Pages

Tuesday, 3 September 2019

পরীক্ষা এবং স্বাধীন ইচ্ছা


পরীক্ষা এবং স্বাধীন ইচ্ছা

❐   মনে করেন আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষায় যে প্রশ্ন এসেছে, সে প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি ১০০% নিশ্চিত জানেন। এখন যদি আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না দিয়ে খালি খাতা জমা দিয়ে চলে আসেন, পাশ করবেন নাকি ফেল করবেন? অবশ্যই ফেল করবেন।

❐ সাথে সাথে মানুষ আপনাকে মূর্খ/বোকাও বলবে। কারণ আপনি ১০০% নিশ্চিত জানেন, কিন্তু না লিখেই খালি খাতা জমা দিয়ে চলে এসেছেন!

❐ তেমনি আমাদের এই পুরো জীবনটাই হলো একটা পরীক্ষার হল। পরকালে পাবো এর ফল। আপনি আমি সবাই জানি কোন কাজটা করলে সওয়াব হবে এবং কোন কাজটা করলে গুনাহ হবে। এখন যদি জানার পরও নেক কাজ না করে, জেনে-শুনে উল্টো গুনাহর কাজ করি, তাহলে কি ব্যাপারটা সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও না লিখে খালি খাতা জমা দিয়ে চলে আসার মতো হলো না? সাথে এটা একজন চরম মূর্খ + বোকা = মূর্খ বোকার পরিচয়ও বটে। তা না হলে কি কেউ ইচ্ছা করে পরীক্ষায় ফেল করতে চায়?

❐ ঐ পরীক্ষায় যেমন পাশ করার সম্ভাবনা নেই, তেমনি জানার পরও নেক আমল না করে, উল্টো গুনাহর কাজ করে পরকালেও পাশ করার সম্ভাবনা নেই।

❐ ঐ পরীক্ষা আর জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম একটি পার্থক্য হলো, ঐ পরীক্ষায় ফেল করলে একটু মন খারাপ হবে অথবা ভালো চাকরি করতে পারবেন না। তেমন বড় কোনো ক্ষতি হবে না।

❐ কিন্তু জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষার উপর আপনার আমার জান্নাত-জাহান্নাম নির্ভর করছে। এই পরীক্ষায় ফেল করলে সোজা জাহান্নামে যেতে হবে। নাউজুবিল্লাহ্।

❐ আল্লাহ তা'আলা বলেন,
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।" [সূরা আল মুলক, আয়াত ২]

❐ মুসলিম ভাই-বোনেরা, এখন বলুন,
কোন পরীক্ষা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নাকি জীবন মৃত্যুর পরীক্ষা? অবশ্যই জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষা।

❐ তাহলে, এখনও কি আল্লাহর পথে ফিরে আসবেন না? আপনি কি জাহান্নামে যেতে চান? অবশ্যই না।
যদি জান্নাতে যেতে চান, তাহলে আজই তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসুন।

❐ [আশা করি লেখাটি কপি/শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন]

❐ [[মোঃ শরিফ সরকার]] ❐
❐ [[ইসলামিক লেখক]] ❐

====================
পরীক্ষার হলে নির্ধারিত তিন ঘন্টা কে লিখবে, কে লিখবে না সেটা তার ব্যপার। পর্যাপ্ত কাগজ, কলম সব দেয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ লেখার সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং লেখার উপযুক্ত পরিবেশও সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে, ঐ তিন ঘন্টা সময়ের জন্য।
.
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষক কাউকে কিছু বলবেন না। সময় শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথে তিনি খাতা ছিনিয়ে নেবেন এবং হল থেকে বের করে দিবেন। এক মুহুর্তের জন্যও কাউকে দয়া করবেন না।
.
পৃথিবীটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষার হল। জন্মের সাথে সাথে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে, খাতাও দেয়া হয়েছে। সেই খাতায় কে লিখবেন, কে সাদা খাতা ফিরত দিবেন সেটা তাদের ব্যপার। তবে নির্ধারিত সময়ের পর সবার খাতাই ছিনিয়ে নেয়া হবে, হল থেকেও বের করে দেয়া হবে। ফলাফল প্রকাশের দিন বোঝা যাবে কে কি করেছে। সেই পর্যন্ত আপনি যা খুশি করতে পারেন। সেই স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আপনাকে দেয়া হয়েছে।
.
ফলাফল প্রকাশের পর যেমন আর পাশ করার কোনো উপায় থাকে না তেমনি কর্মফল দিবসেও আর কিছুই করার থাকবে না। এই দুনিয়াতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ আছে। তবে সেখানে আর আপনাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়া হবে না। পরীক্ষার হলে বসে এখন যেমন ইচ্ছা তেমন করার সুযোগ পাচ্ছেন, যা খুশি করতে পারছেন তেমনি সেদিন ক্ষমার আর কোনো পথ থাকবে না।
.
এজন্যই বোধহয় আল্লাহপাক বলেছেন, সেদিন তারা বলবে ”হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে আর একবার দুনিয়াতে যাবার সুযোগ করে দাও। এবার তুমি যা বলবে তাই হবে।” কিন্তু আল্লাহ বলবেন, আর সেই অবকাশ তোমাদের দেয়া হবে না।
.
অবিশ্বাসীরা বলে, আমরা তো আল্লাহতে বিশ্বাস করি না, তার হুকুম অস্বীকার করি, তবুও তো তিনি আমাদেরকে ধবংস করেন না। তাদেরকে বলছি, আপনারা এখন পরীক্ষার হলে আছেন। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে আপনার কাছ থেকে খাতাও নেয়া হবে না এবং হল থেকে বের করে দেয়া হবে না। অপেক্ষা করুন সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত তখন দেখবেন আপনাকে কিভাবে স্বাগত জানানো হয়।
এবার কে আল্লাহ রাসুলকে গালাগালি করবেন, কে রাসুলের আদর্শ মোতাবেক কাজ করবেন, কে আস্তিক হবেন, কে নাস্তিক হবে সম্পূর্ণ আপনাদের ইচ্ছা।

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.