Visitors

Sunday, 25 August 2019

আলহামদুলিল্লাহ / ২৮ টি গুন / বিজ্ঞান ও ধর্ম

দিন শেষে "আলহামদুলিল্লাহ" তো বলতেই পারি আমরা...
.
কেনই বা বলব না!
যে মুহূর্তে আমরা ফজরের সালাত আদায় করেছি ঠিক সেই
মুহুর্তে কত-শত মানুষ ঘুমে বিভোর!
.
যে মুহূর্তে আমরা যোহরের সালাত আদায় করেছি সেই
মুহূর্তে কত-শত মানুষ দুনিয়াবি ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত!
.
যে মুহূর্তে আমরা আসরের সালাত আদায় করেছি সেই
মুহূর্তে কত-শত মানুষ বিশ্রামে তন্দ্রাচ্ছন্ন!
.
যে মুহূর্তে আমরা মাগরিবের সালাত আদায় করেছি সে
মুহূর্তে কত-শত মানুষ হিন্দি সিরিয়ালে বিভোর!
.
যে মুহূর্তে আমরা এশার সালাত আদায় করেছি সে মুহূর্তে
কত-শত মানুষ দুনিয়াবী পড়াশোনায় ব্যস্ত!
.
যে মুহূর্তে আমরা পর্দা করে বাইরে যাচ্ছি সে মুহূর্তে
কত-শত মেয়েরা বেপর্দায়,অশালিন পোশাকে ঘুরে
বেড়াচ্ছে!
.
যে মুহূর্তে আমরা নিজের হিফাজতের জন্য গায়রে মাহরাম
এড়িয়ে চলি সে মুহূর্তে কত- শত মেয়ে স্বেচ্ছায়
নিজেকে গায়রে মাহরাম পুরুষের মনোরঞ্জনের বস্তু
করেছে!! •
এসব ভাবলেই কি রবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় চোখ টা ঝাপসা
হয়ে আসে না?? আনমনেই 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে ফেলি
না? •
আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেন তাদেরই কেবল
সৌভাগ্য হয় সালাত আদায়ের! আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ
করেন তাদেরই কেবল সৌভাগ্য হয় পর্দা করার,ইসলামের বিধান
মেনে চলার!
আমরা যারা নামায আদায় করি, পর্দা করি,
শারিয়্যাহ মত চলার চেষ্টা করি, এটা মোটেও আমাদের
কোন কৃতিত্ব না! বরং এটা রবের অনুগ্রহ!

প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ),যাকে আল্লাহ তায়ালা স্বীয় হাবীব
বলে উল্লেখ করেছেন,
যাঁর দোয়া শর্তহীন ভাবে সরাসরি কবুল হয়, সেই আল্লাহর
হাবীব ও নিজ চাচার মুখ দিয়ে কালিমা বলাতে পারেননি, চাচার
মৃত্যুসজ্জায় রাসূলুল্লাহ ক্রন্দনরত হয়ে বলেছেন,
"চাচা, একবার শুধু কালিমা টা পড়ে নিন" সূরা আল কাছাছের ৫৬ নং
আয়াত নাযিল করে আল্লাহ বলেন, “তুমি যাকে ভালোবাস,
তাকে তুমি হেদায়াত করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা করেন হেদায়াত দান করেন। তিনিই ভালো জানেন, কারা
হেদায়াতের অনুসারী হবে।” •
আবার যাদের দ্বীনের বুঝ নেই বলে এটা ভাবছে,
"আল্লাহ অনুগ্রহ করেনি তাই তারা নামায পড়েন না,পর্দা করেন
না,শারিয়্যাহ মেনে চলেন না" তাদের এই ভাবনার
প্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেছেন,
"যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করবে, আমি
তাদেরকে অবশ্যই আমার হেদায়াতের পথে পরিচালিত
করবো।" - (সুরা আন কাবুত-৬৯)
সুতরাং রবের সাধনায় আত্মনিয়োগ করলে হেদায়াত
প্রদানের ওয়াদা করেছেন রব্বুল 'আলামিন!

তাই আমরা যারা দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করি তা নিয়ে
মোটেও অহংকার করার কিছু নেই,
বরং প্রতি সালাতের পর রবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় হৃদয় থেকে
শোকরিয়া আদায় করা উচিৎ যেন রব মৃত্যু পর্যন্ত এই
হেদায়াতের উপর আমাদের অটল রাখেন.... •
(ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব,সাব্বিত ক্বলবি 'আলা দ্বীনিক)
.
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
"দ্বীনের দা’ঈর জন্য (৮২ টি) সিফাত অত্যান্ত জরুরী"
*************************************************
ব্যাংলোরের জোড়ে ছিফতের লাইনে যে সমস্ত কথা আলোচনা হইয়াছেঃ
(মাওঃ ওবায়দুল্লাহ ছাঃ রহঃ)
.
👉১। ওয়াল্লাজিনা জাহাদু … (প্রত্যেকের হেদায়েতের জন্য নিজে মেহনত করতে হবে)।
👉২। ছাহাবা (রাঃ) দিনে মেহনত করতেন, রাত্রে গিরগিরায়ে আল্লাহর কাছে কাঁদতেন।
👉৩। অনেক মেহনত করার পরও নিজেকে কসুরওয়ার মনে করা।
👉৪। উজুব বড় খাতরা, যার দ্বারা খোদার মদদ হটে যায়।
👉৫। তাকওয়ার দ্বারা খোদায়ে পাকের নৈকট্য হাসিল হয়।
.
👉৬। যার মধ্যে ৪টি ছিফাত পাওয়া যাবে, তাকে আল্লাহতাআলা তাকে অন্যের হেদায়েতের জরিয়া বানাবেনঃ
.
(ক) উম্মতের জন্য গম, দরদ ও মহব্বত।
(খ) নিজের জান ও মালের কোরবানী
(গ) সবকিছু আল্লাহর ওয়াস্তে করা।
(ঘ) সবকিছু করার পরেও নিজেকে আজেজ মনে করা এবং কোরবানীর উপর ভরসা না করে মাহাজ আল্লাহর উপর ভরসা করা যে, উনার এরাদায় হেদায়েত আসবে।

👉৭। তালেব বনে থাকার মধ্যে তারাক্কী।
👉৮। ক্বানে’ ও নাকেদ হলে তানাজ্জুল হবে।
👉৯। ফিকহিফিদ্দিন বড় সম্পদ।
👉১০। আল্লাহর মদদ ও ওয়াদার এক্বীন।
👉১১। এস্তেমায়ী ক্বুলুব।
👉১২। আগের মেহনত করনেওয়ালার মোকাম আগে হবে।
👉১৩। অনেক কোরবানী করার পরেও মনে করা যে, মেহনতের যতটুকু হক আছে তা আদায় হচ্ছে না।
.
👉১৪। এই কামের তা’ঈদ করনেওয়ালাদেরকে ও মোহসীন মনে করা।
👉১৫। এই আমলে যিনি সুরমা হবে তার দিকে লোক ঝুকবে এবং তার কথায় মানুষের দীলে আছর হবে। কিন্তু সুরমা বনবার জন্য নিজেকে পিষে মিটিয়ে ফেলতে হবে।
(একরামুল ওলামা / একরামে মুসলিম)
.
👉১৬। তাবলীগ করার নিয়্যতে বের না হওয়া বরং শিখার নিয়্যতে বের হওয়া।
👉১৭। অন্যের এছলাহের নিয়্যতে মেহনত না করা বরং নিজের এছলাহের নিয়্যতে মেহনত করা।
👉১৮। বিদেশীদের একরামের সাথে সাথে তাদেরকে কাম শিখানো।
👉১৯। মোজাহেদা, কোরবানী ও হোসলা এই গুণগুলি কম ছালানিয়্যাত ওয়ালাদের মধ্যে পাওয়া গেলেও তার দ্বারা আল্লাহ পাক এই কাম নিবেন।
.
👉২০। কোরবানী ও মেহনত যেন আন্ধাধুন না হয়।
👉২১। ছখতি ও নরমী। মেজাজে নরমী, জরুরতে শক্ত হয় এটা কামাল, আবার মেজাজে ছখতি, জরুরতে নরম হয়, এটা কামাল।
👉২২। কাজের মধ্যে ভুল চুক হবেই। নিজের ভুল হলে জলদি মাফ চেয়ে নেওয়া আর অন্যের ভুল হলে জলদী মাফ করে দেয়া।
👉২৩। সাথীদেরকে জোড়ার তারতীব হচ্ছে যে, সাথীদের সহিত মাশোয়ারা করে করে কাজ করা।
.
👉২৪। এতা’আত ও এত্তেবা (বিল হুকুম)
👉২৫। তোমহিদ ও তাতিম্মা।
👉২৬। এখতেলাফ ও মালের দৌড়
👉২৭। তাহাম্মুল ও বরদাশত
👉২৮। আহলে শুরা ও মাশোয়ারা
👉২৯। স্বভাবে তাকাব্বুরি না আসে। বরং হুজুর (সাঃ) এর মত উমুমিয়্যাত পয়দা হয়।
👉৩০। তোমার সাথীর কাছে তোমার যেমন দরজা এইরুপ আল্লাহর কাছেও দরজা।
👉৩১। নিজে কাম করে অন্যের নাম হয়, এতে বহুতই তারাক্কী ও আল্লাহ খুশী হন।
👉৩২। অন্যের দ্বারা কাজ করানো। কিন্তু নিজে যেন সুস্ত (অলস) না হয়ে যাই।
.
👉৩৩। হুদুদে শরীয়ত এবং মেজাজে শরীয়ত। এক হলো কাম হওয়া আরেক হলো নিজে বনা।
👉৩৪। সহীহ নিয়্যত ও ওয়াসীহ নিয়্যত।
👉৩৫। আমলের খারাবী মাফ হবে কিন্তু নিয়্যতের খারাবী মাফ হবে না।
👉৩৬। সহীহ নিয়্যত ও সহীহ মেহনত।
👉৩৭। সহীহ নিয়্যত ও সহীহ ইয়াক্বীন।
👉৩৮। ঈমান ও এহতেসাব। ঈমানের গুণ ঠিকমতো পাওয়া গেলে তার মধ্যে ছিফতের বারিষ হবে।
👉৩৯। খোদার ওয়াদা ইয়াক্বীনে আনা। নিয়্যতে না আনা।
👉৪০। এক হলো মাশহুর হওয়া, এক হলো মাক্ববুল হওয়া।
.
👉৪১। নিজের গলতি ধরা না পড়া সবচেয়ে বড় বে-উছুলী।
👉৪২। যত রেওয়াজি জিনিস থেকে বাঁচা যাবে তত কামের তারাক্ক্বী হবে। অন্যথায় কামের হাক্বীক্বত ও জান থাকবে না।
👉৪৩। তানাফুস ও তাক্বাবুল।
👉৪৪। মোখালেফাতে ঘাবড়ানা নেহী, মো’আফেক্বাতে এতরানা নেহী।
👉৪৫। কামের জন্য একরাম না ছাড়া, একরামের জন্য কাম না ছাড়া।
👉৪৬। পুরোনো সাথীরা তা’লিমে বসে না, এজন্য মাদ্দায়ে এহতেসাব কম হয়ে যাচ্ছে।
👉৪৭। ফাজায়েলের দ্বারা শওক্ব ও জওক্বের দ্বারা নেকী করার যোগ্যতা পয়দা হয়। আর খওফের দ্বারা গুনাহ থেকে বাঁচা যায়।
.
👉৪৮। তেলাওয়াত ও তাসবীহাতের পাবন্দী।
👉৪৯। অন্যের খায়েরখাহীর জযবা।
👉৫০। সবসময় নিজেকে গান্ধা মনে করা।
👉৫১। ঈমানের তাক্বতের সহিত দুনিয়াতেই আল্লাহ তা’আলার মদদ আসবে।
👉৫২। কাজের গেহরাও ও ফে’লাও দুনো বাজুর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
👉৫৩। কাজের সাথে লোকদেরকে জুড়া, নিজের জাতের সাথে না।
👉৫৪। এই কাম সখসিয়্যতসাজি নয়, বরং সখসিয়্যতসুজি।
.
👉৫৫। খোদরাই কাম করনেওয়ালার জন্য খাতরা ও কেয়ামতের আলামত।
👉৫৬। ফিকিরের কারণে আল্লাহর তরফ থেকে কামের রাহাবারী হবে।
👉৫৭। হাক্বীক্বতের তাওয়াক্ক্বুল।
👉৫৮। ছিফতের সাথে খোদার মদদ।
👉৫৯। নিজের জযবাত ও খাহেশাত কামের জন্য কোরবানী করা।
👉৬০। বাহিম্মত হো, কিন্তু সখতি না হো।
👉৬১। হার কামে এ’তেদাল।
👉৬২। হোশ ও জোশ।
.
👉৬৩। সব সময় খেয়াল রাখা দরকার যে খোদার মদদ ও হেমায়েত আমাদের সাথে আছে কিনা।
👉৬৪। দ্বীনের কাজকে এক নম্বরে রাখা, দুনিয়ার কাজকে দুই নম্বরে রাখা – এটাই এই কাজের মোজাহাদা।
👉৬৫। নিজের খরচের এন্তেজাম নিজে করা।
👉৬৬। মোতাওয়াক্ক্বেলিন হওয়া কিন্তু মুতাআক্কেলীন না হওয়া।
👉৬৭। ৮ জিনিসের মহব্বত অন্তর থেকে বের না হলে খোদার আযাবের অপেক্ষা করা।
👉৬৮। কামাই হালাল না হলে দো’আ কবুল হয় না।

👉৬৯। মওজুদা হালতে দা’ঈর ২৪ ঘণ্টার তারতীবঃ ৮ ঘন্টা কারবার, ৬ ঘন্টা ঘুম, ২.৫ ঘন্টা নামাজ, আধা ঘন্টা তাসবীহ তেলাওয়াত, আধা ঘন্টা বিবি-বাচ্চাদের নিয়ে বসা, ২ ঘন্টা জরুরত, ২.৫ ঘন্টার আ’মাল, ১.৫ ঘন্টা অতিরিক্ত।
👉৭০। ২.৫ ঘন্টার তাফসীল।
👉৭১। কোন এলাকার মাস’আলা জিজ্ঞাসা করার জন্য একা একা না যাওয়া, বরং জামাত নিয়ে যাওয়া।
👉৭২। এখলাছ ও এস্তেখলাছ।
👉৭৩। কাম কম হউক, সাথীর দিল না দুখে।
👉৭৪। আওলাদদেরকেও কাজে লাগানোর কোশেশ করা।
.
👉৭৫। দ্বীন জিন্দা হওয়ার তারতীবঃ
.
(ক) চলত-ফিরত করে আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করা (খতমে নবুওয়্যত ওয়ালী মেহনত)
(খ) মোকামী কাম মজবুতীর সাথে করা (নবুওয়্যত ওয়ালী মেহনত)
(গ) উমুমী দ্বীনদারী
(ঘ) মো’আফেক হালত
(ঙ) উমুমী হেদায়েত
.
👉৭৬। দুনিয়াবী কোন সুবিধা মিলে যাওয়া আসল মদদ নয়। মদদ হলো যার দ্বারা উমুমী হেদায়েত আসবে।
👉৭৭। মেজাজে নবুওয়্যত।
👉৭৮। দ্বীন, ঈমান, আমল ও আখেরাত – মেহনতের অনুপাতে।
👉৭৯। দুনিয়া, মাল, রুজি, আক্বল – তাক্বদীরের অনুপাতে।
👉৮০। দ্বীনের জন্য তবীয়তের খেলাফ যে কদম উঠবে, জাহেরের খেলাফ আল্লাহ পাক তার মদদ করবেন।
👉৮১। জাহেরী আহকাম
👉৮২। বাতেনী আহকাম

আল্লাহ তায়লা সকলকে বোঝার ও আমল করার তওফিক্ব দান করেন। আমিন।।
________________________________________________________________________
"ধর্ম ও বিজ্ঞান" সূত্রঃ
 ***(সত্য) ধর্ম ( ওহী ) কী বিজ্ঞান বিরোধী...? কিংবা--- বিজ্ঞান কী ধর্মের ( ওহীর ) বিরোধী....?
১/ আমরা জানি--- ধর্মের ( ওহীর ) মধ্য বিজ্ঞান চলমান.... আবার---বিজ্ঞানের মধ্যে---ধর্ম (ওহী) মূল্যমান.....ধর্ম ( ওহী) হলো----চূড়ান্ত সত্য.....বিজ্ঞান---সেই সত্যের Practically নৃত্য.....
২/  ধর্ম যেখানে শেষ---বিজ্ঞান সেখান থেকে শুরু....অার---বিজ্ঞান যেখানে শেষ---ধর্ম (ওহী) সেখানে অতিশয় গুরু......
৩/  অতএব----ধর্ম + বিজ্ঞান = ১টি সম্পূর্ণ জীবণ ব্যবস্থা...... ধর্মহীন বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানহীন ধর্ম অসম্পূর্ণ জীবণের অবস্থা.....
৪/ সমস্যা----ধর্মের সাথে কর্মের......বিজ্ঞানের সাথে মর্মের......
৫/   সমাধান----ধর্মের নষ্টামী--জঙ্গীবাদ!.... (বাদ) বিজ্ঞানের ভ্রষ্টামী---নাস্তিকবাদ.... (বাদ)
৬/  পরিশেষ-----ধর্ম হলো জীবণের স্রোতী......আর---বিজ্ঞান হলো---তার নিত্য ব্রতী.....




No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...