Visitors

Tuesday, 27 August 2019

কিছু জানা, কিছু অজানা আর কিছু কথা , উপদেশ নিবেন কি আপনি ?

কিছু জানা, কিছু অজানা আর কিছু কথা , উপদেশ নিবেন কি আপনি ?
======================
প্যারাফিলিয়া: মানুষের যত বিকৃত যৌনাচার:-
অস্বাভাবিক এবং বিকৃত এই যৌনাচারকে মেডিকেলের ভাষায় প্যারাফিলিয়া (Paraphilia) বলে। এ ধরনের কিছু কমন বিকৃত যৌন আচরণ :-
১) পেডোফিলিয়া (Pedophilia)
এ শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত, বাংলায় যাকে শিশুকাম বলে। যখন বয়স্ক ব্যক্তিরা কোনো বাচ্চার প্রতি যৌনাকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, তখন বুঝতে হবে তিনি পেডোফিলিক। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যে শিশুকামিতার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান
২) এক্সিবিশনিজম (Exhibitionism)
অপরিচিত কাউকে বা জনসম্মুখে নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়ে যৌন তৃপ্তি পাওয়াকেই এক্সিবিশনিজম বলে। একটি সুইডিশ সার্ভে মতে, সুইডেনের ২.১% নারী ও ৪.১% পুরুষ মনে করে, অপরিচিত কারও কাছে নিজেদের গোপনাঙ্গের প্রকাশ তাদেরকে উত্তেজিত করে। মাঝেমাঝেই আমরা শুনি, অমুক মডেল ঘোষণা দিয়েছে তার প্রিয় কোনো দল খেলায় জিতলে তিনি উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নামবেন। কিংবা ক্রিকেট খেলার মাঠে হঠাৎ করেই এক তরুণী উলঙ্গ হয়ে দৌড়ানো শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ব্যক্তিরা এক্সিবিশনিজমে আক্রান্ত থাকে।
৩) জুওফিলিয়া (Zoophilia)
এটি Bestiality বা বাংলায় পশুকামী ও পশ্বাচার নামে পরিচিত। আপনি কি ভাবছেন পশুর সাথে মানুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন কীভাবে সম্ভব? আপনার জ্ঞাতার্থে জানানো দরকার- জাপান, আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং রোমানিয়া সহ বেশ কিছু দেশেই পশুকামিতা বৈধ। এমনকি অনেকের কাছে ‘স্বপ্নের দেশ’ হিসেবে পরিচিত আমেরিকার অনেক স্থানেই পশুকামিতার বৈধতা রয়েছে। অনেক ব্যক্তিই পশু পালন করে এ উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশে পশ্বাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবৎজীবন কারাদণ্ড।
৪) নেক্রোফিলিয়া (Necrophilia)
নেক্রোফিলিয়া বলতে লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে বোঝায়। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার, তাই না? ড. রোজম্যান এবং র্যাসনিকের গবেষণা মতে, ৫৭% নেক্রোফিলিকই হয় মর্গ দেখা-শোনাকারী কিংবা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কেউ।
৫) ভয়েরিজম (Voyeurism)
কোনো মেয়ে পোশাক পাল্টাচ্ছে বা গোসল করছে, আর কোনো ছেলে সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে তার যৌন ক্ষুধা মেটাচ্ছে- এ ধরনের বিকৃত যৌনাচরণকে বলা হয় ভয়েরিজম, গোপনে কারও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন শরীর বা কারো যৌন কর্ম দেখে সুখ অনুভব করা। এই ভয়েরিজমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে নানান সিনেমা। সেখানে দেখানো হয় নায়ক বাইনোকুলার ব্যবহার করে নায়িকার বেডরুমে ফোকাস করছে। তারপর গোপনে নায়িকার নগ্ন হয়ে যাওয়াটাকে উপভোগ করছে। মাঝেমাঝেই ট্রায়াল রুম বা পার্লারে সিসিটিভি ক্যামেরা অথবা কোনো মেয়ের গোপন ভিডিও ফাঁস সংক্রান্ত যে খবরগুলো আমরা শুনি, তার অধিকাংশ কেসই ভয়েরিজমের ফসল। উন্নত দেশ কানাডাতে রয়েছে ভয়েরিজমের মতো বিকৃত যৌনাচারের বৈধতা।
৬) ফ্রটিউরিজম (Frotteurism)
এটি সাধারণত জনবহুল জায়গায় বেশি হয়। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে এই বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়নি কিংবা কাউকে রাস্তাঘাটে কাউকে এর শিকার হতে দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ভিড়ের মধ্যে মেয়েদের শরীরে হাত দেয়, কনুই কিংবা হাত দিয়ে স্তনে চাপ দেয় অথবা নিজের যৌনাঙ্গ ভিড়ের মধ্যে আরেকজনের সাথে ঘষে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ফ্রটিউরিজমের হার মেয়েদের তুলনায় বেশি।
৭) ম্যাসোচিজম (Masochism)
এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত যৌন ক্রিয়ার সময় নিজেকে নানাভাবে শারীরিক কষ্ট বা আঘাত দিয়ে আনন্দ পায়। সাধারণত সেক্স করার সময় এরা অন্যের মাধ্যমে নিজেকে প্রহার করে। দড়ি দিয়ে বেঁধে কিংবা ইলেকট্রিক শক দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে নিজের কামনা মেটায়। এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যে ২.২% হল পুরুষ এবং ১.৩% নারী। মাত্রাতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি আসক্তিই এই ডিজঅর্ডারের প্রধান কারণ।
৮) স্যাডিজম (Sadism)
এটি এক প্রকারের ধর্ষণ। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজম একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ম্যাসোচিজম হলো নিজেকে কষ্ট দেয়া আর স্যাডিস্টরা যৌন ক্রিয়ায় অন্যকে তার অনিচ্ছায় জোরপূর্বক একইভাবে কষ্ট দেয়। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজমে অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
৯) এমেটোফিলিয়া (Emetophilia)
সেক্সের সময় বমি করে, অন্যের বমি দেখে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সঙ্গী/সঙ্গীনীর বমি খেয়ে যৌন সুখ অনুভব করে এমেটোফিলিয়ায় আক্রান্তরা। ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে না?
১০) ফেটিশিজম (Fetishism)
প্রায়ই মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক চুরি হওয়ার ঘটনা শোনা যায়। সেটা হতে পারে আন্ডারগার্মেন্টস অথবা সাধারণ কোনো পোশাক। এই চুরির অনেকগুলোই হয়ে থাকে ফেটিশিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা। এরা সাধারণত যৌনাঙ্গ ব্যতীত দেহের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ (বিশেষ করে পা), বস্তুগত জিনিস, যেমন- ব্রা, আন্ডারওয়্যার, প্যান্ট অথবা সাধারণ জামাকাপড় এসব নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগে। ২০১৪ সালে সেক্সচুয়্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি জার্নালের গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২৬.৩% নারী এবং ২৭.৮% পুরুষের এ ধরণের ফেটিশ নিয়ে ফ্যান্টাসি রয়েছে।
১১) হোমোসেক্সুয়ালিটি (Homosexuality)
সমলিঙ্গভুক্ত কারও প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার নামই সমকামিতা। সমকামিতা শব্দটা শুনলেই মাথায় আসে গে (ছেলে-ছেলে) এবং লেসবিয়ান (মেয়ে–মেয়ে) শব্দদ্বয়। সমকামিতা জেনেটিক নাকি যৌন বিকৃতি সেটি নিয়ে যদিও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় নি, তবে এর ফলে অনেক দুরারোগ্য ব্যাধির কথা বিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে। ২০১৪ সালে শুধু আমেরিকাতেই ৮৩% সমকামীদের মধ্যে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি সিফিলিসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া তারা ক্যামিডিয়া, গনোরিয়া সহ আরও অনেক জটিল রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রথম এইচাইভির সংক্রমণও কিন্তু সমকামীদের মাধ্যমেই হয়েছিল।
সমকামিতার বৈধতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া সহ অসংখ্য দেশে। আইসল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগারদোদির হলেন প্রথম লেসবিয়ান প্রধানমন্ত্রী যিনি কিনা কোনো দেশের সরকার প্রধান ছিলেন।
১২) বাইসেক্সুয়ালিটি (Bisexuality)
যারা নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতিই আকর্ষণ অনুভব করে, অর্থাৎ লিঙ্গ নিরপেক্ষ যৌনতা, তাদেরকে বলা উভকামী বা বাইসেক্সুয়াল। গবেষণায় দেখা গেছে উভকামী, সমকামীরা বিপরীতকামীদের তুলনায় ১৭ গুণ বেশি মলদ্বারের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে। মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড মনে করতেন যে, প্রত্যেক মানুষই জন্ম থেকে উভকামী। যদিও পরবর্তীতে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। ব্যাঙ্গালোরের ‘পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টি’র একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সমকামীরা উভকামীদের শুধু প্রত্যাখ্যানই করে না, ঘৃণাও করে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মেগান ফক্স, মাইলি সাইরাস, লিন্ডসে লোহান, লেডি গাগা, ক্যামেরুন ডিয়াজ, ডেভিড বওয়ি, ম্যাট বোমার এবং ক্যারি গ্র্যান্ট সহ অজস্র পশ্চিমা সেলেব্রিটিই উভকামী।
১৩) ইনসেস্ট (Incest)
অজাচার বা ইংরেজিতে ইনসেস্ট হল নিজের আপন রক্ত সম্পর্ক বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা। সেটা নিজের মায়ের সাথে হতে পারে, হতে পারে নিজের বোনের সাথে। ইনসেস্টকে বলা হয় ‘The Last Taboo’।
মানুষ প্যারাফিলিয়াতে আক্রান্ত কেন হয়? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এসব আচরণের শেকড় একদম শৈশবে প্রোথিত। মাত্রাতিরিক্ত পর্ণ আসক্তি মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি। যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্ণে আসক্ত, তারা একসময় স্বাভাবিক যৌনাচারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই বিকৃতির শুরু হয়। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্যারাফিলিয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ।
সকল মানুষের মধ্যেই কম-বেশী যৌন চাহিদা রয়েছে। মানবজাতি এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই একে ঘৃণা করার কিছু নেই। তবে সেই যৌনতা যদি আমাদের প্যারাফিলিয়ার দিকে নিয়ে যায়, তবে তা নিয়ে চিন্তা করার সময় সম্ভবত এখনইcollected
তথ্যসূত্র
১) Nolen-Hoeksema, Susan (2014). Abnormal Psychology (6th ed.). New York City, NY: McGraw-Hill Education. p. 384.

===========================
পৃথিবি বিখ্যাত অমুসলিমগন যারা ইসলামের সত্যতায় মুসলিম হলেন।
*****************************
প্রিথীবিতে গড়ে প্রতি বছর প্রায়
২৮৮৩,0১১ জন অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে।
তার মধ্যে অগনিত সংখ্যক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা
তাদের কর্মের দ্বারা সুপরিচিত।
এমনি কিছু মহামানবদের কে সরণ করার জন্য আমার
এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
ক্রিয়াবিদঃ
১। মোহাম্মাদ আলি (জন্মঃ জানুয়ারি ১৭, ১৯৪২)
মুহাম্মদ আলীএকজন সাবেক মার্কিন মুষ্ঠিযোদ্ধা,
৩ বারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাপিয়ন এবং
ওলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজেতা।
১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি শতাব্দীর
সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে।
আলী জন্মগ্রহণ করেছিলেন লুইসভিলা,
কেন্টাকি তে। তার নাম তার বাবা ক্যাসিয়াস মারকেলাস
ক্লে সিনিয়র এর নাম অনুসারেই রাখা হয়েছিল, যার
নামকরণ করা হয়েছিল একজন দাসপ্রথা বিরোধী
রাজনীতিবিদ ক্যাসিয়াস ক্লে এর নামানুসারে। ১৯৭৫
সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম
পরিবর্তন করেন। তার মতে এ জন্য ভুমিকা রাখেন
নেশন অফ মুসলিম এর প্রধান ডব্লু. ডি. মুহাম্মদ।
২।মাইক টাইসন (জন্মঃ ৩০শে জুন ১৯৬৬ সাল)
একজন আমেরিকান, বিশ্বের সাবেক হেভিওয়েট
বক্সিং চ্যাম্পিয়ন
মাইক টাইসন।
তিনি ব্রুকলিনে জন্মান।৬ই মার্চ ১৯৮৫তে টাইসনের
অভিষেক হয়। ১৯৯২ সালে ধর্ষণ
কেলেঙ্কারিতে কারাদন্ডে দণ্ডিত হন।এরপর তিনি
ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
৩।কারিম আব্দুল-জব্বার (Lew Alcindor)
একজন আমেরিকান অবসরপ্রাপ্ত বাস্কেটবল
প্লেয়ার, কোচ, অভিনেতা, এবং লেখক।
৪।আহমদ রুশদি
এমি পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক আমেরিকান ফুটবলার।
৫।তারিক আব্দুল ওয়াহিদ (অলিভিয়ের সেন্ট জাঁ)
ফ্রান্সের সাবেক বাস্কেটবল প্লেয়ার।
৬।মহম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ ইউহানা)
পাকিস্তানের ক্রিকেটার খ্রিস্টান থেকে মুসলমান
হয়েছেন।
৭। রাশিদ ওয়ালেস
আমেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার।
সংগঠক, রাজনীতিবিদঃ
৮।নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৫ই আগস্ট, ১৭৬৯;
এজাক্সিউ, করসিকা - ৫ই মে, ১৮২১; সেন্ট
হেলেনা) ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার
একজন জেনারেল, ফ্রান্সের সম্রাট ও ইতালির রাজা
ছিলেন।
"ইসলাম ধর্ম গ্রহন উপলক্ষে তিনি যে বানী
প্রচার করেন...........তার দলিল কায়রোর
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে এখোনো রক্ষিত
আছে।
নেপোলিয়নের জীবনী বা তার বিজয় অভিযান
গুলো নিয়ে যেসব বই রচিত হয়েছে তাতে তার
ধর্ম সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা না গেলে
ও........
তৎকালীন বিশেষ ব্যাক্তিদের ডায়েরীতে তার
ইসলাম ধর্ম গ্রহনের সত্যতা পাওয়া যায়।
La cases নামক একজন নেপোলিয়নের খুব
কাছের মানুষ ছিলেন।তার ডায়েরীতে
নেপোলিয়নের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের নিশ্চিত
প্রমান পাওয়া যায়।
ডায়েরী টা ফরাসী সরকার আটক করে কঠোর
গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে।কাউকে তা
পড়তে দেয়া হয়না।
পরবর্তীকালে তাকে যখন সেন্ট হেলেনায়
নির্বাসন দেয়া হয়......তখন আলোচনা প্রসঙ্গে
তাকে বহুবার We muslims এই বাক্য ব্যবহার করতে
দেখা গেছে।
তাছাড়া পোপ কতৃক মুকুট গ্রহন করতে ও তিনি
সম্মতি প্রদান করেননি।
সবশেষে.....নেপোলিয়ন তার
আত্মজীবনীতে কুরআন ও মহানবী নিয়ে
এমন সব প্রশংসাসূচক বাক্য ব্যবহার করেন তা
কেবল একজন নিষ্ঠাবান মুসলিমের পক্ষেই
সম্ভব----
"আমি প্রশংসা করি স্রষ্টার এবং আমার শ্রদ্বা রয়েছে
নবী ও পাক কুরআনের প্রতি.। ...........আমি আশা
করি সে সময় খুব দূরে নয় যখন সব কটি দেশের
শিক্ষিত লোকেরা এক হয়ে কুরআনের
নীতিসমূহকে মেনে চলে মানুষকে শান্তির
পথে নিয়ে আসবেন"
সৌজন্যেঃ ব্লগার সারওয়ার ইবনে কায়সার
৯।ম্যালকম এক্স (জন্মঃ ১৯শে মে, ১৯২৫ –
২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫)
ছিলেন একজন আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম
রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে
কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার আদায়ের আন্দোলনে
অন্যতম অংশগ্রহণকারী ছিলেন। নাম ছিল ম্যালকম
লিট্ল এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নতুন নাম
করন হয় ম্যালকম এক্স। তিনি আল-হাজ্জ মালিক আল-
শাব্বাজ নামেও পরিচিত।
তাঁর বয়স তেরো হলে তাঁর পিতা মৃত্যুবরণ করে
এবং তাঁর মাতা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার
ফলে তাকে অনেক পালক পরিবারদের মাঝে
ধারাবাহিকভাবে থাকতে হয়। বস্টন এবং নিউ ইয়র্ক
শহরে ম্যালকম লিট্ল বেশ্যামী, ছিনতাই এবং
অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। ১৯৪৬
সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত
তাঁকে ছয় বছরের জন্য কারাদন্ডের আদেশ
দেয়।
বন্দিকালে ম্যালকম লিট্ল শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত
হন এবং একটি ইসলামী দল, নেশন অব ইসলামের
সদস্য হন। ১৯৫২ সালে তাঁর বন্দির শর্তাধীন মুক্তি
হলে তিনি তাঁর বংশনাম সরিয়ে এক্স রাখেন এবং
ম্যালকম এক্স হিসাবে পরিচয় লাভ করেন। ম্যালকম
এক্স পরে নেশন অব ইসলামের অন্যতম নেতা
ও প্রধান মুখপাত্র নিযুক্ত হন। অন্তত বারো
বছরের জন্য ম্যালকম এক্স নেশন অব
ইসলামের সদস্য হিসাবে প্রচারমাধ্যমে জনতার
মধ্যে পরিচিত ছিলেন।নেশন অব ইসলামের
প্রধান, এলাইজাহ মুহাম্মাদের সাথে ম্যালকম এক্স-
এর বিবাদ সৃষ্টি হলে ম্যালকম এক্স নেশন অব
ইসলাম প্রস্থান করেন।
নেশন অব ইসলাম প্রস্থান করার পর, ম্যালকম এক্স
সুন্নী ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং মক্কায় হজ
করেন, যার পর থেকে তিনি জাতিভেদ অস্বীকার
করেন। তিনি একটি ইসলামী দল, মুসলিম মস্ক এবং
সকল আফ্রিকান-মার্কিনদের জন্য একটি ধর্ম
নিরপেক্ষ দল, অরগানাইজেশন অব আফ্রো-
আমেরিকান ইউনিটি প্রতিষ্ঠান করেন। নেশন অব
ইসলাম প্রস্থান করার এক বছরের থেকেও কম
সময়ের মধ্যে, ১৯৬৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি,
নিউ ইয়র্কে ম্যালকম এক্স জনতার সামনে একটি
বক্তৃতাদানের সময়, কিছু ঘাতক তাঁকে গুলি করে
হত্যা করে।
১০।মারিও স্কিয়ালোজা (জুলাই ২৯, ১৯৩০ এ
জন্মগ্রহণ)
ইতালীয় রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্ব মুসলিম লীগের
সভাপতি.
অবসরপ্রাপ্ত ইতালীয় কূটনীতিক, . ১৯৯৪
থেকে ১৯৯৬ সৌদি আরবে সর্বশেষ পোস্ট
রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের
ইতালি উপ স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৮৮ সালে
ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
১১।কিথ ইলসন
আমেরিকান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস নির্বাচিত
প্রথম মুসলিম,ক্যাথলিক ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত
হোন।
১২।এনড্রু কার্সন
সাবেক ব্যাপটিস্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ম্যান
হিসেবে দ্বিতীয় মুসলিম।
লেখক,সাংবাদিকঃ
১৩।Marmaduke Pickthall (৭ এপ্রিল ১৮৭৫ - ১৯
মে ১৯৩৬)
একজন পশ্চিমী ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তিনি
কোরআনের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুপরিচিত।
খ্রিস্টান ধর্ম থেকে রূপান্তরিত, Pickthall, একজন
ঔপন্যাসিক সেই সাথে একজন সাংবাদিক ছিলেন।
তিনি লন্ডন ওয়েস্ট মুসলিম সাহিত্য সমিতি থেকে,
নভেম্বর ২৯, ১৯১৭ এ 'ইসলাম ও অগ্রগতির' একটি
বক্তৃতা প্রদানের পর নাটকীয় ভাবে তার ইসলামে
রূপান্তরের ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত
তিনি ওয়াশিংটন ডিসি মুসলিম কর্মী এবং মসজিদ আল
ইসলামের পরিচালক ছিলেন।তার মোসলিম নাম ছিল
মোহাম্মাদ ।
১৪।এলসা কাজী(১৮৮৪-১৯৬৭)
নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস ও ইতিহাস, এবং তিনি তার
সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জার্মান কবি ও লেখক
ছিলেন।
১৫।Yvonne Ridley
ব্রিটিশ সাংবাদিক তিনি তালিবান কর্তৃক অপহরণ ও মুক্তি
পাওয়ার পর রূপান্তরিত হোন।
১৬।যায়ীদ শাকির
আমেরিকান, মুসলিমে রূপান্তরিত সাবেক ব্যাপটিস্ট,
স্পিকার, বুদ্ধিজীবী, ও লেখক।
১৭।মাইকেল ওলফ
আমেরিকান কবি, লেখক এবং ঐক্য প্রোডাকসন্স
ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং নির্বাহী প্রযোজক।
১৮।লরেন বুথ
টনি ব্লেয়ার এর শ্যালিকা।তার ভাষায় ইরানে একটি
'পবিত্র অভিজ্ঞতা'র
সম্মুখিন হওয়ার পরে ইসলামের রূপান্তরিত
হয়েছেন।
১৯।সালমান ফারসি
তিনি ছিলেন Zoroastrian সমপ্রদায় ভুক্ত। যারা ছিল
খ্রিস্টান থেকে একটি রূপান্তর।
শিল্পীঃ
২০।আইস কিউব (জন্মঃ জুন ১৫, ১৯৬৯ )
আসল নাম ও'সিয়া জ্যাকসন। একজন আমেরিকান
রাপার, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র
প্রযোজক ও পরিচালক.।
ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে ,
আইস কিউব বলেন তিনি একজন মুসলিম। ১৯৯০
সালে তিনি পরিবর্তিত হয়েছেন।
২১।জারমেইন জ্যাকসন (জন্ম ১১ ই ডিসেম্বর
১৯৫৪)
সাবেক জ্যাকসন ফাইভ এর সদস্য। মাইকেল এবং
জ্যানেট জ্যাকসন এর ভাই।
২২।জ্যানেট জ্যাকসন
মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন জ্যানেট
জ্যাকসন।
এ পর্যন্ত তার ১০টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
সঙ্গীত ছাড়াও জ্যানেট একাধিক চলচ্চিত্র ও
টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
৪৬ বছর বয়সী জ্যানেট মধ্যপ্রাচ্যের এক
বিলিওনিয়ার "মানা" কে বিয়ে করে মুসলমান ধর্মে
ধর্মান্তরিত হোন।বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে
স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
২৩।এ আর রাহমান(জন্ম ৬ই জানুয়ারি ১৯৬৬ )
পুরো নাম আল্লাহ রাক্ষা রহমান। একজন ভারতীয়
সুরকার, গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক ,
সঙ্গীতজ্ঞ। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পূর্বে তার
নাম ছিল দিলিপ কুমার।১৯৮৯ সালে তার মায়ের
বিশ্বাসের পথ ধরে ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
২৪।ডেভ চ্যাপেল(জন্ম ২৪ আগস্ট ১৯৭৩)
একজন আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, চিত্রনাট্যকার,
টেলিভিশন / চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেত।
চ্যাপেলে ১৯৯৮ সালে ইসলামে রূপান্তরিত
হোন। তার দুই ছেলের নাম সোলায়মান ও
ইব্রাহিম।
২৫।কেট স্টিভেন (জন্মঃ ২১ জুলাই ১৯৪৮)
ব্রিটিশ সুরকার, গীতিকার, শিক্ষাব্রতী, এবং বিশিষ্ট
মানবাধিকার কর্মী।
তার মুসলিম নাম, ইউসুফ ইসলাম, তিনি ১৯৭৯ সালে
ইসলাম গ্রহণ করেন।
২৬।দাউদ ওয়ার্নসবি আলী (David Wharnsby)
কানাডিয়ান গায়ক ও কবি।
২৭।স্টিভেন বার্নার্ড হিল( Stevie B)
আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড
প্রযোজক।
২৮।সমিতা দেবি
বাংলা অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা।
অনান্যঃ
২৯।শেখ শরফুদ্দিন খালিফা
একটি ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম শেখ শরফুদ্দিন
খালিফার। ৫ বছর বয়সে সে ১০০০ মানুষকে
ইসলামে রূপান্তরিত করেছে।
৩০।বেত্তী সাহবাজ
ম্যালকম এক্স এর স্ত্রী; সাবেক মেথডিস্ট.
৩১।জন নেলসন
১৫৮৩ সালে প্রথম ইংরেজ মুসলিম হওয়ার রেকর্ড
করেছেন।
৩২। অ্যান্টনি গ্রীন (আব্দুল রাহিম সবুজ)
এখন তিনি ইসলামী লেকচারার।
৩৩।হামজা ইউসুফ
আমেরিকান গ্রীক অর্থোডক্স থেকে
রূপান্তর।
যায়তুনা ইনস্টিটিউটের কর্ণধার।
৩৪।James Yee
একজন প্রাক্তন মার্কিন সেনা অফিসার ছিলেন।
৩৫।সিরাজ ওয়াহাজ
আফ্রিকান আমেরিকান ইমাম, ব্রুকলিন এর মাদক
সমস্যার সমাধান তার প্রচেষ্টার জন্য সুপরিচিত।
উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জোটের আমির।
৩৬।শায়লা মুসাজি
আমেরিকান মুসলিম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
৩৭।Yahiya Emerick
আমেরিকান মুসলিম পণ্ডিত, উত্তর আমেরিকার
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি।তিনি
প্রোটেস্ট্যান্ট থেকে রূপান্তরিত।
৩৮।হুসেন ঈয়্যা
চীনা বংশোদ্ভুত ইসলামী পণ্ডিত যার বক্তৃতা
ঘন ঘন পিস টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
৩৯।ইউসুফ চেম্বারস
তিনি পিস টিভি, ইসলাম চ্যানেল, আল জামুআহ পত্রিকা
ইত্যাদি অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
৪০।জেফরি ল্যাঙ
আমেরিকান, কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের
অধ্যাপক ।
৪১।আমির বাটলার
লেখক, প্রকৌশলী ও ইসলামী কর্ম।
৪২।ইব্রাহিম হুপার (ডগলাস হুপার)
আমেরিকান ইসলামী কর্মী
৪৩। জেমিনা গোল্ডস্মিথ
ব্রিটিশ, ইহুদীধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছেন।তিনি
ইমরান খান এর প্রাক্তন স্ত্রী।
৪৪।Loon (আমির জুনায়েদ মুহাদিত)
আমেরিকান হিপ হপ শিল্পী
অপ্রমাণিতঃ
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন (জন্ম: আগস্ট
২৯, ১৯৫৮– মৃত্যু: জুন ২৫, ২০০৯)[১] একজন মার্কিন
সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক।
অনেক সংবাদ মাধ্যমে মাইকেল জ্যাকসন ২০০৮
সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়েছিল বলে ছড়িয়ে
পরে।. এই তথ্যের মূল উৎস "দি সান" নামক
যুক্তরাজ্যের একটি বিখ্যাত ট্যাবলয়েড।
"দি সান" থেকে মূল প্রবন্ধ-
"
MICHAEL JACKSON has become a Muslim - and
changed his name to MIKAEEL.
The skint superstar, 50, donned Islamic garb to
pledge allegiance to the Koran in a ceremony at a
pal's mansion in Los Angeles, The Sun can
reveal.
Jacko sat on the floor wearing a tiny hat after an
Imam was summoned to officiate - days before
the singer is due to appear at London's High
Court where he is being sued by an Arab sheik.
A source told last night how Jacko, brought up as
a Jehovah's Witness, decided to convert as he
used a studio at the home of his chum to record
a new album.
The star - whose hits include The Way You Make
Me Feel - was spotted looking "a bit down" by a
producer and a songwriter who had both
embraced Islam. Shahada
The source said: "They began talking to him about
their beliefs, and how they thought they had
become better people after they converted.
Michael soon began warming to the idea.
"An Imam was summoned from the mosque and
Michael went through the shahada, which is the
Muslim declaration of belief." Mikaeel is the
name of one of Allah's angels.
"Jacko rejected an alternative name, Mustafa -
meaning "the chosen one".
Brit singer Yousef Islam, 60 - who was called Cat
Stevens until he famously converted - turned up to
help Jacko celebrate.
It was his pals David Wharnsby - a Canadian
songwriter - and producer Phillip Bubal who
counselled Jacko.
The pair's new names are Dawud Wharnsby Ali
and Idris Phillips.
Jacko now prays to Mecca after the ceremony at
the Hollywood Hills home of Toto keyboard
player Steve Porcaro, 51, who composed music on
the singer's Thriller album.
Jacko, who rarely ventures out without a mask, is
due to give evidence on Monday in a £4.7million
lawsuit brought by Prince Abdulla Al-Khalif of
Bahrain.
The sheik claims he bankrolled the singer's
lavish lifestyle in exchange for an exclusive
recording contract. The billionaire sent songs for
him to record but claims he was blanked.
He told the court yesterday: "Many times he
confirmed to me he would pay me back."
তার মৃত্যুর দিন, তার ভাই জারমেইন জ্যাকসন সংবাদ
সম্মেলনের পরিশেষে বলেন". আল্লাহ
সবসময় আপনার সাথে আছেন মাইকেল"
২০১০ সালে জারমেইন জ্যাকসন দুবাই ভিত্তিক টিভি
চ্যানেলে বলেন
"যদি সে মৃত্যুর পুর্বে ইসলাম গ্রহন করে
যেতে পারতো! তবে সে তার জীবনের
সকল সমস্যা থেকে নিস্চই নিষ্কৃতি পেত যা সে
শেষ সময় গুলতে অতিবাহিত করে গিয়েছে।"
এর থেকে কিছুটা প্রমানিত হয়, হয়তো তিনি ইসলাম
গ্রহন করার পথে ছিলেন কিন্তু বাস্তবে তা
করতে পারেন নি। যা তার মৃত্যুর কারণও হতে
পারে বলে wikiislam.net এর মতামত।
নিল আর্মস্ট্রং (জন্ম আগস্ট ৫, ১৯৩০-মৃত্যু:
আগস্ট ২৫, ২০১২)
একজন মার্কিন নভোচারী ও বৈমানিক। তিনি চাঁদে
অবতরণকারী প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীর
ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
কথিত আছে যখন নিল আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে
পদচারণা করেন একটি অদ্ভুত ভাষায় শব্দ শুনতে
পান। পরবর্তিতে যখন তিনি মিশরে যান এবং আজান
শুনেন তখন বুঝতে পারেন চাদে তিনি আজান
শুনতে পেয়েছিলেন। তাৎক্ষনিক তিনি ইসলাম
গ্রহন করেন।
১৯৮৩ সালে, আর্মস্ট্রং প্রশাসনিক সহায়তাকারী
ভিভিয়ান হোয়াইট একটি চিঠিতে অভিযোগ খণ্ডন
করেন।
চিঠিটা হুবহু দেয়া হোলোঃ
NEIL A. ARMSTRONG
LEBANON, OHIO 45036
July 14,1983
Mr. Phil Parshall Director Asian Research
Center International Christian Fellowship
29524 Bobrich Livonia, Michigan 48152
Dear Mr. Parshall:
Mr. Armstrong has asked me to reply to your
letter and to thank you for the courtesy of
your inquiry.
The reports of his conversion to Islam and of
hearing the voice of Adzan on the moon and
elsewhere are all untrue.Several publications
in Malaysia, Indonesia and other countries
have published these reports without verifi-
cation. We apologize for any inconvenience
that this incompetent journalism may have
caused you.
Subsequently, Mr. Armstrong agreed to
participate in a telephone interview, reiterating
his reaction to these stories. I am enclosing
copies of the United States State Department's
communications prior to and after that
interview.
Sincerely
Vivian White
Administrative Aide
Letter by Vivian White, Administrative Aide for
Neil Armstrong; July 14,1983
বিতর্ক যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তখন আর্মস্ট্রং
ঘোসনা দেন তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। কিন্তু
কোন এক অজানা কারণে তা করেননি বা করতে
পারেননি।
সর্ব শেষ আর্মস্ট্রং নিজে, তার
আত্মজীবনীতে কখনো ইসলামের রূপান্তরিত
হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। আত্মজীবনীটি
ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করাহয়।
পরিসমাপ্তি
অতি স্প্রতি সেলিব্রেটি পেরিস হিলটন কে নিয়ে
গুজব ছরিয়ে পরে 'উনি ইসলাম কবুল করেছেন'।
এই গুজবে ঘি ডালে dailysquib.co.uk
নামক একটা অনলাইন সংবাদ পত্র।তারা পেরিসের হিজাব
পরিহিত ছবি সহ সংবাদ প্রচার করে। খবরটা কতটুকু
সত্য তার প্রমাণ কিন্তু ঐ ওয়েব সাইটের একদম
নিচে স্পস্ট করে লিখা আছে -
The Daily Squib is a curious satirical
newspaper offering spoof news, political
satire, comedy, opinion news and celebrity
satire
আপডেটসঃ
১।ফ্রাঙ্ক বিলাল রিবেরি (Franck Bilal Ribéry)
(এপ্রিল ১, ১৯৮৩) একজন ফরাসি ফুটবল
খেলোয়াড়। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি
ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
রিবেরির স্ত্রী ওয়াহিবা মরোক্কোর
বংশোদ্ভুত। রিবেরি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত
হয়েছেন।
২। আরমন্ট ভ্যান ডর্নঃ
"
কিছুদিন আগে ‘ফিতনা’ নামে ইসলামবিরোধী এক
সিনেমা বানিয়ে দুনিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেন
নেদারল্যান্ডসের কিছু উগ্রপন্থী খ্রিস্টান।
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
নির্মল, পবিত্র চরিত্রে কালিমা লিপ্ত করা অশালীন
এই সিনেমার বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম জাহানে
প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। কী আশ্চর্য, এই
সিনেমা যাদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বানানো
হয়েছিল, তাদেরই একজন ডান রাজনীতিবিদ ও
চলচ্চিত্র পরিচালক আর্নড ভ্যান ডর্ন আজ মুসলমান।
সুবহান আল্লাহ। না, এটি কোন কল্পকাহিনী বা গুজব
নয়, সাম্প্রতিককালের সত্যি ঘটনা। আর্নড নিজেই
সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারে তার মুসলমান হওয়ার
ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানিয়েছেন। তার
পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের
অনেকেই এতে হতভম্ব। কেউ কেউ তাকে
‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেও বেশির ভাগই তার
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যিনি কিছুদিন
আগেও ছিলেন ঘোরতর ইসলামবিদ্বেষী, তিনি
কেন আজ ইসলাম গ্রহণ করলেন? এই
আশ্চর্যজনক ঘটনা কিভাবে ঘটল?
Image
নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির
সাবেক এই সদস্য জানিয়েছেন, তার ইসলাম
গ্রহণের কাহিনী।‘আমি সব সময়ই ইসলাম ও হজরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে
খারাপ খারাপ কথা শুনে এসেছিলাম। তাই সিনেমাটি
মুক্তি পাওয়ার পর যখন মুসলমানরা এর তীব্র
প্রতিবাদ জানায়, তখন আমি বেশ অবাক হই। তখনই
সিদ্ধান্ত নিই আমি কোরআন ও হাদিস পড়ে ইসলাম ও
ইসলামের নবী সম্পর্কে জানব। এক বছর ধরে
আমি ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি। এরপর
আমি নিজের ভুল বুঝতে পারি। ইসলাম সম্পর্কে
আমার যা যা নেতিবাচক ও ভুল ধারণা ছিল, সেসব দূর
হয়ে যায়। আমি তাই তওবাহ করে মুসলমান হয়েছি।
ইসলামবিরোধী সিনেমা বানিয়ে যে ভুল করেছি,
তা শোধরানোর জন্য আমি ঠিক করেছি আল্লাহর
রাসূলের ওপর সুন্দর একটি সিনেমা বানাব। আশা করি,
সারা দুনিয়ার মানুষ এই সিনেমা দেখে ইসলাম ও শেষ
নবী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবে ও
তাদের বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর হবে। ইসলাম
সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব হবে এই
সিনেমাটি। আর্নড মক্কায় গিয়ে উমরাহ পালন
করেছেন, মদিনায় গিয়ে রাসূলে পাকের রওজায়
তওবাহ নামাজ পড়েছেন। শহরের মেয়রের
কাছে তিনি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন যাতে
দিনের বেলা তাকে সালাত আদায়ের সুযোগ
দেয়া হয়। সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর এক
অপরাধী বান্দাকে মাফ করেছেন ও সত্যের
আলো দেখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তাই
বলা হয়েছে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর জ্যোতির
দিকে পথনির্দেশ করেন (সূরা নূর; ২৪:৩৫)
"
-------- news69bd.com
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- আরমন্ট ভ্যান ডর্ন টুইটার
- saudigazette.com.sa
- amsterdamherald.com(updated March 11
2013 to include Van Doorn's interview with Al
Jazeera)
৩।নিকলাস সিবাস্টিয়ান এ্যানেলকা (জন্ম মার্চ ১৪,
১৯৮৯)
ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন।
তার মুসলিম নাম আব্দুল-সালাম বিল্লাল
২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতইসলামের
রূপান্তরিত.৪।
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- wikipedia
৪।Eric Sylvain Abidal ( জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর,
১৯৭৯)
একজন ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের পেশাদার
খেলোয়াড়।
তিনি ২০০৭ সালে জিমনেস্ট "হায়াত কবির" কে
বিবাহের পুর্বে ইসলাম গ্রহন করেন
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
- wikipedia
৫।মুরাদ হোফম্যান
১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি একজন
বিশিষ্ট জার্মান কূটনীতিক এবং লেখক। ইসলামের
উপর বহু বই রচনা করা হয়েছে. তাঁর বই ও
গবেষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে, ১১
সেপ্টেম্বর পরে, পাশ্চাত্যে ইসলাম এর উপর
ফোকাস করা হয়।
তিনি ১৯৮০ সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন,
জার্মান সরকার তার উচ্চ প্রফাইলের কারণে
জর্মানের বিভিন্য রাস্ট্রিয় পদে মনণিত হন।
তিনি পর্যায় ক্রমে,
আলজেরিয়া জার্মান রাষ্ট্রদূত,
মরক্কোয় জার্মান রাষ্ট্রদূত
ন্যাটো এ তথ্য পরিচালক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৬। jacques-Francois De Menou, Boussay (জন্ম
৩ সেপ্টেম্বর ১৭৫০ - ১৩ আগস্ট ১৮১০)
ফরাসি বিপ্লবী যুদ্ধা এবং ফরাসি কূটনীতিক ছিলেন।
১৭৯৮ সালে তিনি মিশরে নেপোলিয়ন এর
আদেশে প্রচারনার উদ্যেশ্যে মিশরের গমন
করেন। সেখানে তিনি ইসলাম রূপান্তরিত এবং
আবদুল্লা নামে পরিচিত হন।
--------------------------------
*******------------------------------
সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা এই পোস্টটির
কোথাও কোন ভুল বা অসংগতি থাকলে অথবা
কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বাদ পরে থাকলে
তা মন্তব্যে জানানর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ
রইল।
=======================================
পৃথিবির কেন্দ্র কাবাশরীফ ,মক্কা? যা হজ্জ্ব কেন্দ্র, মুসলিম মিলন মেলার কেন্দ্র স্থল।পৃথিবির সৃষ্টি রহস্য কেন্দ্র গোল্ডেন রেশিও যার মান- ১.৬১৮, যা হজ্জ্ব কেন্দ্র মক্কা নগরিতে। কুরআনে ও গোল্ডেন রেশিও।---সম্পর্কে বাস্তবতা ভাবি।পোস্ট Md Rashidul, 13/01/17 যদিও কুরআনে কোথাও বলেনি মক্কা পৃথিবির কেন্দ্র। কিন্ত বাস্তবতা জানতে পুরোপোরি পড়ুন। কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করলে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা যাবে আলাস্কা এবং কানাডার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে (বর্তমান ১৪০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা বরাবর)।আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে নিচে নেমে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে চলে যাবে। সম্পূর্ণ তারিখ রেখাটি যাবে পানির উপর দিয়ে ফলে স্থলভাগের ডানে ও বামে তারিখ রেখা সরিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন পড়বে না।
গ্রীনিচের সাথে কয়েকটি বিষয় জড়িত:
১. গ্রীনিচের সময় থেকে যোগ ও বিয়োগ করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সময় নির্ণয় করা হয়েছে। যেমন (বাংলাদেশের স্থানীয় সময়) = (গ্রীনিচ সময়) + (৬ ঘণ্টা)।২. গ্রীনিচকে ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় স্থির করায় ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব এবং ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা বর্তমানে যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International date line).
৩. গ্রীনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করায় গ্রীনিচের অবস্থান ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায়। সূর্য যখন কোন স্থানের ঠিক মাথার উপরে আসে তখন মধ্যাহ্ন হয়, একে বলে Sun Time। পরের দিন সূর্য যখন আবার মাথার উপর আসবে তখন আবার মধ্যাহ্ন হবে। কিন্তু ঘড়ি অনুযায়ী অর্থাৎ Clook Time অনুযায়ী একই সময়ে মধ্যাহ্ন হয় না। এই সূর্য সময় এবং ঘড়ি সময়ের সর্বোচ্চ পার্থক্য হয় ফেব্রুয়ারিতে ১৪ মিনিটের মত তখন ঘড়ির সময়ের চেয়ে সূর্য সময় ১৪ মিনিট পিছিয়ে থাকে। আবার নভেম্বরে সময়ের পার্থক্য হয় সর্বোচ্চ ১৬ মিনিট; তখন সূর্য সময় ঘড়ির সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকে। এ সকল অসুবিধা দূর করার জন্যে এখন Atomic Clock ব্যবহার করা হয়। এই Atomic Clock এর সময় অনুযায়ী তৈরি হয়েছে UTC (Co-ordinated Universal Time)। ফলে ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে GMT এর পরিবর্তে UTC ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গ্রীনিচের উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান কল্পনা করায় তার সাপেক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় সময় GMT এর পরিবর্তে UTC হলেও সময় অঞ্চলগুলোর বিভক্তি পূর্বের মতই রয়ে গেছে। কিন্তু গ্রীনিচের উপর প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। ফলে পবিত্র কা’বা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নতুন করে বিভিন্ন সময় অঞ্চল স্থির করা উচিত। কা’বা শরীফকে কেন্দ্র ধরে যখন পৃথিবীর সকল সময় অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে তখন যে কোন স্থানের স্থানীয় সময় হবে, (UTC) + (কা’বা শরীফ কেন্দ্রিক রচিত টাইম জোন) অথবা (UTC) - (কা’বা শরীফ কেন্দ্রিক রচিত টাইম জোন)। সুতরাং পুনরায় কা’বা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করা সহজেই সম্ভব এবং যুক্তিসঙ্গত। তখন আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাসহ সকল বিষয়ের সহজ সমাধান পাওয়া যাবে।আল্লাহ পাকতো পূর্বেই ইরশাদ করেছেন “কা’বা শরীফ মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক।”
★    মক্কাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্টঃআমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ভৌগলিক সময় নির্ধারণ করা হয় বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি করে । এবং কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে ভৌগলিক উপাদানের যে বিন্দু নির্দেশিত হয় সেখানেও বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি ধরা হয় । কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে পুর্ব দাগ্রিমাংশ +৩৯.৮২ এবং উত্তর অক্ষাংশ +২১.৪২ । যা প্রমান করে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও হচ্ছে পবিত্র কাবা ৯০+৩৯.৮২ = ১১১.৪২ সুতরাং ১১১.৮২ / ১৮০= 0.৬১…এবং ১৮০+৩৯.৮২ = ২১৯.৮২ সুতরাং ২১৯.৮২/৩৬০ = ০.৬১…. অতএব, গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান অনুযায়ী মক্কা এবং ক্বাবাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট । পবিত্র নগরী মক্কার নাম সমগ্র কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখিত হয়েছে সুরা আল-ই-ইমরান এর ছিয়ানব্বই আয়াতে । এই আয়াতে মক্কা শব্দটি উচ্চারিত হওয়া পর্যন্ত বর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি এবং সমগ্র আয়াতে রয়েছে ৪৭ টি বর্ণ । এখন আমরা যদি উক্ত আয়াতটি লিখে ফাইমেট্রিক্স(ফাইমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা ধারা কোন ছবির গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট মাপা হয়)ধারা পরিমাপ করি তাহলে এর মান আসবে,২৯/৪৭ = ০.৬১…. আর এটাই হচ্ছে গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান ।

মক্কা থেকে উত্তর মেরু এবং মক্কা থেকে দক্ষিন মেরুর দূরত্বের( উ: মেরু হতে কাবা ৭৬৩১৬৮ ও দ: মেরু হতে কাবা ১২৩৪৮৩২ কিমি) আনুপাতিক হিসাব করলে দাড়ায় ১.৬১৮ । যাকে বলা হয় ( ভাগফল) গোল্ডেন রেশিও ।
===========================
পৃথিবির প্রধান প্রধান ধর্ম গ্রন্থে মোহাম্মাদ সা
কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল স্বিকৃতি । আমরা জানি
মোহাম্মাদ সা এর অপর নাম-আহমদ
★ তওরাত,ইন্জীল কিতাবে -" অইজ ক্বালা ঈশাবানু
মারইয়ামা --------রাসূলুল্লাহি ---------মিনাততাওরাতি।
( সংক্ষেপ) সূরা আসছাফ, আয়াত ৬।
* মরিয়মের ছেলে ঈসা বলেন- আমার পরে
আহমদ নামে যে রাসূল আসিবেন, তার সুসংবাদ
দিতে এসেছি।
★ বাইবেলে - মোহাম্মাদ সা কে বাইবেলে
Pariclytor যার অর্থ প্রশংসিত। মোহাম্মাদ সা -
প্রশংসিত। গ্রীক ভাষায়(সুরিয়ানি) মুনহামান্না নামে
অভিহিত যার অর্থ আরবীতে মোহাম্মাদ ও
গ্রীক ভাষায় প্যারাক্লেটাস - দেখুন ইউহান্না
যোহন ইন্জীল ১৫শ অধ্যায়ের ২৩শ থেকে
২৭শ আয়াত এবং ১৬শ অধ্যায় ১ম আয়াত।
★হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ অধর্ববেদ ও কল্কিবতার কে
নরাসংস (প্রশংসিত)মহাম্মাদ ও অহমিদ্ধ ,আহমদ নামে
উল্লেখ করেছে।
বিস্তারিত দেখুন- ইদংজনা উপশ্রুত নরাসংস ------
দদ্মহে। মন্ত্র ১। এখানে ,প্রশংসিত জন ষাট হাজার
জনের মধ্যে আসিবেন। কৌরম(দেশত্যাগী)
নবী ও মক্কা ছেড়ে মদিনায় দেশত্যাগী।
ইসলাম ও ইতিহাস বলে তৎকালীন আরবের
জনসংখ্যা ও ষাটহাজার। এছাড়া অসংখ্য জায়গায়
কল্কিকে নরাসংস ( প্রশংসিত) বলা।।
* মহাম্মাদ নাম- ভবিষ্য পুরান প্রতিসর্গ সর্ব ৩ খন্ড ৩
অধ্যায়।
★ আবার, মোহাম্মাদ সা এর আরেক নাম - আহমদ
দেখ- ঋগ্বেদ ৮ম মন্ডল, ৬ষ্ঠ শুক্ত,১০ম
মন্ত্রে। অধর্ববেদ ২০ কান্ড ১১৫ শুক্ত ১ম
মন্ত্রে। সামবেদ ১৫২ ও ১৫০০ মন্ত্রে।।
==============================
পৃথিবী ও মানুষ নিয়ে চিন্তা ভাবনা।
.
আচ্ছা দুনিয়ার বয়স কত? জানেন আপনি?? হ্যা জানি তো, আনুমানিক 500 কোটি বছর।। আচ্ছা আনুমানিক বললেন কেনো?? আনুমানিক এই কারনে বলা হয়েছে দুনিয়ার প্রথম মানব কে তা জানি না, আর সে কোথাও লিখে রেখে যাই নি যে আজ থেকে দুনিয়ার প্রথম দিন।। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে বের করেছেন দুনিয়ার বয়স এতো।। হ্যা আমরা জানি যে অনুমান করে হিসাব করা যায়।। যেমন ধরুন......
একটা ছেলে স্কুলে গিয়ে স্যার এর হাতে মার খেলো,বাড়িতে আসলো। মা দেখে ছেলেকে বললো তোর পিঠে দাগ কেনো? তুই কি স্যার এর হাতে মার খেয়েছিস? দেখেন ছেলেটি মার খাওয়ার সময় মা উপস্থিত ছিলো না, তবুও অনুমান করে বলতে মোটামুটি একটা ধারনা পেয়েছেন।। বাট কিভাবে কয়টা মার দিছে তা কিন্তু বলতে পারবে না মা।। ঠিক তেমনি দুনিয়ার বয়স নির্ণয় করতে ইউরেনিয়াম এর তেজস্ক্রিয় ধর্ম ব্যাবহার করা হয়েছিলো।।
আচ্ছা তাহলে ধরে নেয়া যায় দুনিয়ার সঠিক জন্ম কবে তা আমরা জানি না।। তাইতো?? হুম সেটাই।। আচ্ছা দুনিয়া ধংস হবে কবে?? এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করেছেন।। 1999 সালে বিখ্যাত নস্টাডামুস চারশ বছর আগে বলেছিলেন, 1999 সালে দুনিয়া ধংস হবে।।
দুনিয়া ধংস হয়েছে কি?? না হয় নি।। ধুমকেতুর লেজে থাকে বিষাক্ত গ্যাস Cyanogens ,বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিজ্ঞানীরা বললো 1910 সালে হ্যালির ধুমকেতু দুনিয়া অতিক্রম করবে, তখন দুনিয়ার সাথে সংঘর্ষ হয়ে দুনিয়া ধংস হবে।। হয়েছে কি?? হয় নাই।। আরো অনেক মতবাদ আছে কোনটাই হয় নাই।।
তাহলে এখন ধরে নেয়া যায় দুনিয়া কবে হলো সেটাও সঠিক টা জানি না, আবার কবে ধংস হবে সেটাও জানি না।। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে মানব জাতি সব কিছু জানতে পারবে না, মানে কিছু জিনিস আমাদের ধারনার বাইরে।।তাইতো?? হ্যা সেটাই।।তাহলে ধরে নেয়া যায় এই দুনিয়া ধংস বা জন্ম এর সঠিক কেউ একজন জানে?? যিনি সৃষ্টিকর্তা।
এখন কথা হলো কেনো একজন শুধু শুধু দুনিয়া বানাবে? কারন তো থাকতে হবে।। হ্যা মানুষ জাতি কে বসবাস করার জন্য দুনিয়া টাই উপযুক্ত, অন্য কোন গ্রহ বা উপগ্রহ এতোটা উপযুক্ত নয়। তাহলে বুঝা যাচ্ছে মানুষ কে সুন্দর ভাবে থাকার জন্য দুনিয়া হয়েছে।। এখন মানুষের কাজ কি?
বিজ্ঞানীরা ল্যাপটপ বানিয়েছে, একটা বাচ্চা ছেলে ধরেন ল্যাপটপ এ গেম ছাড়া কিছুই বুঝে না, তখন ওই ছেলেটির কাছে মনে হবে ল্যাপটপ আবিষ্কার হয়েছে গেম খেলার জন্য, যখন একটা কিশোর ছেলে ল্যাপটপ হাতে নিবে, তখন সে বলবে আরেরে ব্যাটা ল্যাপটপ গেইম খেলা ছাড়াও গান শুনা যায়, ছবি আকানো যায়। ল্যাপটপ বানানো হয়েছে এগুলা করার জন্যই। যখন যুবক ছেলে পিসি টা ইউস করবে তখন সে বলবে, আরে শুনো ল্যাপটপ ওইসব ফালতু কাজে ব্যাবহার করার জন্য হয় নাই, ল্যাপটপ এ ছবির কাজ করা যায়, বড় বড় হিসাব করা যায়, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ কাজ করা যায়।।
তাহলে চিন্তা করা যায় যে ল্যাপটপ এক এক জনের কাছে এক এক রকম।। যে যেভাবে নিবে সেটা তার ব্যাপার।। এখন ল্যাপটপ বিজ্ঞানী কি বলে, সে বলতেছে কম্পিউটার টা আমি বানিয়েছি হিসাব করার জন্য, যাবতীয় অফিসের কাজের জন্য, আর হাল্কা বিনোদনের জন্য গান, ছবি আকানোর জন্য, কিন্তু এরর মানে এই নয় যে তুমি তোমার জীবনে ল্যাপটপ এ গেম আর গান শুনেই পার করে দিবে, যদি তাই করো তাহলে ল্যাপটপ আবিষ্কার এর কোন মানেই হয় না।
এখন আপনি দুনিয়াতে আসলেন, যদি চিন্তা করেন আল্লাহ বলে কিছু নাই সেটা বোকামি,যদি মনে করেন দুনিয়া টা হলো আসলাম খাইলাম, বিয়ে করলাম, ফুর্তি করলাম, তারপর মরার পরে আর কিছুই হবে না,তাহলে এতো আয়োজন করে দুনিয়া আর মানুষ কে কেনো বানানো হলো।। ঠিক ওই ল্যাপটপ এর মত, যদি সারাদিন গেইম খেলেন তাহলে ছোট্ট শিশুটিই রয়ে গেছেন, ছোট্ট শিশু টি বড় হয়েও যখন ল্যাপটপ এ শুধু গেইম ই খেলে তাহলে ল্যাপটপ বিজ্ঞানীর কোন লাভ ই হলো না ল্যাপটপ বানিয়ে।। কারন তিনি ল্যাপটপ বানিয়েছেন কাজের উদ্দেশ্যে। । দুনিয়া টাও ঠিক এমন ই কারো একজনের গোলামি করার জন্য।।তাই পবিত্র কুরান এর উত্তর দিচ্ছে......জাতিকে বানিয়েছি(সুরা যারিয়াত আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জীন আয়াত=56 )
আপনি দুনিয়ার আনুমানিক জন্ম সাল খুব করে বিলিভ করেন অথচ এইটা বিলিভ করেন না যে,কুরানে আছে,আর যে তার পিতা মাতা কে বলে ধীক তোমাদের, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে,আমি পুনরুথিত হবো? অথচ আমার পুর্বে অনেক লোক মারা গেছে, আর পিতা মাতা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলে,দুর্ভোগ তোমার, নিশ্চই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে এসব তো পুর্বের লোকের উপকথা।।(সুরা আহক্বাফ আয়াত =17 )
ডা: আতিক হাসান।।
========================
// পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক ও চিন্তাবিদ মিশেল ফুকোর লেখা “The Subject and Power” শীর্ষক আর্টিকেল যা প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (১৯৮২), থেকে লেখা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছে স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস।

বেসরকারি টেলিভিশনে পূর্ণকালীন চাকরি করে আসা সামিয়া রহমান বর্তমানে নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স। এর আগে তিনি একাত্তর টিভি, এনটিভি ও একুশে টিভিতে কাজ করেন। সাংবাদিকতার ছাত্র মারজানও একাত্তর টিভিতে কাজ করেছেন। //

যে দেশে রাজনীতিবিদেরা চোর, ব্যবসায়ী চোর, ডাক্তার চোর, এনজিনিয়ার চোর, এমনকি মাসজিদের মুসল্লিরাও চোরের ভয়ে ১০০ টাকার স্যান্ডেল নিয়ে তটস্থ থাকে সে দেশে শিক্ষকরা খুব ভালো মানুষ হবে এই আশা করি না। ব্যতিক্রম যারা আছেন তাদের খুঁজে পাওয়া দায়।

তবে যে পকেট মারে সেও জানে কাজটা খারাপ। সে চোখ নামিয়ে পথ চলে।
কিন্তু শাহবাগী চোরদের বৈশিষ্ট্য আলাদা।
তারা চুরি করে এমন ভাব করবে যেন এটা খুব ক্রেডিটের একটা কাজ।
আর মিডিয়াতে তাদের গলা শুনলে মনে হয় চোরের মা না, চোরের গলাই সবচেয়ে বাজখাঁই।
=========================
পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়েছে তলোয়ারে নয় বরং সচ্ছতায়।
১৪ শত বছর আগে ইসলামের সূচনার সাথে ইসলাম অর্ধেক পৃথিবীর বুকে অতিদ্রুত কেমন করে ছড়িয়ে পড়েছিলো? বিদ্বেষীরা বলে বেড়ায় তলোয়ারের দিয়ে! অথচ বেকুবগণ ভালো ভাবে জানে ধর্মকে ধারণ করতে হয় মন থেকে। যেখানে কোন তলোয়ার প্রবেশ করতে পারেনা। হ্যাঁ, অসত্য অন্যায় এবং অশান্তিকে দ্রুত দূর করতে তলোয়ারের দরকার হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু মানুষের মনে মণিকোঠায় তলোয়ার দিয়ে ইসলামকে ইনপুট করে দেয়া হয়নি। তখনকার দিনে প্রচলিত যত মত পথ আর ধর্ম ছিলো, তাদের সবগুলোকে থেকে নতুন বিকশিত ইসলাম ছিল সহজ সরল এবং স্বচ্ছ। যার কারণে মানুষের মনে জগতে ইসলামের আহ্বান সহজে প্রবেশ করতে পেরেছিলো। ইসলাম শুধু আধ্যাত্মিকতা ফলাতে মানুষদেরকে আহ্বান জানায় নি, বরং ইসলাম সকল মানুষের মধ্যে; সব ধরণের উচ্চ নিচ জাত বংশের ধারণাকে অস্বীকার করে ঘোষণা করেছিলোঃ- সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। ১- ইসলাম মানুষকে বহু প্রভুত্ব বাদ থেকে মুক্ত দিয়ে এক আল্লাহর একত্ব একক প্রভুত্বকে সামনে তোলে ধরে। ২-সকল মানুষের উৎপত্তি এক আদম থেকে; তাই মানুষকে আহ্বান জানায় সকল মানুষ সমান এবং সকল মানুষের একমাত্র প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ তিনি ছাড়া আর কেউ মাবুদ নন। ৩- মুহাম্মদ সা: হচ্ছেন আল্লাহর নবী ও রাসুল। তার অতি সরল অর্থ ছিলো আল্লাহর ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই , মানুষ কোন দিন মানুষের প্রভু হতে পারেনা শুধু তাই নয় আসমান জমিন, দুনিয়া আখেরাতের সকল স্তরে আর কোন মাবুদ নেই। আল্লাহকে একমাত্র মাবুদ মেনে; মুহাম্মদ সা: যেভাবে জীবন যাপন করতে নির্দেশ দিবেন তাই অনুসরণ করে চলতে হবে। ইসলামের এই অতি সাধারণ মন্ত্র সেদিন মানুষের কানে পৌছা মাত্র তা এক সামাজিক বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়ে পড়েছিল। যার প্রবল বেগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফ্রান্সের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এই এক বিপ্লবী আমন্ত্রণে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে গিয়েছিলো রোমান, পারসিয়ান সাম্রাজ্য। দলে দলে যখন সাবেক ধর্ম ত্যাগ করে; সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রবেশ করতে থাকে; তখন প্রচলিত ধর্মীয় আচার প্রথাকে পরিবর্তনের জন্য চাপে পড়েছিলো ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সভ্যতা। সে যুগে আজকের আমেরিকা রাশিয়ার মত মুসলিমদের কাছে উন্নতমানের অস্ত্র ছিলোনা যা দিয়ে তারা অনুন্নত অস্ত্রধারী রোমান এবং পারসিয়ান সাম্রাজ্যকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলো। বরং সে সময়ের উন্নত অস্ত্র মুসলিমদের হাতে ছিলোনা ছিলো অমুসলিমদের হাতে। এমনও নয় যে শত শত বছর ধরে যারা বীরযোদ্ধা ছিলো তারা ইসলামের আগমনে কাপুরুষে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো , যার কারণে তারা মুসলিম যোদ্ধাদের সাথে পেরে উঠেনি! আসল সত্য হলও তাদের আচরিত ধর্মের আচার প্রথা নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজমান ছিলো। যখন তারা বুঝতে পারলো যে, নতুন ধর্মমত আরব উপদ্বীপ থেকে প্রবল বেগে অপ্রতিহত গতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পরছে। তখন তাদের মনে সন্দেহের দোলা সৃষ্টি হয় তারা ভাবতে থাকে তারা স্রষ্টার সঠিক পথে থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে বিধায় ; স্রষ্টা তাদের থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিয়েছেন। আরবদের ধর্ম মতের সাথে স্রষ্টা আছেন বলেই তারা অপ্রতিহত গতিতে চারিদিকে সব ধরণের প্রতিরোধকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে এগিয়ে আসছে। তারা জানতে পারে মুসলিমরা নিছক সম্পদ লুণ্ঠন আর সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করছেনা, তারা যুদ্ধ করছেন এক আল্লাহর তৌহিদ প্রতিষ্ঠা করতে এবং দুনিয়ার সব মানুষকে মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দেবার জন্য।ইসলামের উন্নত জীবন দর্শনের আহ্বানে তাদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছিলো, কাজেই তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অক্ষম হয়। বরং যুদ্ধের ময়দান থেকে স্বপক্ষ ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিমদের পক্ষ হয়ে তাদের সাবেকী ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরীক হতে থাকে। ইসলাম যখন চারিদিকে বিজয়ী হচ্ছিলো; তখন শক্তিতে মুসলিমদের অগ্রাভিযান রোধ করতে না পেরে অমুসলিম শক্তি চিন্তা করতে শুরু করে; কোন সে শক্তি যার ফলে মুসলিমদেরকে পরাজিত করা যাচ্ছেনা। একসময় তারা পেয়ে যায় ইসলামের প্রাণ ভোমর।১- এক আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা, ২-মুহাম্মদ সা: এর প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং ৩- ইস্পাত কঠিন ইসলামী উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব শক্তি। তারা যখন কারণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হলো; তখন থেকে এর প্রতিরোধক বের করার কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। ইঁদুর যে ভাবে অতি সন্তর্পণে একটি একটি করে গাছের শেকড় কাটে; ঠিক সে ভাবে অমুসলিম শক্তি প্রথমে যে কাজ করে ; তা প্রকাশ্যে ইসলামী শক্তি বিরোদ্ধাচারণ করা বন্ধ করা। তারা দলে দলে মুসলিমদের দেশে কর্মের সন্ধানের উসিলায় এসে প্রবেশ করে। সাথে নিয়ে আসে তাদের সুন্দরী সুন্দরী মেয়েদের। মুসলিম প্রভাব শালীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। এমন কি গণহারে তাদের মেয়েদেরকে মুসলিম আমির উমরাহ খলিফা বাদশাহ বাদশাহজাদাদের বিয়ে দিতে থাকে। এই বিয়ের মাধ্যমে যে প্রজন্ম মুসলিম সমাজে সৃষ্টি হয় তারা ধীরে ধীরে ইসলামের প্রাণ ভোমর থেকে দূরে সরে চলে যায়, আমোদ প্রমোদ শরাবি আর ইন্দ্রপরায়ণ হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানেও পিছিয়ে পড়ে জ্ঞান বিজ্ঞানে ইউরোপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ততদিনে মুসলিম উম্মাহ থেকে ইসলামী প্রাণ ভোমর নিভো নিভো হয়ে পড়েছে। ইউরোপীয়রা ততদিনে উন্নত অস্ত্রধারী হয়ে উঠেছে। তখন সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপ মুসলিমদেরকে লণ্ডভণ্ড করতে আগ্রাসী আক্রমণ চালায়। তখন সব দিক দিয়ে হীন বল হয়ে পড়েছিলো মুসলিম উম্মাহ কাজেই ইউরোপীয় আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করার মত শক্তি ছিলোনা। সব গুলো মুসলিম ভুখণ্ড তাদের কলোনীতে পরিণত হয়ে পড়ে। অস্ত্রে মাধ্যমে বিজয় যে সাময়িক জয়; ইতিহাস থেকে শিক্ষা ইউরোপীয় শক্তিরা ভালো ভাবে জেনে গিয়েছিলো। যাতে অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম আবার বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠতে না পারে, তার প্রতিরোধক শক্তি তারা অনেক আগে আবিষ্কার করতে পারলেও সেই প্রতিরোধক অস্ত্র এতদিন প্রকাশ্যে ব্যবহার করে উঠতে পারেনি। এখন সে সমস্যা আর নেই এখন তারা রাজশক্তি আসনে প্রতিষ্ঠিত তাদের অভিলাষ ই বাস্তবায়ন করতে আর কোন অসুবিধা নেই। এবার তারা ইসলামের প্রাণ ভোমরের অন্যতম শক্তি উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব বোধে ফাটল ধরাতে মুসলিমদের অঞ্চলে অঞ্চলে তাদের শিক্ষায় শিক্ষিতদের দ্বারা জাতীয়তাবাদী দর্শন প্রচলিত করতে থাকে। জাতীয়তাবাদী দর্শন বাস্তবায়নের ফলে- এক ধর্ম এক মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বে , সারা আরব ভূখণ্ডকে কৃত্রিম জাতীয়তাবাদী আদর্শ দিয়ে ১৮ খণ্ডে বিভক্ত করে দিয়ে; এক অঞ্চলের মুসলিমদেরকে অন্য অঞ্চলের মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিবাদ সীমান্ত সংঘাতে লাগিয়ে, ভাগ করো আর দুর্বল কর, আর তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করো নীতি সফল বাস্তবায়ন করে , অন্য দিকে মুক্তি বুদ্ধির চর্চার খোলসে তারা আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থায় মুসলিম যুব সমাজের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়া যায়, মুহাম্মদ সা: এর প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা থেকে যুব সমাজকে দূরে ঠেলে দেয়া যায় সেই শিক্ষা ব্যবস্থা মুসলিমদের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ দেশে অগ্রগামী দলে বা নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে তাদের তৈরি শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন পথ তারা খোলা রাখেনি। যার ফলে দুনিয়ার কামিয়াবি লোভী পদ লোভী আয়েসি জীবনের প্রতি লোভে মুসলিমরা তাদের সন্তানদেরকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে থাকে। আর এই পথেই আমাদের কয়েক জেনারেশনকে তারা তাদের মত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এখন তাদের প্রত্যক্ষ শাসন আমাদের দেশে নাই কিন্তু তাদের শিক্ষায় তাদের চিন্তা চেতনা ধারণকারী আমাদের সন্তানরা তাদের অধরা কাজ আজ সম্পন্ন ভালোভাবে করে চলছে। তাইতো আজ মুসলিমদের দেশে দেশে ইসলাম কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে। কেউ ইসলামের কথা উচ্চারণ করলে এখন আর ইউরোপীয় সৈনিকরা ঝাঁপিয়ে পড়েনা আমাদের সৈনিকরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
===========================================
পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন, যা বিনা কারনে মানুষ হত্যা নিষিদ্ধ, এমনকি যুদ্ধ শত্রু কে ও সম্মানে
নিরাপদে পৌছে দিতে বলে।
*********************************
কুরআন বলছে যদি শত্রুরা শান্তি চায় অধিকন্তু তাদের এমন স্থানে পৌছেঁ দাও
যেখানে তারা নিরাপদ(সূরা তওবা, আয়াত ৬)
। আপনি কুআনের আয়াত
পড়বেন যা যুদ্ধ সমন্ধে অত্যাচারী শাসকের
বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে, নির্মম-পাশবিকতার
বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আয়াতের শেষে আল্লাহপাক
উল্লেখ করেছেন ‘শান্তিই শ্রেষ্ঠতর’ কারন
ইসলাম শান্তির ধর্ম। অকারনে কারো রক্তপাত বা
যুদ্ধের আহবান সেটি অমুসলিমদের বিরুদ্ধে
হোক ইসলাম তা কখনোই সমর্থন করেনা।
আল্লাহপাক বলেন -
,
‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে
আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি
কওে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য
করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে
যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’
মায়েদা-৫:আয়াত-৩২
★     নাস্তিক, অমুসলিমরা কুরআন হতে কৌশলে পূর্ব ও পরের আয়াত বাদ দিয়ে, প্রসংগ না তুলে সমালোচনা করে।।
========================
প্রশ্ন :পৃথিবীর প্রথম মানুষ কোন জাতি বা
গোত্রের ছিলেন?
✔ উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েক।
কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানব আদম
(আঃ)। তিনি ছিলেন মুসলিম। শুধু তিনিই নন
মোহাম্মদ ( ﷺ ) বলেন-
”পৃথীবীতে প্রতিটি বাচ্চাই নিষ্পাপ মুসলিম হয়ে
জন্মগ্রহন করে। ”
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করলেই কি মুসলিম?
মুসলিম মানেই রহিম, করিম নয় এর অর্থ নিজের
ইচ্ছা আল্লাহর নিকট সমর্পন করা। যে কোন বাচ্চা
হিন্দু, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহন করুক
সে প্রথমত জন্মায় মুসলিম হয়ে। নবী
( ﷺ ) বলেন-
”মা-বাবার কর্মে প্রভাবিত হয়ে বাচ্চাটি তা
অনুসকরন করে আগুন, পাথর বা মূর্তির পূজা করে,
পাপ করতে শুরু করে। ”
কারন একটি নিষ্পাপ শিশুকে যাই শেখানো হয় তাই
সে করার চেষ্টা করে।
আফ্রিকান-কাপাকু ও অষ্ট্রেলিয়ান- গোঁড়া
জাতি-
অতি সম্প্রতি দুটি জাতির জীবন-পদ্বতি গবেষনা
করে দেখা গেছে। আফ্রিকান কাপাকু ও
অষ্ট্রেলিয়ান গোঁড়া জাতি এই দুজাতি ১৯৫০
সালের আগ পর্যন্ত সভ্যতার দেখা পায়নি।
গবেষনায় দেখা গেছে তারা যা করতো প্রায়
প্রতিটি কর্মই ইসলামের সাথে মিল রয়েছে।

✔ তারা এক সৃষ্টিকর্তার বিস্বাস করতো,
✔ তারা সিজদা করতো,
✔ তারা কোন মূর্তিপুজা করতো না।
আপনি যদি কোন বাচ্চাকে ধর্মীয় শিক্ষা না দেন
বেদ, কুরআন, বাইবেল ইত্যাদি না পড়ান সে বড় হয়ে
এক সৃষ্টিকর্তার মতবাদে বিস্বাসী হবে এবং সে
অনুযায়ী জীবনকে গড়ে নেবে।
১৯৯৯ সালে নিউরো সায়েন্টিষ্টের অবাক করা
তথ্য-
আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশে বহুল গবেষনা
করে তিনি বলেন- “প্রত্যেকের মস্তিষ্কের
সামনের একটি ছোট অংশ রয়েছে যা
সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে চিন্তা করার সময় একটিভ হয়,
অন্যসময় তা নিষ্ক্রিয় থাকে।”
----------------------------------------
পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্ম গ্রন্থ -
বেদ,পুরান,
বাইবেল ইন্জিন তওরাত উপনিষদ সহ
প্রভৃতি ধর্ম
গ্রন্থ মহানবী মোহাম্মাদ সা: কে নবী
হিসেবে আগমন বানি স্বিকৃতি
দিয়েছে।। আল-
কুরআনে সর্বশেষ নবি রাসূল হিসেবে
স্বিকৃতি
দেয়।। ইন্জিল শরীফে মোহাম্মাদ সা:-
"
অইজ ক্বালা ঈসাব্নু মারইয়ামা ইয়া
বানী ------রাসূলুল্ল
াহি-- ছিহরুম মুবন (সংক্ষেপ ) সূরা
আসছাফ আয়াত ৬।
মরিয়মের ছেলে ঈসার বঙশধর! আমার
পরে
আহমদ( মহাম্মাদ) নামে যে রাসূল
আসিবেন তার
সুসংবাদ দিতে এসেছি।। মোহাম্মাদ
সা: এর আরেক
নাম আহমদ। আবার ইনজিল কিতাবে
অন্যত্র মহাম্মাদ
কে বুঝিয়েছে।। কোথাও মুনহামান্না
নামে
অভিহিত করেছে। আরবিতে
মুনহামান্না (সুরিয়ানি
ভাষায়)অর্থ মোহাম্মদ ও গ্রীক ভাষায়
প্যারাক্লেটাস . গ্রীক ভাষায় pariclytor
মানে
প্রশংসিত। মোহাম্মদ - প্রশংসিত। ★
তাওরাত কিতাবে
মোহাম্মাদ সা:- জ্তির উদ্দেশ্যেে
মূসা আ
বলেন- তার বংশধর হতে নবি আসিবেন।
এবং তিনি
নবির যে নবির যে বর্ণনা দেন, তাতে
মোহাম্মাদ
সা কে বুঝায়।। দেখ- তওরাত ব্যাতিক্রম
পুস্তক
অধ্যায় ১৮ আয়াত ১৫-১৯। আরো - তওরাত,
আছছাফ
৬। * ইসলামের সাদৃশ্য স্বিকৃতি সকল ধরমে
পাওয়া
যায় কিন্ত অন্য ধরমের সাদৃশ্য ইসলাম
ধরমে
নেই।।
=====================================



পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণ হলে তো পায়ুপথ ধৌত করা উচিৎ কিন্ত তা না করে হাত-মুখ ধৌত করার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি?

অভিযোগ: পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণ হলে মুসলমানের পবিত্রতা ভঙ্গ হয়, নামাজ বা কোরান ছোঁয়া যায় না। তখন হাত-মুখ ধৌত করে ওযু করার পর পুনরায় পবিত্রতা ফিরে পাওয়া যায়। ইসলাম বিজ্ঞান ভিত্তিক ধর্ম হেতু এসবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিশ্চয় আছে। কিনতু আমার প্রশ্ন হল, পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণ হলে তো পায়ুপথ ধৌত করা উচিৎ কিন্ত তা না করে হাত-মুখ ধৌত করার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি?

জবাব: অজু এটা শুধু সুন্নত নয়, নামায ও কোরআন শরীফ ধরার জন্য অযু করা করতে হয়। নামায পড়ার জন্য অযু করা শর্ত। শরীরের যে অঙ্গগুলো কাপড়ের বাইরে থাকে, যেমন হাত, মুখমন্ডল, পা, টাখনু পর্যন্ত। অযুতে এসব যায়গা ধুতে হয়। ফলে এগুলো রোগজীবাণুমুক্ত হয়। এছাড়া ধোয়ার সময় এ সকল স্থানের স্নায়ু (Nerve) ও উপশিরা (Capillary) গুলো ঠান্ডা হয় যাতে রক্তের স্পন্দন সহজ হয়। গর্দান মাসেহের দ্বারা মস্তিষ্ক ঠান্ডা ও স্থির থাকে। এমনিভাবে দৈনিক পাঁচবার অযু করলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে জীবাণু থাকতে পারে না।

সুতরাং অজু করলে আপনার মানুষিকতা চেঞ্জ করে আপনার মনকে আল্লাহর দিকে পুনঃরায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এতে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা যদিও সেটা পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণ হলে মানুষিকতার একটা পরিবর্তন আসে।

এইবার আপনার কাছে প্রশ্ন :

১/ বিজ্ঞান পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ব্যাপার কতটুকু আবিষ্কার করতে পেরেছে অথবা রিসার্চ করে কতটুকু জানতে পেরেছে? পারসেন্টিস কত!

২/ মানুষ পায়ে ব্যথাহত হলে কেনো মুখ দিয়ে ওষুধ সেবন করেন?


আমরা কি আসলেই সত্যকে খুজি ?

আমরা কি আসলেই সত্যকে খুজি ?
=====================
নিম্নশ্রেনীর কুখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত উক্তি-
.
এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি।
মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ। চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
.
এইগুলা কি কোনো ভদ্র সমাজের ভদ্র মানুষের মুখের ভাষা হতে পারে? যে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এই রকম কুরুচি মন্তব্য করতে পারে তাকে কি মানুষ বলা যায়?
.
উহ! দু:খিত তাহাদের শরীরে তো আমার বানরের মানে পশুর DNA রয়েছে! তারা ত মানুষই না! চি চি কতটা নির্লজ্জ হলে মানুষ বলতে পারে সে বানরের বংশধর???
===================
নিশ্চই কোরআনে কোন ভুল নেই!!!

নাস্তিকরা সূরা আত্ব তারিকের 5/6/7 নাম্বার আয়াত দেখিয়ে বলে যে কোরআনে ভুল আছে ৷ কারন বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষের মাঝে কিন্তু কোরআনে বলা হয়েছে মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মাঝ হতে বীর্য তৈরি হয় ৷ অতএব কোরআনে ভুল রয়েছে! আসলেই কি তা সত্য??

আল্লাহ তায়ালা সূরা আত্ব তারিকে বলেছেন
(5
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
Now let man but think from what he is created!

خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ (6
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
He is created from a drop emitted-

يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ (7
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
(সূরা আত্ব তারিক)

দেখুন 6 নাম্বার আয়াতে কোথাও বীর্যের কথা বলা হয়নি ৷ সুস্পষ্টভাবে এমন এক পানির কথা বলা হয়েছে যা পুরুষের মেরুদন্ড এবং নারীর বক্ষপাজরের মধ্য থেকে বের হয়ে আসে ৷( তাফসির অনুযায়ী)
কিন্তু নাস্তিকরা এটাকে " বীর্য " বলে চালিয়ে দিতে চায়!
আচ্ছা, যদি কোন নাস্তিক এক গ্লাস পানি আনতে বলে, এবং তাকে পানির বদলে এক গ্লাস বীর্য এনে দেয় তবে সে কি বলবে??? বীর্য খাবে??? কেন খাবে না??? তারাতো বীর্য এবং পানি কে এক করে ফেলছে ,তাই না???

প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এমন উপাদানের কথা বলেছেন যা হতে বীর্য এবং ডিম্বানু তৈরি হয় ৷

আমরা জানি যে যদিও শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যাবলী আলাদা তবুও কোন অংশ নিজে একা কাজ করে না ৷ বরং প্রত্যেকে অন্য অংগের সহায়তা নিয়ে নিজের কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করে ৷ যদি পেট কাজ করা বন্ধ করে দেয় তবে কি বাকি শরীর পুষ্টি পাবে???


সবাই জানে বীর্যের উতপত্তি অন্ডকোষের মধ্যে ৷ কিন্তু শরীরের অন্য অংগ কাজ না করলে কি বীর্য জন্মাবার এবং বেড় হবার সুযোগ থাকত?? অন্য কোন অংশের উপাদান অন্ডকোষে না পৌঁছলে বীর্য গঠিত হতে পারবে??

একটা উদাহরন দিচ্ছি,
রক্ত শুধু পুষ্টিকর পদার্থই নয় বিষাক্ত পদার্থও পরিবহণ করে৷ কিডনি এই বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে৷
ফিল্টারের পর কিডনীতে পেশাব তৈরি হয় এবং একটি নালীর সাহায্যে মূত্রাশয়ে পৌঁছে এবং নির্গত হবার পথ দিয়ে বেড়িয়ে আসে ৷ সকল পেশাব কি কিডনিতেই সৃষ্টি হয়? বাহির হতে কোন উপাদান আসতে হয় না? বাহিরের উপাদান ছাড়াই কিডনিতে পেশাব উতপাদিত হয়?? সমগ্র শরীর হতে দুষিত পদার্থ গুলো কি কিডনিতে আসে না??
যদি দুষিত পদার্থ গুলো সমগ্র শরীর হতে না আসত তবে কি পেশাব তৈরি হত?
এখন যদি কেউ বলে পেশাব তৈরি হয়ে রক্তের বিষাক্ত উপাদান হতে, তবে কি সে ভুল বলল ???

এখন কোরআনের আয়াতগুলো ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন ৷
দেখুন, কোরআনে বলা হয় নাই, "উপাদান গুলো মেরুদন্ড ও পাজড়ের হাড় হতে সৃষ্টি হয় বরং বলা হয়েছে ঐ দুটোর মাঝ খানে যে অংশটি রয়েছে সেখান থেকে ঐ উপাদান গুলো নির্গত হয় ৷ "
তাহলে ভুল কোথায় বলল??? অন্ডকোষের মাঝে সমগ্র বীর্য জমা থাকে?? বাহির হতে কোন উপাদান আসে না???
বাহিরের উপাদান ছাড়াই বীর্য গঠিত হয়???? যে উপাদান গুলো বাহির হতে আসে তাকি মেরুদন্ড এবং বক্ষপাজরের ভিতর দিয়ে না এসে অন্য কোন দিক দিয়ে অন্ডকোষের মাঝে আসতে পারবে??

মূলত, আল্লাহ তায়ালা এখানে সেই উপাদানের কথা বলেছেন যা দিয়ে বীর্য এবং ডিম্বানু তৈরি হয় এবং এও বলেছেন যে এগুলো মেরুদন্ড এবং বক্ষপাজরের মাঝ দিয়ে সবেগে নির্গত হয় ৷
যদি এই উপাদান না নির্গত হয় তবে বীর্য এবং ডিম্বানুর উৎপাদন হবে না ৷
তারপরও যদি নাস্তিকরা পানি কে বীর্য বলে চালিয়ে দিয়ে কোরআন কে ভুল বলতে চায় তবে তাদের পানির পরিবর্তে কি পান করতে বলা উচিত????
=======================
নোমান আলি খান হতে

কুরআনের ভাষাগত মুজিযা ( ৩য় পর্ব)
আরেকটি চমৎকার তুলনা হতে পারেঃ
মক্কা আর বাক্কা।
মক্কার এই দুটি নাম কি আগে কখনো
শুনেছেন আপনারা? দুটি নামই একবার করে
এসেছে কুরআনে। কুরআনে আল্লাহ আযযা
ওয়া জাল মক্কা শব্দটি ব্যবহার করেছেন
সূরা মুহাম্মাদে। আবার সূরা আল ইমরানে
ব্যবহার করেছেন বাক্কা শব্দটি।
ইতিহাসগতভাবে শব্দ দুটি মক্কা শহরটিরই
ভিন্ন দুটি নাম মাত্র। অনেকে বলে থাকেন
যে বাক্কা ছিল প্রাথমিক সময়ের নাম আর
মক্কা পরবর্তী সময়ের।
তবে ভাষাতাত্ত্বিকদের মত এই যে, মক্কা
হল শহরটির মূলনাম আর বাক্কা হল এর
ডাকনাম। বাক্কা শব্দটি এসেছে আরবি
ক্রিয়াপদ “বাক” থেকে, যার অর্থ
“জনাকীর্ণতা”। প্রচুর লোকের সমাগমে
ভিড় সৃষ্টি হওয়া, আধুনিক আরবিতে যাকে
বলা হয়ে থাকে “আল-ইজদিহাম”।
এখন দেখা যাক, সূরা ইমরানে বাক্কা
শব্দটি ব্যবহার হয়েছে, যেখানে শব্দের
শুরুতে উপস্থিত “বা” ধাতুটির উৎপত্তি
“ভিড়” শব্দটি থেকে। এখানে যেই
আয়াতগুলো রয়েছে সেগুলো মূলত হজ্জের
আয়াত – “ওয়া লিল্লাহি আলান নাসি
হিজ্জুল বায়িত”। হজ্জ শব্দটির সাথে
কীসের চিন্তা মাথায় আসে? লোক সমাগম,
ভিড়। তাহলে হজ্জের প্রেক্ষাপটে
সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ কোনটি? বাক্কা।
কিন্তু সূরা মুহাম্মাদের উল্লেখিত অংশে
হজ্জের কোন কথাই নেই, তাই সেখানে
এসেছে মূল শব্দটি – মক্কা। সুবহান আল্লাহ!
আমাদের জন্য মক্কা, বাক্কা তো একই শব্দ,
একটার জায়গায় আরেকটা তো ব্যবহার
করাই যায়। শব্দ দুটি একই জিনিসের দুটি
ভিন্ন নাম বটে, তবে কুরআনে শব্দ দুটির
ভিন্ন প্রয়োগ এর পুঙ্খানুপুঙ্খতার মানদণ্ডে
যে মাত্রা যোগ করেছে তা কুরআনের
অপ্রতিদ্বন্দ্বীটার আরেকটি প্রমাণ ছাড়া
আর কিছুই নয়। মানুষ যখন কথা বলে তখন
এরকম পরিপূর্ণ সূক্ষ্মতা বজায় রাখতে
পারে না। এভাবে সে চিন্তাই করতে
পারে না।
=============================
একজন পতিতালয়ের খদ্দরের উপাখ্যান :-
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
মুসলমানদের শেষ নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য-
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
মুসলমানদের শেষ নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কিছু দৃষ্টিভঙ্গী বইয়ে পাওয়া যায়-
১) রবীন্দ্রনাথের কাছে মুসলমানদের নবী’র জীবন চরিত কখন ভালোলাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনেকবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ওবিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবিবলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতেপারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"
২) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতেদুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন,তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”
৩) প্রবন্ধ ‘বীর গুরু’তে রবীন্দ্রনাথ বলেছে: "দেব-দৈত্য সকলেই নিজেরউপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতেরপ্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণকরিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।”
উল্লেখ্য মুখে ব্রাহ্ম ধর্ম বলে দাবি করলেও রবীণ্দ্রনাথ ছিলো গোড়া হিন্দুত্ববাদী। এজন্য নিজ এলাকা শিলাইদহে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছিলো সে এবং পূজারব্যয় বহন করতে মুসলমান প্রজাদের বাধ্য করতো। (সূত্র: বাংলাএকাডেমীর ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার” পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ়১৩৯৩) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণসহ বিবরন দিয়েছে।)
অনেকেই এটা জানে না, ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সূচনা হয়েছিলো জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারের হাত ধরেই। তাদের অর্থায়নে সূচিত হয়েছিলো ‘হিন্দু মেলা’ (দেখতে পারেন বাংলাপিডিয়া: http://goo.gl/rrLTCN)। পরবর্তীতে এ হিন্দু মেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হিন্দুত্ববাদী `জাতীয়সভা'। এসভায় কোন ভাবেই কোন মুসলমান, খ্রিস্টান ও নিম্নবর্ণের হিন্দু প্রবেশ করতে পারতো না। হিন্দুমেলার প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন ঠাকুরপরিবারের সদস্যরা, আর কবি রবীন্দ্রনাথ ।
বর্তমানে রবীন্দ্রনাথকে যতই বড় কিছু দাবি করা হোক, ইতিহাসের পাতা থেকে রবীন্দ্রনাথের এ অসত চরিত্রগুলো কখনই মুছে যাবে না।
=================================
প্রমান দিবো ইসলাম ই একমাএ সত্য ধর্ম.
============================
"মাছি" সম্পর্কে নবীজি(স:) যে তথ্য দিয়েছিলেন আজ বিজ্ঞান তা সত্য প্রমাণ করল।
___________________________________________
নবীজি (স:) যখন জীবিত ছিলেন তখন তিনি অনেক মুজিযা (অলৌকিক) দেখিয়েছিলেন।যা দেখে নবীজির নবুওয়তের প্রমাণ পেয়ে লাখ লাখ মানুষ তাকে নবী বলে স্বীকার করে দলে দলে ইসলাম গ্রহন করেছিল। নবীজি (স:) এখন জীবিত নেই কিন্তু তার মুজিযা এখনো শেষ হয়নি।এতবছর পরে এই আধুনিক যুগে তার একটি মুজিযার প্রমাণ মিলল।
"আবু হুরায়রা (র:) থেকে বর্ণিত,রাসুল (স:) বলেছেন, যখন তোমাদের কারো কোন খাবারের পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে সম্পুর্ণ ডুবিয়ে দিবে, তারপর ফেলে দিবে। কারণ এর এক ডানায় থাকে শিফা, অন্য ডানায় থাকে রোগ-জীবাণু" (সহীহ বুখারীঃ ৫৩৬৬)।
বর্তমান বিজ্ঞান বলছে, মাছি বাম ডনায় রোগ জীবাণু বহন করে। যখন মাছি কোন খাবারের উপর বা কোথাও গিয়ে বসে, তখন সে তার বাম ডানা দিয়ে সেখানে স্পর্ষ করে। আর এই রোগের এন্টিবডি আছে মাছির ডান ডানায়। তবে সে সেটা কখনও স্পর্ষ করায় না।
১৪০০ বছর আগে রাসুল (স:) এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা কোথায় করেছিলেন???
রাসূল (স:) কেন মাছিকে সম্পূর্ণ ডুবাতে বলেছেন? মাছির ডানায় কি রোগনাশক ঔষধ রয়েছে?
=====================================
বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ"(বুখারী)।
আমাদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যে উক্ত রোগের জীবানুগুলো দেখেছে? আমাদের কেউ কি উক্ত রোগ নাশক ঔষধ অবলোকন করেছে? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : নিশ্চয়ই তা রয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। সেখানে রোগ রয়েছে মানুষ তা জানতো না। তারা দেখতে পায়, মাছি তার দুই ডানা দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কিছুই জানতো না যে, তার ভিতরে কল্যাণ রয়েছে, না অকল্যাণ রয়েছে।
জ্ঞান বিজ্ঞানের যখন অগ্রগতি হলো, যখন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবানু সম্পর্কে জ্ঞানের অগ্রগতির মাধ্যমে বর্ণিত হচ্ছে যে, মাছি মানুষের শত্রু“, সে রোগ জীবানু বহন করে এবং স্থানান্তরিত করে। মাছির ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোগ জীবানু বহনকারী মাছিকে ডুবিয়ে নেয়ার আদেশ করলেন?
কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের আলোকে মাছিকে নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান। জীবানুমুক্ত কিছু পাত্রের মাধ্যমে মাছের বাজার থেকে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবানুমুক্ত টেষ্ট টিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে অসংখ জীবানু রয়েছে। তারপর জীবানুমুক্ত একটি সূঁচ দিয়ে মাছিকে ঐ পানিতেই ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে,সেই পানিতে আগের মত আর জীবানু নেই, বরং কম। তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন। এমনি ভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন যে, যত বার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবানু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দিখিয়েছেন যে, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে।
 সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবানুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তকা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিল : নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ। (বুখারী) মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তখন যে ডানায় জীবানু থাকে সে ডানাটি খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়। অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ভাইরাস। যদি মাছিকে ডুবিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রতিরোধক ভাইরাস খাদ্যের সঙ্গে মিশে মারাত্মক জীবানুগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনুকুল থাকে। নতুবা এই খাদ্যই জীবানুযুক্ত হয়ে মানব ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবানু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না। অথচ রাসূল (স:) সেগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সে সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং ঐ বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। সেই জাহেলী যুগে এই আশ্চায্যিত তথ্য কে তাঁকে জানিয়ে দিলেন? এটা কি নবীজির নবুয়াতের প্রমাণ রাখেনা??
=============================================
নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বইয়ে বিবর্তনের নামে মিথ্যাচার...

২০১৮ সালের নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বইয়ে 'জৈব বিবর্তন তত্ত্ব' অধ্যায়ে বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা ও হাস্যকর কল্পকাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

মিথ্যাচার ১: প্রথমে লেখক বিবর্তনের সংজ্ঞা দিয়েছেন, 'জীব জগতের বিভিন্ন জীবের ভিতর এক শ্রেণীর জীব থেকে আরেক শ্রেণীর জীব উন্নত এবং সেই জীবগুলো তাদের পূর্বপুরুষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে বিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমাগত পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে'। এখানে লেখন বিবর্তনের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা মূলত 'ম্যাক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞা। পরক্ষনেই তিনি আধুনিক একটি সংজ্ঞা টেনেছেন যেখানে বলা হয়েছে, 'প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নির্দিষ্ট এলাকায় এক বা কাছাকাছি প্রজাতির এলিল ফ্রেকুয়েন্সির পরিবর্তন'। স্পষ্টই এই সংজ্ঞাটি 'মাইক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে। মাক্রো-ইভোল্যুশন, যার কোনো অস্তিত্ত্ব নাই, এর ফলে ফেনোটিপিক্যাল বা লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে। আর মাইক্রো-ইভোল্যুশন এর ক্ষেত্রে জেনেটিক বা এলিলিক পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু যার প্রভাব ফেনটিপিক্যাল কোনো পরিবর্তন ঘটায় না।

লেখক বিবর্তনের ম্যাক্রো-মাইক্রো লেভেলের বিষয়টি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেছে অথচ বিবর্তনের আধুনিক যে সংজ্ঞাটি তিনি দিয়েছেন সেটা স্পষ্টই 'মাইক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞা ছিল!!!

মিথ্যাচার ২: লেখক বলেছে আদি পৃথিবীতে 'কিন্তু অক্সিজেন গ্যাস ছিলোনা'। অবাক হলাম এমন ডাহা মিথ্যা তথ্য কিভাবে ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পন্ন লেখক দিতে পারে? সমস্ত বিজ্ঞানীরা একমত আদি পৃথিবীতে ন্যূনতম ১% অক্সিজেন বিদ্যমান ছিল। শুধু তাই নয়, একদল জিওলোজিস্টস মনে করে, তখন বর্তমান পৃথিবীর ন্যূনতম ৫০% ভাগ অক্সিজেন ছিল। এরপরে লেখক গ্রিক মিথলজির ন্যায় গল্প বলেছেন, বজ্রপাত আর অতিবেগুনি রশ্মির ফলে নাকি অ্যামিনো অ্যাসিড আর নিউক্লিক অ্যাসিড তৈরী হয়!!! তারপরে প্রোটিন, তারপরে প্রাণ!!! পরীক্ষাগারে নাকি এটা প্রমাণিতও হয়েছে।

বুঝতে পারছি Miller-Urey experiment কে এখানে এভিডেন্স হিসাবে কনসিডার করা হয়েছে অথচ এই এক্সপেরিমেন্ট এর সীমাবদ্ধতা এতটাই যা দিয়ে আলাদা একটা প্রবন্ধ লিখা যায়।

মিথ্যাচার ৩: ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করেছেন শেষে এসে। লেখক লিখেছেন, ' বিবর্তন শুধু প্রকৃতির কোলেই ঘটে না। গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে বিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এটিও বিবর্তনের বাস্তবতার প্রমান। জীব জগৎ সম্পর্কে আমরা যতই জানছি, ততই বিবর্তনকে অস্বীকার করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।'

মাইক্রো-এভোল্যুশন কেউ অস্বীকার করে না, কারণ এর পক্ষে এক্সপেরিমেন্টাল এভিডেন্স আছে, কিন্তু ম্যাক্রোর ক্ষেত্রে কোনো প্রমান নাই, যা আছে তা শুধুই গ্রিক মিথোলজিকে হার মানানো কল্পকানিহীনি। এই লেখককে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম,পারলে সে বিবর্তনের (ম্যাক্রো-ইভোল্যুশন) পক্ষে কোনো এক্সপেরিমেন্টাল এভিডেন্স হাজির করুক। লেখন মহা অন্যায় করেছে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে।

উপরন্ত বর্তমান সময়ের সেরা এক্সপেরিমেন্টাল এভোলুশনিস্ট, নাস্তিক বিজ্ঞানী Prof. John S Torday, UCLA, বলেছেন, '''There is no experimental evidence for evolution in the strict sense, empirically showing that “A led to B led to C” either ontogenetically or phylogenetically. There are experiments that demonstrate that evolution is feasible, and those that are consistent with evolution, like the classic observation regarding moths in England changing their coloration, but not how that pigmentation evolved mechanistically. BTW, I am not a Creationist/Intelligent Designer. I am a working scientist with a deep concern for the lack of such evidence, which is clearly the reason for the debate about religious belief and evolution theory. Currently both are beliefs until we are able to provide experimental evidence for evolution.''

একটি লক্ষণীয় বিষয়, আমি লেখকের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে খোজ নিলাম উনি পেশায় একজন চিকিৎসক যার বায়োলজি বিষয়ে মৌলিক কোনো একাডেমিক পড়াশোনা বা গবেষণা নাই। এমন একজন লোককে দিয়ে সরকারি পর্যায়ে বায়োলজি বই লেখানো কি আমাদের দৈন্য দশা আরো ফুটিয়ে তুলছে না?

পরিশেষে, কোমল মতি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্ত অজ্ঞ লেখকদের লেখনী বাদ দিয়ে যারা সত্যিকারের বায়োলজি চর্চা করে তাদের লিখিত বই পাঠ্য করার দাবি করছি, নিতান্তই তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই বইটির মেজর কারেকশন দাবি করছি।

=======================
লোকের মুখে শুনেছি নাস্তিকগণ বিজ্ঞান মনস্ক, যুক্তিবাদী ৷ নাস্তিক জ্ঞানীগুণীও দাবি করে তাই ৷ মনে স্বাদ জাগে কী রকম যুক্তি দেখায় জ্ঞানী নাস্তিকগণ, তা দেখার খুব ইচ্ছা ৷ কবিতা, গল্প লেখার ধর্মঘট ডাকলাম ৷ নাস্তিকদের ফেসবুক 'আই ডি' তন্ন ছন্ন করে কয়েকজনকে খুঁজে পেলাম ৷ তবে তারা ছিল সবাই পাতি নাস্তিক ৷ ঠিক ঐ মুহুর্তে আমার নাস্তিক হবার অফার পাই হাইব্রিড এক দ্বীন বিদ্বেষী কথিত নাস্তিকের নিকট থেকে ৷ তার মাধ্যমে খুঁজে পাই প্রথম সারির কথিত নাস্তিকদের ৷
১.আসিফ মইউদ্দিন :- তার কিছু স্ট্যাটাস পড়ার পর হাসলাম বেশক্ষণ ৷ কারণে অকারণে হাসি আসে ৷ বাংলাদেশে পাগলাদারদ আছে, জার্মাতিতে মনে হয় নাই ৷ থাকলে তো সেখানেই থাকতো ৷ তবে তার চিকিৎসা জরুরী বোঝার কষ্ট হলো না ৷ কুৎসিত মনের একটা বিশেষ শ্রেণীর প্রাণী সে ৷ নিজেকে ভাবে মস্ত বড় জ্ঞানী বিজ্ঞানী ৷ তার ফেসবুক ওয়ালে যে সব স্ট্যাটাস দেখলাম, তাতে ধর্মীয় উসকানি, গালি গালাজ, অশীল মন্তব্য, নোংরা ভাষায় মুসুলমানদের আক্রমনে ভরপুর ৷ দেখতে পেলাম মহানবীর কার্টুন তৈরি করে পোষ্ট করেছে ৷ কত বড় হাব্বা, কুৎসিত, নোংরা মনের মানুষ হলে হীন কাজ করতে পারে ৷ এর মধ্যে এমন কী যুক্তি, বিজ্ঞানমনস্ক ভাব লুকিয়ে আছে আমি বুঝতে পারলাম না ৷ আমি হতহম্ব হয়ে গেলাম ৷ শুনেছি এরা যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর ৷ ভেবেছিলাম এরা বুঝি অনেক জ্ঞানী, গুরুগম্ভীর ৷ তার নোংরা মন মানসিকতা দেখে ঘৃনা জন্ম দিল তার প্রতি ! আসিফ মহিউদ্দীনের স্ট্যাটাসে দেখলাম— সে মরিয়মের গর্ভজাত সন্তান নবী ও রসুল হয়রত ঈশা(আঃ) জন্ম'কে সন্দিহান করা ৷ বেশ মশকরা করে স্ট্যাটাস লেখেন ৷ সে কোন মতে বিশ্বাস করতে পারছেন না পুরুষের স্পার্ম ছাড়া কিভাবে সন্তান জন্ম দেয় ! আল্লাহ'র কুদরতে পিতা ছাড়াই নবী ঈশা (আঃ) এর জন্ম হয়েছে ৷ আল্লাহ সূরা আল ইমরান আয়াত ৩: ঘোষনা দেন "নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈশার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমের মতো ৷ তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন" ৷
ঈসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেন ৷ সে এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ৷ আল-কুরআনের সূরা ইমরানে মরিয়ম ও ঈসা (আঃ) এর জন্ম রহস্য উন্মোচন করেছেন ৷ সুতারাং দু চারটে বলদ তা অবিশ্বাস করলে পৃথিবী উল্টো পথে ঘুরবে না ৷

আমি তাকে এস এম এস করলাম — জনাব, আপনি অনেক জ্ঞানী ৷ আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিলে ধন্য হবো ৷
:—"ক্ষুদ্র একটা বিষয়, ঈশা (আঃ) এর পিতৃছাড়া জন্মকে বিশ্বাস করতে পারছেন না, অথচ পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে, তা জোড়ায় জোড়ায় (স্ত্রী লিঙ্গ+পুরুষ লিঙ্গ) আপনাআপনি সৃষ্টি হয়েছে সেটা বিশ্বাস করেন কিভাবে ? কোন বিজ্ঞানী কি আজ পর্যন্ত একটা প্রাণী তৈরি করতে পেরেছে, যে প্রাণী চলাফেরা করতে পারে, খেতে পারে, বংশবিস্তার করতে পারে ? প্রথম প্রাণী কিভাবে পুরুষ লিঙ্গের স্পার্ম ছাড়া বংশবৃদ্ধি করলো" ?
উত্তর:—প্রানী বির্বতনের ফসল ?
প্রশ্ন:—"কি রকম" ?
উত্তর:—মানুষ শিম্পঞ্জি বানর ৷ শিম্পঞ্জি বানর এসেছে পর্বপ্রজাতি সিম্পশিঞ্জ থেকে ৷ একটি প্রাণী থেকে পৃথিবীর সব প্রাণী এসেছে ৷ পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাণীর পরিবর্তন ঘটে ৷ বল্লাম
:—"ওহ দারুণ তো ! তাহলে ভাই ঐ একটা প্রাণী থেকে কি হাতি সৃষ্টি হয়েছে আবার ইদুঁরও সৃষ্টি হয়েছে" ?
জ্ঞানী সাহেব চুপ !! রিপ্লে আসে না ৷ আবার বললাম
:—"আচ্ছা ভাই, প্রথম প্রাণীর অস্তিত্ব আসলো কিভাবে" ?
:—প্রথম প্রাণী বলতে কিছু নেই !
:—"প্রথম প্রাণী না থাকলে দ্বিতীয় প্রাণী কোথায় থেকে আসলো" ?
জ্ঞানী সাহেব চুপ !!
:— ভাই, ঐ প্রথম প্রাণীটা পুরুষলিঙ্গ ছিল নাকি স্ত্রীলিঙ্গ ছিল ?
জ্ঞানী সাহেব এবারও চুপ !!
:—"যদি স্ত্রীলিঙ্গের হয়ে থাকে তাহলে পুরুষলিঙ্গের স্পার্ম ছাড়া কিভাবে বাঁচ্চা জন্ম দিলেন ? আর যদি পুরুষলিঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে নারীলিঙ্গের ডিম্বানু ছাড়া কিভাবে বাঁচ্চা জন্ম দিলেন" ?
জ্ঞানী সাহেব রিপ্লে দেয় না !!
:—"প্রথম প্রানী কি মুরগীর মতো ডিম নাকি বানরের মতো বাঁচ্চা প্রসব করতো" ৷
কোন উত্তর নাই ৷ হাম্বার প্রকারভেদ আছে এর তাও নেই ! আপনাআপনি প্রাণী সৃষ্টির কথা মাথায় ঢুকে অথচ হযরত ঈসা (আঃ) এর পিতৃহীন জন্ম মাথায় ঢুকে না ৷
:— "পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাণীর পরির্বতন ঘটে নাস্তিকদের পরিভাষায় ৷ আচ্ছা ভাই আফ্রিকার কিছু দেশে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ হয় ৷ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় খাদ্যর অভাবে ৷ তো সেখানের মানুষ কেন পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে পরির্বতন করতে পারছে না ? গরু ও ছাগলে বির্বতন হয়ে ঘাস খাক ৷ আপনাদের তথা নাস্তিকগণের আদি পিতা বানরে ফিরে যায় না কেন ? পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ তাতে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের এত মাথা ব্যাথা কেন ? মানুষ বর্তমানে অক্সিজেন গ্রহণ করে সে জন্য কি ? প্রাণী যদি আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয় তাহলে অক্সিজেন শেষ হলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করবে তাতে বিজ্ঞাণীদের দৌড়ঝাপের কি আছে" ?
ভাইজান চুপ !! চেতনায় বাতাস দিচ্ছে ৷ অামি চিন্তা করলাম আবাল একেই বলে ? সহজ দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না সে আবার প্রশ্ন পর্ব খুলে বসে আছে ৷
=====================
নস্তিকরা প্রায়ই প্রশ্ন করে মহান আল্লাহ তায়ালা কি সন্মানিত নবী রসূলদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছেন ?
আসুন একটি লাটিম নিয়ে এর জবাব বের করি।
একটি লাটিম বৃহৎ একটি বৃত্ত থেকে ঘুরতে ঘুরতে সর্বশেষে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। অনুরুপ ভাবে সন্মানিত নবি রসুলগন শ্রীলংকা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে অবশেষে তাদের শেষ মক্কার কেন্দ্র বিন্দুতে মিলিত হয়েছেন।এই বিন্দুটাই হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীর রাজধানী।
১লক্ষ ২৪হাজার থেকে ২লক্ষ ২৪হাজার নবির পদচারনায় পৃথিবী হাজার হাজার বছর ব্যায় করছে। উল্লেখযোগ্য নবি রাসূল ছাড়া আল্লাহ অন্য কারো নাম কুরআনে উল্লেখ করেননি।
==========================
পাগড়ী,দাড়ি এবং টুপিকে কটাক্ষকারী এরা কারা.?? ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারী মুনাফিকদের চিনুন,জানুন প্রতিবাদ করুন,প্রতিবাদ করা প্রত্যের ঈমানী দায়িত্ব
===============★★★================
প্রিয় নবী (সাঃ) এর সুন্নাতি লেবাস ছেড়ে মানুষ এখন বিধর্মীদের আধুনিক পোষাক ও ফ্যাশনের পিচনে দৌড়াচ্ছে, কেউ কেউ নিজের পছন্দের কোট টাই কে প্রাধন্য দিতে গিয়ে রাসুলের সুন্নাতি পোষাক টুপি পাগড়ি কেও সুন্নাহ বলে স্বীকার করেনা এবং ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে, পাগড়ির কথা কোন হাদীসে নেই ওটা সুফিয়ানা পোষাক!

তাদেরকে বলতে চাই ঈমান রক্ষার্থে জায়েয হিসাবে মানুন।সুন্নতের প্রতি কোন তোহমত দিবেন না।কারণ এই তোহমত সোনার মদিনায় লাগে?

রাসুল (সাঃ) এর এই রাজকীয় পোষাক কে ওরা ঠাট্টা বিদ্রূপ করে অপমান করে থাকেন এবং বে-দ্বীনী পোষাক কোট টাই পরাটা কে যুগউপযোগী ও গর্ব মনে করেন, আর মিডিয়াতে বসে ঐ সব বাংলা শায়খরা সাধারন মানুষ কে ল্যাকচার দিয়ে বেড়ায় টুপি পাগড়ির কথা কোরআন হাদীসে নেই!

টুপি পড়া, পাগড়ী পড়া, দাঁড়ি রাখা সম্পর্কে মুনাফিকদের যুক্তি হলো নিম্নরুপ.....................!!!

প্রসঙ্গ-১: টুপি পড়া
মুসলমানদের টুপি-দাঁড়ি-পায়জামা-পাঞ্জাবী পড়াকে আমরা "ধর্মীয় লেবাস" বলে কটাক্ষ্য করতে দেখি। অথচ বিধর্মীদের মধ্যেও এই সকল বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হয়, তখন তাতে তাদের বিরোধীতা করে না।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপি পড়তেন। তাতে তার জাত যায়নি। এতে তিনি মুসলমানও হয়ে যাননি। তিনি টুপি পড়ার প্রতি বিদ্বেষ ও বিরোধীতাও ছিলেন না।

"আন্না হাজারে' বর্তমান সময়ের এক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতের একজন গান্ধীবাদী সমাজকর্মী। তিনিও টুপি পড়েন।

নেপালের রাজা Gyanendra Shah (Jñānendra Vīra Bikrama Śāh) (born 7 July 1947)। নেপালেও এই ধরনের নেপালী টুপি পড়ার প্রচলন আছে।

আসামের গর্ব, ভারতের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ‌'ভূপেন হাজারিকা', গতবছর ২০১১ এর ১০ নভেম্বর পরলোক গমন করেন। তিনিও টুপি পড়তেন। এই টুপিটি দিয়েছিল তার নেপালের এক বন্ধু।।

ভারতের আরেক প্রখ্যাত শিল্পী মান্না দে। তিনিও টুপি পড়েন।ভারতের আরেক রাজনৈতিক জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধীর বাবা। তিনিও টুপি পড়তেন।
ভারতের আরেক রাজনৈতিক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনিও টুপি পড়তেন।তাই নয় কিউবার প্রেসিডেন্ট কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও টুপি পড়েন।আরেক কমিউনিস্ট বিদ্রোহী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভেরাও টুপি পড়তেন।

তাহলে প্রশ্ন হলো- মুসলমানদের টুপি পড়তে এতো অনিহা কেন? অন্যরা তো আমাদের সুন্নাত ঠিকই পালন করে যাচ্ছে। আর আমরা "ধর্মীয় লেবাস" বলে একে শুধু যে পরিত্যাগ করছি তা নয়, যারা পড়ছে তাদের বিভিন্নভাবে কটাক্ষ্যও করছি। কী লজ্জা আমাদের?

প্রসঙ্গ-২: পাগড়ী পড়াঃ
মাথা ঢেকে রাখা একটি মর্যাদাকর বিষয়। এটা সকল সংস্কৃতিতেই দেখা যায়।

স্বামী বিবেকানন্দ, (জানুয়ারী ১২, ১৮৬৩- জুলাই ৪, ১৯০২) তিনিও পাগড়ী পড়তেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজেও পাগড়ী পড়েন। এগুলোকে তাদের ভাষায় বলা হয়- 'টুরবান' (turbans)।

ভারতের রাজস্থানের মানুষের মধ্যেও পাগড়ী বা টুরবানের (turbans of Rajasthan, India) প্রচলন আছে। আমাদের ধারনা কেবল মাত্র আরবরাই পাগড়ী বা টুপি পরিধান করে, তা নয়।চাইনিজরাও মাথা ঢাকার জন্য টুপি বা হ্যাট ব্যবহার করে।বাংলাদেশের কৃষকও এক ধরণের টুপি বা হ্যাট ব্যবহার করে। যান নাম 'মাথাল'।ওয়েস্টার্নে Cowboy Hats পড়ার একটি প্রচলন আছে। যা আমরা ওয়েস্টার্ণ সিনেমাতে দেখে থাকি। এটা যেন আমাদের দেশের কৃষকের 'মাথাল'-এরই রূপভেদ।মুসলমান পরিচয়ধারী কিছু কুলাঙ্গার এদের দলিল হিসাবে পেশ?আমি বলতে চাই এরা ইসলামের কারা?কি এদের পরিচয়? তাদের পাগড়ীর পরিভাষা কি???

প্রসঙ্গ-৩: দাঁড়ি রাখাঃ
মুসলমানদের মুখে দাড়ি দেখলে অনেক মুসলমানদের মুখেই অনেকবার শুনেছি- "হুজুর" বলে সম্বোধন। উপরে নীচের কথিত মানুষেরা কেউ প্রায়োগিক অর্থে "হুজুর" ছিলেন না।তারা সবাই বিধর্মী ছিলেন!

হ্যান্স ল্যাংসেথ (Hans Langseth), ধারণা করা হয় তার দাড়ি ছিল সর্বকালের সব থেকে লম্বা দাড়ি। যার দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। তিনি ১৯২৭ সালে মারা যান। তিনি কিন্তু মুসলিম ছিলেন না। তার দাড়ি রাখার জন্য তাকে রাজাকার বা জঙ্গি কিংবা হুজুরও বলা হতো না।তাহলে তার দাড়ির প্রতি কথিত মুনাফেকদের যুক্তি কেন?তাও মুসলিমদের বিপক্ষে!

সনাতন হিন্দু ধর্মের বৈদিক ঋষিগণেরও দাড়ি ছিল।
ইহুদী (Jewish) ধর্ম নেতাদের বলা হয় Rabbi
তাদেরও দাড়ি থাকে। কিন্তু তাদের তো এতো ঝক্কি পোহাতে হয় না দাঁড়ি রাখার জন্য।

খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারক যিশু খ্রিস্ট (Jesus Christ) আর মুসলমানদের ধর্মীয় মতে- ঈসা (আঃ) এর যে ছবি খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রচার করতে দেখা যায়, তাতেও তার যে দাড়ি ছিল সেটা স্পষ্ট।ইতালীর প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, যিনি 'মোনালিসা'র জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো দা ভিঞ্চির লম্বা দাঁড়ি ছিল।

বিবর্তনবাদী চার্লস রবার্ট ডারউইন-এরও লম্বা দাঁড়ি ছিল।যার নামানুসারে নোবেল পুরুষ্কার দেয়া হয়, সেই আলফ্রেড নোবেল-এরও মুখে দাঁড়ি ছিল সমাজ বিজ্ঞানী কার্ল মার্ক্স এর দাড়ি ছিল।ফ্রিডরিখ অ্যাঙ্গেলস এরও দাড়ি ছিল।রাশিয়ার শাসক ভ্লাদিমির লেনিনের মুখেও দাড়ি ছিল।মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েডেরও দাঁড়ি ছিল।রাশিয়ার কবি কাউন্ট লিও লিকোনোভিচ তলস্তয়-এরও দাঁড়ি ছিল।
কথিত ইসলামিক স্কলারদের কাছে আমি জানতে চাই মুসলমাদের দাড়ির উৎস কি রবিন্দ্রনাথ,মনমোহন সিংহ,ডারউইন নাকি লিওলার্দো ভিন্ঞি????

ইন্ডিয়া পাকিস্তানে তাদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্রদের পোষাক হিসেবে কোট টাই কেই বাধ্যতা মূলক করেছে! ইসলামী ও সুন্নাতি পোষাক নাকি সেকেলে!

"পাগড়ী"...!!!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবা গন পাগড়ি ব্যবহার করতেন যা তা বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে। এখানে দু’ একটি হাদীস উল্ল্যেখ করছি।

হযরত যাবের রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) প্রবেশ করলেন। তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি ছিল।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৫৮

হযরত মুগীরা ইবনে শুবা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির উপর মাসাহ করলেন।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮১

তাঁর পাগড়ি পরিধান সংক্রান্ত এ ধরনের আরো অনেক বর্ণনা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।

সাহাবা, তাবেয়ীগণও নামাযে এবং নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি ব্যবহার করতেন। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী ১/৫৬

সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ রাহ. বলেন, আমি মুহাজির সাহাবীগণকে কালো, সাদা, হলুদ, সবুজ বিভিন্ন রঙের পাগড়ি পরতে দেখেছি।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৫৪৮৯

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি মক্কা মুকাররমার উদ্দেশে বের হলে সঙ্গে পাগড়ি নিতেন এবং তা পরিধান করতেন।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৫২

আবু উবাইদ রাহ. বলেছেন, আমি আতা ইবনে ইয়াযিদকে পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১৭৮০

ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻋﺪﻯ ﺍﻟﺒﻬﺮﺍﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﺧﻴﻪ ﻋﺒﺪ ﺍﻻﻋﻠﻰ ﺑﻦ ﻋﺪﻯ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺩﻋﺎ ﻋﻠﻰ ﺑﻦ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻳﻮﻡ ﻏﺪ ﻳﺮﺧﻢ ﻓﻌﻤﻤﻪ ﻭﺍﺭﺧﻰ ﻋﺬﺑﺔ ﺍﻟﻌﻤﺎﻣﺔ ﻣﻦ ﺧﻠﻔﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻫﻜﺬﺍ ﻓﺎﻋﺘﻤﻮﺍ ﻓﺎﻥ ﺍﻟﻌﻤﺎﺋﻢ ﺳﻴﻤﺎﺀ ﺍﻻﺳﻼﻡ - ﻭﻫﻰ ﺍﻟﺤﺎﺟﺰ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ .
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আদিয়্যীল বাহরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ভাই হযরত আব্দুল আ’লা ইবনে আদি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে এক বৃষ্টির দিনে ডেকে উনার মাথা মুবারকে পাগড়ী বেঁধে তার শামলা পিছনে পিঠের উপর ঝুলিয়ে দিলেন। অতঃপর বললেন, তোমরা অনুরূপভাবে পাগড়ী পরিধান কর। কেননা নিশ্চয়ই পাগড়ী পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ নিদর্শন। আর এটা (পাগড়ী) মুসলমান ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্যকারী। অর্থাৎ পাগড়ী পরা মুসলমানগণের নিদর্শন আর পাগড়ী পরা ছেড়ে দেয়া মুশরিকদের নিদর্শন।”
[উমদাতুল কারী ২১তম জিঃ ৩০৮ পৃষ্ঠা, যুরকানী ৬ষ্ঠ জিঃ ২৭২ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ৭৮ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম জিঃ ৪১২পৃষ্ঠা]

ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺍﻟﻤﻠﻴﺢ ﺑﻦ ﺍﺳﺎﻣﺔ ﻋﻦ ﺍﺑﻴﻪ ﺭﻓﻌﻪ ﺍﻋﺘﻤﻮﺍ ﺗﺰﺩﺍﺩﻭﺍ ﺣﻠﻤﺎ ‏( ﻓﺘﺢ ﺍﻟﺒﺎﺭﻯ ﺝ ১০ ﺹ ২৮৩- ﺧﺼﺎﺋﻞ ﺍﻟﻨﺒﻮﻯ ﺹ ৭৮- ﺍﻟﻤﺴﺘﺪﺭﻙ ﺝ ৪ ﺹ ১৯৩- ﻛﺸﻒ ﺍﻟﻐﻤﺔ ﺝ ১ ﺹ ৯৪- ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ ﻭﺍﻟﺰﻳﻨﺔ ﺹ ১২৫- ﻣﺠﻤﻊ ﺍﻟﺰﻭﺍﺋﺪ ﺝ ৫ ﺹ ১১৯- ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﺝ ১
ﺹ ১৯৪- ﻛﺸﻒ ﺍﻟﺨﻔﺎﺀ ﻭﻣﺰﻳﻞ ﺍﻻﻟﺒﺎﺱ ﺝ ২ ﺹ ৬৭)

অর্থ: “হযরত আবুল মুলাইহ্ ইবনে উসামাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা পাগড়ী পরিধান কর। এতে সহনশলীতা ও গাম্ভীর্যতা বৃদ্ধি পাবে।”
[ফতহুল বারী ১০ম জিঃ ২৮৩ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ৭৮ পৃষ্ঠা, আল্ মুসতাদ্রক ৪র্থ জিঃ ১৯৩ পৃষ্ঠা, কাশফুল গুম্মাহ্ ১ম জিঃ ৯৪ পৃষ্ঠা, আল্ লিবাসু ওয়ায্ যীনাহ্ ১২৫ পৃষ্ঠা, মাজমাউয্ যাওয়াইদ ৫ম জিঃ ১১৯ পৃষ্ঠা, আল্ কবীর ১ম জিঃ ১৯৪ পৃষ্ঠা, কাশফুল খফা ওয়া মুযীলুল্ ইলবাস ২য় জিঃ ৬৭ পৃষ্ঠা]

উপরোক্ত হাদীস ও আছার থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, সাহাবা, তাবেয়ীন নামাযে ও নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি পরতেন। তাঁদের কাছে পোশাক হিসেবে পাগড়ির একটি বিশেষ অবস্থান ও গুরুত্ব ছিল।

এখন প্রশ্ন হল পাগড়ি কিভাবে বাঁধবেন?

শিয়া ও অমুসলিমদের পাগড়িতে শিমলা থাকেনা কিন্তু মুসলিমদের পাগড়িতে পিচনে শিমলা বা পাগড়ির অপর মাথার চার আঙ্গুল বা এক বিগত পরিমান পিচনে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَمَّ سَدَلَ عِمَامَتَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ نَافِعٌ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَسْدِلُ عِمَامَتَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، قَالَ عُبَيْدُ اللهِ: وَرَأَيْتُ القَاسِمَ، وَسَالِمًا يَفْعَلاَنِ ذَلِكَ.

হযরত ইবনে উমর রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ যখন পাগড়ি পরতেন, তখন তার শিমলা উভয় কাঁধের মাঝখানে পেছন দিকে ঝুলিয়ে রাখতেন। নাফে রহঃ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ কে এরূপ করতে দেখেছি। নাফেল শিষ্য উবায়দুল্লাহ বলেন, আমি আবু বকর রাঃ এর পৌত্র কাশেম বিন মুহাম্মদকে এরূপ করতে দেখেছি। {তিরমিজী, হাদীস নং-১৭৩৬}

أدركت المهاجرين الأولين يعتمون بعمائم كرابيس سود وبيض وحمر وخضر وصفر، يضع أحدهم العمامة على رأسه ويضع القلنسوة فوقها، ثم يدير العمائم هكذا على كوره لا يخرجها من ذقنه

আমি প্রথম সারির মুহাজিরগণকে দেখেছি তাঁরা সুতির পাগড়ি পরিধান করতেন। কালো, সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের। তারা পাগড়ির কাপড় মাথায় রেখে তার উপর টুপি রাখতেন। অতপর তার উপর পাগড়ি ঘুরিয়ে পরতেন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১২/৫৪৫

"টুপি"....!!!
টুপি মুসলিম উম্মাহর ‘শিআর’ জাতীয় নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনের যুগ থেকে প্রতি যুগে এর উপর ব্যাপকভাবে আমল ছিল। কিন্তু, যেমনটা আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখেছি, ‘আমলে মুতাওয়ারাছে’র (উম্মাহর ও অবিচ্ছিন্ন কর্মের) সূত্রে বর্ণিত সুন্নাহ্র দলীল যখন সনদসহ বর্ণনারসূত্রে খোঁজ করা হয় তখন কখনো কখনো এমনও হয় যে, তা সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তার সনদ সহীহ হয় না। এ কারণে যারা দু’ চার কিতাবের দু’ চার জায়গায় দেখেই কোনো বিষয়কে ভিত্তিহীন বলে দিতে অভ্যস্থ তারা খুব দ্রুত এ ধরণের সুন্নাহকে অস্বীকার করে বসেন। টুপির ক্ষেত্রেও এ ব্যাপার ঘটেছে।

উমর ইবনে খাত্তাব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
الشهداء ثلاثة : رجل مؤمن ... ورفع رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه حتى وقعت قلنسوته أو قلنسوة عمر.
শহীদ হল তিন শ্রেণীর লোক : এমন মুমিন ... এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা তুললেন। তখন তাঁর টুপি পড়ে গেল। অথবা বলেছেন উমরের টুপি পড়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৬ জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৬৪৪ ইত্যাদি)
হাদীসটির ক্ষেত্রে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, ‘হাসানুন গারীবুন।’

‘‘টুপি পরা সুন্নত’’ কথাটি শৈশব থেকেই শুনে আসছি এবং সুন্নতের অনুসারী আলিম-উলামা ও দ্বীনদার মানুষকে তা পরতে দেখেছি। এই ব্যাপক অনুসৃত সুন্নাহর বিষয়ে কখনোই মনে সংশয় জাগেনি। একসময় উচ্চস্তরের পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে চলে এলাম দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মাদরাসায়। সেখানে গিয়েই ছাত্রভাইদের কাছে প্রথম শুনলাম টুপি নিয়ে ভিন্ন কথা, সংশয় সন্দেহ। টুৃপি নাকি হাদীসে নেই। তাই কোনো কোনো আলেম তা পরেন না। শুধু রুমাল ব্যবহার করেন।

এদিকে কিছু প্রবাসী ভাই যারা আরব দেশগুলোতে থাকেন তারা এসে বলেন, আরবে নাকি টুপির গুরুত্ব বা রেওয়াজ নেই। খালি মাথায়ই তারা নামায পড়ে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সেই একই কথা-হাদীসের ভান্ডারে টুপির কথা নেই!
ইদানিং আবার আমাদের দেশে একটি মহল তৈরী হচ্ছে, যারা নির্দিষ্ট কিছু হাদীসের উপর আমল করে আর অন্যগুলোকে বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে এক প্রকার অস্বীকার করে। দ্বীনের অনেক স্বতসিদ্ধ বিষয় এবং নবী-যুগ থেকে অবিচ্ছিন্ন কর্মধারায় সর্বযুগে বিদ্যমান অনেক বিষয়কে স্থুল ও মুখরোচক কিছু অজুহাত দেখিয়ে ভ্রান্ত বলে আর নিজেদের ছাড়া অন্য সকলকে বাতিল বলতে থাকে। ওদের তরফ থেকেও ‘টুপি নেই’ জাতীয় কথা মিডিয়াতেও প্রচারিত হয়েছে। এসব কারণে এ বিষয়ে কিছু কিতাব ঘাঁটাঘাঁটি করলাম যা কিছু সংগ্রহ হল পাঠক মহলের নিকট পেশ করার ইচ্ছা করলাম।
টুপি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম পরেছেন, তাবেয়ীন তাবে-তাবেয়ীন পরেছেন এবং পরবর্তীতে সব যুগেই মুসলিমগণ তা পরিধান করেছেন। টুপি, পাগড়ীর মতোই একটি ইসলামী লেবাস। হাদীসে, আছারে ও ইতিহাসের কিতাবে এ বিষয়ে বহু তথ্য আছে এবং অনেক আলিম-মনীষীর বক্তব্য আছে। এমন প্রতিষ্ঠিত একটি বিষয়কেও যারা ভিত্তিহীন মনে করেন তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপর সত্যিই করুণা হয়। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করছি। প্রথমে হাদীস থেকে।

হাদীস-১
হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত-
عن رجل من الصحابة : قال : أكلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، ورأيت عليه قلنسوة بيضاء
একজন সাহাবী বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর দস্তরখানে খেয়েছি এবং তাঁর মাথায় সাদা টুপি দেখেছি’ (আল ইসাবাহ ৪/৩৩৯)

এ হাদীসটি ইমাম ইবনুস সাকান তার কিতাবুস সাহাবায় সনদসহ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর এ বর্ণনায় সাহাবীর নাম আসেনি। তা এসেছে তাঁর অন্য বর্ণনায় এবং ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেমের বর্ণনায়। তাঁর নাম ফারকাদ।
(দ্র. আততারীখুল কাবীর ৭/১৩১; কিতাবুল জারহি ওয়াত তা’দীল ৭/৮১) উল্লেখ্য, ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা আবু নুআইম আল আসবাহানী রহ.এর এ দাবি খন্ডন করেছেন যে, ফারকাদ সাহাবী আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাননি। বরং হাসান ইবনে মেহরান খাবার খেয়েছেন সাহাবী ফারকাদের সাথে। (মারিফাতুস সাহাবা ৪/১০৪)

হাফেজ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ ক্ষেত্রে আবু নুআইমই ভুলের শিকার হয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতে প্রমাণিত হয় এ বর্ণনা সহীহ। অন্যথায় প্রমাণ-গ্রহণ শুদ্ধ হতো না। এবং আবু নুআইম এর মত ইমাম এর কথাকে খন্ডন করা যেত না।
তাছাড়া সাহাবী ফারকাদ রা.এর আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাওয়ার কথা ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম ও ইবনু আবদিল বারও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।

হাদীস-২
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন
أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يلبس من القلانس في السفر ذوات الآذان، وفي الحضر المشمرة يعني الشامية.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় কান বিশিষ্ট টুপি পরতেন আর আবাসে শামী টুপি পরতেন। (আখলাকুন নুবুওয়্যাহ, আল জামে লি আখলাকির রাবী ওয়া আদাবিস সামে পৃ. ২০২)
এ হাদীসের সকল রাবী ‘‘ছিকা’’। উরওয়া ও হিশাম তো প্রসিদ্ধ ইমাম। আর মুফাদদাল ইবনে ফাদালা নামে দুইজন রাবী আছেন। একজন মিসরী, তিনি অনেক বড় ইমাম ছিলেন। মিসরের কাযী ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ‘‘ছিকা’’। আসমাউর রিজালের কিতাবাদি থেকে প্রতীয়মান হয় সনদে উল্লেখিত ব্যক্তি ইনিই। কারণ তিনিই হিশাম ইবনে উরওয়া ও ইবনে জুরাইজ থেকে রেওয়ায়েত করেন যা আল্লামা ইবনে আদী ও আল্লামা মুহাম্মাদ বিন হাসান বিন কুতায়বা তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
(আল-কামিল ৭/৪০৯ ইকমালু তাহযীবিল কামাল ১১/৩৩৮)
অপর জন বসরী। তাঁর স্মৃতিশক্তির বিষয়ে কিছু আপত্তি থাকলেও ইবনে হিববান তাকে ছিকা রাবীদের মধ্যে গণ্য করেছেন। আবু হাতেম বলেছেন يكتب حديثه
আর ইমাম ইবনে আদী তার একটি বর্ণনাকে ‘মুনকার’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাকিগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন-
‘তার অন্য বর্ণনাগুলো সঠিক।’ সুতরাং সনদে উল্লেখিত রাবী যদি বসরীও হন তবুও তার এ বর্ণনা সঠিক।

হাদীস-৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন আনসারী সাহাবী তাঁর কাছে এলেন। এবং তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আনসারী! আমার ভাই সাদ ইবনে উবাদাহ কেমন আছে? আনসারী বললেন, ভাল আছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কে কে তাকে দেখতে যাবে? অতপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা সংখ্যায় দশের অধিক হব। আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না। চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না, টুপিও না। ঐ কংকরময় ভূমিতে আমরা চলছিলাম। অবশেষে আমরা সাদ এর নিকট পৌঁছলাম তখন তার পাশ থেকে মানুষজন সরে গেল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীরা প্রবেশ করলেন।
এখানে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর বাক্য ‘‘আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না, চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না টুপিও না’’ থেকে বোঝা যায়, ঐ যুগে টুপিও ছিল লিবাসের অংশ এবং কোথাও যাওয়ার জন্য সেগুলো রীতিমত আবশ্যকীয় এর ন্যয় ছিল। তাই এখানে এগুলো না থাকায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর তা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

বিষয়টি ঠিক এরকম যেমন ইমাম বুখারী রহ. সহীহ বুখারীতে বুরনুস প্রমাণ করেছেন। সহীহ বুখারীতে কিতাবুল লিবাসে باب البرانس নামে শিরোনাম দাঁড় করেছেন আর দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন হজের একটি হাদীস।
لا يلبس المحرم القميص ولا العمائم ولا البرانس
‘‘ইহরাম গ্রহণকারী জামাও পরবে না, পাগড়ীও না, বুরনুস (এক প্রকার টুপি)ও না।’’

আল্লামা আবু বকর ইবনুল আরাবী এ হাদীস থেকে পাগড়ী প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তৎকালে পাগড়ী পরিধানের রীতি ছিল। এ কারণে ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা নিষেধ করেছেন।একইভাবে আলোচিত হাদীস দ্বারাও টুপি ও তার প্রচলন প্রমাণে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।

মুজতাহিদ ইমামগণের টুপিঃ
মুজতাহিদ ইমামগণ হলেন কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যকার এবং কুরআন-সুন্নাহর বিধানের সংকলক। গোটা মুসলিম জাহানের অধিকাংশ মুসলিম তাঁদের ব্যাখ্যা অনুসারেই কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেন। তাই তাদের টুপি ব্যবহারের বিষয়টিও উল্লেখ করছি।

ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর টুপিঃ
ইমাম আবু হানীফা উঁচু টুপি পরতেন।-আলইনতিকা, পৃষ্ঠা : ৩২৬; উকুদুল জুমান, পৃষ্ঠা : ৩০০-৩০১

ইমাম মালিক রাহ.-এর টুপিঃ
كان مالك بن أنس إذا أراد أن يخرج يحدث توضأ وضوءه للصلاة ... ولبس قلنسوته ومشط لحيته ...
অর্থ : ইমাম মালেক রাহ. যখন হাদীস বর্ণনার জন্য বের হতেন তখন অযু করতেন, টুপি পরতেন ও দাঁড়ি আঁচড়ে নিতেন।-আলজামে, খতীব বাগদাদী ১/৩৮৮, বর্ণনা : ৯০৩

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-এর টুপিঃ
ফযল ইবনে যিয়াদ বলেন-
رأيت على أبي عبد الله (الإمام أحمد) ... عليه عمامة فوق القلنسوة ... وربما لبس القلنسوة بغير عمامة.
অর্থ : আমি ইমাম আহমদকে টুপির উপর পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। ... তবে কখনো কখনো তিনি পাগড়ি ছাড়া টুপি পরেছেন।-
সিয়ারু আলামিন নুবালা ১১/২২০ (শামেলা)

এ পর্যন্ত আমরা টুপির ক্ষেত্রে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগ ও তাবেয়ী-যুগের ইতিহাস পেলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা সংশয়হীনভাবে বুঝতে পারলাম যে, এসব যুগে টুপি ছিল এবং মুসলমানদের পোশাক হিসেবে অন্যান্য পোশাকের মতো টুপিরও ব্যাপক প্রচলন ছিল। বলাবাহুল্য, প্রত্যেক প্রজন্ম তার পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকেই দ্বীন শেখে।
সুতরাং তাবেয়ীন থেকে তাবে তাবেয়ীন তাদের থেকে তাদের পরবর্তীগণ এভাবে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগের এ সুন্নাহ আমাদের পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এ বিষয়েও আমরা আমাদের স্বর্ণোজ্জ্বল অতীতের সাথে যুক্ত।

দাড়িঃ
দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। যারা দাড়ি মুন্ডন করে তারা ফাসিক বিধায় তাদের ইমামতি মাকরূহে তাহরিমী:মুসলিম জাতির বিশেষ ইউনিফর্ম, ইসলামের অন্যতম নিদর্শন এবং সকল নবী রাসূলগণের তরীকা হলো দাড়ি রাখা। আমাদের দেশে দাড়ি রাখাকে সুন্নাত হিসাবে মানা হয়। সুন্নাত বলায় একটি মুসলিম দল যারা সুন্নাত আমলকে গুরুত্ব প্রদান না করে দাড়ি মুন্ডন বা কর্তন করাকে গুনাহ মনে করে না। অতচ দাড়ি মুন্ডন বা কর্তন করা ইসলামে হারাম। দুঃখ হয় এজন্য যে, আমাদের সমাজে আজ দাড়ি মুন্ডন কারী ইমাম পাওয়া যায়, ইসলামী দলের নেতা দেখা যায়। দাড়ি কেটে কেটে গোফকে লম্বা করার মধ্যে একদল লোক অতি উৎসাহী। দাড়ি কাটা যাদের নিত্যদিনের রুটিন তারা ইসলামী বিপ্লবের স্লোগান দেয়। কুরা’আনী আইন চালু করার নিমিত্তে রাজনীতি করে। নিজে ইসলামের জন্য দা’ওয়াত বা তাবলীগ করে অতচ তার মধ্যে ইসলাম নেই। সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, দাড়ি রাখা মানেই প্রকৃত মুসলমান। আর না রাখাই বিধর্মী তা নয়; বরং এটুকু বলতে হয়, দাড়ি হলো মুসলমানের পরিচয়। আর না রাখা বিধর্মীর আলামত। দাড়ি না রাখা যেমনি হারাম, তেমনি এক মুঠোর চেয়ে কম রাখাও হারাম। দাড়ি,টুপি,পাগড়ীর যারা বিরুধীতা করেন তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই লেখা।

দাড়ি রাখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ইসলামী চিন্তা চেতনায় সকলকে এগিয়ে আসতেই হবে। উৎসাহিত করতে হবে সকলকে দাড়ি রাখার ব্যাপারে। এটা সকল মুসলমানের উপরই কর্তব্য। আমাদের জেনে রাখা উচিত, যারা দাড়ি রাখা নিয়ে কটাক্ষ করে কিংবা নিন্দা-বিদ্রুপ করে তারা অবশ্যই কবীরা গুনাহে লিপ্ত।

* দাড়ি রাখার প্রশ্নে তিনটি বিষয় আমাদের নজরে রাখতে হবে।
১. দাড়ি রাখা,২. দাড়ি লম্বা করা, ৩. একমুঠো পরিমাণ পর্যন্ত রাখা।
* ইসলামে দাড়ি রাখার হুকুম হলো দাড়ি একেমুঠো পরিমাণ লম্বা রাখা। এবিষয়ে নীচে কিছু দালিলীক প্রমাণসহ বিভিন্ন মাস’আলা উত্থাপন করছি :
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হাদীস শরীফে হুযুরে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ি বাড়াও, গোঁফ কাট।’’
(বুখারী শরীফ)

হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত অন্য হাদীসে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘‘মুশরিকদের বিরুদ্ধাচারণ করে গোঁফ কাট, দাড়ি পূর্ণ কর।’’
(মুসলিম শরীফ)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস শরীফে রাসুলে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘‘দাঁড়ি বাড়াও, গোঁফ কাট এবং এই ক্ষেত্রে বিরোধী খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।’’ (মুসনাদে আহমদ ইবন হাম্বল)
হযরত হাসান (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে হুযুরে আকরম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ১০টি বদ-অভ্যাসের কারণে লুত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল। এর মধ্যে সমকাম, ঢোলবাদ্য, মদ্যপান, দাড়ি কর্তন ও গোঁফ লম্বা অন্যতম।’’ ( দুররে মানসুর)

হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুযুরে পাক (সাঃ) মাথা মুবারকে প্রায় সময় তেল ব্যবহার করতেন এবং দাড়ি মুবারকে চিরুনী ব্যবহার করতেন।
( শামায়েলে তিরমিযী)

সাহাবী হযরত রুওয়াইফা (রাঃ) কে একদিন রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘হে রুওয়াইফা সম্ভবত:তুমি আমার পরেও বাঁচবে। তখন তুমি লোকদের বলে দিও-যারা দাড়িতে গুটি পাকায়, ঘোড়ার গলায় ফিতা বাঁধে অথবা হাড় বা গোবর দ্বারা ঢেলা নেয় আমি তার ব্যাপারে দায়িত্ব মুক্ত।’’
(নাসাঈ শরীফ)

দাড়ির পরিমাণঃ
ইমাম মুহাম্মদ র. বলেন- ইমাম আবু হানীফা (র.) হায়ছাম হতে এবং তিনি সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি(ইবনে উমর রা.) দাড়িকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাইরের অংশ ছেটে নিতেন। (কিতাবুল আ-ছার, ইমাম মুহাম্মদ)
হযরত আবু যুর’আ বর্ণনা করেন, হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) দাড়িকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এর অতিরিক্ত অংশ ছেটে নিতেন। (ইবন আবী শায়বা. খন্ড-৮)
অন্যত্র হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আপন দাড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে অবশিষ্ট অংশ কর্তন করতেন। (নাছবুর রায়াহ)

মাস’আলাঃ
১. দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং খন্ডন করা ইজমায়ে উম্মত এর মতে হারাম। অনুরূপ এক মুষ্টির কম দাড়ি রাখার উদ্দেশ্যে কর্তন করা যেমন-পশ্চিমা দেশের অনেকে এবং হিজড়া প্রকৃতির লোকেরা কর্তন করে কোন আলেম এই নিয়মকে জায়েয বলেন নি।
(আল বাহরুর রায়েক-খন্ড-২, ফতওয়ে শামী-খন্ড-৪ পৃষ্টা-১২৩)

২. যারা দাড়ি রাখা ও লম্বা করাকে আয়েব মনে করে এবং দাড়িওয়ালাদের বিদ্রুপ করে-এই সমস্ত কাজে ঈমান রক্ষা করা কঠিন। তাদের তাওবা করতঃ ঈমান নবায়ন করা দরকার। একই সাথে রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক ছবিছুরাত ঠিক করা আবশ্যক।(ইছলাহুর-রুসূম-মাও-থানবী)

৩. শরী’আত মতে দাড়ির সীমা হবে এক মুঠো। এর অতিরিক্ত কেটে ফেলা সন্নাত। (ফতওয়া শামী)
৪. দাড়ি মুন্ডন বা ছাঁটাইকারী ফাসিক বিধায় তার ইমামতি মারূহে তাহরিমী।
( আহছানুল ফতওয়া)

ফিকহবিদগণের অভিমত:
হযরত ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান সায়বানী বলেন- ইমাম আজম আবু হানীফা (র.) ইবনে উমর(রা.) এর উদ্ধিৃতি দিয়ে আমাকে বলেন যে, তিনি ইবনে উমর (রা.) এর মত অর্থাৎ এক মুঠো দাড়ি রাখার মত পোষণ করেন। (কিতাবুল আ-ছার)

*আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) বলেন, ‘‘দাড়ি খন্ডন করা হারাম এবং এক মুঠো পরিমাণ বৃদ্ধি করা ওয়াজিব।’’
(আশি‘আতুল্লুম’আত পৃষ্টা-২১২,খন্ড-১)

*আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) বলেন,‘‘এক মুঠোর কম দাড়ি রাখা জায়েয নয়।’’ (প্রাগুক্ত-খন্ড-৪)

* বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফয়যুলবারী কিতাবের টীকায় আছে, দাড়ি এক মুঠোর কম রাখা হারাম। (খন্ড-৪,পৃঃ-৩৮০)

সুন্নত নিয়ে ঠাট্রাকারীদের পরিণতিঃ
দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা:

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে” আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার দুশমন। (দালায়েলুল আসর)

কওমে লূতের নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য ও ধ্বংসের কারন:
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যতম।

আল্লাহ সুবানুহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান করুন

এবং যারা দাঁড়ি,টুপি,পাগড়ী সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করেন তাদের হেদায়াত দান করুন। আমীন।

পরিশেষে বলতে হয়, কুর’আন-হাদীস ও ফিকহ বিদগণের মত হল-দাড়ি এক মুঠো পরিমাণ রাখা ওয়াজিব।হামেশা মাথায় টুপি পাগড়ী রাখা মোস্তাহাব। যে বা যারা লম্বা দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ বা বিদ্রুপ করে তারা ক্রমান্বয়ে হুযুরে পাক (সাঃ), সাহাবায়ে কিরাম ও খুলাফায়ে রাশীদাকে বিদ্রুপ করছে। বিদ্রুপকারীগণ তাদের ভূল বুঝেও না বুঝার ভান করছে। যারা দাড়ি মুন্ডন করে নবী করীম (সাঃ)এর সুন্নাতের বিরুদ্ধাচারণ করছে তারা কি মৃত্যুর সময় জানে?? মোটেই না। দাড়ী কর্তনকারী ব্যক্তি যদি দাড়ি মুন্ডন অবস্থায় মারা যায়, তবে কী জবাব দিবে নবীজীর সামনে। কবরে তো ফেরেশতাগণ আসবেন, তখন দাড়িবিহীন চেহারা কিভাবে নবী করিম (সাঃ)এর সম্মুখে দেখাবে..???
তারা কখন চিন্তা করে দেখছেন কি তাদের এই ইয়ার্কি-মস্করার ধাক্কাটা সোনার মদিনাওয়ার কলিজায় লাগে!

পরিশেষঃ
রাসুল সাঃ বলেন "যে যে জাতির অনুকরন করবে সে সে জাতি বলেই গন্য হবে"
রাসুলের কথা, কাজ, সম্মতি ও চাল চলন কেই সুন্নাত বলা হয়, পাগড়ি যেহেতু রাসুল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরামগন ব্যবহার করতেন সেহেতু পাগড়ি সুন্নাহ হিসেবেই গন্য।
আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেন " তোমরা আমার ও খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাত কে আকড়ে ধরো" তিনি আরো বলেন " যে আমার সুন্নাত কে ভালবাসলো সে আমাকে ভালবাসলো আর যে আমাকে ভাল বাসলো সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে- আল হাদীস।

তাই আসুন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার হাবীবের অনুস্বরন করি।

আশা করি লেখাটি পড়ার পর আর কোন মুসলিমের পাগড়ি নিয়ে সন্দেহ থাকবেনা ইনশাআল্লাহ।
===========================================================
পাহাড় পর্বত সম্পর্কিত মূর্খ জ্ঞানী নাস্তিকের ভাবনা ও কুরআনের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা।(Md Kabil,27/06/17)
★এ বৈজ্ঞানিক ধারনাগুলো আল্লাহ বলে দিয়েছেন ১৪০০+ বছর আগে।
১) পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের সৃষ্টি।
২) পাহাড় পর্বত পেরেক সদৃশ
৩) পাহাড় পর্বতগুলো কীলকের ন্যায়।
নিচে দেখব, এতদসম্পর্কিত আধুনিক বিজ্ঞান ও কুরআন কি বলে। কিন্তু তার আগে নাস্তিকের ভাবনাগুলো ও জবাব দিই।
★ নাস্তিকের গবেষনালদ্ধ আবিষ্কার - কুরআন মোহাম্মাদ লিখেছে, বাইবেল হতে নেয়া।
★ হা হা মূর্খ কারে কয়!! কারন, পৃথিবী সৃষ্টি হতে আধুনিক বিজ্ঞান জানার আগ পর্যন্ত কেহ এ সত্যগুলো আবিষ্কার করতে পারল না।
বাইবেল শুধু নয়, পৃথিবীর কোন গ্রন্থেই এ তথ্য ছিল না, কুরআন ব্যাতীত।
★ এবার দেখি বিজ্ঞান ও কুরআন যা বলে- আল্লাহ তাআলা
পৃথিবীতে পাহাড়ের ওজন স্থাপন করে প্রাকৃতিক
ভারসাম্য রক্ষা করেছেন। পাহাড় সৃষ্টি করা হয়েছে,
যাতে পৃথিবী নড়াচড়া করতে না পারে। পৃথিবী
নড়াচড়া করলে পৃথিবীর বুকে বসবাসকারীদের
পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যেত। এ
বিষয়ে কোরআন বলছে, ‘আমি জমিনের ওপর
সুদৃঢ় পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি, যাতে তাদের নিয়ে
পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে...।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত :
৩১)
আধুনিক বিজ্ঞানীদের মধ্যে ডা. ফ্রাংক প্রেস
সর্বপ্রথম বলেছিলেন, পর্বতের অত্যন্ত গভীর
শিকড় আছে পৃথিবীর অভ্যন্তরে। সত্যিকার অর্থে
পর্বত একটি ভাসমান বরফ বা খুঁটির মতো, যার ৯০ শতাংশ
থাকে পানির নিচে আর ১০ শতাংশ থাকে ওপরে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, পাহাড় সৃষ্টির আগে পৃথিবী
অস্বাভাবিক উত্তপ্ত ছিল। পর্যায়ক্রমে তাপ বিকিরণের
কারণে পৃথিবী ঠাণ্ডা হয়ে সংকুচিত হতে থাকে।
ভূপৃষ্ঠের ভেতরের অতিরিক্ত চাপের কারণে তার
কিছু অংশ ওপরের দিকে ভাঁজ হয়ে ফুলে উঠতে
থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি হয়।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, যে ভারী ভারী বৃহদাকার
প্লেটগুলো পৃথিবীর ওপরের শক্ত স্তর সৃষ্টি
করে, সেগুলোর নড়াচড়া আর সংঘর্ষের ফলেই
উত্পত্তি ঘটে পর্বতমালার। দুটি প্লেট যখন পরস্পর
ধাক্কা খায় তখন শক্তিশালী প্লেটটি অন্য
প্লেটের নিচে গড়িয়ে চলে যায়। তখন ওপরের
প্লেটটি বেঁকে গিয়ে পর্বত ও উঁচু উঁচু জায়গার
জন্ম দেয়। নিচের স্তরটি ভূমির নিচে অগ্রসর হয়ে
ভেতরের দিকে এক গভীর প্রসারণের জন্ম
দেয়। এর মানে পর্বতের রয়েছে দুটি অংশ।
ওপরে সবার জন্য দর্শনযোগ্য একটি অংশ থাকে।
তেমনি নিচের দিকে গভীরে এর সমপরিমাণ বিস্তৃতি
রয়েছে।
পর্বতগুলো ভূমির ওপরে ও নিম্নদেশে বিস্তৃত
হয়ে পেরেকের মতো ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন
প্লেটকে দৃঢ়ভাবে আটকে ধরে রাখে।
ভূপৃষ্ঠের ওপরের অংশ বা ক্রাস্ট অবিরাম গতিশীল
প্লেট নিয়ে গঠিত। পর্বতগুলো দৃঢ়ভাবে ধরে
রাখার বৈশিষ্ট্যই ভূপৃষ্ঠের ওপরের স্তরকে ধরে
রাখে। এর মাধ্যমে ভূকম্পন প্রতিরোধ করে
অনেকাংশে। অথচ এই ক্রাস্টের রয়েছে
গতিশীল গঠন। পাহাড়ের গঠন সম্পর্কে
বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, মহাদেশগুলোর যে
অঞ্চল পুরু, যেখানে সারি সারি পর্বতমালা আছে,
সে স্থানে ভূপৃষ্ঠের শক্ত স্তর বা ক্রাস্ট
ম্যান্টলের ভেতরে গভীরে ঢুকে যায়।
আধুনিক বিজ্ঞান এ বিষয়ে মতামত দিয়েছে এই
সেদিন। কিন্তু এর হাজারো বছর আগে কোরআন
এ বিষয়ে খবর দিয়েছে। কোরআনের একটি
আয়াতে পাহাড়কে সরাসরি পেরেকের সঙ্গে
তুলনা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কি
জমিনকে করিনি বিছানাসদৃশ এবং পাহাড়গুলোকে
পেরেকস্বরূপ?’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৬-৭)
এমন কোনো পাহাড় নেই, ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে
যার শিকড় নেই; বরং পাহাড়ের দৈর্ঘ্যের দিক থেকে
প্রায় সাড়ে চার গুণ লম্বা অংশ মাটির অভ্যন্তরে
আছে!
তিনিই (আল্লাহ) জমিনকে বিস্তৃত
করেছেন এবং এর মধ্যে পর্বত ও নদী
সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি প্রত্যেক ফল
সৃষ্টি করেছেন দুই ধরনের। তিনি দিবসকে
রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন। এতে অবশ্যই
চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন
আছে। [সুরা : রাদ, আয়াত : ৩ (দ্বিতীয়
পর্ব)]
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে পৃথিবীর
বিস্তৃতি, নদ-নদী, ফল-ফসল ও দিন-রাতের
সৃষ্টি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতের প্রথম কথা হলো, আল্লাহ রাব্বুল
আলামিন জমিনকে বিস্তৃত করেছেন।
এরপর বিস্তৃত জমিনে ভারসাম্য রাখার জন্য
তিনি পাহাড় ও নদী সৃষ্টি করেছেন। এই
পাহাড় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অহেতুক সৃষ্টি
করেননি। পাহাড় আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি।
পাহাড়ের সৌন্দর্য মানুষের মনোযোগ
আকর্ষণ করে। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে
পাহাড়ের ওজন স্থাপন করে প্রাকৃতিক
ভারসাম্য রক্ষা করেছেন।
★ হ্যা, পাহাড় পর্বত কীলকের ন্যায়-
পৃথিবীর শুরু হতে ১৮৬৫
সাল আগ পর্যন্ত কেউ বলতে পারল না, শুধু
বাইবেল নয় কোন গ্রন্থেই এ তথ্য ছিল না।

পর্বতমালা কীলকের ন্যায়
তাঁবু খাটানোর সময় সেটাকে রজ্জু ও
অন্যান্য জিনিস দ্বারা শক্ত করে উপরে
তোলার জন্য কীলক ব্যবহার করি।
আপনারা জানেন, কীলকের অধিকাংশ
মাটির নিচে অদৃশ্য থাকে এবং তার খুব
সামান্য অংশ মাটির উপরে থাকে। এই
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাঁবুকে মজবুত
করার জন্য এবং পতনের হাত থেকে রক্ষা
করার জন্য।
কুরআন বলছে পর্বতমালা কীলকের ন্যায়।
★এই মতবাদ প্রথম ব্যক্ত করেছেন স্যার জর্জ
আইরি ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে। ভূতত্ত্বের
আধুনিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে যে,
পর্বতমালা গভীর সুগ্রোথিত মূলের উপর
স্থাপিত রয়েছে যা ওগুলোকে উপরে তুলে
রাখে এবং পৃথিবীর ভূতককে স্থির রাখে।
কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
বলছেন : “আমি কি পৃথিবীকে বিছানা
বানিয়ে দেয়নি এবং পাহাড়গুলিকে
পেরেক রূপে গেঁড়ে দেয়নি ?” [সূরা নাবা
৭৮:৬-৭]
★কুরআনে এখানে বিছানা, সমতল - হ্যা এটা
সত্য, কারন এখানে পৃথিবীর আকৃতি সমতল বা
বিছানা বলা হয়নি, আয়াতের খন্ডিত অংশ
নয়, পুরোটা দেখুন, অপর অংশ পাহারা পর্বত
বলা।
হ্যা পৃথিবীর আকৃতি এক অংশ সমতল অপর
অংশ পাহাড় পর্বত হতে পারে না। পৃথিবীর
আকৃতি হয়ত সমতল বা গোলাকার হবে। অতএব
কুরআনে এখানে পৃথিবীর বিস্তৃতি বলা যেটা
এক অংশে সমতল যা নদী,সাগর স্থল অপর
অংশে পাহাড়ে ঘেরা। কুরআন ও একই কথা
বলেছে।
অতএব, কুরআন সঠিকই
বলেছে। সমালোচনা যদি করতেই হয়,
আয়াতের পুরা অংশ, আগে ও পরের আয়াত
দিন এবং প্রসংগ। কিন্তু ভন্ডামী করে
খন্ডিত অংশে নয়।
“আর তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন
করেছেন যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে
নিয়ে আন্দোলিত না হয় এবং স্থাপন
করেছেন নদ-নদী ও রাস্তাঘাট, যেন
তোমরা তোমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে
পারো”। [সূরা নাহ্ল ১৬:১৫]
===========================


তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...