আমরা কি আসলেই সত্যকে খুজি ?
=====================
নিম্নশ্রেনীর কুখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত উক্তি-
.
এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি।
মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ। চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
.
এইগুলা কি কোনো ভদ্র সমাজের ভদ্র মানুষের মুখের ভাষা হতে পারে? যে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এই রকম কুরুচি মন্তব্য করতে পারে তাকে কি মানুষ বলা যায়?
.
উহ! দু:খিত তাহাদের শরীরে তো আমার বানরের মানে পশুর DNA রয়েছে! তারা ত মানুষই না! চি চি কতটা নির্লজ্জ হলে মানুষ বলতে পারে সে বানরের বংশধর???
===================
নিশ্চই কোরআনে কোন ভুল নেই!!!
নাস্তিকরা সূরা আত্ব তারিকের 5/6/7 নাম্বার আয়াত দেখিয়ে বলে যে কোরআনে ভুল আছে ৷ কারন বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষের মাঝে কিন্তু কোরআনে বলা হয়েছে মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মাঝ হতে বীর্য তৈরি হয় ৷ অতএব কোরআনে ভুল রয়েছে! আসলেই কি তা সত্য??
আল্লাহ তায়ালা সূরা আত্ব তারিকে বলেছেন
(5
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
Now let man but think from what he is created!
خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ (6
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
He is created from a drop emitted-
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ (7
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
(সূরা আত্ব তারিক)
দেখুন 6 নাম্বার আয়াতে কোথাও বীর্যের কথা বলা হয়নি ৷ সুস্পষ্টভাবে এমন এক পানির কথা বলা হয়েছে যা পুরুষের মেরুদন্ড এবং নারীর বক্ষপাজরের মধ্য থেকে বের হয়ে আসে ৷( তাফসির অনুযায়ী)
কিন্তু নাস্তিকরা এটাকে " বীর্য " বলে চালিয়ে দিতে চায়!
আচ্ছা, যদি কোন নাস্তিক এক গ্লাস পানি আনতে বলে, এবং তাকে পানির বদলে এক গ্লাস বীর্য এনে দেয় তবে সে কি বলবে??? বীর্য খাবে??? কেন খাবে না??? তারাতো বীর্য এবং পানি কে এক করে ফেলছে ,তাই না???
প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এমন উপাদানের কথা বলেছেন যা হতে বীর্য এবং ডিম্বানু তৈরি হয় ৷
আমরা জানি যে যদিও শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যাবলী আলাদা তবুও কোন অংশ নিজে একা কাজ করে না ৷ বরং প্রত্যেকে অন্য অংগের সহায়তা নিয়ে নিজের কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করে ৷ যদি পেট কাজ করা বন্ধ করে দেয় তবে কি বাকি শরীর পুষ্টি পাবে???
সবাই জানে বীর্যের উতপত্তি অন্ডকোষের মধ্যে ৷ কিন্তু শরীরের অন্য অংগ কাজ না করলে কি বীর্য জন্মাবার এবং বেড় হবার সুযোগ থাকত?? অন্য কোন অংশের উপাদান অন্ডকোষে না পৌঁছলে বীর্য গঠিত হতে পারবে??
একটা উদাহরন দিচ্ছি,
রক্ত শুধু পুষ্টিকর পদার্থই নয় বিষাক্ত পদার্থও পরিবহণ করে৷ কিডনি এই বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে৷
ফিল্টারের পর কিডনীতে পেশাব তৈরি হয় এবং একটি নালীর সাহায্যে মূত্রাশয়ে পৌঁছে এবং নির্গত হবার পথ দিয়ে বেড়িয়ে আসে ৷ সকল পেশাব কি কিডনিতেই সৃষ্টি হয়? বাহির হতে কোন উপাদান আসতে হয় না? বাহিরের উপাদান ছাড়াই কিডনিতে পেশাব উতপাদিত হয়?? সমগ্র শরীর হতে দুষিত পদার্থ গুলো কি কিডনিতে আসে না??
যদি দুষিত পদার্থ গুলো সমগ্র শরীর হতে না আসত তবে কি পেশাব তৈরি হত?
এখন যদি কেউ বলে পেশাব তৈরি হয়ে রক্তের বিষাক্ত উপাদান হতে, তবে কি সে ভুল বলল ???
এখন কোরআনের আয়াতগুলো ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন ৷
দেখুন, কোরআনে বলা হয় নাই, "উপাদান গুলো মেরুদন্ড ও পাজড়ের হাড় হতে সৃষ্টি হয় বরং বলা হয়েছে ঐ দুটোর মাঝ খানে যে অংশটি রয়েছে সেখান থেকে ঐ উপাদান গুলো নির্গত হয় ৷ "
তাহলে ভুল কোথায় বলল??? অন্ডকোষের মাঝে সমগ্র বীর্য জমা থাকে?? বাহির হতে কোন উপাদান আসে না???
বাহিরের উপাদান ছাড়াই বীর্য গঠিত হয়???? যে উপাদান গুলো বাহির হতে আসে তাকি মেরুদন্ড এবং বক্ষপাজরের ভিতর দিয়ে না এসে অন্য কোন দিক দিয়ে অন্ডকোষের মাঝে আসতে পারবে??
মূলত, আল্লাহ তায়ালা এখানে সেই উপাদানের কথা বলেছেন যা দিয়ে বীর্য এবং ডিম্বানু তৈরি হয় এবং এও বলেছেন যে এগুলো মেরুদন্ড এবং বক্ষপাজরের মাঝ দিয়ে সবেগে নির্গত হয় ৷
যদি এই উপাদান না নির্গত হয় তবে বীর্য এবং ডিম্বানুর উৎপাদন হবে না ৷
তারপরও যদি নাস্তিকরা পানি কে বীর্য বলে চালিয়ে দিয়ে কোরআন কে ভুল বলতে চায় তবে তাদের পানির পরিবর্তে কি পান করতে বলা উচিত????
=======================
নোমান আলি খান হতে
কুরআনের ভাষাগত মুজিযা ( ৩য় পর্ব)
আরেকটি চমৎকার তুলনা হতে পারেঃ
মক্কা আর বাক্কা।
মক্কার এই দুটি নাম কি আগে কখনো
শুনেছেন আপনারা? দুটি নামই একবার করে
এসেছে কুরআনে। কুরআনে আল্লাহ আযযা
ওয়া জাল মক্কা শব্দটি ব্যবহার করেছেন
সূরা মুহাম্মাদে। আবার সূরা আল ইমরানে
ব্যবহার করেছেন বাক্কা শব্দটি।
ইতিহাসগতভাবে শব্দ দুটি মক্কা শহরটিরই
ভিন্ন দুটি নাম মাত্র। অনেকে বলে থাকেন
যে বাক্কা ছিল প্রাথমিক সময়ের নাম আর
মক্কা পরবর্তী সময়ের।
তবে ভাষাতাত্ত্বিকদের মত এই যে, মক্কা
হল শহরটির মূলনাম আর বাক্কা হল এর
ডাকনাম। বাক্কা শব্দটি এসেছে আরবি
ক্রিয়াপদ “বাক” থেকে, যার অর্থ
“জনাকীর্ণতা”। প্রচুর লোকের সমাগমে
ভিড় সৃষ্টি হওয়া, আধুনিক আরবিতে যাকে
বলা হয়ে থাকে “আল-ইজদিহাম”।
এখন দেখা যাক, সূরা ইমরানে বাক্কা
শব্দটি ব্যবহার হয়েছে, যেখানে শব্দের
শুরুতে উপস্থিত “বা” ধাতুটির উৎপত্তি
“ভিড়” শব্দটি থেকে। এখানে যেই
আয়াতগুলো রয়েছে সেগুলো মূলত হজ্জের
আয়াত – “ওয়া লিল্লাহি আলান নাসি
হিজ্জুল বায়িত”। হজ্জ শব্দটির সাথে
কীসের চিন্তা মাথায় আসে? লোক সমাগম,
ভিড়। তাহলে হজ্জের প্রেক্ষাপটে
সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ কোনটি? বাক্কা।
কিন্তু সূরা মুহাম্মাদের উল্লেখিত অংশে
হজ্জের কোন কথাই নেই, তাই সেখানে
এসেছে মূল শব্দটি – মক্কা। সুবহান আল্লাহ!
আমাদের জন্য মক্কা, বাক্কা তো একই শব্দ,
একটার জায়গায় আরেকটা তো ব্যবহার
করাই যায়। শব্দ দুটি একই জিনিসের দুটি
ভিন্ন নাম বটে, তবে কুরআনে শব্দ দুটির
ভিন্ন প্রয়োগ এর পুঙ্খানুপুঙ্খতার মানদণ্ডে
যে মাত্রা যোগ করেছে তা কুরআনের
অপ্রতিদ্বন্দ্বীটার আরেকটি প্রমাণ ছাড়া
আর কিছুই নয়। মানুষ যখন কথা বলে তখন
এরকম পরিপূর্ণ সূক্ষ্মতা বজায় রাখতে
পারে না। এভাবে সে চিন্তাই করতে
পারে না।
=============================
একজন পতিতালয়ের খদ্দরের উপাখ্যান :-
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
মুসলমানদের শেষ নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য-
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
মুসলমানদের শেষ নবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কিছু দৃষ্টিভঙ্গী বইয়ে পাওয়া যায়-
১) রবীন্দ্রনাথের কাছে মুসলমানদের নবী’র জীবন চরিত কখন ভালোলাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনেকবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ওবিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবিবলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতেপারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"
২) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতেদুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন,তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”
৩) প্রবন্ধ ‘বীর গুরু’তে রবীন্দ্রনাথ বলেছে: "দেব-দৈত্য সকলেই নিজেরউপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতেরপ্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণকরিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।”
উল্লেখ্য মুখে ব্রাহ্ম ধর্ম বলে দাবি করলেও রবীণ্দ্রনাথ ছিলো গোড়া হিন্দুত্ববাদী। এজন্য নিজ এলাকা শিলাইদহে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছিলো সে এবং পূজারব্যয় বহন করতে মুসলমান প্রজাদের বাধ্য করতো। (সূত্র: বাংলাএকাডেমীর ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার” পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ়১৩৯৩) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণসহ বিবরন দিয়েছে।)
অনেকেই এটা জানে না, ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সূচনা হয়েছিলো জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারের হাত ধরেই। তাদের অর্থায়নে সূচিত হয়েছিলো ‘হিন্দু মেলা’ (দেখতে পারেন বাংলাপিডিয়া: http://goo.gl/rrLTCN)। পরবর্তীতে এ হিন্দু মেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হিন্দুত্ববাদী `জাতীয়সভা'। এসভায় কোন ভাবেই কোন মুসলমান, খ্রিস্টান ও নিম্নবর্ণের হিন্দু প্রবেশ করতে পারতো না। হিন্দুমেলার প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন ঠাকুরপরিবারের সদস্যরা, আর কবি রবীন্দ্রনাথ ।
বর্তমানে রবীন্দ্রনাথকে যতই বড় কিছু দাবি করা হোক, ইতিহাসের পাতা থেকে রবীন্দ্রনাথের এ অসত চরিত্রগুলো কখনই মুছে যাবে না।
=================================
প্রমান দিবো ইসলাম ই একমাএ সত্য ধর্ম.
============================
"মাছি" সম্পর্কে নবীজি(স:) যে তথ্য দিয়েছিলেন আজ বিজ্ঞান তা সত্য প্রমাণ করল।
___________________________________________
নবীজি (স:) যখন জীবিত ছিলেন তখন তিনি অনেক মুজিযা (অলৌকিক) দেখিয়েছিলেন।যা দেখে নবীজির নবুওয়তের প্রমাণ পেয়ে লাখ লাখ মানুষ তাকে নবী বলে স্বীকার করে দলে দলে ইসলাম গ্রহন করেছিল। নবীজি (স:) এখন জীবিত নেই কিন্তু তার মুজিযা এখনো শেষ হয়নি।এতবছর পরে এই আধুনিক যুগে তার একটি মুজিযার প্রমাণ মিলল।
"আবু হুরায়রা (র:) থেকে বর্ণিত,রাসুল (স:) বলেছেন, যখন তোমাদের কারো কোন খাবারের পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে সম্পুর্ণ ডুবিয়ে দিবে, তারপর ফেলে দিবে। কারণ এর এক ডানায় থাকে শিফা, অন্য ডানায় থাকে রোগ-জীবাণু" (সহীহ বুখারীঃ ৫৩৬৬)।
বর্তমান বিজ্ঞান বলছে, মাছি বাম ডনায় রোগ জীবাণু বহন করে। যখন মাছি কোন খাবারের উপর বা কোথাও গিয়ে বসে, তখন সে তার বাম ডানা দিয়ে সেখানে স্পর্ষ করে। আর এই রোগের এন্টিবডি আছে মাছির ডান ডানায়। তবে সে সেটা কখনও স্পর্ষ করায় না।
১৪০০ বছর আগে রাসুল (স:) এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা কোথায় করেছিলেন???
রাসূল (স:) কেন মাছিকে সম্পূর্ণ ডুবাতে বলেছেন? মাছির ডানায় কি রোগনাশক ঔষধ রয়েছে?
=====================================
বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ"(বুখারী)।
আমাদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যে উক্ত রোগের জীবানুগুলো দেখেছে? আমাদের কেউ কি উক্ত রোগ নাশক ঔষধ অবলোকন করেছে? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : নিশ্চয়ই তা রয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। সেখানে রোগ রয়েছে মানুষ তা জানতো না। তারা দেখতে পায়, মাছি তার দুই ডানা দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কিছুই জানতো না যে, তার ভিতরে কল্যাণ রয়েছে, না অকল্যাণ রয়েছে।
জ্ঞান বিজ্ঞানের যখন অগ্রগতি হলো, যখন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জীবানু সম্পর্কে জ্ঞানের অগ্রগতির মাধ্যমে বর্ণিত হচ্ছে যে, মাছি মানুষের শত্রু“, সে রোগ জীবানু বহন করে এবং স্থানান্তরিত করে। মাছির ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোগ জীবানু বহনকারী মাছিকে ডুবিয়ে নেয়ার আদেশ করলেন?
কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের আলোকে মাছিকে নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা চালান। জীবানুমুক্ত কিছু পাত্রের মাধ্যমে মাছের বাজার থেকে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবানুমুক্ত টেষ্ট টিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সেই পানিতে অসংখ জীবানু রয়েছে। তারপর জীবানুমুক্ত একটি সূঁচ দিয়ে মাছিকে ঐ পানিতেই ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে,সেই পানিতে আগের মত আর জীবানু নেই, বরং কম। তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন। এমনি ভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন যে, যত বার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবানু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দিখিয়েছেন যে, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবানু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে।
সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবানুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তকা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিল : নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ। (বুখারী) মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তখন যে ডানায় জীবানু থাকে সে ডানাটি খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়। অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ভাইরাস। যদি মাছিকে ডুবিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রতিরোধক ভাইরাস খাদ্যের সঙ্গে মিশে মারাত্মক জীবানুগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনুকুল থাকে। নতুবা এই খাদ্যই জীবানুযুক্ত হয়ে মানব ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবানু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না। অথচ রাসূল (স:) সেগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সে সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং ঐ বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। সেই জাহেলী যুগে এই আশ্চায্যিত তথ্য কে তাঁকে জানিয়ে দিলেন? এটা কি নবীজির নবুয়াতের প্রমাণ রাখেনা??
=============================================
নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বইয়ে বিবর্তনের নামে মিথ্যাচার...
২০১৮ সালের নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বইয়ে 'জৈব বিবর্তন তত্ত্ব' অধ্যায়ে বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা ও হাস্যকর কল্পকাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।
মিথ্যাচার ১: প্রথমে লেখক বিবর্তনের সংজ্ঞা দিয়েছেন, 'জীব জগতের বিভিন্ন জীবের ভিতর এক শ্রেণীর জীব থেকে আরেক শ্রেণীর জীব উন্নত এবং সেই জীবগুলো তাদের পূর্বপুরুষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে বিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমাগত পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে'। এখানে লেখন বিবর্তনের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা মূলত 'ম্যাক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞা। পরক্ষনেই তিনি আধুনিক একটি সংজ্ঞা টেনেছেন যেখানে বলা হয়েছে, 'প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নির্দিষ্ট এলাকায় এক বা কাছাকাছি প্রজাতির এলিল ফ্রেকুয়েন্সির পরিবর্তন'। স্পষ্টই এই সংজ্ঞাটি 'মাইক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে। মাক্রো-ইভোল্যুশন, যার কোনো অস্তিত্ত্ব নাই, এর ফলে ফেনোটিপিক্যাল বা লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে। আর মাইক্রো-ইভোল্যুশন এর ক্ষেত্রে জেনেটিক বা এলিলিক পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু যার প্রভাব ফেনটিপিক্যাল কোনো পরিবর্তন ঘটায় না।
লেখক বিবর্তনের ম্যাক্রো-মাইক্রো লেভেলের বিষয়টি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেছে অথচ বিবর্তনের আধুনিক যে সংজ্ঞাটি তিনি দিয়েছেন সেটা স্পষ্টই 'মাইক্রো-ইভোল্যুশন' এর সংজ্ঞা ছিল!!!
মিথ্যাচার ২: লেখক বলেছে আদি পৃথিবীতে 'কিন্তু অক্সিজেন গ্যাস ছিলোনা'। অবাক হলাম এমন ডাহা মিথ্যা তথ্য কিভাবে ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পন্ন লেখক দিতে পারে? সমস্ত বিজ্ঞানীরা একমত আদি পৃথিবীতে ন্যূনতম ১% অক্সিজেন বিদ্যমান ছিল। শুধু তাই নয়, একদল জিওলোজিস্টস মনে করে, তখন বর্তমান পৃথিবীর ন্যূনতম ৫০% ভাগ অক্সিজেন ছিল। এরপরে লেখক গ্রিক মিথলজির ন্যায় গল্প বলেছেন, বজ্রপাত আর অতিবেগুনি রশ্মির ফলে নাকি অ্যামিনো অ্যাসিড আর নিউক্লিক অ্যাসিড তৈরী হয়!!! তারপরে প্রোটিন, তারপরে প্রাণ!!! পরীক্ষাগারে নাকি এটা প্রমাণিতও হয়েছে।
বুঝতে পারছি Miller-Urey experiment কে এখানে এভিডেন্স হিসাবে কনসিডার করা হয়েছে অথচ এই এক্সপেরিমেন্ট এর সীমাবদ্ধতা এতটাই যা দিয়ে আলাদা একটা প্রবন্ধ লিখা যায়।
মিথ্যাচার ৩: ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করেছেন শেষে এসে। লেখক লিখেছেন, ' বিবর্তন শুধু প্রকৃতির কোলেই ঘটে না। গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে বিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এটিও বিবর্তনের বাস্তবতার প্রমান। জীব জগৎ সম্পর্কে আমরা যতই জানছি, ততই বিবর্তনকে অস্বীকার করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।'
মাইক্রো-এভোল্যুশন কেউ অস্বীকার করে না, কারণ এর পক্ষে এক্সপেরিমেন্টাল এভিডেন্স আছে, কিন্তু ম্যাক্রোর ক্ষেত্রে কোনো প্রমান নাই, যা আছে তা শুধুই গ্রিক মিথোলজিকে হার মানানো কল্পকানিহীনি। এই লেখককে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম,পারলে সে বিবর্তনের (ম্যাক্রো-ইভোল্যুশন) পক্ষে কোনো এক্সপেরিমেন্টাল এভিডেন্স হাজির করুক। লেখন মহা অন্যায় করেছে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে।
উপরন্ত বর্তমান সময়ের সেরা এক্সপেরিমেন্টাল এভোলুশনিস্ট, নাস্তিক বিজ্ঞানী Prof. John S Torday, UCLA, বলেছেন, '''There is no experimental evidence for evolution in the strict sense, empirically showing that “A led to B led to C” either ontogenetically or phylogenetically. There are experiments that demonstrate that evolution is feasible, and those that are consistent with evolution, like the classic observation regarding moths in England changing their coloration, but not how that pigmentation evolved mechanistically. BTW, I am not a Creationist/Intelligent Designer. I am a working scientist with a deep concern for the lack of such evidence, which is clearly the reason for the debate about religious belief and evolution theory. Currently both are beliefs until we are able to provide experimental evidence for evolution.''
একটি লক্ষণীয় বিষয়, আমি লেখকের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে খোজ নিলাম উনি পেশায় একজন চিকিৎসক যার বায়োলজি বিষয়ে মৌলিক কোনো একাডেমিক পড়াশোনা বা গবেষণা নাই। এমন একজন লোককে দিয়ে সরকারি পর্যায়ে বায়োলজি বই লেখানো কি আমাদের দৈন্য দশা আরো ফুটিয়ে তুলছে না?
পরিশেষে, কোমল মতি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য এই সমস্ত অজ্ঞ লেখকদের লেখনী বাদ দিয়ে যারা সত্যিকারের বায়োলজি চর্চা করে তাদের লিখিত বই পাঠ্য করার দাবি করছি, নিতান্তই তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই বইটির মেজর কারেকশন দাবি করছি।
=======================
লোকের মুখে শুনেছি নাস্তিকগণ বিজ্ঞান মনস্ক, যুক্তিবাদী ৷ নাস্তিক জ্ঞানীগুণীও দাবি করে তাই ৷ মনে স্বাদ জাগে কী রকম যুক্তি দেখায় জ্ঞানী নাস্তিকগণ, তা দেখার খুব ইচ্ছা ৷ কবিতা, গল্প লেখার ধর্মঘট ডাকলাম ৷ নাস্তিকদের ফেসবুক 'আই ডি' তন্ন ছন্ন করে কয়েকজনকে খুঁজে পেলাম ৷ তবে তারা ছিল সবাই পাতি নাস্তিক ৷ ঠিক ঐ মুহুর্তে আমার নাস্তিক হবার অফার পাই হাইব্রিড এক দ্বীন বিদ্বেষী কথিত নাস্তিকের নিকট থেকে ৷ তার মাধ্যমে খুঁজে পাই প্রথম সারির কথিত নাস্তিকদের ৷
১.আসিফ মইউদ্দিন :- তার কিছু স্ট্যাটাস পড়ার পর হাসলাম বেশক্ষণ ৷ কারণে অকারণে হাসি আসে ৷ বাংলাদেশে পাগলাদারদ আছে, জার্মাতিতে মনে হয় নাই ৷ থাকলে তো সেখানেই থাকতো ৷ তবে তার চিকিৎসা জরুরী বোঝার কষ্ট হলো না ৷ কুৎসিত মনের একটা বিশেষ শ্রেণীর প্রাণী সে ৷ নিজেকে ভাবে মস্ত বড় জ্ঞানী বিজ্ঞানী ৷ তার ফেসবুক ওয়ালে যে সব স্ট্যাটাস দেখলাম, তাতে ধর্মীয় উসকানি, গালি গালাজ, অশীল মন্তব্য, নোংরা ভাষায় মুসুলমানদের আক্রমনে ভরপুর ৷ দেখতে পেলাম মহানবীর কার্টুন তৈরি করে পোষ্ট করেছে ৷ কত বড় হাব্বা, কুৎসিত, নোংরা মনের মানুষ হলে হীন কাজ করতে পারে ৷ এর মধ্যে এমন কী যুক্তি, বিজ্ঞানমনস্ক ভাব লুকিয়ে আছে আমি বুঝতে পারলাম না ৷ আমি হতহম্ব হয়ে গেলাম ৷ শুনেছি এরা যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর ৷ ভেবেছিলাম এরা বুঝি অনেক জ্ঞানী, গুরুগম্ভীর ৷ তার নোংরা মন মানসিকতা দেখে ঘৃনা জন্ম দিল তার প্রতি ! আসিফ মহিউদ্দীনের স্ট্যাটাসে দেখলাম— সে মরিয়মের গর্ভজাত সন্তান নবী ও রসুল হয়রত ঈশা(আঃ) জন্ম'কে সন্দিহান করা ৷ বেশ মশকরা করে স্ট্যাটাস লেখেন ৷ সে কোন মতে বিশ্বাস করতে পারছেন না পুরুষের স্পার্ম ছাড়া কিভাবে সন্তান জন্ম দেয় ! আল্লাহ'র কুদরতে পিতা ছাড়াই নবী ঈশা (আঃ) এর জন্ম হয়েছে ৷ আল্লাহ সূরা আল ইমরান আয়াত ৩: ঘোষনা দেন "নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈশার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমের মতো ৷ তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন" ৷
ঈসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেন ৷ সে এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ৷ আল-কুরআনের সূরা ইমরানে মরিয়ম ও ঈসা (আঃ) এর জন্ম রহস্য উন্মোচন করেছেন ৷ সুতারাং দু চারটে বলদ তা অবিশ্বাস করলে পৃথিবী উল্টো পথে ঘুরবে না ৷
আমি তাকে এস এম এস করলাম — জনাব, আপনি অনেক জ্ঞানী ৷ আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিলে ধন্য হবো ৷
:—"ক্ষুদ্র একটা বিষয়, ঈশা (আঃ) এর পিতৃছাড়া জন্মকে বিশ্বাস করতে পারছেন না, অথচ পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে, তা জোড়ায় জোড়ায় (স্ত্রী লিঙ্গ+পুরুষ লিঙ্গ) আপনাআপনি সৃষ্টি হয়েছে সেটা বিশ্বাস করেন কিভাবে ? কোন বিজ্ঞানী কি আজ পর্যন্ত একটা প্রাণী তৈরি করতে পেরেছে, যে প্রাণী চলাফেরা করতে পারে, খেতে পারে, বংশবিস্তার করতে পারে ? প্রথম প্রাণী কিভাবে পুরুষ লিঙ্গের স্পার্ম ছাড়া বংশবৃদ্ধি করলো" ?
উত্তর:—প্রানী বির্বতনের ফসল ?
প্রশ্ন:—"কি রকম" ?
উত্তর:—মানুষ শিম্পঞ্জি বানর ৷ শিম্পঞ্জি বানর এসেছে পর্বপ্রজাতি সিম্পশিঞ্জ থেকে ৷ একটি প্রাণী থেকে পৃথিবীর সব প্রাণী এসেছে ৷ পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাণীর পরিবর্তন ঘটে ৷ বল্লাম
:—"ওহ দারুণ তো ! তাহলে ভাই ঐ একটা প্রাণী থেকে কি হাতি সৃষ্টি হয়েছে আবার ইদুঁরও সৃষ্টি হয়েছে" ?
জ্ঞানী সাহেব চুপ !! রিপ্লে আসে না ৷ আবার বললাম
:—"আচ্ছা ভাই, প্রথম প্রাণীর অস্তিত্ব আসলো কিভাবে" ?
:—প্রথম প্রাণী বলতে কিছু নেই !
:—"প্রথম প্রাণী না থাকলে দ্বিতীয় প্রাণী কোথায় থেকে আসলো" ?
জ্ঞানী সাহেব চুপ !!
:— ভাই, ঐ প্রথম প্রাণীটা পুরুষলিঙ্গ ছিল নাকি স্ত্রীলিঙ্গ ছিল ?
জ্ঞানী সাহেব এবারও চুপ !!
:—"যদি স্ত্রীলিঙ্গের হয়ে থাকে তাহলে পুরুষলিঙ্গের স্পার্ম ছাড়া কিভাবে বাঁচ্চা জন্ম দিলেন ? আর যদি পুরুষলিঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে নারীলিঙ্গের ডিম্বানু ছাড়া কিভাবে বাঁচ্চা জন্ম দিলেন" ?
জ্ঞানী সাহেব রিপ্লে দেয় না !!
:—"প্রথম প্রানী কি মুরগীর মতো ডিম নাকি বানরের মতো বাঁচ্চা প্রসব করতো" ৷
কোন উত্তর নাই ৷ হাম্বার প্রকারভেদ আছে এর তাও নেই ! আপনাআপনি প্রাণী সৃষ্টির কথা মাথায় ঢুকে অথচ হযরত ঈসা (আঃ) এর পিতৃহীন জন্ম মাথায় ঢুকে না ৷
:— "পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাণীর পরির্বতন ঘটে নাস্তিকদের পরিভাষায় ৷ আচ্ছা ভাই আফ্রিকার কিছু দেশে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ হয় ৷ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় খাদ্যর অভাবে ৷ তো সেখানের মানুষ কেন পরিবেশ, আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে পরির্বতন করতে পারছে না ? গরু ও ছাগলে বির্বতন হয়ে ঘাস খাক ৷ আপনাদের তথা নাস্তিকগণের আদি পিতা বানরে ফিরে যায় না কেন ? পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ তাতে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের এত মাথা ব্যাথা কেন ? মানুষ বর্তমানে অক্সিজেন গ্রহণ করে সে জন্য কি ? প্রাণী যদি আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয় তাহলে অক্সিজেন শেষ হলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করবে তাতে বিজ্ঞাণীদের দৌড়ঝাপের কি আছে" ?
ভাইজান চুপ !! চেতনায় বাতাস দিচ্ছে ৷ অামি চিন্তা করলাম আবাল একেই বলে ? সহজ দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না সে আবার প্রশ্ন পর্ব খুলে বসে আছে ৷
=====================
নস্তিকরা প্রায়ই প্রশ্ন করে মহান আল্লাহ তায়ালা কি সন্মানিত নবী রসূলদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছেন ?
আসুন একটি লাটিম নিয়ে এর জবাব বের করি।
একটি লাটিম বৃহৎ একটি বৃত্ত থেকে ঘুরতে ঘুরতে সর্বশেষে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। অনুরুপ ভাবে সন্মানিত নবি রসুলগন শ্রীলংকা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে অবশেষে তাদের শেষ মক্কার কেন্দ্র বিন্দুতে মিলিত হয়েছেন।এই বিন্দুটাই হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীর রাজধানী।
১লক্ষ ২৪হাজার থেকে ২লক্ষ ২৪হাজার নবির পদচারনায় পৃথিবী হাজার হাজার বছর ব্যায় করছে। উল্লেখযোগ্য নবি রাসূল ছাড়া আল্লাহ অন্য কারো নাম কুরআনে উল্লেখ করেননি।
==========================
পাগড়ী,দাড়ি এবং টুপিকে কটাক্ষকারী এরা কারা.?? ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারী মুনাফিকদের চিনুন,জানুন প্রতিবাদ করুন,প্রতিবাদ করা প্রত্যের ঈমানী দায়িত্ব
===============★★★================
প্রিয় নবী (সাঃ) এর সুন্নাতি লেবাস ছেড়ে মানুষ এখন বিধর্মীদের আধুনিক পোষাক ও ফ্যাশনের পিচনে দৌড়াচ্ছে, কেউ কেউ নিজের পছন্দের কোট টাই কে প্রাধন্য দিতে গিয়ে রাসুলের সুন্নাতি পোষাক টুপি পাগড়ি কেও সুন্নাহ বলে স্বীকার করেনা এবং ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে, পাগড়ির কথা কোন হাদীসে নেই ওটা সুফিয়ানা পোষাক!
তাদেরকে বলতে চাই ঈমান রক্ষার্থে জায়েয হিসাবে মানুন।সুন্নতের প্রতি কোন তোহমত দিবেন না।কারণ এই তোহমত সোনার মদিনায় লাগে?
রাসুল (সাঃ) এর এই রাজকীয় পোষাক কে ওরা ঠাট্টা বিদ্রূপ করে অপমান করে থাকেন এবং বে-দ্বীনী পোষাক কোট টাই পরাটা কে যুগউপযোগী ও গর্ব মনে করেন, আর মিডিয়াতে বসে ঐ সব বাংলা শায়খরা সাধারন মানুষ কে ল্যাকচার দিয়ে বেড়ায় টুপি পাগড়ির কথা কোরআন হাদীসে নেই!
টুপি পড়া, পাগড়ী পড়া, দাঁড়ি রাখা সম্পর্কে মুনাফিকদের যুক্তি হলো নিম্নরুপ.....................!!!
প্রসঙ্গ-১: টুপি পড়া
মুসলমানদের টুপি-দাঁড়ি-পায়জামা-পাঞ্জাবী পড়াকে আমরা "ধর্মীয় লেবাস" বলে কটাক্ষ্য করতে দেখি। অথচ বিধর্মীদের মধ্যেও এই সকল বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হয়, তখন তাতে তাদের বিরোধীতা করে না।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টুপি পড়তেন। তাতে তার জাত যায়নি। এতে তিনি মুসলমানও হয়ে যাননি। তিনি টুপি পড়ার প্রতি বিদ্বেষ ও বিরোধীতাও ছিলেন না।
"আন্না হাজারে' বর্তমান সময়ের এক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতের একজন গান্ধীবাদী সমাজকর্মী। তিনিও টুপি পড়েন।
নেপালের রাজা Gyanendra Shah (Jñānendra Vīra Bikrama Śāh) (born 7 July 1947)। নেপালেও এই ধরনের নেপালী টুপি পড়ার প্রচলন আছে।
আসামের গর্ব, ভারতের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী 'ভূপেন হাজারিকা', গতবছর ২০১১ এর ১০ নভেম্বর পরলোক গমন করেন। তিনিও টুপি পড়তেন। এই টুপিটি দিয়েছিল তার নেপালের এক বন্ধু।।
ভারতের আরেক প্রখ্যাত শিল্পী মান্না দে। তিনিও টুপি পড়েন।ভারতের আরেক রাজনৈতিক জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধীর বাবা। তিনিও টুপি পড়তেন।
ভারতের আরেক রাজনৈতিক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনিও টুপি পড়তেন।তাই নয় কিউবার প্রেসিডেন্ট কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও টুপি পড়েন।আরেক কমিউনিস্ট বিদ্রোহী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভেরাও টুপি পড়তেন।
তাহলে প্রশ্ন হলো- মুসলমানদের টুপি পড়তে এতো অনিহা কেন? অন্যরা তো আমাদের সুন্নাত ঠিকই পালন করে যাচ্ছে। আর আমরা "ধর্মীয় লেবাস" বলে একে শুধু যে পরিত্যাগ করছি তা নয়, যারা পড়ছে তাদের বিভিন্নভাবে কটাক্ষ্যও করছি। কী লজ্জা আমাদের?
প্রসঙ্গ-২: পাগড়ী পড়াঃ
মাথা ঢেকে রাখা একটি মর্যাদাকর বিষয়। এটা সকল সংস্কৃতিতেই দেখা যায়।
স্বামী বিবেকানন্দ, (জানুয়ারী ১২, ১৮৬৩- জুলাই ৪, ১৯০২) তিনিও পাগড়ী পড়তেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজেও পাগড়ী পড়েন। এগুলোকে তাদের ভাষায় বলা হয়- 'টুরবান' (turbans)।
ভারতের রাজস্থানের মানুষের মধ্যেও পাগড়ী বা টুরবানের (turbans of Rajasthan, India) প্রচলন আছে। আমাদের ধারনা কেবল মাত্র আরবরাই পাগড়ী বা টুপি পরিধান করে, তা নয়।চাইনিজরাও মাথা ঢাকার জন্য টুপি বা হ্যাট ব্যবহার করে।বাংলাদেশের কৃষকও এক ধরণের টুপি বা হ্যাট ব্যবহার করে। যান নাম 'মাথাল'।ওয়েস্টার্নে Cowboy Hats পড়ার একটি প্রচলন আছে। যা আমরা ওয়েস্টার্ণ সিনেমাতে দেখে থাকি। এটা যেন আমাদের দেশের কৃষকের 'মাথাল'-এরই রূপভেদ।মুসলমান পরিচয়ধারী কিছু কুলাঙ্গার এদের দলিল হিসাবে পেশ?আমি বলতে চাই এরা ইসলামের কারা?কি এদের পরিচয়? তাদের পাগড়ীর পরিভাষা কি???
প্রসঙ্গ-৩: দাঁড়ি রাখাঃ
মুসলমানদের মুখে দাড়ি দেখলে অনেক মুসলমানদের মুখেই অনেকবার শুনেছি- "হুজুর" বলে সম্বোধন। উপরে নীচের কথিত মানুষেরা কেউ প্রায়োগিক অর্থে "হুজুর" ছিলেন না।তারা সবাই বিধর্মী ছিলেন!
হ্যান্স ল্যাংসেথ (Hans Langseth), ধারণা করা হয় তার দাড়ি ছিল সর্বকালের সব থেকে লম্বা দাড়ি। যার দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। তিনি ১৯২৭ সালে মারা যান। তিনি কিন্তু মুসলিম ছিলেন না। তার দাড়ি রাখার জন্য তাকে রাজাকার বা জঙ্গি কিংবা হুজুরও বলা হতো না।তাহলে তার দাড়ির প্রতি কথিত মুনাফেকদের যুক্তি কেন?তাও মুসলিমদের বিপক্ষে!
সনাতন হিন্দু ধর্মের বৈদিক ঋষিগণেরও দাড়ি ছিল।
ইহুদী (Jewish) ধর্ম নেতাদের বলা হয় Rabbi
তাদেরও দাড়ি থাকে। কিন্তু তাদের তো এতো ঝক্কি পোহাতে হয় না দাঁড়ি রাখার জন্য।
খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারক যিশু খ্রিস্ট (Jesus Christ) আর মুসলমানদের ধর্মীয় মতে- ঈসা (আঃ) এর যে ছবি খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রচার করতে দেখা যায়, তাতেও তার যে দাড়ি ছিল সেটা স্পষ্ট।ইতালীর প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, যিনি 'মোনালিসা'র জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো দা ভিঞ্চির লম্বা দাঁড়ি ছিল।
বিবর্তনবাদী চার্লস রবার্ট ডারউইন-এরও লম্বা দাঁড়ি ছিল।যার নামানুসারে নোবেল পুরুষ্কার দেয়া হয়, সেই আলফ্রেড নোবেল-এরও মুখে দাঁড়ি ছিল সমাজ বিজ্ঞানী কার্ল মার্ক্স এর দাড়ি ছিল।ফ্রিডরিখ অ্যাঙ্গেলস এরও দাড়ি ছিল।রাশিয়ার শাসক ভ্লাদিমির লেনিনের মুখেও দাড়ি ছিল।মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েডেরও দাঁড়ি ছিল।রাশিয়ার কবি কাউন্ট লিও লিকোনোভিচ তলস্তয়-এরও দাঁড়ি ছিল।
কথিত ইসলামিক স্কলারদের কাছে আমি জানতে চাই মুসলমাদের দাড়ির উৎস কি রবিন্দ্রনাথ,মনমোহন সিংহ,ডারউইন নাকি লিওলার্দো ভিন্ঞি????
ইন্ডিয়া পাকিস্তানে তাদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্রদের পোষাক হিসেবে কোট টাই কেই বাধ্যতা মূলক করেছে! ইসলামী ও সুন্নাতি পোষাক নাকি সেকেলে!
"পাগড়ী"...!!!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবা গন পাগড়ি ব্যবহার করতেন যা তা বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে। এখানে দু’ একটি হাদীস উল্ল্যেখ করছি।
হযরত যাবের রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) প্রবেশ করলেন। তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি ছিল।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৫৮
হযরত মুগীরা ইবনে শুবা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির উপর মাসাহ করলেন।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮১
তাঁর পাগড়ি পরিধান সংক্রান্ত এ ধরনের আরো অনেক বর্ণনা হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।
সাহাবা, তাবেয়ীগণও নামাযে এবং নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি ব্যবহার করতেন। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী ১/৫৬
সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ রাহ. বলেন, আমি মুহাজির সাহাবীগণকে কালো, সাদা, হলুদ, সবুজ বিভিন্ন রঙের পাগড়ি পরতে দেখেছি।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৫৪৮৯
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি মক্কা মুকাররমার উদ্দেশে বের হলে সঙ্গে পাগড়ি নিতেন এবং তা পরিধান করতেন।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৫২
আবু উবাইদ রাহ. বলেছেন, আমি আতা ইবনে ইয়াযিদকে পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১৭৮০
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻋﺪﻯ ﺍﻟﺒﻬﺮﺍﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﺧﻴﻪ ﻋﺒﺪ ﺍﻻﻋﻠﻰ ﺑﻦ ﻋﺪﻯ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺩﻋﺎ ﻋﻠﻰ ﺑﻦ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻳﻮﻡ ﻏﺪ ﻳﺮﺧﻢ ﻓﻌﻤﻤﻪ ﻭﺍﺭﺧﻰ ﻋﺬﺑﺔ ﺍﻟﻌﻤﺎﻣﺔ ﻣﻦ ﺧﻠﻔﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻫﻜﺬﺍ ﻓﺎﻋﺘﻤﻮﺍ ﻓﺎﻥ ﺍﻟﻌﻤﺎﺋﻢ ﺳﻴﻤﺎﺀ ﺍﻻﺳﻼﻡ - ﻭﻫﻰ ﺍﻟﺤﺎﺟﺰ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ .
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আদিয়্যীল বাহরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ভাই হযরত আব্দুল আ’লা ইবনে আদি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে এক বৃষ্টির দিনে ডেকে উনার মাথা মুবারকে পাগড়ী বেঁধে তার শামলা পিছনে পিঠের উপর ঝুলিয়ে দিলেন। অতঃপর বললেন, তোমরা অনুরূপভাবে পাগড়ী পরিধান কর। কেননা নিশ্চয়ই পাগড়ী পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ নিদর্শন। আর এটা (পাগড়ী) মুসলমান ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্যকারী। অর্থাৎ পাগড়ী পরা মুসলমানগণের নিদর্শন আর পাগড়ী পরা ছেড়ে দেয়া মুশরিকদের নিদর্শন।”
[উমদাতুল কারী ২১তম জিঃ ৩০৮ পৃষ্ঠা, যুরকানী ৬ষ্ঠ জিঃ ২৭২ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ৭৮ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম জিঃ ৪১২পৃষ্ঠা]
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺍﻟﻤﻠﻴﺢ ﺑﻦ ﺍﺳﺎﻣﺔ ﻋﻦ ﺍﺑﻴﻪ ﺭﻓﻌﻪ ﺍﻋﺘﻤﻮﺍ ﺗﺰﺩﺍﺩﻭﺍ ﺣﻠﻤﺎ ( ﻓﺘﺢ ﺍﻟﺒﺎﺭﻯ ﺝ ১০ ﺹ ২৮৩- ﺧﺼﺎﺋﻞ ﺍﻟﻨﺒﻮﻯ ﺹ ৭৮- ﺍﻟﻤﺴﺘﺪﺭﻙ ﺝ ৪ ﺹ ১৯৩- ﻛﺸﻒ ﺍﻟﻐﻤﺔ ﺝ ১ ﺹ ৯৪- ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ ﻭﺍﻟﺰﻳﻨﺔ ﺹ ১২৫- ﻣﺠﻤﻊ ﺍﻟﺰﻭﺍﺋﺪ ﺝ ৫ ﺹ ১১৯- ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﺝ ১
ﺹ ১৯৪- ﻛﺸﻒ ﺍﻟﺨﻔﺎﺀ ﻭﻣﺰﻳﻞ ﺍﻻﻟﺒﺎﺱ ﺝ ২ ﺹ ৬৭)
অর্থ: “হযরত আবুল মুলাইহ্ ইবনে উসামাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা পাগড়ী পরিধান কর। এতে সহনশলীতা ও গাম্ভীর্যতা বৃদ্ধি পাবে।”
[ফতহুল বারী ১০ম জিঃ ২৮৩ পৃষ্ঠা, খছাইলে নববী ৭৮ পৃষ্ঠা, আল্ মুসতাদ্রক ৪র্থ জিঃ ১৯৩ পৃষ্ঠা, কাশফুল গুম্মাহ্ ১ম জিঃ ৯৪ পৃষ্ঠা, আল্ লিবাসু ওয়ায্ যীনাহ্ ১২৫ পৃষ্ঠা, মাজমাউয্ যাওয়াইদ ৫ম জিঃ ১১৯ পৃষ্ঠা, আল্ কবীর ১ম জিঃ ১৯৪ পৃষ্ঠা, কাশফুল খফা ওয়া মুযীলুল্ ইলবাস ২য় জিঃ ৬৭ পৃষ্ঠা]
উপরোক্ত হাদীস ও আছার থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, সাহাবা, তাবেয়ীন নামাযে ও নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি পরতেন। তাঁদের কাছে পোশাক হিসেবে পাগড়ির একটি বিশেষ অবস্থান ও গুরুত্ব ছিল।
এখন প্রশ্ন হল পাগড়ি কিভাবে বাঁধবেন?
শিয়া ও অমুসলিমদের পাগড়িতে শিমলা থাকেনা কিন্তু মুসলিমদের পাগড়িতে পিচনে শিমলা বা পাগড়ির অপর মাথার চার আঙ্গুল বা এক বিগত পরিমান পিচনে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَمَّ سَدَلَ عِمَامَتَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ نَافِعٌ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَسْدِلُ عِمَامَتَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، قَالَ عُبَيْدُ اللهِ: وَرَأَيْتُ القَاسِمَ، وَسَالِمًا يَفْعَلاَنِ ذَلِكَ.
হযরত ইবনে উমর রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ যখন পাগড়ি পরতেন, তখন তার শিমলা উভয় কাঁধের মাঝখানে পেছন দিকে ঝুলিয়ে রাখতেন। নাফে রহঃ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ কে এরূপ করতে দেখেছি। নাফেল শিষ্য উবায়দুল্লাহ বলেন, আমি আবু বকর রাঃ এর পৌত্র কাশেম বিন মুহাম্মদকে এরূপ করতে দেখেছি। {তিরমিজী, হাদীস নং-১৭৩৬}
أدركت المهاجرين الأولين يعتمون بعمائم كرابيس سود وبيض وحمر وخضر وصفر، يضع أحدهم العمامة على رأسه ويضع القلنسوة فوقها، ثم يدير العمائم هكذا على كوره لا يخرجها من ذقنه
আমি প্রথম সারির মুহাজিরগণকে দেখেছি তাঁরা সুতির পাগড়ি পরিধান করতেন। কালো, সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের। তারা পাগড়ির কাপড় মাথায় রেখে তার উপর টুপি রাখতেন। অতপর তার উপর পাগড়ি ঘুরিয়ে পরতেন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১২/৫৪৫
"টুপি"....!!!
টুপি মুসলিম উম্মাহর ‘শিআর’ জাতীয় নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনের যুগ থেকে প্রতি যুগে এর উপর ব্যাপকভাবে আমল ছিল। কিন্তু, যেমনটা আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখেছি, ‘আমলে মুতাওয়ারাছে’র (উম্মাহর ও অবিচ্ছিন্ন কর্মের) সূত্রে বর্ণিত সুন্নাহ্র দলীল যখন সনদসহ বর্ণনারসূত্রে খোঁজ করা হয় তখন কখনো কখনো এমনও হয় যে, তা সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তার সনদ সহীহ হয় না। এ কারণে যারা দু’ চার কিতাবের দু’ চার জায়গায় দেখেই কোনো বিষয়কে ভিত্তিহীন বলে দিতে অভ্যস্থ তারা খুব দ্রুত এ ধরণের সুন্নাহকে অস্বীকার করে বসেন। টুপির ক্ষেত্রেও এ ব্যাপার ঘটেছে।
উমর ইবনে খাত্তাব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
الشهداء ثلاثة : رجل مؤمن ... ورفع رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه حتى وقعت قلنسوته أو قلنسوة عمر.
শহীদ হল তিন শ্রেণীর লোক : এমন মুমিন ... এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা তুললেন। তখন তাঁর টুপি পড়ে গেল। অথবা বলেছেন উমরের টুপি পড়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৬ জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৬৪৪ ইত্যাদি)
হাদীসটির ক্ষেত্রে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, ‘হাসানুন গারীবুন।’
‘‘টুপি পরা সুন্নত’’ কথাটি শৈশব থেকেই শুনে আসছি এবং সুন্নতের অনুসারী আলিম-উলামা ও দ্বীনদার মানুষকে তা পরতে দেখেছি। এই ব্যাপক অনুসৃত সুন্নাহর বিষয়ে কখনোই মনে সংশয় জাগেনি। একসময় উচ্চস্তরের পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে চলে এলাম দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মাদরাসায়। সেখানে গিয়েই ছাত্রভাইদের কাছে প্রথম শুনলাম টুপি নিয়ে ভিন্ন কথা, সংশয় সন্দেহ। টুৃপি নাকি হাদীসে নেই। তাই কোনো কোনো আলেম তা পরেন না। শুধু রুমাল ব্যবহার করেন।
এদিকে কিছু প্রবাসী ভাই যারা আরব দেশগুলোতে থাকেন তারা এসে বলেন, আরবে নাকি টুপির গুরুত্ব বা রেওয়াজ নেই। খালি মাথায়ই তারা নামায পড়ে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সেই একই কথা-হাদীসের ভান্ডারে টুপির কথা নেই!
ইদানিং আবার আমাদের দেশে একটি মহল তৈরী হচ্ছে, যারা নির্দিষ্ট কিছু হাদীসের উপর আমল করে আর অন্যগুলোকে বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে এক প্রকার অস্বীকার করে। দ্বীনের অনেক স্বতসিদ্ধ বিষয় এবং নবী-যুগ থেকে অবিচ্ছিন্ন কর্মধারায় সর্বযুগে বিদ্যমান অনেক বিষয়কে স্থুল ও মুখরোচক কিছু অজুহাত দেখিয়ে ভ্রান্ত বলে আর নিজেদের ছাড়া অন্য সকলকে বাতিল বলতে থাকে। ওদের তরফ থেকেও ‘টুপি নেই’ জাতীয় কথা মিডিয়াতেও প্রচারিত হয়েছে। এসব কারণে এ বিষয়ে কিছু কিতাব ঘাঁটাঘাঁটি করলাম যা কিছু সংগ্রহ হল পাঠক মহলের নিকট পেশ করার ইচ্ছা করলাম।
টুপি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম পরেছেন, তাবেয়ীন তাবে-তাবেয়ীন পরেছেন এবং পরবর্তীতে সব যুগেই মুসলিমগণ তা পরিধান করেছেন। টুপি, পাগড়ীর মতোই একটি ইসলামী লেবাস। হাদীসে, আছারে ও ইতিহাসের কিতাবে এ বিষয়ে বহু তথ্য আছে এবং অনেক আলিম-মনীষীর বক্তব্য আছে। এমন প্রতিষ্ঠিত একটি বিষয়কেও যারা ভিত্তিহীন মনে করেন তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপর সত্যিই করুণা হয়। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করছি। প্রথমে হাদীস থেকে।
হাদীস-১
হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত-
عن رجل من الصحابة : قال : أكلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، ورأيت عليه قلنسوة بيضاء
একজন সাহাবী বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর দস্তরখানে খেয়েছি এবং তাঁর মাথায় সাদা টুপি দেখেছি’ (আল ইসাবাহ ৪/৩৩৯)
এ হাদীসটি ইমাম ইবনুস সাকান তার কিতাবুস সাহাবায় সনদসহ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর এ বর্ণনায় সাহাবীর নাম আসেনি। তা এসেছে তাঁর অন্য বর্ণনায় এবং ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেমের বর্ণনায়। তাঁর নাম ফারকাদ।
(দ্র. আততারীখুল কাবীর ৭/১৩১; কিতাবুল জারহি ওয়াত তা’দীল ৭/৮১) উল্লেখ্য, ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা আবু নুআইম আল আসবাহানী রহ.এর এ দাবি খন্ডন করেছেন যে, ফারকাদ সাহাবী আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাননি। বরং হাসান ইবনে মেহরান খাবার খেয়েছেন সাহাবী ফারকাদের সাথে। (মারিফাতুস সাহাবা ৪/১০৪)
হাফেজ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ ক্ষেত্রে আবু নুআইমই ভুলের শিকার হয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতে প্রমাণিত হয় এ বর্ণনা সহীহ। অন্যথায় প্রমাণ-গ্রহণ শুদ্ধ হতো না। এবং আবু নুআইম এর মত ইমাম এর কথাকে খন্ডন করা যেত না।
তাছাড়া সাহাবী ফারকাদ রা.এর আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাওয়ার কথা ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম ও ইবনু আবদিল বারও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
হাদীস-২
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন
أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يلبس من القلانس في السفر ذوات الآذان، وفي الحضر المشمرة يعني الشامية.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় কান বিশিষ্ট টুপি পরতেন আর আবাসে শামী টুপি পরতেন। (আখলাকুন নুবুওয়্যাহ, আল জামে লি আখলাকির রাবী ওয়া আদাবিস সামে পৃ. ২০২)
এ হাদীসের সকল রাবী ‘‘ছিকা’’। উরওয়া ও হিশাম তো প্রসিদ্ধ ইমাম। আর মুফাদদাল ইবনে ফাদালা নামে দুইজন রাবী আছেন। একজন মিসরী, তিনি অনেক বড় ইমাম ছিলেন। মিসরের কাযী ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ‘‘ছিকা’’। আসমাউর রিজালের কিতাবাদি থেকে প্রতীয়মান হয় সনদে উল্লেখিত ব্যক্তি ইনিই। কারণ তিনিই হিশাম ইবনে উরওয়া ও ইবনে জুরাইজ থেকে রেওয়ায়েত করেন যা আল্লামা ইবনে আদী ও আল্লামা মুহাম্মাদ বিন হাসান বিন কুতায়বা তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
(আল-কামিল ৭/৪০৯ ইকমালু তাহযীবিল কামাল ১১/৩৩৮)
অপর জন বসরী। তাঁর স্মৃতিশক্তির বিষয়ে কিছু আপত্তি থাকলেও ইবনে হিববান তাকে ছিকা রাবীদের মধ্যে গণ্য করেছেন। আবু হাতেম বলেছেন يكتب حديثه
আর ইমাম ইবনে আদী তার একটি বর্ণনাকে ‘মুনকার’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাকিগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন-
‘তার অন্য বর্ণনাগুলো সঠিক।’ সুতরাং সনদে উল্লেখিত রাবী যদি বসরীও হন তবুও তার এ বর্ণনা সঠিক।
হাদীস-৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন আনসারী সাহাবী তাঁর কাছে এলেন। এবং তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আনসারী! আমার ভাই সাদ ইবনে উবাদাহ কেমন আছে? আনসারী বললেন, ভাল আছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কে কে তাকে দেখতে যাবে? অতপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা সংখ্যায় দশের অধিক হব। আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না। চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না, টুপিও না। ঐ কংকরময় ভূমিতে আমরা চলছিলাম। অবশেষে আমরা সাদ এর নিকট পৌঁছলাম তখন তার পাশ থেকে মানুষজন সরে গেল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীরা প্রবেশ করলেন।
এখানে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর বাক্য ‘‘আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না, চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না টুপিও না’’ থেকে বোঝা যায়, ঐ যুগে টুপিও ছিল লিবাসের অংশ এবং কোথাও যাওয়ার জন্য সেগুলো রীতিমত আবশ্যকীয় এর ন্যয় ছিল। তাই এখানে এগুলো না থাকায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর তা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
বিষয়টি ঠিক এরকম যেমন ইমাম বুখারী রহ. সহীহ বুখারীতে বুরনুস প্রমাণ করেছেন। সহীহ বুখারীতে কিতাবুল লিবাসে باب البرانس নামে শিরোনাম দাঁড় করেছেন আর দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন হজের একটি হাদীস।
لا يلبس المحرم القميص ولا العمائم ولا البرانس
‘‘ইহরাম গ্রহণকারী জামাও পরবে না, পাগড়ীও না, বুরনুস (এক প্রকার টুপি)ও না।’’
আল্লামা আবু বকর ইবনুল আরাবী এ হাদীস থেকে পাগড়ী প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তৎকালে পাগড়ী পরিধানের রীতি ছিল। এ কারণে ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা নিষেধ করেছেন।একইভাবে আলোচিত হাদীস দ্বারাও টুপি ও তার প্রচলন প্রমাণে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
মুজতাহিদ ইমামগণের টুপিঃ
মুজতাহিদ ইমামগণ হলেন কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যকার এবং কুরআন-সুন্নাহর বিধানের সংকলক। গোটা মুসলিম জাহানের অধিকাংশ মুসলিম তাঁদের ব্যাখ্যা অনুসারেই কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেন। তাই তাদের টুপি ব্যবহারের বিষয়টিও উল্লেখ করছি।
ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর টুপিঃ
ইমাম আবু হানীফা উঁচু টুপি পরতেন।-আলইনতিকা, পৃষ্ঠা : ৩২৬; উকুদুল জুমান, পৃষ্ঠা : ৩০০-৩০১
ইমাম মালিক রাহ.-এর টুপিঃ
كان مالك بن أنس إذا أراد أن يخرج يحدث توضأ وضوءه للصلاة ... ولبس قلنسوته ومشط لحيته ...
অর্থ : ইমাম মালেক রাহ. যখন হাদীস বর্ণনার জন্য বের হতেন তখন অযু করতেন, টুপি পরতেন ও দাঁড়ি আঁচড়ে নিতেন।-আলজামে, খতীব বাগদাদী ১/৩৮৮, বর্ণনা : ৯০৩
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-এর টুপিঃ
ফযল ইবনে যিয়াদ বলেন-
رأيت على أبي عبد الله (الإمام أحمد) ... عليه عمامة فوق القلنسوة ... وربما لبس القلنسوة بغير عمامة.
অর্থ : আমি ইমাম আহমদকে টুপির উপর পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। ... তবে কখনো কখনো তিনি পাগড়ি ছাড়া টুপি পরেছেন।-
সিয়ারু আলামিন নুবালা ১১/২২০ (শামেলা)
এ পর্যন্ত আমরা টুপির ক্ষেত্রে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগ ও তাবেয়ী-যুগের ইতিহাস পেলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা সংশয়হীনভাবে বুঝতে পারলাম যে, এসব যুগে টুপি ছিল এবং মুসলমানদের পোশাক হিসেবে অন্যান্য পোশাকের মতো টুপিরও ব্যাপক প্রচলন ছিল। বলাবাহুল্য, প্রত্যেক প্রজন্ম তার পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকেই দ্বীন শেখে।
সুতরাং তাবেয়ীন থেকে তাবে তাবেয়ীন তাদের থেকে তাদের পরবর্তীগণ এভাবে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগের এ সুন্নাহ আমাদের পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এ বিষয়েও আমরা আমাদের স্বর্ণোজ্জ্বল অতীতের সাথে যুক্ত।
দাড়িঃ
দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। যারা দাড়ি মুন্ডন করে তারা ফাসিক বিধায় তাদের ইমামতি মাকরূহে তাহরিমী:মুসলিম জাতির বিশেষ ইউনিফর্ম, ইসলামের অন্যতম নিদর্শন এবং সকল নবী রাসূলগণের তরীকা হলো দাড়ি রাখা। আমাদের দেশে দাড়ি রাখাকে সুন্নাত হিসাবে মানা হয়। সুন্নাত বলায় একটি মুসলিম দল যারা সুন্নাত আমলকে গুরুত্ব প্রদান না করে দাড়ি মুন্ডন বা কর্তন করাকে গুনাহ মনে করে না। অতচ দাড়ি মুন্ডন বা কর্তন করা ইসলামে হারাম। দুঃখ হয় এজন্য যে, আমাদের সমাজে আজ দাড়ি মুন্ডন কারী ইমাম পাওয়া যায়, ইসলামী দলের নেতা দেখা যায়। দাড়ি কেটে কেটে গোফকে লম্বা করার মধ্যে একদল লোক অতি উৎসাহী। দাড়ি কাটা যাদের নিত্যদিনের রুটিন তারা ইসলামী বিপ্লবের স্লোগান দেয়। কুরা’আনী আইন চালু করার নিমিত্তে রাজনীতি করে। নিজে ইসলামের জন্য দা’ওয়াত বা তাবলীগ করে অতচ তার মধ্যে ইসলাম নেই। সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, দাড়ি রাখা মানেই প্রকৃত মুসলমান। আর না রাখাই বিধর্মী তা নয়; বরং এটুকু বলতে হয়, দাড়ি হলো মুসলমানের পরিচয়। আর না রাখা বিধর্মীর আলামত। দাড়ি না রাখা যেমনি হারাম, তেমনি এক মুঠোর চেয়ে কম রাখাও হারাম। দাড়ি,টুপি,পাগড়ীর যারা বিরুধীতা করেন তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই লেখা।
দাড়ি রাখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ইসলামী চিন্তা চেতনায় সকলকে এগিয়ে আসতেই হবে। উৎসাহিত করতে হবে সকলকে দাড়ি রাখার ব্যাপারে। এটা সকল মুসলমানের উপরই কর্তব্য। আমাদের জেনে রাখা উচিত, যারা দাড়ি রাখা নিয়ে কটাক্ষ করে কিংবা নিন্দা-বিদ্রুপ করে তারা অবশ্যই কবীরা গুনাহে লিপ্ত।
* দাড়ি রাখার প্রশ্নে তিনটি বিষয় আমাদের নজরে রাখতে হবে।
১. দাড়ি রাখা,২. দাড়ি লম্বা করা, ৩. একমুঠো পরিমাণ পর্যন্ত রাখা।
* ইসলামে দাড়ি রাখার হুকুম হলো দাড়ি একেমুঠো পরিমাণ লম্বা রাখা। এবিষয়ে নীচে কিছু দালিলীক প্রমাণসহ বিভিন্ন মাস’আলা উত্থাপন করছি :
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হাদীস শরীফে হুযুরে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ি বাড়াও, গোঁফ কাট।’’
(বুখারী শরীফ)
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত অন্য হাদীসে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘‘মুশরিকদের বিরুদ্ধাচারণ করে গোঁফ কাট, দাড়ি পূর্ণ কর।’’
(মুসলিম শরীফ)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস শরীফে রাসুলে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘‘দাঁড়ি বাড়াও, গোঁফ কাট এবং এই ক্ষেত্রে বিরোধী খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।’’ (মুসনাদে আহমদ ইবন হাম্বল)
হযরত হাসান (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে হুযুরে আকরম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ১০টি বদ-অভ্যাসের কারণে লুত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল। এর মধ্যে সমকাম, ঢোলবাদ্য, মদ্যপান, দাড়ি কর্তন ও গোঁফ লম্বা অন্যতম।’’ ( দুররে মানসুর)
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুযুরে পাক (সাঃ) মাথা মুবারকে প্রায় সময় তেল ব্যবহার করতেন এবং দাড়ি মুবারকে চিরুনী ব্যবহার করতেন।
( শামায়েলে তিরমিযী)
সাহাবী হযরত রুওয়াইফা (রাঃ) কে একদিন রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘হে রুওয়াইফা সম্ভবত:তুমি আমার পরেও বাঁচবে। তখন তুমি লোকদের বলে দিও-যারা দাড়িতে গুটি পাকায়, ঘোড়ার গলায় ফিতা বাঁধে অথবা হাড় বা গোবর দ্বারা ঢেলা নেয় আমি তার ব্যাপারে দায়িত্ব মুক্ত।’’
(নাসাঈ শরীফ)
দাড়ির পরিমাণঃ
ইমাম মুহাম্মদ র. বলেন- ইমাম আবু হানীফা (র.) হায়ছাম হতে এবং তিনি সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি(ইবনে উমর রা.) দাড়িকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাইরের অংশ ছেটে নিতেন। (কিতাবুল আ-ছার, ইমাম মুহাম্মদ)
হযরত আবু যুর’আ বর্ণনা করেন, হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) দাড়িকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এর অতিরিক্ত অংশ ছেটে নিতেন। (ইবন আবী শায়বা. খন্ড-৮)
অন্যত্র হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আপন দাড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে অবশিষ্ট অংশ কর্তন করতেন। (নাছবুর রায়াহ)
মাস’আলাঃ
১. দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং খন্ডন করা ইজমায়ে উম্মত এর মতে হারাম। অনুরূপ এক মুষ্টির কম দাড়ি রাখার উদ্দেশ্যে কর্তন করা যেমন-পশ্চিমা দেশের অনেকে এবং হিজড়া প্রকৃতির লোকেরা কর্তন করে কোন আলেম এই নিয়মকে জায়েয বলেন নি।
(আল বাহরুর রায়েক-খন্ড-২, ফতওয়ে শামী-খন্ড-৪ পৃষ্টা-১২৩)
২. যারা দাড়ি রাখা ও লম্বা করাকে আয়েব মনে করে এবং দাড়িওয়ালাদের বিদ্রুপ করে-এই সমস্ত কাজে ঈমান রক্ষা করা কঠিন। তাদের তাওবা করতঃ ঈমান নবায়ন করা দরকার। একই সাথে রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক ছবিছুরাত ঠিক করা আবশ্যক।(ইছলাহুর-রুসূম-মাও-থানবী)
৩. শরী’আত মতে দাড়ির সীমা হবে এক মুঠো। এর অতিরিক্ত কেটে ফেলা সন্নাত। (ফতওয়া শামী)
৪. দাড়ি মুন্ডন বা ছাঁটাইকারী ফাসিক বিধায় তার ইমামতি মারূহে তাহরিমী।
( আহছানুল ফতওয়া)
ফিকহবিদগণের অভিমত:
হযরত ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান সায়বানী বলেন- ইমাম আজম আবু হানীফা (র.) ইবনে উমর(রা.) এর উদ্ধিৃতি দিয়ে আমাকে বলেন যে, তিনি ইবনে উমর (রা.) এর মত অর্থাৎ এক মুঠো দাড়ি রাখার মত পোষণ করেন। (কিতাবুল আ-ছার)
*আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) বলেন, ‘‘দাড়ি খন্ডন করা হারাম এবং এক মুঠো পরিমাণ বৃদ্ধি করা ওয়াজিব।’’
(আশি‘আতুল্লুম’আত পৃষ্টা-২১২,খন্ড-১)
*আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) বলেন,‘‘এক মুঠোর কম দাড়ি রাখা জায়েয নয়।’’ (প্রাগুক্ত-খন্ড-৪)
* বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফয়যুলবারী কিতাবের টীকায় আছে, দাড়ি এক মুঠোর কম রাখা হারাম। (খন্ড-৪,পৃঃ-৩৮০)
সুন্নত নিয়ে ঠাট্রাকারীদের পরিণতিঃ
দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা:
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে” আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার দুশমন। (দালায়েলুল আসর)
কওমে লূতের নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য ও ধ্বংসের কারন:
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যতম।
আল্লাহ সুবানুহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান করুন
এবং যারা দাঁড়ি,টুপি,পাগড়ী সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করেন তাদের হেদায়াত দান করুন। আমীন।
পরিশেষে বলতে হয়, কুর’আন-হাদীস ও ফিকহ বিদগণের মত হল-দাড়ি এক মুঠো পরিমাণ রাখা ওয়াজিব।হামেশা মাথায় টুপি পাগড়ী রাখা মোস্তাহাব। যে বা যারা লম্বা দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ বা বিদ্রুপ করে তারা ক্রমান্বয়ে হুযুরে পাক (সাঃ), সাহাবায়ে কিরাম ও খুলাফায়ে রাশীদাকে বিদ্রুপ করছে। বিদ্রুপকারীগণ তাদের ভূল বুঝেও না বুঝার ভান করছে। যারা দাড়ি মুন্ডন করে নবী করীম (সাঃ)এর সুন্নাতের বিরুদ্ধাচারণ করছে তারা কি মৃত্যুর সময় জানে?? মোটেই না। দাড়ী কর্তনকারী ব্যক্তি যদি দাড়ি মুন্ডন অবস্থায় মারা যায়, তবে কী জবাব দিবে নবীজীর সামনে। কবরে তো ফেরেশতাগণ আসবেন, তখন দাড়িবিহীন চেহারা কিভাবে নবী করিম (সাঃ)এর সম্মুখে দেখাবে..???
তারা কখন চিন্তা করে দেখছেন কি তাদের এই ইয়ার্কি-মস্করার ধাক্কাটা সোনার মদিনাওয়ার কলিজায় লাগে!
পরিশেষঃ
রাসুল সাঃ বলেন "যে যে জাতির অনুকরন করবে সে সে জাতি বলেই গন্য হবে"
রাসুলের কথা, কাজ, সম্মতি ও চাল চলন কেই সুন্নাত বলা হয়, পাগড়ি যেহেতু রাসুল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরামগন ব্যবহার করতেন সেহেতু পাগড়ি সুন্নাহ হিসেবেই গন্য।
আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেন " তোমরা আমার ও খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাত কে আকড়ে ধরো" তিনি আরো বলেন " যে আমার সুন্নাত কে ভালবাসলো সে আমাকে ভালবাসলো আর যে আমাকে ভাল বাসলো সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে- আল হাদীস।
তাই আসুন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার হাবীবের অনুস্বরন করি।
আশা করি লেখাটি পড়ার পর আর কোন মুসলিমের পাগড়ি নিয়ে সন্দেহ থাকবেনা ইনশাআল্লাহ।
===========================================================
পাহাড় পর্বত সম্পর্কিত মূর্খ জ্ঞানী নাস্তিকের ভাবনা ও কুরআনের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা।(Md Kabil,27/06/17)
★এ বৈজ্ঞানিক ধারনাগুলো আল্লাহ বলে দিয়েছেন ১৪০০+ বছর আগে।
১) পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের সৃষ্টি।
২) পাহাড় পর্বত পেরেক সদৃশ
৩) পাহাড় পর্বতগুলো কীলকের ন্যায়।
নিচে দেখব, এতদসম্পর্কিত আধুনিক বিজ্ঞান ও কুরআন কি বলে। কিন্তু তার আগে নাস্তিকের ভাবনাগুলো ও জবাব দিই।
★ নাস্তিকের গবেষনালদ্ধ আবিষ্কার - কুরআন মোহাম্মাদ লিখেছে, বাইবেল হতে নেয়া।
★ হা হা মূর্খ কারে কয়!! কারন, পৃথিবী সৃষ্টি হতে আধুনিক বিজ্ঞান জানার আগ পর্যন্ত কেহ এ সত্যগুলো আবিষ্কার করতে পারল না।
বাইবেল শুধু নয়, পৃথিবীর কোন গ্রন্থেই এ তথ্য ছিল না, কুরআন ব্যাতীত।
★ এবার দেখি বিজ্ঞান ও কুরআন যা বলে- আল্লাহ তাআলা
পৃথিবীতে পাহাড়ের ওজন স্থাপন করে প্রাকৃতিক
ভারসাম্য রক্ষা করেছেন। পাহাড় সৃষ্টি করা হয়েছে,
যাতে পৃথিবী নড়াচড়া করতে না পারে। পৃথিবী
নড়াচড়া করলে পৃথিবীর বুকে বসবাসকারীদের
পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যেত। এ
বিষয়ে কোরআন বলছে, ‘আমি জমিনের ওপর
সুদৃঢ় পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি, যাতে তাদের নিয়ে
পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে...।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত :
৩১)
আধুনিক বিজ্ঞানীদের মধ্যে ডা. ফ্রাংক প্রেস
সর্বপ্রথম বলেছিলেন, পর্বতের অত্যন্ত গভীর
শিকড় আছে পৃথিবীর অভ্যন্তরে। সত্যিকার অর্থে
পর্বত একটি ভাসমান বরফ বা খুঁটির মতো, যার ৯০ শতাংশ
থাকে পানির নিচে আর ১০ শতাংশ থাকে ওপরে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, পাহাড় সৃষ্টির আগে পৃথিবী
অস্বাভাবিক উত্তপ্ত ছিল। পর্যায়ক্রমে তাপ বিকিরণের
কারণে পৃথিবী ঠাণ্ডা হয়ে সংকুচিত হতে থাকে।
ভূপৃষ্ঠের ভেতরের অতিরিক্ত চাপের কারণে তার
কিছু অংশ ওপরের দিকে ভাঁজ হয়ে ফুলে উঠতে
থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি হয়।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, যে ভারী ভারী বৃহদাকার
প্লেটগুলো পৃথিবীর ওপরের শক্ত স্তর সৃষ্টি
করে, সেগুলোর নড়াচড়া আর সংঘর্ষের ফলেই
উত্পত্তি ঘটে পর্বতমালার। দুটি প্লেট যখন পরস্পর
ধাক্কা খায় তখন শক্তিশালী প্লেটটি অন্য
প্লেটের নিচে গড়িয়ে চলে যায়। তখন ওপরের
প্লেটটি বেঁকে গিয়ে পর্বত ও উঁচু উঁচু জায়গার
জন্ম দেয়। নিচের স্তরটি ভূমির নিচে অগ্রসর হয়ে
ভেতরের দিকে এক গভীর প্রসারণের জন্ম
দেয়। এর মানে পর্বতের রয়েছে দুটি অংশ।
ওপরে সবার জন্য দর্শনযোগ্য একটি অংশ থাকে।
তেমনি নিচের দিকে গভীরে এর সমপরিমাণ বিস্তৃতি
রয়েছে।
পর্বতগুলো ভূমির ওপরে ও নিম্নদেশে বিস্তৃত
হয়ে পেরেকের মতো ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন
প্লেটকে দৃঢ়ভাবে আটকে ধরে রাখে।
ভূপৃষ্ঠের ওপরের অংশ বা ক্রাস্ট অবিরাম গতিশীল
প্লেট নিয়ে গঠিত। পর্বতগুলো দৃঢ়ভাবে ধরে
রাখার বৈশিষ্ট্যই ভূপৃষ্ঠের ওপরের স্তরকে ধরে
রাখে। এর মাধ্যমে ভূকম্পন প্রতিরোধ করে
অনেকাংশে। অথচ এই ক্রাস্টের রয়েছে
গতিশীল গঠন। পাহাড়ের গঠন সম্পর্কে
বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, মহাদেশগুলোর যে
অঞ্চল পুরু, যেখানে সারি সারি পর্বতমালা আছে,
সে স্থানে ভূপৃষ্ঠের শক্ত স্তর বা ক্রাস্ট
ম্যান্টলের ভেতরে গভীরে ঢুকে যায়।
আধুনিক বিজ্ঞান এ বিষয়ে মতামত দিয়েছে এই
সেদিন। কিন্তু এর হাজারো বছর আগে কোরআন
এ বিষয়ে খবর দিয়েছে। কোরআনের একটি
আয়াতে পাহাড়কে সরাসরি পেরেকের সঙ্গে
তুলনা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কি
জমিনকে করিনি বিছানাসদৃশ এবং পাহাড়গুলোকে
পেরেকস্বরূপ?’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৬-৭)
এমন কোনো পাহাড় নেই, ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে
যার শিকড় নেই; বরং পাহাড়ের দৈর্ঘ্যের দিক থেকে
প্রায় সাড়ে চার গুণ লম্বা অংশ মাটির অভ্যন্তরে
আছে!
তিনিই (আল্লাহ) জমিনকে বিস্তৃত
করেছেন এবং এর মধ্যে পর্বত ও নদী
সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি প্রত্যেক ফল
সৃষ্টি করেছেন দুই ধরনের। তিনি দিবসকে
রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন। এতে অবশ্যই
চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন
আছে। [সুরা : রাদ, আয়াত : ৩ (দ্বিতীয়
পর্ব)]
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে পৃথিবীর
বিস্তৃতি, নদ-নদী, ফল-ফসল ও দিন-রাতের
সৃষ্টি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতের প্রথম কথা হলো, আল্লাহ রাব্বুল
আলামিন জমিনকে বিস্তৃত করেছেন।
এরপর বিস্তৃত জমিনে ভারসাম্য রাখার জন্য
তিনি পাহাড় ও নদী সৃষ্টি করেছেন। এই
পাহাড় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অহেতুক সৃষ্টি
করেননি। পাহাড় আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি।
পাহাড়ের সৌন্দর্য মানুষের মনোযোগ
আকর্ষণ করে। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে
পাহাড়ের ওজন স্থাপন করে প্রাকৃতিক
ভারসাম্য রক্ষা করেছেন।
★ হ্যা, পাহাড় পর্বত কীলকের ন্যায়-
পৃথিবীর শুরু হতে ১৮৬৫
সাল আগ পর্যন্ত কেউ বলতে পারল না, শুধু
বাইবেল নয় কোন গ্রন্থেই এ তথ্য ছিল না।
★
পর্বতমালা কীলকের ন্যায়
তাঁবু খাটানোর সময় সেটাকে রজ্জু ও
অন্যান্য জিনিস দ্বারা শক্ত করে উপরে
তোলার জন্য কীলক ব্যবহার করি।
আপনারা জানেন, কীলকের অধিকাংশ
মাটির নিচে অদৃশ্য থাকে এবং তার খুব
সামান্য অংশ মাটির উপরে থাকে। এই
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাঁবুকে মজবুত
করার জন্য এবং পতনের হাত থেকে রক্ষা
করার জন্য।
কুরআন বলছে পর্বতমালা কীলকের ন্যায়।
★এই মতবাদ প্রথম ব্যক্ত করেছেন স্যার জর্জ
আইরি ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে। ভূতত্ত্বের
আধুনিক অগ্রগতি প্রদর্শন করে যে,
পর্বতমালা গভীর সুগ্রোথিত মূলের উপর
স্থাপিত রয়েছে যা ওগুলোকে উপরে তুলে
রাখে এবং পৃথিবীর ভূতককে স্থির রাখে।
কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
বলছেন : “আমি কি পৃথিবীকে বিছানা
বানিয়ে দেয়নি এবং পাহাড়গুলিকে
পেরেক রূপে গেঁড়ে দেয়নি ?” [সূরা নাবা
৭৮:৬-৭]
★কুরআনে এখানে বিছানা, সমতল - হ্যা এটা
সত্য, কারন এখানে পৃথিবীর আকৃতি সমতল বা
বিছানা বলা হয়নি, আয়াতের খন্ডিত অংশ
নয়, পুরোটা দেখুন, অপর অংশ পাহারা পর্বত
বলা।
হ্যা পৃথিবীর আকৃতি এক অংশ সমতল অপর
অংশ পাহাড় পর্বত হতে পারে না। পৃথিবীর
আকৃতি হয়ত সমতল বা গোলাকার হবে। অতএব
কুরআনে এখানে পৃথিবীর বিস্তৃতি বলা যেটা
এক অংশে সমতল যা নদী,সাগর স্থল অপর
অংশে পাহাড়ে ঘেরা। কুরআন ও একই কথা
বলেছে।
অতএব, কুরআন সঠিকই
বলেছে। সমালোচনা যদি করতেই হয়,
আয়াতের পুরা অংশ, আগে ও পরের আয়াত
দিন এবং প্রসংগ। কিন্তু ভন্ডামী করে
খন্ডিত অংশে নয়।
“আর তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন
করেছেন যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে
নিয়ে আন্দোলিত না হয় এবং স্থাপন
করেছেন নদ-নদী ও রাস্তাঘাট, যেন
তোমরা তোমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে
পারো”। [সূরা নাহ্ল ১৬:১৫]
===========================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.