বিভিন্ন যুক্তি দৃষ্টি ইত্যাদি
নাস্তিকদের গায়ে আগুন লাগার মত খবর!!
------------------------------------
চলতি হিজরি সনে (১৪৩৮হিজরী) এখন পর্যন্ত আমাদের জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার (সউদী আরব) এ ইসলাম গ্রহণ করেছে মোট ২৭৬৫ জন অমুসলিম।
এ নিয়ে অত্র অফিসে গত তিন বছরে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় ১৫,০০০ (পনের হাজার)। আল হামদুলিল্লাহ। এই নব দীক্ষিত মুসলিম ভাইদের প্রচেষ্টায় তাদের অনেকের পরিবারের একাধিক সদস্যও ইসলাম গ্রহণ করেছে।
.
এছাড়াও এখানে কত মানুষ যে, পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তওবা করে ইসলামের রঙ্গে নিজেদের জীবন রঙ্গিন করছে, শিরক, বিদআত, কুসংস্কার ও গোমরাহির অন্ধকার জগত ছেড়ে হেদায়েতের আলোকিত ভুবনে প্রবেশ করেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। আল হামদুলিল্লাহ।
.
এটি কেবল একটি অফিসের খবর বললাম। সউদী আরবের প্রতিটি শহরেই রয়েছেে এমন অনেক দাওয়াহ সেন্টার। সেগুলোতে চলছে দাওয়াতি কার্যক্রম। বাড়ছে ইসলাম কবুলকারীদের সংখ্যা। হেদায়েতের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে অগণিত মানুষ।
.
সুতরাং নাস্তিকদের বলতে চাই, কোন এক কথিত মৌলভী ইসলাম ছেড়ে দিয়েছে বলে সেটা নিয়ে খুব বেশি লাফালাফি করার কিছু নাই। ইসলাম কোন ব্যক্তির মুখাপেক্ষী নয়। বরং প্রতিটি ব্যক্তিই ইসলামের মুখাপেক্ষী।
.
কিন্তু..... আঁধারেই যাদের বসবাস তারা তো আলোকে সহ্য করতে পারেনা। বাদুড় তো চিরদিনই সূর্যের বিরোধিতা করবেই। তাই বলে সূর্য উঠা কি বন্ধ হয়ে যাবে?
.
আরবি কবি বলেন:
মর্যাদার নীল আকাশে সূর্য মোদের দীপ্তিমান।
অন্ধ যদি দেখতে না পায় কিরণ কি তার হয়রে ম্লান?
.
আল্লাহ বলেন:
يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّـهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّـهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
“তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” (সূরা আস সফ: ৮)
.
সুতরাং হে সাথী ও বন্ধুগণ, আমাদের করণীয় হল, সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদেরকে সাজাতে হবে কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান ও আমল দ্বারা। তারপর কাফের, নাস্তিক, মুনাফিক, মুশরিক এবং শিরক, বিদআত ও পাপ-পঙ্কিলতায় ডুবন্ত মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য ধৈর্য, আন্তরিকতা ও ভালবাসা সহকারে দাওয়াত দিতে হবে আর যারা ইসলামের পবিত্র গায়ে তীর ছুড়ার চেষ্টা করবে তাদেরকে জবাব দিতে হবে যথাযথ পদ্ধতিতে। হতাশ হওয়া যাবে না। “মেঘ দেখে তুই করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।”
আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমানকে হেফাজত করুন এবং দাওয়াতি ময়দানে আরও বেশি সময় ও শ্রম দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
---------------
লেখক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
===============================================
নাস্তিকদের প্রশ্নগুলো পড়তে গিয়ে একটা
প্রশ্ন পেলাম এমন – “বর্তমান বিশ্বে মাত্র
১৫০ মিলিয়ন আরবী ভাষাভাষি মানুষ
আছে। আল্লাহ কেন এমন একটা ভাষায়
কোরআন নাজিল করলেন না – যেটাতে
অধিক মানুষ কথা বলে?”
__________
.
আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। একেবারে
আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলাম। যখন কোরআন
কারীম পড়তে গিয়ে তাদের (নাস্তিকদের)
এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেলাম। আল্লাহ
(আযযা ওয়া যাল) কোরআন কারীমে এই
প্রশ্নের জবাবটা পরিষ্কার করেই
দিয়েছেন। তিনি বলেন-
.
ﻭَﻟَﻮْ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻗُﺮْﺁﻧًﺎ ﺃَﻋْﺠَﻤِﻴًّﺎ ﻟَﻘَﺎﻟُﻮﺍ ﻟَﻮْﻟَﺎ ﻓُﺼِّﻠَﺖْ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ
ﺃَﺃَﻋْﺠَﻤِﻲٌّ ﻭَﻋَﺮَﺑِﻲٌّ ۗ ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻫُﺪًﻯ ﻭَﺷِﻔَﺎﺀٌ
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺁﺫَﺍﻧِﻬِﻢْ ﻭَﻗْﺮٌ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻋَﻤًﻰ
ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻳُﻨَﺎﺩَﻭْﻥَ ﻣِﻦْ ﻣَﻜَﺎﻥٍ ﺑَﻌِﻴﺪٍ
.
And if We had made it a non-Arabic Qur'an,
they would have said, "Why are its verses not
explained in detail [in our language]? Is it a
foreign [recitation] and an Arab [messenger]?"
Say, "It is, for those who believe, a guidance
and cure." And those who do not believe - in
their ears is deafness, and it is upon them
blindness. Those are being called from a
distant place.
.
“আমি যদি আরবী ভাষায় কোরআন নাজিল
না করতাম, তাহলে তারা অবশ্যই বলতো –
এর আয়াতগুলি বিশদভাবে বিবৃত হয়নি
কেন? কি আশ্চর্য ব্যাপার! এর (কোরআনের)
ভাষা আজমী অথচ রাসূল আরাবীয়। বলঃ
মু’মিনদের জন্য ইহা (কোরআন) পথ নির্দেশ
ও ব্যাধির প্রতিকার। কিন্তু যারা
অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা
এবং কোরআন হবে তাদের জন্য অন্ধত্ব।
তারা এমন যে – যেন তাদেরকে আহ্বান
করা হয় বহু দূর থেকে।” (সূরা ফুসসিলাত,
৪১:৪৪)
__________
.
❒ অর্থাৎ, আরবী ভাষার পরিবর্তে কোন
অন্য ভাষায় অবতীর্ণ করতাম।
.
❒ অর্থাৎ, আমাদের ভাষায় সেটাকে
বর্ণনা করা হয়নি কেন? তাহলে আমরা
বুঝতে পারতাম। কারণ, আমরা তো আরব,
আরবী ছাড়া অন্য ভাষা বুঝি না।
.
❒ এটাও কাফেরদের কথা। তারা
আশ্চর্যান্বিত হত যে, নবী তো আরবী, আর
কুরআন তাঁর উপর অনারবী ভাষায় অবতীর্ণ
হয়েছে। মোটকথা, কুরআনকে আরবী ভাষায়
অবতীর্ণ করে সর্বপ্রথম যাদেরকে সম্বোধন
করা হয়েছে সেই আরবদের জন্য কোন ওজর-
আপত্তি অবশিষ্ট রাখা হয়নি। এটা যদি
অন্য ভাষায় হত, তাহলে তারা ওজর-
আপত্তি করতে পারত।
.
❒ অর্থাৎ, অনেক দূরে অবস্থিত ব্যক্তি দূরে
থাকার কারণে আহবানকারীর আওয়াজ
শুনতে সক্ষম হয় না, অনুরূপ এই লোকরা যেন
বহু দূরে আছে, তাই তাদের কর্ণকুহরে কুরআন
আসে না।
.
[তাফসীর : আহসানুল বায়ান]
__________
:
:
মহামহিম আল্লাহ সত্য বলেছেন। তিনি
আরো বলেন-
.
ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺄْﺗُﻮﻧَﻚَ ﺑِﻤَﺜَﻞٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺟِﺌْﻨَﺎﻙَ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﺃَﺣْﺴَﻦَ ﺗَﻔْﺴِﻴﺮًﺍ
.
And they do not come to you with an
argument except that We bring you the truth
and the best explanation.
.
“তারা তোমার কাছে এমন কোন সমস্যা
নিয়ে আসে নি, যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর
ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করি
নি।” (সূরা আল-ফুরকান, ২৫:৩৩)
:
:
❒ এখানে সময়ের ব্যবধানে কিছু কিছু করে
কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার কারণ বর্ণনা করা
হচ্ছে যে, মুশরিকরা যখনই কোন উদাহরণ
অথবা আপত্তি বা কোন সন্দেহ উপস্থাপিত
করবে, আমি তখনই কুরআনের মাধ্যমে তার
উত্তর বা ব্যাখ্যা প্রদান করব। এর ফলে
তাদের অন্যদেরকে পথহারা করার সুযোগ
থাকবে না।
.
[তাফসীর : আহসানুল বায়ান]
:
:
# কোরআন_কারীমের_মুজিযা
.
লেখাঃ Jakaria Masud (আল্লাহ তাকে
উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
============================
প্রশ্ন
নাস্তিকরা উত্তর দিতে না পেরে তেনা পেচিয়ে বলে যে, বিবরতন হতে কোটি কোটি বছর সময় লাগে। আর এটাই হচ্ছে নাস্তিকদের ভন্ডামী। আমি আমার একটা পোস্টে রেফারেন্স সহ বলেছি যে, ডারউইন বলেছেন "ভালুক তিমি মাছে পরিণত হয়।" যখন বলা হয় ভালুক তিমি হয়ে যায় তার প্রমাণ দিন তখন নাস্তিকরা পাশ কেটে বলে যে, বিবর্তন হতে কোটি বছর সময় লাগে, তাই আমাদের পক্ষে বিবর্তন দেখা সম্ভব না। এটা হচ্ছে বিজ্ঞানের নাম ভাংগিয়ে নাস্তিকদের একটা ধোকাবাজি মাত্র। বিবর্তন হতে যদি এক কোটি বছর সময় লাগে তাহলে আজ থেকে হাফ কোটি বছর আগে যদি কোনো ভালুকের বিবর্তন শুরু হয় তাহলে আজ ২০১৭ সালে এসে উক্ত ভালুকের কমপক্ষে হাফ(অর্ধেক) তিমিতে পরিণত হবার কথা। তো কোনো ভালুক কি আছে যেটা আজ ২০১৭ সালে এসে হাফ(অর্ধেক) তিমি মাছে পরিণত হয়েছে? বিবর্তন হতে যদি দুই কোটি বছর সময় লাগে তাহলে আজ থেকে এক কোটি বছর আগে যদি কোনো ভালুকের বিবর্তন শুরু হয় তাহলে আজ ২০১৭ সালে এসে উক্ত ভালুকের কমপক্ষে হাফ(অর্ধেক) তিমিতে পরিণত হবার কথা। তো এমন কোনো ভালুক কি আছে যেটা আজ ২০১৭ সালে এসে হাফ তিমি মাছে পরিণত হয়েছে? বিবর্তন হতে যদি দশ কোটি বছর সময় লাগে তাহলে আজ থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে যদি কোনো ভালুকের বিবর্তন শুরু হয় তাহলে আজ ২০১৭ সালে এসে উক্ত ভালুকের হাফ(অর্ধেক) তিমিতে পরিণত হবার কথা এবং আজ থেকে পাঁচ কোটি বছর পরে উক্ত ভালুকের সম্পূর্ণ তিমি মাছে পরিণত হবার কথা। আমরা সম্পূর্ণ তিমি দেখতে পারবনা। কারণ আমরা আজ থেকে পাঁচ কোটি বছর পরে জীবিত থাকবনা। কিন্তু হাফ তিমি দেখার সুযোগ আমাদের আছে। তো এমন কোনো ভালুক কি আছে যেটা বিবর্তিত হতে হতে আজ ২০১৭ সালে এসে হাফ তিমি হয়েছে? হাফ তিমি মানে হচ্ছে ভালুক এবং তিমির মধ্যবর্তী অবস্থা। মানে সেটা এমন একটা প্রাণী যেটা দেখতে অর্ধেক ভালুকের মত এবং অর্ধেক তিমির মত। এমন কোনো প্রাণি কি আছে? নাস্তিকরা উত্তর দিন।
================================================================
নাস্ততিকতার জবাব(২):নারী পুরুষের সমঅধিকার
নাস্তিকদের অধিকার নিয়ে বেশী বেশী চুলকানী। অথচ তারাই নারীর অধিকার বেশী লংঘন করছে। নারী স্বাধীনতার কথা বলে তাদের কৌশলে ভোগ করছে। কৌশলে তাদের বস্র হরন করে উলংগ করছে মায়ের জাতিকে। তাদের বাজেরের পন্য বানিয়ে ছেরেছে।
আমার এক নাস্কিত বন্ধু বলল, বিশ্বে ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে নারীকে শোষনের জন্য। এমন কোন ধর্ম দেখলাম না যেখানে নারীর তার যোগ্য সম্মান পেয়েছে। তুই এই যে বিয়ে করে বৌ কে ঘরে আনলি তারপর থেকে শুরু করলি তোর খবরদারি। এই সংসার কে আপন করে নাও। হাদিস শোনাস, স্বামীর আনুগত্য যে করে সে জান্নাত পাইবো। এইসব। স্বামীর আনুগত্য কেন তাকে করতে হবে? তার কি কোন স্বাধীনতা নাই? তার পার্সোনালিটি তে কেন আঘাত করতে হবে? তার কি কোন প্রাইভেসী থাকবে না। পুরুষ কে বৌএর আনুগত্য করতে হবে এমন হাদিস নাই কেন? পুরুষ আর নারী সবারই দুই হাত দুই পা । নাক মুখ চোখও একরকম। তবে নারীকে পুরুষের কেন আনুগত্য করতে হবে? আমারে বলতে পারবি নারীরে ইসলাম ধর্ম কেমনে সমান অধিকার দিল?
আছা আমাদের হাততো দুইটি! নাকি?
দুইটিই তো।
ঠিক কথা! একটা ডান হাত। একটা বাম হাত। দুই হাতরে কাজ কি এক?
না!
ভালো কথা! ডান হাত দিয়া করি?
কেন! ভাত খাই। বেশীর ভাগ লোক ডান হাতে লেখে।
ঠিক বলেছিস। এগুলোতো করে প্রায় সবাই। কিন্তু মুসলমানরা ডান হাত দিয়ে সকল ভাল কাজ করে। ডান হাতে দান করে। ডান হাতকে শুদ্ধ কাজের ক্ষেত্রে অগ্রগন্য করে। আর আল্লাহ ভালো লোকদের ডান হাতেই আমল নামা দেবেন। এবার বলতো বাম হাত দিয়া কি করি?
এই তুই কি হাতের উপর পিএইডি করবি নাকি? কি শুরু করলি?
আরে বাবা বল না? বাম হাত দিয়া কি করি?
যত খারাপ কিছু ধরি। ওয়াশরুমেতো এই হাতই কাজে লাগে। নোংরা আবর্জনা ধরি।
তাইতো! এই বার বলতো আমি যদি তোকে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কাজ করতে বলি তুই কি তা করবি?
ছি: ছি: মাথা খারাপ! যেই হাতে খাই ওই হাতে এই কাজ কবর কিভাবে। ঘৃন লাগবে না।
বাহ! নিজের বুজ পাগলেও বুঝে। তাইলে এইবার ভাব ডান হাত দেখতে হুবহু বাম হাতের মত । পাঁচটি আংগুল। অথচ কাজ ভিন্ন। ডান হাত ইচ্ছে করলে বাম হাতের কাজ করতে পারে? কি বলিসি? পারে না?
তা পারে। কিন্তু.............
কিন্তু কি? এইটা বলবিতো এই সব নোংরা কাজ ডান হাত দিয়ে পারতো পক্ষে না করাই ভাল। মহান আল্লাহ নারীকে সুন্দর আর কোমল করে গঠন প্রকৃতি দিয়েছেন। যা সবাইকে আকৃষ্ট করে। তার গঠন প্রকৃতি অনুযায়ী তাকে কাজও দিয়েছেন। এই কাজের মান ১০০। আবার পুরুষ কে দিয়েছেন তার গঠন প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ । এর মানও ১০০। উভয়ই তাদের কাজের ক্ষেত্রে ১০০ মার্ক এর হকদার। পুরুষ আর নারী একই রকম কাজ করলেতো মানে ব্যালেন্স হয়তো আসতো কিন্তু দুনিয়ার নিয়মনীতি হত ব্যালেন্স ছাড়া। এতে নারী পুরুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যহত হত। তাই আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন দায় দায়িত্বে মান সমান করেছেন। কোথাও একটি কাজে পুরুষ মানে এগিয়ে আবার কোথাও নারী একটি কাজে মানে এগিয়ে। ডান হাত বাম হাতের কাজ করতে পারে ঠিকই কিন্তু করলে যেমন ঘৃন ঘৃন লাগে, দৃষ্টিকুটু লাগে। তেমনি নারী পুরুষের কাজ করতে পারে ঠিকই করলে ঘৃন ঘৃন লাগে। দৃষ্টিকুটু লাগে। সমাজ ব্যলেন্স ছাড়া হয়ে পড়ে। তাই তাকে তার বৈশিষ্ট্যমত কাজ দেযা হয়েছে। আর তাতে সেই শ্রেষ্ঠ। পুরুষ হাজারো চেষ্টা করলে মা হতে পারবে কি? মাযের পায়ের নিচে বেহেশত। পুরুষের কি সে যৌগ্যতা আছে?
বুঝলাম এই ভাবে বললেতো ঠিকই আছে। তবে নারীকে কেন পর্দা করতে হবে? পুরুষকে নয়?
এইটা একটা ভুল কথা। নারী পুরুষ উভয়েরই পর্দা করতে হবে। শুধু নারীর জন্য পর্দা নয়। তাইতো ইসলামে পুরুষের শরীর ঢাকার বিধান যেমন রয়েছে তেমনি নারীরও রযেছে। যাকে ছতর ঢাকা বলে। পুরুষের ছতর নাভির নীচ থেকে পায়ের টাকনু গীড়ার আগ পর্যন্ত। আর নারীদের মাথার চুল থেকে শুরু করে পাযের পাত পর্যন্ত। অবশ্য প্রয়োজনে মুখ ও হাতের কব্জি দেখানো যাবে। এটাই শরিয়তের বিধান। পর্দা করা উভয়ের জন্যই ফরজ।
দেখ এইখানে পুরষকে বলে নাভিথেকে আর নারীদের বলে পুরো শরীর। কেন বাবা এই বৈষম্য? তাছাড়া নারীকে পর্দা দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা কেন?
দেখ বললামইতো নারীর বৈষষ্ট্যাটাই আকর্ষনীয় করে গঠিত। নারী যতই দেখতে কালো বা কুচ্ছিত হোক তার গঠন কিন্তু আকর্ষনীয় সবসময়ই। তাই তার গঠন প্রকৃতি যাতে দুষ্টের (কোরআনের ভাষায় যাদের অন্তরে রোগ আছে) তাদরে বদ নজরে যাতে না পরে তাই মহান সৃস্টিকর্তা আল্লাহ এই বিধান দিয়েছেন। পর্দা নারীর সম্মান রক্ষায়। হেফাজতের জন্য। যেমন ডান হাত দিয়ে যদি কখনো নোংরা কাজ করতেই হয় তখন তাতে গ্লাফস পড়ে নিলে জিবাণু আক্রমন করবে না। হাতটি হেফাজতে থাকবে। ঠিক তেমনই নারী যদি পুরুষের সমাজে বাধ্যহয়ে চলাফেরা উঠাবসা চাকুরী-বাকরী করতেই হয় এই নোংরা সমাজের জীবাণুগুলো থেকে বাঁচতে তাকেতো গ্লাফস পড়তেই হবে। তাই নয়কি?
যাই বলিস না কেন এতে নারীদের সম্মানের ছুতায় স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। নারীকি নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। পুরুষ থেকে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। শিক্ষা দিক্ষায়।
একদম ঠিক কথা। যদি নারী পুরুষের অবাধ মিলামশার মাধ্যমে সেই শিক্ষাকে কুলষিত করা হয় তার দাম কোথায়? ছেলে মেয়েরা আজ আধুনিক শিক্ষার নামে অবধা মেলামেশা আর নোংরমীতে মক্ত। হায়া বা লজ্জা বলে যে কিছু আছে দুনিয়ায় তা ভুলতে বসেছে। এই শিক্ষার কি মূল্য আছে? ওরাতো শিক্ষিত শয়তান।
তুইতো দেখছি বর্বর জাতির মত কথা বলছিস। শিক্ষাদিক্ষা করতে গেলে একটু আধটুতো মেলামেশা হবেই। তা কি দোষের?
আচ্ছা তোর বোন আছে? মা আছে?
আছে।
ভাল কথা। তোর বোনকে যদি তার বয় ফ্রেন্ড কিস করে আর তুই তা দেখেফেলিস । বা তোর মাকে যদি অন্যপুরষের সাথে দেখিস ঢলাঢলি করতে তখন তুই কি করবি?
ব্যাক্তিগত ভাবে জড়িয়ে প্রশ্ন করছিস কেন? এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না?
দোস্ত! কুল ডাউন! এটা জাস্ট উদাহরন..........ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ। বল তুই কি করবি?
এমন হলে অবশ্যই খুন করব শয়তানের বাচ্চাদের।
বাহ! একটু আগে আমি বর্বর হয়ে গেলাম তাদের যখন শিক্ষিত শয়তান বলেছি। আর তুই এখন তাদের খুন করতে চাচ্ছিস। কেন? নিজের সম্মানের উপরে আঘাত আসলো বলে? কেনরে ভাই দ্বিমুখী নিতী? শুন যারা এসব করছে বা যারা স্বিকার হচ্ছে তারা কারো মা। কারো বোন। কারো স্ত্রী। আমরা অন্যের মা বোন স্ত্রীদের যেভাবে দেখি নিজের বেলায় তা চাই না। আমরা আসলেই ভন্ড। এই আমাদের শিক্ষা। যারে বলে আধুনিক শিক্ষা। পুরুষরা যে নারীদের স্বাধীনতার নামে তাদের ভোগ করছে। তাদের অসম্মান করছে। তাদের বাজারে নামিয়েছে। মডেলিং করছে তাদের নিযে। সুন্দরী প্রতিযোগীতা করছে তাদের শরীর নিযে। তারা তাকে স্বাধীনতা ভাবছে। তারা বুঝতে পারছে না। এ কোন শিক্ষা তারা পেল যা তাদের জ্ঞান না দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলল।
তাই বলে কি নারীরা শিক্ষা গ্রহন করবে না? আর তারাতো পোষাক পড়েই। নেংটো হয়েতো যায় না?
ইসলাম নারী পুরুষ উভয়কেই শিক্ষায় উৎসাহিত করে আর তা হল নৈতিক শিক্ষা। যা মানুষকে নম্র ও ভদ্র করে। মানুষকে মানুষ হিসেবে চলতে শিখায়। পুশু হিসেবে নয়। নারী ও পুরুষ উভয়েরই পর্দা মানতে হবে। পোষাক পড়ার পরও যদি নিজেকে ঢেকে রাখা না যায় সে পোষাক পড়ার দরকার কি? টাইটফিট পোষাক ছেলেমেয়ে উভয়এর জন্যই নিষিদ্ধ। এতে শরিরের গঠন বুঝা যায়। ইসলাম মতে মোটা আর ঢিলাঢালা পোষাক পড়তে বলে। ইসলামি শরিয়ত মানলে নারী হবে ঘরের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বাজেরর পন্য নয়। আমি বুঝি না তারা কি শিক্ষা পেল যে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা এখনো বুঝতে শিখল না। বড়ই আফসোস। বেকুবে দুনিয়া আজ সয়লাব।
নারীকে সম্পদ বলা হচ্ছে কেন?
নারীকে এখানে জড় পদার্থ টাইপ কোন সম্পদ বলা হয়নি। এখানে মহা মূল্যবান টাইপ কিছু, এটাই বুঝানো হয়েছে। আচ্ছা আমরা যদি বলতে পারি তুমি চাদের চেয়েও সুন্দর। যদি বলতে পারি ফুলের চেয়েও কোমল। শ্রেষ্ঠ সম্পদ বললেই দোষ না।
ঠিক আছে মানলাম সব। তবে এভাবে পুরোপুরি ঢাকার দরকার কি? একটু বেশী বেশী বারাবাড়ি না? তাদের কি মনে হতে পারে না পোষাকটা একটা কাড়াগার?
আধুনীক শিক্ষার নামে নারীরা ইভটিজিং এর স্বীকার হচ্ছে। কিন্তু নারীরা তা বুঝতে পারছে না। ভাবছে তাদের স্বাধীনতা হরন করে তাদের পোষাকের কাড়াগারে বন্দি করা হচ্ছে। আচ্ছা মহশুণ্যে যখন মানুষ যায় তখন একটা মোটা পোষাকের ভিতর বন্দি হতে হয়। কেন? মহাশুন্যের জন্য ওটা উপযুক্ত পোষাক । কেউ আমার অস্বস্থি লাগছে বলে তা খুলে ফেলে না। কিংবা সাগরে ডুবুরিরা যখন নামে তাদেরও পোষাকে বন্দি হতে হয। কেন? সাগরে ঐ টাইপের পোষাক পরলেই সহজে সাতার কাটা যাবে। কই কেউতো বলে না আমাকে পোষাকের কাড়াগার থেকে মুক্ত করে দাও। কেন বলে না? বলতো?
কেন আবার ! ওটাতো ওদের সুরক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। মহাশূন্য আর সাগরে তাদের নির্বিঘ্নে চলাচলে জন্য এই ব্যবস্থা। পোষাক না থাকলেতো তারা সমস্যায় পড়বে। মৃত্যু ঝুকিতে পড়বে।
আমিতো তাই বলছি। মহাশুন্যে সাগরে যেমন পোষাক আছে । দুনিয়াতেও নারী পুরুষ উভয়্কেই তাদের নিরাপত্তার জন্য পোষাক দিয়েছে ইসলাম। আজ পোষাক হয়েছে ফ্যাশন। হয়েছে আধুনিকতার নগ্ন মাপকাঠি। আসলে যাদের অন্তরে ইসলামের জ্ঞান আল্লাহ দিতে চান না না তারা তা পায় না। পবিত্র আল কোরআনইতো বলেছে সুরা বাকারায়- এই সেই কিতাব! যাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই । আর এটা মোত্তাকী (খোদাভীরু)দের জন্য পথ প্রদর্শক। অর্থাৎ আল্লাহকে যারা ভয় পায় তারাই এর জ্ঞান বুঝা ও মানার সৌভাগ্য অর্জন করবে। জ্ঞান পাপীরা নয়।
===========================
নায়লা কবির নামের এক মক্ষিরানী মন্তব্য করেছেন, “গায়ে বোরকা, মাথায় হিজাব, হাতে পায়ে মোজা, এভাবে নারীকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে” । পর্দা প্রথা নিয়ে মক্ষিরানী নায়লা কবিরের এই কটু মন্তব্য পড়ে আমার নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর কথা মনে পড়েছে ।
.
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী নামে কুমিল্লার এক জমিদার ছিলেন যিনি মহারানী ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে ‘নওয়াব’ উপাধি পেয়েছিলেন । তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র মহিলা নওয়াব । একজন জমিদার হয়েও নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কঠোরভাবে পর্দা পালন করতেন । পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি আমলাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন ও তাদের পরামর্শ শুনতেন । তিনি এত কঠোরভাবে পর্দা পালন করতেন যে পরিবারের বাহিরের কেউ কখনও উনার মুখদর্শন করার সুযোগ পায়নি । এমনকি উনার কোন ছবিও নেই । উনার যে ছবিগুলো এখন দেখা যায় এগুলো সবই কাল্পনিক ছবি ।
.
এই পর্দা পালন করেই উনি জমিদারী পরিচালনা করতেন । এই কঠিন পর্দা প্রথা পালন করেই তিনি আরবি, ফারসি, বাংলা, সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন । তিনি সাহিত্য চর্চাও করতেন । ১৮৭৬ সালে ‘রুপজালাল’ নামে উনার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল । তিনি কুমিল্লায় একটি বালিকা বিদ্যালয় ও অবৈতনিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । এমনকি পবিত্র মক্কা শরীফের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তিনি আর্থিক সহায়তা করতেন । ১৮৯৪ সালে পবিত্র হজ্ব পালন করার জন্য মক্কায় গেলে সেখানে তিনি হাজীদের জন্য একটি 'মুসাফিরখানাও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । তিনি কুমিল্লাতে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য একটা হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । তিনি নওয়াব বাড়ীর সদর দরজায় একটি দশ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । এত এত সমাজসেবামূলক কাজ তিনি করেছিলেন কঠোর পর্দা পালন করে যে পর্দাতে উনার মুখদর্শন করাও সম্ভব ছিল না । উনার পরিবারের বাহিরের কেউ কখনও উনার চেহারা দেখেনি, কেউ জানেনি উনি দেখতে কেমন ছিলেন । পর্দা পালন উনার জমিদারী পরিচালনা, জনসেবা, সাহিত্য চর্চা কোন কিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ।
.
তাই যারা এখন পর্দাকে নারী শিক্ষা, নারী উন্নয়নের বিরোধী হিসেবে প্রচার করে বুঝতে হবে তারা পতিতালয়ের মক্ষিরানী, সর্দারনী । নারী উন্নয়ন, নারী শিক্ষা তাদের উদ্দেশ্য নয় । তারা চায় আমাদের নারীরা পর্দা ত্যাগ করে পশ্চিমা মহিলাদের মতো ব্যাভীচারী হয়ে যাক । আমাদের রক্ষনশীল সামাজিক মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন ভেঙ্গে ফেলাই তাদের উদ্দেশ্য । পশ্চিমাদের মতো অন্তসারশূন্য ভোগবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠাই তাদের উদ্দেশ্য ।
.
=====================================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.