======================
প্যারাফিলিয়া: মানুষের যত বিকৃত যৌনাচার:-
অস্বাভাবিক এবং বিকৃত এই যৌনাচারকে মেডিকেলের ভাষায় প্যারাফিলিয়া (Paraphilia) বলে। এ ধরনের কিছু কমন বিকৃত যৌন আচরণ :-
১) পেডোফিলিয়া (Pedophilia)
এ শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত, বাংলায় যাকে শিশুকাম বলে। যখন বয়স্ক ব্যক্তিরা কোনো বাচ্চার প্রতি যৌনাকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, তখন বুঝতে হবে তিনি পেডোফিলিক। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যে শিশুকামিতার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান
২) এক্সিবিশনিজম (Exhibitionism)
অপরিচিত কাউকে বা জনসম্মুখে নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়ে যৌন তৃপ্তি পাওয়াকেই এক্সিবিশনিজম বলে। একটি সুইডিশ সার্ভে মতে, সুইডেনের ২.১% নারী ও ৪.১% পুরুষ মনে করে, অপরিচিত কারও কাছে নিজেদের গোপনাঙ্গের প্রকাশ তাদেরকে উত্তেজিত করে। মাঝেমাঝেই আমরা শুনি, অমুক মডেল ঘোষণা দিয়েছে তার প্রিয় কোনো দল খেলায় জিতলে তিনি উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নামবেন। কিংবা ক্রিকেট খেলার মাঠে হঠাৎ করেই এক তরুণী উলঙ্গ হয়ে দৌড়ানো শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ব্যক্তিরা এক্সিবিশনিজমে আক্রান্ত থাকে।
৩) জুওফিলিয়া (Zoophilia)
এটি Bestiality বা বাংলায় পশুকামী ও পশ্বাচার নামে পরিচিত। আপনি কি ভাবছেন পশুর সাথে মানুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন কীভাবে সম্ভব? আপনার জ্ঞাতার্থে জানানো দরকার- জাপান, আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং রোমানিয়া সহ বেশ কিছু দেশেই পশুকামিতা বৈধ। এমনকি অনেকের কাছে ‘স্বপ্নের দেশ’ হিসেবে পরিচিত আমেরিকার অনেক স্থানেই পশুকামিতার বৈধতা রয়েছে। অনেক ব্যক্তিই পশু পালন করে এ উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশে পশ্বাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবৎজীবন কারাদণ্ড।
৪) নেক্রোফিলিয়া (Necrophilia)
নেক্রোফিলিয়া বলতে লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে বোঝায়। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার, তাই না? ড. রোজম্যান এবং র্যাসনিকের গবেষণা মতে, ৫৭% নেক্রোফিলিকই হয় মর্গ দেখা-শোনাকারী কিংবা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কেউ।
৫) ভয়েরিজম (Voyeurism)
কোনো মেয়ে পোশাক পাল্টাচ্ছে বা গোসল করছে, আর কোনো ছেলে সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে তার যৌন ক্ষুধা মেটাচ্ছে- এ ধরনের বিকৃত যৌনাচরণকে বলা হয় ভয়েরিজম, গোপনে কারও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন শরীর বা কারো যৌন কর্ম দেখে সুখ অনুভব করা। এই ভয়েরিজমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে নানান সিনেমা। সেখানে দেখানো হয় নায়ক বাইনোকুলার ব্যবহার করে নায়িকার বেডরুমে ফোকাস করছে। তারপর গোপনে নায়িকার নগ্ন হয়ে যাওয়াটাকে উপভোগ করছে। মাঝেমাঝেই ট্রায়াল রুম বা পার্লারে সিসিটিভি ক্যামেরা অথবা কোনো মেয়ের গোপন ভিডিও ফাঁস সংক্রান্ত যে খবরগুলো আমরা শুনি, তার অধিকাংশ কেসই ভয়েরিজমের ফসল। উন্নত দেশ কানাডাতে রয়েছে ভয়েরিজমের মতো বিকৃত যৌনাচারের বৈধতা।
৬) ফ্রটিউরিজম (Frotteurism)
এটি সাধারণত জনবহুল জায়গায় বেশি হয়। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে এই বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়নি কিংবা কাউকে রাস্তাঘাটে কাউকে এর শিকার হতে দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ভিড়ের মধ্যে মেয়েদের শরীরে হাত দেয়, কনুই কিংবা হাত দিয়ে স্তনে চাপ দেয় অথবা নিজের যৌনাঙ্গ ভিড়ের মধ্যে আরেকজনের সাথে ঘষে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ফ্রটিউরিজমের হার মেয়েদের তুলনায় বেশি।
৭) ম্যাসোচিজম (Masochism)
এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত যৌন ক্রিয়ার সময় নিজেকে নানাভাবে শারীরিক কষ্ট বা আঘাত দিয়ে আনন্দ পায়। সাধারণত সেক্স করার সময় এরা অন্যের মাধ্যমে নিজেকে প্রহার করে। দড়ি দিয়ে বেঁধে কিংবা ইলেকট্রিক শক দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে নিজের কামনা মেটায়। এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যে ২.২% হল পুরুষ এবং ১.৩% নারী। মাত্রাতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি আসক্তিই এই ডিজঅর্ডারের প্রধান কারণ।
৮) স্যাডিজম (Sadism)
এটি এক প্রকারের ধর্ষণ। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজম একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ম্যাসোচিজম হলো নিজেকে কষ্ট দেয়া আর স্যাডিস্টরা যৌন ক্রিয়ায় অন্যকে তার অনিচ্ছায় জোরপূর্বক একইভাবে কষ্ট দেয়। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজমে অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
৯) এমেটোফিলিয়া (Emetophilia)
সেক্সের সময় বমি করে, অন্যের বমি দেখে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সঙ্গী/সঙ্গীনীর বমি খেয়ে যৌন সুখ অনুভব করে এমেটোফিলিয়ায় আক্রান্তরা। ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে না?
১০) ফেটিশিজম (Fetishism)
প্রায়ই মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক চুরি হওয়ার ঘটনা শোনা যায়। সেটা হতে পারে আন্ডারগার্মেন্টস অথবা সাধারণ কোনো পোশাক। এই চুরির অনেকগুলোই হয়ে থাকে ফেটিশিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা। এরা সাধারণত যৌনাঙ্গ ব্যতীত দেহের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ (বিশেষ করে পা), বস্তুগত জিনিস, যেমন- ব্রা, আন্ডারওয়্যার, প্যান্ট অথবা সাধারণ জামাকাপড় এসব নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগে। ২০১৪ সালে সেক্সচুয়্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি জার্নালের গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২৬.৩% নারী এবং ২৭.৮% পুরুষের এ ধরণের ফেটিশ নিয়ে ফ্যান্টাসি রয়েছে।
১১) হোমোসেক্সুয়ালিটি (Homosexuality)
সমলিঙ্গভুক্ত কারও প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার নামই সমকামিতা। সমকামিতা শব্দটা শুনলেই মাথায় আসে গে (ছেলে-ছেলে) এবং লেসবিয়ান (মেয়ে–মেয়ে) শব্দদ্বয়। সমকামিতা জেনেটিক নাকি যৌন বিকৃতি সেটি নিয়ে যদিও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় নি, তবে এর ফলে অনেক দুরারোগ্য ব্যাধির কথা বিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে। ২০১৪ সালে শুধু আমেরিকাতেই ৮৩% সমকামীদের মধ্যে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি সিফিলিসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া তারা ক্যামিডিয়া, গনোরিয়া সহ আরও অনেক জটিল রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রথম এইচাইভির সংক্রমণও কিন্তু সমকামীদের মাধ্যমেই হয়েছিল।
সমকামিতার বৈধতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া সহ অসংখ্য দেশে। আইসল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগারদোদির হলেন প্রথম লেসবিয়ান প্রধানমন্ত্রী যিনি কিনা কোনো দেশের সরকার প্রধান ছিলেন।
১২) বাইসেক্সুয়ালিটি (Bisexuality)
যারা নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতিই আকর্ষণ অনুভব করে, অর্থাৎ লিঙ্গ নিরপেক্ষ যৌনতা, তাদেরকে বলা উভকামী বা বাইসেক্সুয়াল। গবেষণায় দেখা গেছে উভকামী, সমকামীরা বিপরীতকামীদের তুলনায় ১৭ গুণ বেশি মলদ্বারের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে। মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড মনে করতেন যে, প্রত্যেক মানুষই জন্ম থেকে উভকামী। যদিও পরবর্তীতে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। ব্যাঙ্গালোরের ‘পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টি’র একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সমকামীরা উভকামীদের শুধু প্রত্যাখ্যানই করে না, ঘৃণাও করে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মেগান ফক্স, মাইলি সাইরাস, লিন্ডসে লোহান, লেডি গাগা, ক্যামেরুন ডিয়াজ, ডেভিড বওয়ি, ম্যাট বোমার এবং ক্যারি গ্র্যান্ট সহ অজস্র পশ্চিমা সেলেব্রিটিই উভকামী।
১৩) ইনসেস্ট (Incest)
অজাচার বা ইংরেজিতে ইনসেস্ট হল নিজের আপন রক্ত সম্পর্ক বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা। সেটা নিজের মায়ের সাথে হতে পারে, হতে পারে নিজের বোনের সাথে। ইনসেস্টকে বলা হয় ‘The Last Taboo’।
মানুষ প্যারাফিলিয়াতে আক্রান্ত কেন হয়? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এসব আচরণের শেকড় একদম শৈশবে প্রোথিত। মাত্রাতিরিক্ত পর্ণ আসক্তি মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি। যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্ণে আসক্ত, তারা একসময় স্বাভাবিক যৌনাচারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই বিকৃতির শুরু হয়। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্যারাফিলিয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ।
সকল মানুষের মধ্যেই কম-বেশী যৌন চাহিদা রয়েছে। মানবজাতি এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই একে ঘৃণা করার কিছু নেই। তবে সেই যৌনতা যদি আমাদের প্যারাফিলিয়ার দিকে নিয়ে যায়, তবে তা নিয়ে চিন্তা করার সময় সম্ভবত এখনইcollected
তথ্যসূত্র
১) Nolen-Hoeksema, Susan (2014). Abnormal Psychology (6th ed.). New York City, NY: McGraw-Hill Education. p. 384.
===========================
পৃথিবি বিখ্যাত অমুসলিমগন যারা ইসলামের সত্যতায় মুসলিম হলেন।
*****************************
প্রিথীবিতে গড়ে প্রতি বছর প্রায়
২৮৮৩,0১১ জন অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে।
তার মধ্যে অগনিত সংখ্যক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা
তাদের কর্মের দ্বারা সুপরিচিত।
এমনি কিছু মহামানবদের কে সরণ করার জন্য আমার
এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
ক্রিয়াবিদঃ
১। মোহাম্মাদ আলি (জন্মঃ জানুয়ারি ১৭, ১৯৪২)
মুহাম্মদ আলীএকজন সাবেক মার্কিন মুষ্ঠিযোদ্ধা,
৩ বারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাপিয়ন এবং
ওলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজেতা।
১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি শতাব্দীর
সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে।
আলী জন্মগ্রহণ করেছিলেন লুইসভিলা,
কেন্টাকি তে। তার নাম তার বাবা ক্যাসিয়াস মারকেলাস
ক্লে সিনিয়র এর নাম অনুসারেই রাখা হয়েছিল, যার
নামকরণ করা হয়েছিল একজন দাসপ্রথা বিরোধী
রাজনীতিবিদ ক্যাসিয়াস ক্লে এর নামানুসারে। ১৯৭৫
সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম
পরিবর্তন করেন। তার মতে এ জন্য ভুমিকা রাখেন
নেশন অফ মুসলিম এর প্রধান ডব্লু. ডি. মুহাম্মদ।
২।মাইক টাইসন (জন্মঃ ৩০শে জুন ১৯৬৬ সাল)
একজন আমেরিকান, বিশ্বের সাবেক হেভিওয়েট
বক্সিং চ্যাম্পিয়ন
মাইক টাইসন।
তিনি ব্রুকলিনে জন্মান।৬ই মার্চ ১৯৮৫তে টাইসনের
অভিষেক হয়। ১৯৯২ সালে ধর্ষণ
কেলেঙ্কারিতে কারাদন্ডে দণ্ডিত হন।এরপর তিনি
ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
৩।কারিম আব্দুল-জব্বার (Lew Alcindor)
একজন আমেরিকান অবসরপ্রাপ্ত বাস্কেটবল
প্লেয়ার, কোচ, অভিনেতা, এবং লেখক।
৪।আহমদ রুশদি
এমি পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক আমেরিকান ফুটবলার।
৫।তারিক আব্দুল ওয়াহিদ (অলিভিয়ের সেন্ট জাঁ)
ফ্রান্সের সাবেক বাস্কেটবল প্লেয়ার।
৬।মহম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ ইউহানা)
পাকিস্তানের ক্রিকেটার খ্রিস্টান থেকে মুসলমান
হয়েছেন।
৭। রাশিদ ওয়ালেস
আমেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার।
সংগঠক, রাজনীতিবিদঃ
৮।নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৫ই আগস্ট, ১৭৬৯;
এজাক্সিউ, করসিকা - ৫ই মে, ১৮২১; সেন্ট
হেলেনা) ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার
একজন জেনারেল, ফ্রান্সের সম্রাট ও ইতালির রাজা
ছিলেন।
"ইসলাম ধর্ম গ্রহন উপলক্ষে তিনি যে বানী
প্রচার করেন...........তার দলিল কায়রোর
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে এখোনো রক্ষিত
আছে।
নেপোলিয়নের জীবনী বা তার বিজয় অভিযান
গুলো নিয়ে যেসব বই রচিত হয়েছে তাতে তার
ধর্ম সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা না গেলে
ও........
তৎকালীন বিশেষ ব্যাক্তিদের ডায়েরীতে তার
ইসলাম ধর্ম গ্রহনের সত্যতা পাওয়া যায়।
La cases নামক একজন নেপোলিয়নের খুব
কাছের মানুষ ছিলেন।তার ডায়েরীতে
নেপোলিয়নের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের নিশ্চিত
প্রমান পাওয়া যায়।
ডায়েরী টা ফরাসী সরকার আটক করে কঠোর
গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে।কাউকে তা
পড়তে দেয়া হয়না।
পরবর্তীকালে তাকে যখন সেন্ট হেলেনায়
নির্বাসন দেয়া হয়......তখন আলোচনা প্রসঙ্গে
তাকে বহুবার We muslims এই বাক্য ব্যবহার করতে
দেখা গেছে।
তাছাড়া পোপ কতৃক মুকুট গ্রহন করতে ও তিনি
সম্মতি প্রদান করেননি।
সবশেষে.....নেপোলিয়ন তার
আত্মজীবনীতে কুরআন ও মহানবী নিয়ে
এমন সব প্রশংসাসূচক বাক্য ব্যবহার করেন তা
কেবল একজন নিষ্ঠাবান মুসলিমের পক্ষেই
সম্ভব----
"আমি প্রশংসা করি স্রষ্টার এবং আমার শ্রদ্বা রয়েছে
নবী ও পাক কুরআনের প্রতি.। ...........আমি আশা
করি সে সময় খুব দূরে নয় যখন সব কটি দেশের
শিক্ষিত লোকেরা এক হয়ে কুরআনের
নীতিসমূহকে মেনে চলে মানুষকে শান্তির
পথে নিয়ে আসবেন"
সৌজন্যেঃ ব্লগার সারওয়ার ইবনে কায়সার
৯।ম্যালকম এক্স (জন্মঃ ১৯শে মে, ১৯২৫ –
২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫)
ছিলেন একজন আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম
রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে
কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার আদায়ের আন্দোলনে
অন্যতম অংশগ্রহণকারী ছিলেন। নাম ছিল ম্যালকম
লিট্ল এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নতুন নাম
করন হয় ম্যালকম এক্স। তিনি আল-হাজ্জ মালিক আল-
শাব্বাজ নামেও পরিচিত।
তাঁর বয়স তেরো হলে তাঁর পিতা মৃত্যুবরণ করে
এবং তাঁর মাতা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার
ফলে তাকে অনেক পালক পরিবারদের মাঝে
ধারাবাহিকভাবে থাকতে হয়। বস্টন এবং নিউ ইয়র্ক
শহরে ম্যালকম লিট্ল বেশ্যামী, ছিনতাই এবং
অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। ১৯৪৬
সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত
তাঁকে ছয় বছরের জন্য কারাদন্ডের আদেশ
দেয়।
বন্দিকালে ম্যালকম লিট্ল শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত
হন এবং একটি ইসলামী দল, নেশন অব ইসলামের
সদস্য হন। ১৯৫২ সালে তাঁর বন্দির শর্তাধীন মুক্তি
হলে তিনি তাঁর বংশনাম সরিয়ে এক্স রাখেন এবং
ম্যালকম এক্স হিসাবে পরিচয় লাভ করেন। ম্যালকম
এক্স পরে নেশন অব ইসলামের অন্যতম নেতা
ও প্রধান মুখপাত্র নিযুক্ত হন। অন্তত বারো
বছরের জন্য ম্যালকম এক্স নেশন অব
ইসলামের সদস্য হিসাবে প্রচারমাধ্যমে জনতার
মধ্যে পরিচিত ছিলেন।নেশন অব ইসলামের
প্রধান, এলাইজাহ মুহাম্মাদের সাথে ম্যালকম এক্স-
এর বিবাদ সৃষ্টি হলে ম্যালকম এক্স নেশন অব
ইসলাম প্রস্থান করেন।
নেশন অব ইসলাম প্রস্থান করার পর, ম্যালকম এক্স
সুন্নী ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং মক্কায় হজ
করেন, যার পর থেকে তিনি জাতিভেদ অস্বীকার
করেন। তিনি একটি ইসলামী দল, মুসলিম মস্ক এবং
সকল আফ্রিকান-মার্কিনদের জন্য একটি ধর্ম
নিরপেক্ষ দল, অরগানাইজেশন অব আফ্রো-
আমেরিকান ইউনিটি প্রতিষ্ঠান করেন। নেশন অব
ইসলাম প্রস্থান করার এক বছরের থেকেও কম
সময়ের মধ্যে, ১৯৬৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি,
নিউ ইয়র্কে ম্যালকম এক্স জনতার সামনে একটি
বক্তৃতাদানের সময়, কিছু ঘাতক তাঁকে গুলি করে
হত্যা করে।
১০।মারিও স্কিয়ালোজা (জুলাই ২৯, ১৯৩০ এ
জন্মগ্রহণ)
ইতালীয় রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্ব মুসলিম লীগের
সভাপতি.
অবসরপ্রাপ্ত ইতালীয় কূটনীতিক, . ১৯৯৪
থেকে ১৯৯৬ সৌদি আরবে সর্বশেষ পোস্ট
রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের
ইতালি উপ স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৮৮ সালে
ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
১১।কিথ ইলসন
আমেরিকান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস নির্বাচিত
প্রথম মুসলিম,ক্যাথলিক ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত
হোন।
১২।এনড্রু কার্সন
সাবেক ব্যাপটিস্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ম্যান
হিসেবে দ্বিতীয় মুসলিম।
লেখক,সাংবাদিকঃ
১৩।Marmaduke Pickthall (৭ এপ্রিল ১৮৭৫ - ১৯
মে ১৯৩৬)
একজন পশ্চিমী ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তিনি
কোরআনের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুপরিচিত।
খ্রিস্টান ধর্ম থেকে রূপান্তরিত, Pickthall, একজন
ঔপন্যাসিক সেই সাথে একজন সাংবাদিক ছিলেন।
তিনি লন্ডন ওয়েস্ট মুসলিম সাহিত্য সমিতি থেকে,
নভেম্বর ২৯, ১৯১৭ এ 'ইসলাম ও অগ্রগতির' একটি
বক্তৃতা প্রদানের পর নাটকীয় ভাবে তার ইসলামে
রূপান্তরের ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত
তিনি ওয়াশিংটন ডিসি মুসলিম কর্মী এবং মসজিদ আল
ইসলামের পরিচালক ছিলেন।তার মোসলিম নাম ছিল
মোহাম্মাদ ।
১৪।এলসা কাজী(১৮৮৪-১৯৬৭)
নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস ও ইতিহাস, এবং তিনি তার
সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জার্মান কবি ও লেখক
ছিলেন।
১৫।Yvonne Ridley
ব্রিটিশ সাংবাদিক তিনি তালিবান কর্তৃক অপহরণ ও মুক্তি
পাওয়ার পর রূপান্তরিত হোন।
১৬।যায়ীদ শাকির
আমেরিকান, মুসলিমে রূপান্তরিত সাবেক ব্যাপটিস্ট,
স্পিকার, বুদ্ধিজীবী, ও লেখক।
১৭।মাইকেল ওলফ
আমেরিকান কবি, লেখক এবং ঐক্য প্রোডাকসন্স
ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং নির্বাহী প্রযোজক।
১৮।লরেন বুথ
টনি ব্লেয়ার এর শ্যালিকা।তার ভাষায় ইরানে একটি
'পবিত্র অভিজ্ঞতা'র
সম্মুখিন হওয়ার পরে ইসলামের রূপান্তরিত
হয়েছেন।
১৯।সালমান ফারসি
তিনি ছিলেন Zoroastrian সমপ্রদায় ভুক্ত। যারা ছিল
খ্রিস্টান থেকে একটি রূপান্তর।
শিল্পীঃ
২০।আইস কিউব (জন্মঃ জুন ১৫, ১৯৬৯ )
আসল নাম ও'সিয়া জ্যাকসন। একজন আমেরিকান
রাপার, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র
প্রযোজক ও পরিচালক.।
ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে ,
আইস কিউব বলেন তিনি একজন মুসলিম। ১৯৯০
সালে তিনি পরিবর্তিত হয়েছেন।
২১।জারমেইন জ্যাকসন (জন্ম ১১ ই ডিসেম্বর
১৯৫৪)
সাবেক জ্যাকসন ফাইভ এর সদস্য। মাইকেল এবং
জ্যানেট জ্যাকসন এর ভাই।
২২।জ্যানেট জ্যাকসন
মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন জ্যানেট
জ্যাকসন।
এ পর্যন্ত তার ১০টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
সঙ্গীত ছাড়াও জ্যানেট একাধিক চলচ্চিত্র ও
টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
৪৬ বছর বয়সী জ্যানেট মধ্যপ্রাচ্যের এক
বিলিওনিয়ার "মানা" কে বিয়ে করে মুসলমান ধর্মে
ধর্মান্তরিত হোন।বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে
স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
২৩।এ আর রাহমান(জন্ম ৬ই জানুয়ারি ১৯৬৬ )
পুরো নাম আল্লাহ রাক্ষা রহমান। একজন ভারতীয়
সুরকার, গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক ,
সঙ্গীতজ্ঞ। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পূর্বে তার
নাম ছিল দিলিপ কুমার।১৯৮৯ সালে তার মায়ের
বিশ্বাসের পথ ধরে ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
২৪।ডেভ চ্যাপেল(জন্ম ২৪ আগস্ট ১৯৭৩)
একজন আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, চিত্রনাট্যকার,
টেলিভিশন / চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেত।
চ্যাপেলে ১৯৯৮ সালে ইসলামে রূপান্তরিত
হোন। তার দুই ছেলের নাম সোলায়মান ও
ইব্রাহিম।
২৫।কেট স্টিভেন (জন্মঃ ২১ জুলাই ১৯৪৮)
ব্রিটিশ সুরকার, গীতিকার, শিক্ষাব্রতী, এবং বিশিষ্ট
মানবাধিকার কর্মী।
তার মুসলিম নাম, ইউসুফ ইসলাম, তিনি ১৯৭৯ সালে
ইসলাম গ্রহণ করেন।
২৬।দাউদ ওয়ার্নসবি আলী (David Wharnsby)
কানাডিয়ান গায়ক ও কবি।
২৭।স্টিভেন বার্নার্ড হিল( Stevie B)
আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড
প্রযোজক।
২৮।সমিতা দেবি
বাংলা অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা।
অনান্যঃ
২৯।শেখ শরফুদ্দিন খালিফা
একটি ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম শেখ শরফুদ্দিন
খালিফার। ৫ বছর বয়সে সে ১০০০ মানুষকে
ইসলামে রূপান্তরিত করেছে।
৩০।বেত্তী সাহবাজ
ম্যালকম এক্স এর স্ত্রী; সাবেক মেথডিস্ট.
৩১।জন নেলসন
১৫৮৩ সালে প্রথম ইংরেজ মুসলিম হওয়ার রেকর্ড
করেছেন।
৩২। অ্যান্টনি গ্রীন (আব্দুল রাহিম সবুজ)
এখন তিনি ইসলামী লেকচারার।
৩৩।হামজা ইউসুফ
আমেরিকান গ্রীক অর্থোডক্স থেকে
রূপান্তর।
যায়তুনা ইনস্টিটিউটের কর্ণধার।
৩৪।James Yee
একজন প্রাক্তন মার্কিন সেনা অফিসার ছিলেন।
৩৫।সিরাজ ওয়াহাজ
আফ্রিকান আমেরিকান ইমাম, ব্রুকলিন এর মাদক
সমস্যার সমাধান তার প্রচেষ্টার জন্য সুপরিচিত।
উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জোটের আমির।
৩৬।শায়লা মুসাজি
আমেরিকান মুসলিম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
৩৭।Yahiya Emerick
আমেরিকান মুসলিম পণ্ডিত, উত্তর আমেরিকার
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি।তিনি
প্রোটেস্ট্যান্ট থেকে রূপান্তরিত।
৩৮।হুসেন ঈয়্যা
চীনা বংশোদ্ভুত ইসলামী পণ্ডিত যার বক্তৃতা
ঘন ঘন পিস টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
৩৯।ইউসুফ চেম্বারস
তিনি পিস টিভি, ইসলাম চ্যানেল, আল জামুআহ পত্রিকা
ইত্যাদি অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
৪০।জেফরি ল্যাঙ
আমেরিকান, কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের
অধ্যাপক ।
৪১।আমির বাটলার
লেখক, প্রকৌশলী ও ইসলামী কর্ম।
৪২।ইব্রাহিম হুপার (ডগলাস হুপার)
আমেরিকান ইসলামী কর্মী
৪৩। জেমিনা গোল্ডস্মিথ
ব্রিটিশ, ইহুদীধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছেন।তিনি
ইমরান খান এর প্রাক্তন স্ত্রী।
৪৪।Loon (আমির জুনায়েদ মুহাদিত)
আমেরিকান হিপ হপ শিল্পী
অপ্রমাণিতঃ
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন (জন্ম: আগস্ট
২৯, ১৯৫৮– মৃত্যু: জুন ২৫, ২০০৯)[১] একজন মার্কিন
সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক।
অনেক সংবাদ মাধ্যমে মাইকেল জ্যাকসন ২০০৮
সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়েছিল বলে ছড়িয়ে
পরে।. এই তথ্যের মূল উৎস "দি সান" নামক
যুক্তরাজ্যের একটি বিখ্যাত ট্যাবলয়েড।
"দি সান" থেকে মূল প্রবন্ধ-
"
MICHAEL JACKSON has become a Muslim - and
changed his name to MIKAEEL.
The skint superstar, 50, donned Islamic garb to
pledge allegiance to the Koran in a ceremony at a
pal's mansion in Los Angeles, The Sun can
reveal.
Jacko sat on the floor wearing a tiny hat after an
Imam was summoned to officiate - days before
the singer is due to appear at London's High
Court where he is being sued by an Arab sheik.
A source told last night how Jacko, brought up as
a Jehovah's Witness, decided to convert as he
used a studio at the home of his chum to record
a new album.
The star - whose hits include The Way You Make
Me Feel - was spotted looking "a bit down" by a
producer and a songwriter who had both
embraced Islam. Shahada
The source said: "They began talking to him about
their beliefs, and how they thought they had
become better people after they converted.
Michael soon began warming to the idea.
"An Imam was summoned from the mosque and
Michael went through the shahada, which is the
Muslim declaration of belief." Mikaeel is the
name of one of Allah's angels.
"Jacko rejected an alternative name, Mustafa -
meaning "the chosen one".
Brit singer Yousef Islam, 60 - who was called Cat
Stevens until he famously converted - turned up to
help Jacko celebrate.
It was his pals David Wharnsby - a Canadian
songwriter - and producer Phillip Bubal who
counselled Jacko.
The pair's new names are Dawud Wharnsby Ali
and Idris Phillips.
Jacko now prays to Mecca after the ceremony at
the Hollywood Hills home of Toto keyboard
player Steve Porcaro, 51, who composed music on
the singer's Thriller album.
Jacko, who rarely ventures out without a mask, is
due to give evidence on Monday in a £4.7million
lawsuit brought by Prince Abdulla Al-Khalif of
Bahrain.
The sheik claims he bankrolled the singer's
lavish lifestyle in exchange for an exclusive
recording contract. The billionaire sent songs for
him to record but claims he was blanked.
He told the court yesterday: "Many times he
confirmed to me he would pay me back."
তার মৃত্যুর দিন, তার ভাই জারমেইন জ্যাকসন সংবাদ
সম্মেলনের পরিশেষে বলেন". আল্লাহ
সবসময় আপনার সাথে আছেন মাইকেল"
২০১০ সালে জারমেইন জ্যাকসন দুবাই ভিত্তিক টিভি
চ্যানেলে বলেন
"যদি সে মৃত্যুর পুর্বে ইসলাম গ্রহন করে
যেতে পারতো! তবে সে তার জীবনের
সকল সমস্যা থেকে নিস্চই নিষ্কৃতি পেত যা সে
শেষ সময় গুলতে অতিবাহিত করে গিয়েছে।"
এর থেকে কিছুটা প্রমানিত হয়, হয়তো তিনি ইসলাম
গ্রহন করার পথে ছিলেন কিন্তু বাস্তবে তা
করতে পারেন নি। যা তার মৃত্যুর কারণও হতে
পারে বলে wikiislam.net এর মতামত।
নিল আর্মস্ট্রং (জন্ম আগস্ট ৫, ১৯৩০-মৃত্যু:
আগস্ট ২৫, ২০১২)
একজন মার্কিন নভোচারী ও বৈমানিক। তিনি চাঁদে
অবতরণকারী প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীর
ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
কথিত আছে যখন নিল আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে
পদচারণা করেন একটি অদ্ভুত ভাষায় শব্দ শুনতে
পান। পরবর্তিতে যখন তিনি মিশরে যান এবং আজান
শুনেন তখন বুঝতে পারেন চাদে তিনি আজান
শুনতে পেয়েছিলেন। তাৎক্ষনিক তিনি ইসলাম
গ্রহন করেন।
১৯৮৩ সালে, আর্মস্ট্রং প্রশাসনিক সহায়তাকারী
ভিভিয়ান হোয়াইট একটি চিঠিতে অভিযোগ খণ্ডন
করেন।
চিঠিটা হুবহু দেয়া হোলোঃ
NEIL A. ARMSTRONG
LEBANON, OHIO 45036
July 14,1983
Mr. Phil Parshall Director Asian Research
Center International Christian Fellowship
29524 Bobrich Livonia, Michigan 48152
Dear Mr. Parshall:
Mr. Armstrong has asked me to reply to your
letter and to thank you for the courtesy of
your inquiry.
The reports of his conversion to Islam and of
hearing the voice of Adzan on the moon and
elsewhere are all untrue.Several publications
in Malaysia, Indonesia and other countries
have published these reports without verifi-
cation. We apologize for any inconvenience
that this incompetent journalism may have
caused you.
Subsequently, Mr. Armstrong agreed to
participate in a telephone interview, reiterating
his reaction to these stories. I am enclosing
copies of the United States State Department's
communications prior to and after that
interview.
Sincerely
Vivian White
Administrative Aide
Letter by Vivian White, Administrative Aide for
Neil Armstrong; July 14,1983
বিতর্ক যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তখন আর্মস্ট্রং
ঘোসনা দেন তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। কিন্তু
কোন এক অজানা কারণে তা করেননি বা করতে
পারেননি।
সর্ব শেষ আর্মস্ট্রং নিজে, তার
আত্মজীবনীতে কখনো ইসলামের রূপান্তরিত
হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। আত্মজীবনীটি
ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করাহয়।
পরিসমাপ্তি
অতি স্প্রতি সেলিব্রেটি পেরিস হিলটন কে নিয়ে
গুজব ছরিয়ে পরে 'উনি ইসলাম কবুল করেছেন'।
এই গুজবে ঘি ডালে dailysquib.co.uk
নামক একটা অনলাইন সংবাদ পত্র।তারা পেরিসের হিজাব
পরিহিত ছবি সহ সংবাদ প্রচার করে। খবরটা কতটুকু
সত্য তার প্রমাণ কিন্তু ঐ ওয়েব সাইটের একদম
নিচে স্পস্ট করে লিখা আছে -
The Daily Squib is a curious satirical
newspaper offering spoof news, political
satire, comedy, opinion news and celebrity
satire
আপডেটসঃ
১।ফ্রাঙ্ক বিলাল রিবেরি (Franck Bilal Ribéry)
(এপ্রিল ১, ১৯৮৩) একজন ফরাসি ফুটবল
খেলোয়াড়। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি
ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
রিবেরির স্ত্রী ওয়াহিবা মরোক্কোর
বংশোদ্ভুত। রিবেরি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত
হয়েছেন।
২। আরমন্ট ভ্যান ডর্নঃ
"
কিছুদিন আগে ‘ফিতনা’ নামে ইসলামবিরোধী এক
সিনেমা বানিয়ে দুনিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেন
নেদারল্যান্ডসের কিছু উগ্রপন্থী খ্রিস্টান।
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
নির্মল, পবিত্র চরিত্রে কালিমা লিপ্ত করা অশালীন
এই সিনেমার বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম জাহানে
প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। কী আশ্চর্য, এই
সিনেমা যাদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বানানো
হয়েছিল, তাদেরই একজন ডান রাজনীতিবিদ ও
চলচ্চিত্র পরিচালক আর্নড ভ্যান ডর্ন আজ মুসলমান।
সুবহান আল্লাহ। না, এটি কোন কল্পকাহিনী বা গুজব
নয়, সাম্প্রতিককালের সত্যি ঘটনা। আর্নড নিজেই
সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারে তার মুসলমান হওয়ার
ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানিয়েছেন। তার
পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের
অনেকেই এতে হতভম্ব। কেউ কেউ তাকে
‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেও বেশির ভাগই তার
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যিনি কিছুদিন
আগেও ছিলেন ঘোরতর ইসলামবিদ্বেষী, তিনি
কেন আজ ইসলাম গ্রহণ করলেন? এই
আশ্চর্যজনক ঘটনা কিভাবে ঘটল?
Image
নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির
সাবেক এই সদস্য জানিয়েছেন, তার ইসলাম
গ্রহণের কাহিনী।‘আমি সব সময়ই ইসলাম ও হজরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে
খারাপ খারাপ কথা শুনে এসেছিলাম। তাই সিনেমাটি
মুক্তি পাওয়ার পর যখন মুসলমানরা এর তীব্র
প্রতিবাদ জানায়, তখন আমি বেশ অবাক হই। তখনই
সিদ্ধান্ত নিই আমি কোরআন ও হাদিস পড়ে ইসলাম ও
ইসলামের নবী সম্পর্কে জানব। এক বছর ধরে
আমি ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি। এরপর
আমি নিজের ভুল বুঝতে পারি। ইসলাম সম্পর্কে
আমার যা যা নেতিবাচক ও ভুল ধারণা ছিল, সেসব দূর
হয়ে যায়। আমি তাই তওবাহ করে মুসলমান হয়েছি।
ইসলামবিরোধী সিনেমা বানিয়ে যে ভুল করেছি,
তা শোধরানোর জন্য আমি ঠিক করেছি আল্লাহর
রাসূলের ওপর সুন্দর একটি সিনেমা বানাব। আশা করি,
সারা দুনিয়ার মানুষ এই সিনেমা দেখে ইসলাম ও শেষ
নবী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবে ও
তাদের বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর হবে। ইসলাম
সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব হবে এই
সিনেমাটি। আর্নড মক্কায় গিয়ে উমরাহ পালন
করেছেন, মদিনায় গিয়ে রাসূলে পাকের রওজায়
তওবাহ নামাজ পড়েছেন। শহরের মেয়রের
কাছে তিনি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন যাতে
দিনের বেলা তাকে সালাত আদায়ের সুযোগ
দেয়া হয়। সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর এক
অপরাধী বান্দাকে মাফ করেছেন ও সত্যের
আলো দেখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তাই
বলা হয়েছে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর জ্যোতির
দিকে পথনির্দেশ করেন (সূরা নূর; ২৪:৩৫)
"
-------- news69bd.com
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- আরমন্ট ভ্যান ডর্ন টুইটার
- saudigazette.com.sa
- amsterdamherald.com(updated March 11
2013 to include Van Doorn's interview with Al
Jazeera)
৩।নিকলাস সিবাস্টিয়ান এ্যানেলকা (জন্ম মার্চ ১৪,
১৯৮৯)
ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন।
তার মুসলিম নাম আব্দুল-সালাম বিল্লাল
২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতইসলামের
রূপান্তরিত.৪।
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- wikipedia
৪।Eric Sylvain Abidal ( জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর,
১৯৭৯)
একজন ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের পেশাদার
খেলোয়াড়।
তিনি ২০০৭ সালে জিমনেস্ট "হায়াত কবির" কে
বিবাহের পুর্বে ইসলাম গ্রহন করেন
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- wikipedia
৫।মুরাদ হোফম্যান
১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি একজন
বিশিষ্ট জার্মান কূটনীতিক এবং লেখক। ইসলামের
উপর বহু বই রচনা করা হয়েছে. তাঁর বই ও
গবেষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে, ১১
সেপ্টেম্বর পরে, পাশ্চাত্যে ইসলাম এর উপর
ফোকাস করা হয়।
তিনি ১৯৮০ সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন,
জার্মান সরকার তার উচ্চ প্রফাইলের কারণে
জর্মানের বিভিন্য রাস্ট্রিয় পদে মনণিত হন।
তিনি পর্যায় ক্রমে,
আলজেরিয়া জার্মান রাষ্ট্রদূত,
মরক্কোয় জার্মান রাষ্ট্রদূত
ন্যাটো এ তথ্য পরিচালক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৬। jacques-Francois De Menou, Boussay (জন্ম
৩ সেপ্টেম্বর ১৭৫০ - ১৩ আগস্ট ১৮১০)
ফরাসি বিপ্লবী যুদ্ধা এবং ফরাসি কূটনীতিক ছিলেন।
১৭৯৮ সালে তিনি মিশরে নেপোলিয়ন এর
আদেশে প্রচারনার উদ্যেশ্যে মিশরের গমন
করেন। সেখানে তিনি ইসলাম রূপান্তরিত এবং
আবদুল্লা নামে পরিচিত হন।
--------------------------------
*******------------------------------
সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা এই পোস্টটির
কোথাও কোন ভুল বা অসংগতি থাকলে অথবা
কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বাদ পরে থাকলে
তা মন্তব্যে জানানর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ
রইল।
=======================================
পৃথিবির কেন্দ্র কাবাশরীফ ,মক্কা? যা হজ্জ্ব কেন্দ্র, মুসলিম মিলন মেলার কেন্দ্র স্থল।পৃথিবির সৃষ্টি রহস্য কেন্দ্র গোল্ডেন রেশিও যার মান- ১.৬১৮, যা হজ্জ্ব কেন্দ্র মক্কা নগরিতে। কুরআনে ও গোল্ডেন রেশিও।---সম্পর্কে বাস্তবতা ভাবি।পোস্ট Md Rashidul, 13/01/17 যদিও কুরআনে কোথাও বলেনি মক্কা পৃথিবির কেন্দ্র। কিন্ত বাস্তবতা জানতে পুরোপোরি পড়ুন। কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করলে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা যাবে আলাস্কা এবং কানাডার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে (বর্তমান ১৪০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা বরাবর)।আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে নিচে নেমে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে চলে যাবে। সম্পূর্ণ তারিখ রেখাটি যাবে পানির উপর দিয়ে ফলে স্থলভাগের ডানে ও বামে তারিখ রেখা সরিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন পড়বে না।
গ্রীনিচের সাথে কয়েকটি বিষয় জড়িত:
১. গ্রীনিচের সময় থেকে যোগ ও বিয়োগ করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সময় নির্ণয় করা হয়েছে। যেমন (বাংলাদেশের স্থানীয় সময়) = (গ্রীনিচ সময়) + (৬ ঘণ্টা)।২. গ্রীনিচকে ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় স্থির করায় ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব এবং ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা বর্তমানে যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International date line).
৩. গ্রীনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করায় গ্রীনিচের অবস্থান ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায়। সূর্য যখন কোন স্থানের ঠিক মাথার উপরে আসে তখন মধ্যাহ্ন হয়, একে বলে Sun Time। পরের দিন সূর্য যখন আবার মাথার উপর আসবে তখন আবার মধ্যাহ্ন হবে। কিন্তু ঘড়ি অনুযায়ী অর্থাৎ Clook Time অনুযায়ী একই সময়ে মধ্যাহ্ন হয় না। এই সূর্য সময় এবং ঘড়ি সময়ের সর্বোচ্চ পার্থক্য হয় ফেব্রুয়ারিতে ১৪ মিনিটের মত তখন ঘড়ির সময়ের চেয়ে সূর্য সময় ১৪ মিনিট পিছিয়ে থাকে। আবার নভেম্বরে সময়ের পার্থক্য হয় সর্বোচ্চ ১৬ মিনিট; তখন সূর্য সময় ঘড়ির সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকে। এ সকল অসুবিধা দূর করার জন্যে এখন Atomic Clock ব্যবহার করা হয়। এই Atomic Clock এর সময় অনুযায়ী তৈরি হয়েছে UTC (Co-ordinated Universal Time)। ফলে ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে GMT এর পরিবর্তে UTC ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গ্রীনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান কল্পনা করায় তার সাপেক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় সময় GMT এর পরিবর্তে UTC হলেও সময় অঞ্চলগুলোর বিভক্তি পূর্বের মতই রয়ে গেছে। কিন্তু গ্রীনিচের উপর প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। ফলে পবিত্র কা’বা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নতুন করে বিভিন্ন সময় অঞ্চল স্থির করা উচিত। কা’বা শরীফকে কেন্দ্র ধরে যখন পৃথিবীর সকল সময় অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে তখন যে কোন স্থানের স্থানীয় সময় হবে, (UTC) + (কা’বা শরীফ কেন্দ্রিক রচিত টাইম জোন) অথবা (UTC) - (কা’বা শরীফ কেন্দ্রিক রচিত টাইম জোন)। সুতরাং পুনরায় কা’বা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করা সহজেই সম্ভব এবং যুক্তিসঙ্গত। তখন আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাসহ সকল বিষয়ের সহজ সমাধান পাওয়া যাবে।আল্লাহ পাকতো পূর্বেই ইরশাদ করেছেন “কা’বা শরীফ মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক।”
★ মক্কাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্টঃআমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ভৌগলিক সময় নির্ধারণ করা হয় বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি করে । এবং কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে ভৌগলিক উপাদানের যে বিন্দু নির্দেশিত হয় সেখানেও বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি ধরা হয় । কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে পুর্ব দাগ্রিমাংশ +৩৯.৮২ এবং উত্তর অক্ষাংশ +২১.৪২ । যা প্রমান করে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও হচ্ছে পবিত্র কাবা ৯০+৩৯.৮২ = ১১১.৪২ সুতরাং ১১১.৮২ / ১৮০= 0.৬১…এবং ১৮০+৩৯.৮২ = ২১৯.৮২ সুতরাং ২১৯.৮২/৩৬০ = ০.৬১…. অতএব, গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান অনুযায়ী মক্কা এবং ক্বাবাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট । পবিত্র নগরী মক্কার নাম সমগ্র কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখিত হয়েছে সুরা আল-ই-ইমরান এর ছিয়ানব্বই আয়াতে । এই আয়াতে মক্কা শব্দটি উচ্চারিত হওয়া পর্যন্ত বর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি এবং সমগ্র আয়াতে রয়েছে ৪৭ টি বর্ণ । এখন আমরা যদি উক্ত আয়াতটি লিখে ফাইমেট্রিক্স(ফাইমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা ধারা কোন ছবির গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট মাপা হয়)ধারা পরিমাপ করি তাহলে এর মান আসবে,২৯/৪৭ = ০.৬১…. আর এটাই হচ্ছে গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান ।
★
মক্কা থেকে উত্তর মেরু এবং মক্কা থেকে দক্ষিন মেরুর দূরত্বের( উ: মেরু হতে কাবা ৭৬৩১৬৮ ও দ: মেরু হতে কাবা ১২৩৪৮৩২ কিমি) আনুপাতিক হিসাব করলে দাড়ায় ১.৬১৮ । যাকে বলা হয় ( ভাগফল) গোল্ডেন রেশিও ।
===========================
পৃথিবির প্রধান প্রধান ধর্ম গ্রন্থে মোহাম্মাদ সা
কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল স্বিকৃতি । আমরা জানি
মোহাম্মাদ সা এর অপর নাম-আহমদ
★ তওরাত,ইন্জীল কিতাবে -" অইজ ক্বালা ঈশাবানু
মারইয়ামা --------রাসূলুল্লাহি ---------মিনাততাওরাতি।
( সংক্ষেপ) সূরা আসছাফ, আয়াত ৬।
* মরিয়মের ছেলে ঈসা বলেন- আমার পরে
আহমদ নামে যে রাসূল আসিবেন, তার সুসংবাদ
দিতে এসেছি।
★ বাইবেলে - মোহাম্মাদ সা কে বাইবেলে
Pariclytor যার অর্থ প্রশংসিত। মোহাম্মাদ সা -
প্রশংসিত। গ্রীক ভাষায়(সুরিয়ানি) মুনহামান্না নামে
অভিহিত যার অর্থ আরবীতে মোহাম্মাদ ও
গ্রীক ভাষায় প্যারাক্লেটাস - দেখুন ইউহান্না
যোহন ইন্জীল ১৫শ অধ্যায়ের ২৩শ থেকে
২৭শ আয়াত এবং ১৬শ অধ্যায় ১ম আয়াত।
★হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ অধর্ববেদ ও কল্কিবতার কে
নরাসংস (প্রশংসিত)মহাম্মাদ ও অহমিদ্ধ ,আহমদ নামে
উল্লেখ করেছে।
বিস্তারিত দেখুন- ইদংজনা উপশ্রুত নরাসংস ------
দদ্মহে। মন্ত্র ১। এখানে ,প্রশংসিত জন ষাট হাজার
জনের মধ্যে আসিবেন। কৌরম(দেশত্যাগী)
নবী ও মক্কা ছেড়ে মদিনায় দেশত্যাগী।
ইসলাম ও ইতিহাস বলে তৎকালীন আরবের
জনসংখ্যা ও ষাটহাজার। এছাড়া অসংখ্য জায়গায়
কল্কিকে নরাসংস ( প্রশংসিত) বলা।।
* মহাম্মাদ নাম- ভবিষ্য পুরান প্রতিসর্গ সর্ব ৩ খন্ড ৩
অধ্যায়।
★ আবার, মোহাম্মাদ সা এর আরেক নাম - আহমদ
দেখ- ঋগ্বেদ ৮ম মন্ডল, ৬ষ্ঠ শুক্ত,১০ম
মন্ত্রে। অধর্ববেদ ২০ কান্ড ১১৫ শুক্ত ১ম
মন্ত্রে। সামবেদ ১৫২ ও ১৫০০ মন্ত্রে।।
==============================
পৃথিবী ও মানুষ নিয়ে চিন্তা ভাবনা।
.
আচ্ছা দুনিয়ার বয়স কত? জানেন আপনি?? হ্যা জানি তো, আনুমানিক 500 কোটি বছর।। আচ্ছা আনুমানিক বললেন কেনো?? আনুমানিক এই কারনে বলা হয়েছে দুনিয়ার প্রথম মানব কে তা জানি না, আর সে কোথাও লিখে রেখে যাই নি যে আজ থেকে দুনিয়ার প্রথম দিন।। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে বের করেছেন দুনিয়ার বয়স এতো।। হ্যা আমরা জানি যে অনুমান করে হিসাব করা যায়।। যেমন ধরুন......
একটা ছেলে স্কুলে গিয়ে স্যার এর হাতে মার খেলো,বাড়িতে আসলো। মা দেখে ছেলেকে বললো তোর পিঠে দাগ কেনো? তুই কি স্যার এর হাতে মার খেয়েছিস? দেখেন ছেলেটি মার খাওয়ার সময় মা উপস্থিত ছিলো না, তবুও অনুমান করে বলতে মোটামুটি একটা ধারনা পেয়েছেন।। বাট কিভাবে কয়টা মার দিছে তা কিন্তু বলতে পারবে না মা।। ঠিক তেমনি দুনিয়ার বয়স নির্ণয় করতে ইউরেনিয়াম এর তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যাবহার করা হয়েছিলো।।
আচ্ছা তাহলে ধরে নেয়া যায় দুনিয়ার সঠিক জন্ম কবে তা আমরা জানি না।। তাইতো?? হুম সেটাই।। আচ্ছা দুনিয়া ধংস হবে কবে?? এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করেছেন।। 1999 সালে বিখ্যাত নস্টাডামুস চারশ বছর আগে বলেছিলেন, 1999 সালে দুনিয়া ধংস হবে।।
দুনিয়া ধংস হয়েছে কি?? না হয় নি।। ধুমকেতুর লেজে থাকে বিষাক্ত গ্যাস Cyanogens ,বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিজ্ঞানীরা বললো 1910 সালে হ্যালির ধুমকেতু দুনিয়া অতিক্রম করবে, তখন দুনিয়ার সাথে সংঘর্ষ হয়ে দুনিয়া ধংস হবে।। হয়েছে কি?? হয় নাই।। আরো অনেক মতবাদ আছে কোনটাই হয় নাই।।
তাহলে এখন ধরে নেয়া যায় দুনিয়া কবে হলো সেটাও সঠিক টা জানি না, আবার কবে ধংস হবে সেটাও জানি না।। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে মানব জাতি সব কিছু জানতে পারবে না, মানে কিছু জিনিস আমাদের ধারনার বাইরে।।তাইতো?? হ্যা সেটাই।।তাহলে ধরে নেয়া যায় এই দুনিয়া ধংস বা জন্ম এর সঠিক কেউ একজন জানে?? যিনি সৃষ্টিকর্তা।
এখন কথা হলো কেনো একজন শুধু শুধু দুনিয়া বানাবে? কারন তো থাকতে হবে।। হ্যা মানুষ জাতি কে বসবাস করার জন্য দুনিয়া টাই উপযুক্ত, অন্য কোন গ্রহ বা উপগ্রহ এতোটা উপযুক্ত নয়। তাহলে বুঝা যাচ্ছে মানুষ কে সুন্দর ভাবে থাকার জন্য দুনিয়া হয়েছে।। এখন মানুষের কাজ কি?
বিজ্ঞানীরা ল্যাপটপ বানিয়েছে, একটা বাচ্চা ছেলে ধরেন ল্যাপটপ এ গেম ছাড়া কিছুই বুঝে না, তখন ওই ছেলেটির কাছে মনে হবে ল্যাপটপ আবিষ্কার হয়েছে গেম খেলার জন্য, যখন একটা কিশোর ছেলে ল্যাপটপ হাতে নিবে, তখন সে বলবে আরেরে ব্যাটা ল্যাপটপ গেইম খেলা ছাড়াও গান শুনা যায়, ছবি আকানো যায়। ল্যাপটপ বানানো হয়েছে এগুলা করার জন্যই। যখন যুবক ছেলে পিসি টা ইউস করবে তখন সে বলবে, আরে শুনো ল্যাপটপ ওইসব ফালতু কাজে ব্যাবহার করার জন্য হয় নাই, ল্যাপটপ এ ছবির কাজ করা যায়, বড় বড় হিসাব করা যায়, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ কাজ করা যায়।।
তাহলে চিন্তা করা যায় যে ল্যাপটপ এক এক জনের কাছে এক এক রকম।। যে যেভাবে নিবে সেটা তার ব্যাপার।। এখন ল্যাপটপ বিজ্ঞানী কি বলে, সে বলতেছে কম্পিউটার টা আমি বানিয়েছি হিসাব করার জন্য, যাবতীয় অফিসের কাজের জন্য, আর হাল্কা বিনোদনের জন্য গান, ছবি আকানোর জন্য, কিন্তু এরর মানে এই নয় যে তুমি তোমার জীবনে ল্যাপটপ এ গেম আর গান শুনেই পার করে দিবে, যদি তাই করো তাহলে ল্যাপটপ আবিষ্কার এর কোন মানেই হয় না।
এখন আপনি দুনিয়াতে আসলেন, যদি চিন্তা করেন আল্লাহ বলে কিছু নাই সেটা বোকামি,যদি মনে করেন দুনিয়া টা হলো আসলাম খাইলাম, বিয়ে করলাম, ফুর্তি করলাম, তারপর মরার পরে আর কিছুই হবে না,তাহলে এতো আয়োজন করে দুনিয়া আর মানুষ কে কেনো বানানো হলো।। ঠিক ওই ল্যাপটপ এর মত, যদি সারাদিন গেইম খেলেন তাহলে ছোট্ট শিশুটিই রয়ে গেছেন, ছোট্ট শিশু টি বড় হয়েও যখন ল্যাপটপ এ শুধু গেইম ই খেলে তাহলে ল্যাপটপ বিজ্ঞানীর কোন লাভ ই হলো না ল্যাপটপ বানিয়ে।। কারন তিনি ল্যাপটপ বানিয়েছেন কাজের উদ্দেশ্যে। । দুনিয়া টাও ঠিক এমন ই কারো একজনের গোলামি করার জন্য।।তাই পবিত্র কুরান এর উত্তর দিচ্ছে......জাতিকে বানিয়েছি(সুরা যারিয়াত আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জীন আয়াত=56 )
আপনি দুনিয়ার আনুমানিক জন্ম সাল খুব করে বিলিভ করেন অথচ এইটা বিলিভ করেন না যে,কুরানে আছে,আর যে তার পিতা মাতা কে বলে ধীক তোমাদের, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে,আমি পুনরুথিত হবো? অথচ আমার পুর্বে অনেক লোক মারা গেছে, আর পিতা মাতা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলে,দুর্ভোগ তোমার, নিশ্চই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে এসব তো পুর্বের লোকের উপকথা।।(সুরা আহক্বাফ আয়াত =17 )
ডা: আতিক হাসান।।
========================
// পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক ও চিন্তাবিদ মিশেল ফুকোর লেখা “The Subject and Power” শীর্ষক আর্টিকেল যা প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (১৯৮২), থেকে লেখা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছে স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস।
বেসরকারি টেলিভিশনে পূর্ণকালীন চাকরি করে আসা সামিয়া রহমান বর্তমানে নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স। এর আগে তিনি একাত্তর টিভি, এনটিভি ও একুশে টিভিতে কাজ করেন। সাংবাদিকতার ছাত্র মারজানও একাত্তর টিভিতে কাজ করেছেন। //
যে দেশে রাজনীতিবিদেরা চোর, ব্যবসায়ী চোর, ডাক্তার চোর, এনজিনিয়ার চোর, এমনকি মাসজিদের মুসল্লিরাও চোরের ভয়ে ১০০ টাকার স্যান্ডেল নিয়ে তটস্থ থাকে সে দেশে শিক্ষকরা খুব ভালো মানুষ হবে এই আশা করি না। ব্যতিক্রম যারা আছেন তাদের খুঁজে পাওয়া দায়।
তবে যে পকেট মারে সেও জানে কাজটা খারাপ। সে চোখ নামিয়ে পথ চলে।
কিন্তু শাহবাগী চোরদের বৈশিষ্ট্য আলাদা।
তারা চুরি করে এমন ভাব করবে যেন এটা খুব ক্রেডিটের একটা কাজ।
আর মিডিয়াতে তাদের গলা শুনলে মনে হয় চোরের মা না, চোরের গলাই সবচেয়ে বাজখাঁই।
=========================
পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়েছে তলোয়ারে নয় বরং সচ্ছতায়।
১৪ শত বছর আগে ইসলামের সূচনার সাথে ইসলাম অর্ধেক পৃথিবীর বুকে অতিদ্রুত কেমন করে ছড়িয়ে পড়েছিলো? বিদ্বেষীরা বলে বেড়ায় তলোয়ারের দিয়ে! অথচ বেকুবগণ ভালো ভাবে জানে ধর্মকে ধারণ করতে হয় মন থেকে। যেখানে কোন তলোয়ার প্রবেশ করতে পারেনা। হ্যাঁ, অসত্য অন্যায় এবং অশান্তিকে দ্রুত দূর করতে তলোয়ারের দরকার হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু মানুষের মনে মণিকোঠায় তলোয়ার দিয়ে ইসলামকে ইনপুট করে দেয়া হয়নি। তখনকার দিনে প্রচলিত যত মত পথ আর ধর্ম ছিলো, তাদের সবগুলোকে থেকে নতুন বিকশিত ইসলাম ছিল সহজ সরল এবং স্বচ্ছ। যার কারণে মানুষের মনে জগতে ইসলামের আহ্বান সহজে প্রবেশ করতে পেরেছিলো। ইসলাম শুধু আধ্যাত্মিকতা ফলাতে মানুষদেরকে আহ্বান জানায় নি, বরং ইসলাম সকল মানুষের মধ্যে; সব ধরণের উচ্চ নিচ জাত বংশের ধারণাকে অস্বীকার করে ঘোষণা করেছিলোঃ- সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। ১- ইসলাম মানুষকে বহু প্রভুত্ব বাদ থেকে মুক্ত দিয়ে এক আল্লাহর একত্ব একক প্রভুত্বকে সামনে তোলে ধরে। ২-সকল মানুষের উৎপত্তি এক আদম থেকে; তাই মানুষকে আহ্বান জানায় সকল মানুষ সমান এবং সকল মানুষের একমাত্র প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ তিনি ছাড়া আর কেউ মাবুদ নন। ৩- মুহাম্মদ সা: হচ্ছেন আল্লাহর নবী ও রাসুল। তার অতি সরল অর্থ ছিলো আল্লাহর ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই , মানুষ কোন দিন মানুষের প্রভু হতে পারেনা শুধু তাই নয় আসমান জমিন, দুনিয়া আখেরাতের সকল স্তরে আর কোন মাবুদ নেই। আল্লাহকে একমাত্র মাবুদ মেনে; মুহাম্মদ সা: যেভাবে জীবন যাপন করতে নির্দেশ দিবেন তাই অনুসরণ করে চলতে হবে। ইসলামের এই অতি সাধারণ মন্ত্র সেদিন মানুষের কানে পৌছা মাত্র তা এক সামাজিক বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়ে পড়েছিল। যার প্রবল বেগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফ্রান্সের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এই এক বিপ্লবী আমন্ত্রণে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে গিয়েছিলো রোমান, পারসিয়ান সাম্রাজ্য। দলে দলে যখন সাবেক ধর্ম ত্যাগ করে; সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রবেশ করতে থাকে; তখন প্রচলিত ধর্মীয় আচার প্রথাকে পরিবর্তনের জন্য চাপে পড়েছিলো ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সভ্যতা। সে যুগে আজকের আমেরিকা রাশিয়ার মত মুসলিমদের কাছে উন্নতমানের অস্ত্র ছিলোনা যা দিয়ে তারা অনুন্নত অস্ত্রধারী রোমান এবং পারসিয়ান সাম্রাজ্যকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলো। বরং সে সময়ের উন্নত অস্ত্র মুসলিমদের হাতে ছিলোনা ছিলো অমুসলিমদের হাতে। এমনও নয় যে শত শত বছর ধরে যারা বীরযোদ্ধা ছিলো তারা ইসলামের আগমনে কাপুরুষে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো , যার কারণে তারা মুসলিম যোদ্ধাদের সাথে পেরে উঠেনি! আসল সত্য হলও তাদের আচরিত ধর্মের আচার প্রথা নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজমান ছিলো। যখন তারা বুঝতে পারলো যে, নতুন ধর্মমত আরব উপদ্বীপ থেকে প্রবল বেগে অপ্রতিহত গতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পরছে। তখন তাদের মনে সন্দেহের দোলা সৃষ্টি হয় তারা ভাবতে থাকে তারা স্রষ্টার সঠিক পথে থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে বিধায় ; স্রষ্টা তাদের থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিয়েছেন। আরবদের ধর্ম মতের সাথে স্রষ্টা আছেন বলেই তারা অপ্রতিহত গতিতে চারিদিকে সব ধরণের প্রতিরোধকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে এগিয়ে আসছে। তারা জানতে পারে মুসলিমরা নিছক সম্পদ লুণ্ঠন আর সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করছেনা, তারা যুদ্ধ করছেন এক আল্লাহর তৌহিদ প্রতিষ্ঠা করতে এবং দুনিয়ার সব মানুষকে মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দেবার জন্য।ইসলামের উন্নত জীবন দর্শনের আহ্বানে তাদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছিলো, কাজেই তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অক্ষম হয়। বরং যুদ্ধের ময়দান থেকে স্বপক্ষ ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিমদের পক্ষ হয়ে তাদের সাবেকী ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরীক হতে থাকে। ইসলাম যখন চারিদিকে বিজয়ী হচ্ছিলো; তখন শক্তিতে মুসলিমদের অগ্রাভিযান রোধ করতে না পেরে অমুসলিম শক্তি চিন্তা করতে শুরু করে; কোন সে শক্তি যার ফলে মুসলিমদেরকে পরাজিত করা যাচ্ছেনা। একসময় তারা পেয়ে যায় ইসলামের প্রাণ ভোমর।১- এক আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা, ২-মুহাম্মদ সা: এর প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং ৩- ইস্পাত কঠিন ইসলামী উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব শক্তি। তারা যখন কারণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হলো; তখন থেকে এর প্রতিরোধক বের করার কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। ইঁদুর যে ভাবে অতি সন্তর্পণে একটি একটি করে গাছের শেকড় কাটে; ঠিক সে ভাবে অমুসলিম শক্তি প্রথমে যে কাজ করে ; তা প্রকাশ্যে ইসলামী শক্তি বিরোদ্ধাচারণ করা বন্ধ করা। তারা দলে দলে মুসলিমদের দেশে কর্মের সন্ধানের উসিলায় এসে প্রবেশ করে। সাথে নিয়ে আসে তাদের সুন্দরী সুন্দরী মেয়েদের। মুসলিম প্রভাব শালীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। এমন কি গণহারে তাদের মেয়েদেরকে মুসলিম আমির উমরাহ খলিফা বাদশাহ বাদশাহজাদাদের বিয়ে দিতে থাকে। এই বিয়ের মাধ্যমে যে প্রজন্ম মুসলিম সমাজে সৃষ্টি হয় তারা ধীরে ধীরে ইসলামের প্রাণ ভোমর থেকে দূরে সরে চলে যায়, আমোদ প্রমোদ শরাবি আর ইন্দ্রপরায়ণ হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানেও পিছিয়ে পড়ে জ্ঞান বিজ্ঞানে ইউরোপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ততদিনে মুসলিম উম্মাহ থেকে ইসলামী প্রাণ ভোমর নিভো নিভো হয়ে পড়েছে। ইউরোপীয়রা ততদিনে উন্নত অস্ত্রধারী হয়ে উঠেছে। তখন সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপ মুসলিমদেরকে লণ্ডভণ্ড করতে আগ্রাসী আক্রমণ চালায়। তখন সব দিক দিয়ে হীন বল হয়ে পড়েছিলো মুসলিম উম্মাহ কাজেই ইউরোপীয় আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করার মত শক্তি ছিলোনা। সব গুলো মুসলিম ভুখণ্ড তাদের কলোনীতে পরিণত হয়ে পড়ে। অস্ত্রে মাধ্যমে বিজয় যে সাময়িক জয়; ইতিহাস থেকে শিক্ষা ইউরোপীয় শক্তিরা ভালো ভাবে জেনে গিয়েছিলো। যাতে অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম আবার বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠতে না পারে, তার প্রতিরোধক শক্তি তারা অনেক আগে আবিষ্কার করতে পারলেও সেই প্রতিরোধক অস্ত্র এতদিন প্রকাশ্যে ব্যবহার করে উঠতে পারেনি। এখন সে সমস্যা আর নেই এখন তারা রাজশক্তি আসনে প্রতিষ্ঠিত তাদের অভিলাষ ই বাস্তবায়ন করতে আর কোন অসুবিধা নেই। এবার তারা ইসলামের প্রাণ ভোমরের অন্যতম শক্তি উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব বোধে ফাটল ধরাতে মুসলিমদের অঞ্চলে অঞ্চলে তাদের শিক্ষায় শিক্ষিতদের দ্বারা জাতীয়তাবাদী দর্শন প্রচলিত করতে থাকে। জাতীয়তাবাদী দর্শন বাস্তবায়নের ফলে- এক ধর্ম এক মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বে , সারা আরব ভূখণ্ডকে কৃত্রিম জাতীয়তাবাদী আদর্শ দিয়ে ১৮ খণ্ডে বিভক্ত করে দিয়ে; এক অঞ্চলের মুসলিমদেরকে অন্য অঞ্চলের মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিবাদ সীমান্ত সংঘাতে লাগিয়ে, ভাগ করো আর দুর্বল কর, আর তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করো নীতি সফল বাস্তবায়ন করে , অন্য দিকে মুক্তি বুদ্ধির চর্চার খোলসে তারা আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থায় মুসলিম যুব সমাজের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়া যায়, মুহাম্মদ সা: এর প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা থেকে যুব সমাজকে দূরে ঠেলে দেয়া যায় সেই শিক্ষা ব্যবস্থা মুসলিমদের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ দেশে অগ্রগামী দলে বা নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে তাদের তৈরি শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন পথ তারা খোলা রাখেনি। যার ফলে দুনিয়ার কামিয়াবি লোভী পদ লোভী আয়েসি জীবনের প্রতি লোভে মুসলিমরা তাদের সন্তানদেরকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে থাকে। আর এই পথেই আমাদের কয়েক জেনারেশনকে তারা তাদের মত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এখন তাদের প্রত্যক্ষ শাসন আমাদের দেশে নাই কিন্তু তাদের শিক্ষায় তাদের চিন্তা চেতনা ধারণকারী আমাদের সন্তানরা তাদের অধরা কাজ আজ সম্পন্ন ভালোভাবে করে চলছে। তাইতো আজ মুসলিমদের দেশে দেশে ইসলাম কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে। কেউ ইসলামের কথা উচ্চারণ করলে এখন আর ইউরোপীয় সৈনিকরা ঝাঁপিয়ে পড়েনা আমাদের সৈনিকরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
===========================================
পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন, যা বিনা কারনে মানুষ হত্যা নিষিদ্ধ, এমনকি যুদ্ধ শত্রু কে ও সম্মানে
নিরাপদে পৌছে দিতে বলে।
*********************************
কুরআন বলছে যদি শত্রুরা শান্তি চায় অধিকন্তু তাদের এমন স্থানে পৌছেঁ দাও
যেখানে তারা নিরাপদ(সূরা তওবা, আয়াত ৬)
। আপনি কুআনের আয়াত
পড়বেন যা যুদ্ধ সমন্ধে অত্যাচারী শাসকের
বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে, নির্মম-পাশবিকতার
বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আয়াতের শেষে আল্লাহপাক
উল্লেখ করেছেন ‘শান্তিই শ্রেষ্ঠতর’ কারন
ইসলাম শান্তির ধর্ম। অকারনে কারো রক্তপাত বা
যুদ্ধের আহবান সেটি অমুসলিমদের বিরুদ্ধে
হোক ইসলাম তা কখনোই সমর্থন করেনা।
আল্লাহপাক বলেন -
,
‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে
আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি
কওে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য
করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে
যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’
মায়েদা-৫:আয়াত-৩২
★ নাস্তিক, অমুসলিমরা কুরআন হতে কৌশলে পূর্ব ও পরের আয়াত বাদ দিয়ে, প্রসংগ না তুলে সমালোচনা করে।।
========================
প্রশ্ন :পৃথিবীর প্রথম মানুষ কোন জাতি বা
গোত্রের ছিলেন?
✔ উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েক।
কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানব আদম
(আঃ)। তিনি ছিলেন মুসলিম। শুধু তিনিই নন
মোহাম্মদ ( ﷺ ) বলেন-
”পৃথীবীতে প্রতিটি বাচ্চাই নিষ্পাপ মুসলিম হয়ে
জন্মগ্রহন করে। ”
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করলেই কি মুসলিম?
মুসলিম মানেই রহিম, করিম নয় এর অর্থ নিজের
ইচ্ছা আল্লাহর নিকট সমর্পন করা। যে কোন বাচ্চা
হিন্দু, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহন করুক
সে প্রথমত জন্মায় মুসলিম হয়ে। নবী
( ﷺ ) বলেন-
”মা-বাবার কর্মে প্রভাবিত হয়ে বাচ্চাটি তা
অনুসকরন করে আগুন, পাথর বা মূর্তির পূজা করে,
পাপ করতে শুরু করে। ”
কারন একটি নিষ্পাপ শিশুকে যাই শেখানো হয় তাই
সে করার চেষ্টা করে।
আফ্রিকান-কাপাকু ও অষ্ট্রেলিয়ান- গোঁড়া
জাতি-
অতি সম্প্রতি দুটি জাতির জীবন-পদ্বতি গবেষনা
করে দেখা গেছে। আফ্রিকান কাপাকু ও
অষ্ট্রেলিয়ান গোঁড়া জাতি এই দুজাতি ১৯৫০
সালের আগ পর্যন্ত সভ্যতার দেখা পায়নি।
গবেষনায় দেখা গেছে তারা যা করতো প্রায়
প্রতিটি কর্মই ইসলামের সাথে মিল রয়েছে।
✔ তারা এক সৃষ্টিকর্তার বিস্বাস করতো,
✔ তারা সিজদা করতো,
✔ তারা কোন মূর্তিপুজা করতো না।
আপনি যদি কোন বাচ্চাকে ধর্মীয় শিক্ষা না দেন
বেদ, কুরআন, বাইবেল ইত্যাদি না পড়ান সে বড় হয়ে
এক সৃষ্টিকর্তার মতবাদে বিস্বাসী হবে এবং সে
অনুযায়ী জীবনকে গড়ে নেবে।
১৯৯৯ সালে নিউরো সায়েন্টিষ্টের অবাক করা
তথ্য-
আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশে বহুল গবেষনা
করে তিনি বলেন- “প্রত্যেকের মস্তিষ্কের
সামনের একটি ছোট অংশ রয়েছে যা
সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে চিন্তা করার সময় একটিভ হয়,
অন্যসময় তা নিষ্ক্রিয় থাকে।”
----------------------------------------
পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্ম গ্রন্থ -
বেদ,পুরান,
বাইবেল ইন্জিন তওরাত উপনিষদ সহ
প্রভৃতি ধর্ম
গ্রন্থ মহানবী মোহাম্মাদ সা: কে নবী
হিসেবে আগমন বানি স্বিকৃতি
দিয়েছে।। আল-
কুরআনে সর্বশেষ নবি রাসূল হিসেবে
স্বিকৃতি
দেয়।। ইন্জিল শরীফে মোহাম্মাদ সা:-
"
অইজ ক্বালা ঈসাব্নু মারইয়ামা ইয়া
বানী ------রাসূলুল্ল
াহি-- ছিহরুম মুবন (সংক্ষেপ ) সূরা
আসছাফ আয়াত ৬।
মরিয়মের ছেলে ঈসার বঙশধর! আমার
পরে
আহমদ( মহাম্মাদ) নামে যে রাসূল
আসিবেন তার
সুসংবাদ দিতে এসেছি।। মোহাম্মাদ
সা: এর আরেক
নাম আহমদ। আবার ইনজিল কিতাবে
অন্যত্র মহাম্মাদ
কে বুঝিয়েছে।। কোথাও মুনহামান্না
নামে
অভিহিত করেছে। আরবিতে
মুনহামান্না (সুরিয়ানি
ভাষায়)অর্থ মোহাম্মদ ও গ্রীক ভাষায়
প্যারাক্লেটাস . গ্রীক ভাষায় pariclytor
মানে
প্রশংসিত। মোহাম্মদ - প্রশংসিত। ★
তাওরাত কিতাবে
মোহাম্মাদ সা:- জ্তির উদ্দেশ্যেে
মূসা আ
বলেন- তার বংশধর হতে নবি আসিবেন।
এবং তিনি
নবির যে নবির যে বর্ণনা দেন, তাতে
মোহাম্মাদ
সা কে বুঝায়।। দেখ- তওরাত ব্যাতিক্রম
পুস্তক
অধ্যায় ১৮ আয়াত ১৫-১৯। আরো - তওরাত,
আছছাফ
৬। * ইসলামের সাদৃশ্য স্বিকৃতি সকল ধরমে
পাওয়া
যায় কিন্ত অন্য ধরমের সাদৃশ্য ইসলাম
ধরমে
নেই।।
=====================================


