তাদের মর্মভেদী আর্তনাদ আকাশ বিদীর্ণ করে আরশে পৌঁছে যায় ৷ শুধু পৌঁছে না আমাদের কর্ণ কুহরে ৷
পৃথিবীর সকল পাপের উৎস এই পশ্চিমারা ৷ ওরাই মানুষকে শিখিয়েছে। সমকামিতা, পশুকামিতা, লিভটুগেদার আরো কত কী ৷ ওরা হিরশিমা ও নাগাসাকিতে তিন লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে ৷ ইরাকে দশ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে ৷ আফগানিস্তানে ওদের হত্যাযজ্ঞ এখনো চলছে ৷ এতকিছুর পরও পশ্চিমারা আমাদের চোখে হিরো ৷ টাইটানিক ডুবে যাক,। হাজার হাজার যাত্রী মরে যাক ৷ নায়ক জ্যাক ও নায়িকা রোজ বেঁচে থাক।
++++++++++++++++++++++++
*টাইটানিক*মুভির নির্মাণ গপ্প এবং *অসীম মহাবিশ্বের সৃষ্টির ত্ব*-------
★★★★★★★★★★★★★★★★
টাইটানিক মুভি দেখে-এমন কেউ নেই-যার আবেগ কিছুক্ষণের জন্য চুরি হয়নি....!
এটা এক রকম Phenomena.....কিন্তু তারপরেও সেটা বাস্তব নয়--সিনেমা....।
মুভি/ছবিটি--একটি ডিজাষ্টার রোমান্টিক গল্প.....১০১২ সালে 'টাইটানিক জাহাজের পরিনতি'র পটভূমিতে নির্মিত কাল্পনিক ছবিটি-প্রেম-ট্রাজেডী হলেও অনেকগুলো পার্শ্ব-চরিত্রের ঐতিহাসিক সত্যের ভিত্তি আছে এতে.....। বৃদ্ধা রোজের চরিত্রের অভিনয় করেন গ্লোরিয়া ষ্টুয়ার্ট...তিনি টাইটানিক জীবণের কাহিনী বর্ণনা করছেন.....মুভিটির মূল ভূমিকায় আছেন --রোজ(কেট উইন্সলেট) এবং ডসন(লিওনার্দ ডিকাপ্রিও)....মুভিটির ক্যামেরা ম্যান--রাসেল কার্পেন্টর, সুরকার--জেমস হর্নর.....ষ্টুডিও--লাইট স্টর্ম এন্টারটেনমেন্ট,শুটিং--রাশিয়ার AKadeik Mstislav Keldush-এ.....। টাইটানিক ডুবির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য *স্কেল মডেলিং ও *কম্পিটার এনিমেশনে*র সাহায্য নেয়া হয়েছে.....। মুভিটির নির্মাণ ব্যয় ২০ কোটি মার্কিন ডলার, ১৯৯৭ সালে মুভিটি মুক্তি পায়, ১৪টি একাডেমিক (অস্কার) পুরস্কারের মধ্যে ১১টিই জিতে নেয়.......এবং ছবিটির প্রখ্যাত-পরিচালক---------*জেমস
ক্যামেরুন*...........।।।
---------------------------------------------------------
আমাদের সামনে উপস্থাপিত বাস্তব *অসীম মহাবিশ্বে*টি--উক্ত মুভিটির মত কাল্পনিক না হলেও------->বাস্তব বিচারে উপমা হিসাবে কেবল ব্যবহার করেছি মাত্র.....।।
একটি ছবি নির্মাণ কৌশলের ক্ষেত্রে---একজন কাহিনীকার, একজন পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, শিল্পনির্দেশক, এডিটর, এবং আরও অনেক কলাকুশলী'র সাথে থাকে---বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়---যাতে ছবিটি সিনেমা হলে দর্শকের সামনে বাস্তবরূপে দৃশ্যমান হয়....।।
তারপরেও নির্মানশৈলী একেবারে নিঁখূত হয়না--সমালোচনার জায়গাটা থেকেই যায়......!
আমার প্রশ্ন----নির্মানকৃত ছবির মধ্যে আমরা কাকে দেখি---ক্যমেরার পিছনে যারা থাকেন(নির্মাতা)--তাদেরকে, না--ক্যামেরার সামনে যারা অভিনয় করেছেন ---তাদেরকে.....?
নিশ্চয়ই বলবেন----কাহিনীতে যারা অভিনয় করেছেন(সামনে)---তাদেরকে......।।
ক্যামেরার পিছনের--------------> পরিচালককে(নির্মাতা) আমরা কখনই ছবির কাহিনীর মধ্যে দেখতে পাইনা-------->অথচ-উক্ত ছবির নির্মান কাহিনীর মধ্যে নির্মাতার তার মননশীলতা-প্রজ্ঞা-দক্ষতা--বিজ্ঞতা.....ইত্যাদির নির্দেশনায় ছবিটি নির্মিত হয়......।। অর্থ্যাৎ
---------> তিনিই ছবির সকল শিল্পি ও সকল শিল্পের---★মূল শিল্পি-(স্রষ্টা)★
@@@
নিঁখূতভাবে সৃষ্ট----অসীম মহাবিশ্বের স্রষ্টা তেমনিভাবে--তিঁনি সৃষ্টির ক্যমেরার পিছনে রয়েছেন.....। টাইটানিকের পরিচালক(স্রষ্টা)-কে ছবির মধ্যে যেমনটিভাবে দেখা যায়না.....তেমনটি, এই অসীম মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহকেও তাঁর দৃশ্যমান সৃষ্টির মধ্যে দেখা যাবেনা......তাঁকে খুঁজতে হলে---তাঁর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে তাঁর পরম বিজ্ঞতাকেই বুঝতে হবে....
অতএব------
নাস্তিকদের মত বিজ্ঞানের ভাষায় তাঁকে দেখা যাবেনা----যেমনটি-দেখতে পারিনা টাইটানিক মুভির মধ্যে জেমস ক্যামেরুন-কে.......
তাই বলে জেমস ক্যামেরুনকে অস্বীকার করার মত ধৃষ্টতা কে দেখাতে পারে.....? যেমনটি পারেনা ★মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে★ অস্বীকার করার মত কোন কারণ........।
কিন্তু নাস্তিকরা সে ধরণের ধৃষ্টতা দেখায় কোন্ যুক্তিতে.......???
★
নাস্তিকদের কাছে অামার জিজ্ঞাসা থাকল---বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের মাধ্যমে বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন.......???
(বিজ্ঞানের নকশা কত প্রকার অাছে একটু ঝাঁড়ুন---দেখি)

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.