Visitors

Tuesday, 27 August 2019

যৌক্তিক জিজ্ঞাসা

যৌক্তিক জিজ্ঞাসা

নাস্তিকদের অসাধারণ তিনটি প্রশ্ন ও আমার অতি সাধারণ তিনটি জিজ্ঞাসা
জগতে একমাত্র নাস্তিকেদের মস্তিক ও
বুদ্ধি মাথার মধ্যে অবস্থিত। এরা বাদে
বাকী তাবদ মানুষের মস্তিক কারো
হাটুতে, কারো আরো নিচে, আবার কারো
কারো মস্তিকই নাই। তাই প্রত্যেক
নাস্তিকই অসাধারন, তাদের প্রত্যেক
যুক্তি-প্রশ্ন-উত্তর সবই অসাধারন।
যাক এই অসাধারন নাস্তিকদের অসাধারন
তিনটি প্রশ্ন অহরহ শুনি:
১. পৃথিবীতে ধর্মের প্রয়োজন নাই। আজ
পর্যন্ত পৃথিবীতে ধর্মের নামে বহু যুদ্ধ,
অন্যায়ভাবে হত্যা ইত্যাদি
হেন অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। তাই
পৃথিবীর সমস্যার মূলে আছে ধর্মে , নয় কি?
২.জগতের দশজন খারাপ, ঘৃনিত ব্যক্তির
নাম উল্লেখ করুন। দেখুন এর মধ্যে কয়জন
আস্তিক কয়জন নাস্তিক। পৃথিবীতে
অপরাধে আস্তিকদের অবদান কতখানি আর
নাস্তিকদের অবদান কতখানি?
৩. আফ্রিকায় যখন মুসলিমরা নিজেরা
নিজেরা যুদ্ধ করে মরে, আফগানিস্তানে
তালেবানদের হাতে যখন মুসলমানদের
হত্যা হয়, তখন মুসলমানরা কোথায় থাকে?
অন্যদিকে ইসরাঈল একটা মুসলিম হত্যা
করলেও মুসলিমরা বিক্ষোভে ফেটে
পরে। মুসলিমদের এই দ্বৈতচরিত্র কেন?
জ্ঞানের প্রশান্ত- আটলান্টিক নাস্তিক
ভাইদের এমন যুক্তি শুনে আমার হাটুতে
অতিসাধারন কিছু প্রশ্ন এসেছে।( আশা
করি আমার মস্তিক কমপক্ষে হাটুতে আছে)
১. পৃথিবীর সর্বাধিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের
উপলক্ষ ছিল দেশ আর কারন ছিল উগ্র দেশ
প্রেম। আপাত দৃষ্টিতে বোধহওয়া অনেক
ধর্মীয় অজুহাতে লড়াইয়ের পেছনে মুল
কারন ছিল উগ্র দেশ প্রেম। এখন এখানে
দেশ বা দেশ প্রেমের কি দোষ? দেশ
প্রেম নিষিদ্ধ করবো? আমরা কি
বিশ্বায়নের ফাপা বেলুনে দেশের
অস্তিত বিসর্জন দেয়ার কথা বলবো?
২.মানব সভ্যতার ইতিহাসে সেই শুরু থেকে
এখন পর্যন্ত কতজন আস্তিক আর কতজন
নাস্তিক? সংখ্যা বিচারে আস্তিকদের
আপরাধের অনুপাত আর নাস্তিকদের
অপরাধের অনুপাত কত?
বড় অপরাধ সেই করতে পারে যার বড়
ক্ষমতা আছে। নাস্তিক মধ্যে এমন ক্ষমতা
আজ পর্যন্ত কতজনের ছিল আর কতজনের
আছে? গত শতাব্দিতে নাস্তিকেরা যে
সামান্য সময়ের জন্য শাসনতন্ত্র
পরিচালনা করেছে, সেই সময় তারা
রক্তগঙ্গা বয়িয়ে দেয়, স্বৈরশাসনে
মানুষকে অতিষ্ট করে তোলে। যদি
হাজার হাজার বছর ধরে তারা শাসনযন্ত্র
নিয়ন্ত্রন করতো , তবে তারা অত্যাচারে
আস্তিকদের ছাড়িয়ে যেতো না তার
নিশ্চয়তা কি?
পৃথিবীতে যতভালো কাজ হয়েছে তার
মধ্যে আস্তিক আর নাস্তিকদের অনুপাত
করা হোক। ফলাফল সহজেই অনুমেয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো দশজন লোকের
নাম বলুন; কয়জন নাস্তিক? একজন নাস্তিক
অপরাধ করে না শুধুমাত্র তার মানবতাবোধ
থেকে। যদি তার মানবতাবোধ হারিয়ে
যায় বা না থাকে তবে?
৩.পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রের নামে
হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, হত্যাকান্ড
চালিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের
বিভিন্ন সরকারও। তাই বলে দুটা এক হয়ে
গেলো? যদি এমন হতো পাকিস্থানীদের
হাতে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার আর
বাংলাদেশ সরকারের হাতে নিহতের
সংখ্যা ১৫ হাজার , তবুও কি আমাদের
ঘৃনা-ক্ষোভ অপরাধী পাকিস্তানিদের
প্রতি অপেক্ষাকৃত কম থাকতো? ছাত্র
সংগঠনগুলোর হাতেও কিশোরী ধর্ষিত হয়,
খুন হন; বি এস এফের হাতেও হয়। দুইটি
ঘটনায় আমাদের প্রতিক্রিয়া কি সমান?
বাংলাদেশী এই পরিচয়ের কারনে কারো
মৃত্যু সমস্র বাংলাদেশীদের আন্দোলিত
করে। অনেকটা সেভাবেই
মুসলমান পরিচয়ের কারনে কেউ মারা
গেলে সব মুসলমানের প্রতিক্রিয়া হওয়া
স্বাভাবিক।
একটি ব্যষ্টিক উদাহরনে যাচ্ছি। আমার
ছোট ভাইকে যদি আমার কাজিন চড় মারে
আর আমার দুসম্পর্কের আত্মীয় চড় মারে-
ঘটনা দুটি কি আমার কাছে এক? আর চড়
যদি পাশের বাড়িতে ঝগড়া আছে এমন
কেউ মারে?
পাকিস্তানের ব্যাপারটি এখানে শুধু
উদাহরন হিসেবে দেয়া হয়েছে। আশা
করি এতে করো আপত্তি থাকবে না।
আক্রমনাত্মক ভাষার জন্য দু:খিত।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
লিটমাস টেস্ট প্রশ্ন।
নাস্তিকদের ঈমান সংক্রান্ত প্রশ্ন। (পর্ব ৬)

প্রশ্ন : নাস্তিকরা বলে যে
মক্কা বিজয় করার জন্য যুদ্ধ করতে হয়নি, বাকি সবগুলোর ক্ষেত্রেই যুদ্ধ করতে হয় মুসলিমদের। যখন আল্লাহ কুরআন এ পেশ করলেন তোমরা কাফের মুশরিকদের দেখে ভয় পেওনা, তাদের সাথে যুদ্ধ করো। এই আয়াতটিকে অধিকাংশ নাস্তিকরা নিষ্ঠুর আয়াত বলে। অথচ আমি বলি, এটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উক্তি হবে।কারণ নিম্নরূপ।

২০০৬ সালে বিবিসি কর্তৃক "মোরা একটা ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি" গানটিকে বাংলাদেশের যুদ্ধের প্রেরণা বলে শ্রেষ্ঠ গান বলে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও অনেক অনুষ্ঠানেই এই গানটিকে অনেক উঁচু মর্যাদা বলা হয়।
গানটির লিরিকস নিম্নে দেওয়া হলো।
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা

যার নদী জল ফুলে ফলে মোর স্বপ্ন আঁকা

যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা

সারাটি জনম সে মাটির দানে বক্ষ ভরি

মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি

মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি

মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি

মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে

যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে

যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে

সে শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি"

এখন কথা হলো, এই গানে বলা হচ্ছে সামান্য ফুলকে বাঁচানোর জন্যও অস্ত্র ধরা যুদ্ধ করা কথা গুলোকে উপেক্ষা করে উল্টো এই গানটিকে নাস্তিকেরাও শ্রেষ্ঠ বলে দেয়। আমিও গানটিকে অনেক উঁচু মর্যাদা দেই। এখন কথা হলো, এইযে গানে বলা হচ্ছে যুদ্ধ করা এইটা কি নির্মম? নাকি এটা রূপক? নাকি এটা প্রেরণা? নাকি এটা বেকার গান?
বিদ্র: আমি অনেক নাস্তিক দের সাথে উঠা বসা করি। অনেক বাঙালি স্যাকুলার রা এই গানটি শুনলে আবেগে কেঁদেও দেয়।
নিচের অপশন সিলেক্ট করুন।

১: নাস্তিকরা এই গানটিকে শ্রেষ্ঠ গান থেকে বহিস্কার করার জন্য কি শাহবাগে মিছিল শুরু করবে?
২: গানটিকে শ্রেষ্ঠ বলার পাশাপাশি কি কুরআন এর উক্ত আয়াত কে প্রেরণার শ্রেষ্ঠ আয়াত ধরে নিবে?
৩:নাকি যুদ্ধর সংজ্ঞা নিয়ে তেনা পেঁচাবে?
৪:নাকি তারা এখন তাদের নাস্তিকতার ডাবল স্ট্যান্ডবাজি বাঁচাতে আমার সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিবে?

=============================
নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন আমাদের নবিজি সঃ ঠিক কত বড় সম্মোহনকারী বা হিপনোটাইজার ছিলেন ? ইউটিউবে আপনারা প্রায়ই বিভিন্ন হিপনোটিজম বা সম্মোহনের ভিডিও দেখবেন,এতে দেখা যায় যাকে হিপনোটাইজ করা হয় সে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যায়, আর তার সাবকনশাস মাইন্ডের কথাগুলো বলে দেয়, কখনো আবার ঘুমিয়ে পড়ে। এটি অনেক জটিল একটি পদ্ধতি, একে অনেকে বলে একসেস টু দ্যা সাবকনশাস মাইন্ড। একসংগে একাধিক ব্যাক্তির মাইন্ড হিপনোটাইজ ইমপসিবল। একাধিক ব্যাক্তিকে কিছু হিপনোটিক সাজেশনে ঘুম পড়ানো সম্ভব সর্বচ্চো। আমার প্রশ্ন রাসুলুল্লাহ সঃ ঠিক কত বড় হিপনোটাইজার হলে চাদকে দ্বীখন্ডিত করে ফেললেন পুরো একটি জাতির সামনে ? বিশ্বের বর্তমানে সবচেয়ে বড় জাদুকর ক্রিস এঞ্জেলকেও কখনো দেখি নি একাধিক মানুসকে হিপনোটাইজ করতে। একজন মানুসকেও হিপনোটাইজ করে কোন কিছু ভিজুয়ালাইজ করানো অনেক কঠিন এবং অলমোস্ট ইমপসিবল একটা কাজ। আর একাধিক ব্যাক্তিকে তা করানো অস্মভব, তাহলে রাসুল সঃ সেই অসম্ভব কিভাবে সম্ভব করলেন ? নীচের হাদিসগুলোতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সীকারোক্তি দেখুন,
Narrated Abdullah bin Masud: "During the lifetime of the Prophet the moon was split into two parts and on that the Prophet said, 'Bear witness (to thus).'"
Sahih Bukhari 4:56:830
Narrated Anas: "That the Meccan people requested Allah's Apostle to show them a miracle, and so he showed them the splitting of the moon."
Sahih Bukhari 4:56:831
Narrated Ibn 'Abbas: "The moon was split into two parts during the lifetime of the Prophet."
Sahih Bukhari 4:56:832
Narrated Anas bin Malik: "The people of Mecca asked Allah's Apostle to show them a miracle. So he showed them the moon split in two halves between which they saw the Hiram' mountain."
Sahih Bukhari 5:58:208
Narrated 'Abdullah: "The moon was split ( into two pieces ) while we were with the Prophet in Mina. He said, "Be witnesses." Then a Piece of the moon went towards the mountain."
Sahih Bukhari 5:58:209
Narrated 'Abdullah bin 'Abbas: "During the lifetime of Allah's Apostle the moon was split (into two places)."
Sahih Bukhari 5:58:210
Narrated 'Abdullah: "The moon was split (into two pieces)."
রাসুল সাঃ সবাইকে পুরো একটি দেশকে হিপনোটাইজ করে ফেললেন এও কি সম্ভব ? নাস্তিকদের নিজেদের সাবকনশাস মাইন্ডই তো তা বিশ্বাস করবে না। কোরানে স্পস্ট চাঁদ বিভক্তির কথা আছে, যদি রাসুল এটা নাই করতেন তবে কি কাফেররা রাসুলকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করত না ? কাফেররা দূরে থাক, সাহাবীরাই কি তা জিজ্ঞাস করত না যে হে রাসুল আপনি কবে চাদকে বিভক্ত করেছেন। কাফেররাও এই সুযোগে মুহাম্মদ সঃ কে পাগল সাব্যস্ত করতে পারত। কিন্তু এরকম কোন হাদিস , সীরাত বা ইতিহাস গ্রন্থে পাওয়া যায় নি যেখানে সমসাময়িক কেউ হোক কাফির বা সাহাবী এই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ বা প্রশ্ন করেছে । অপরপক্ষে রয়েছে হাদিস ও সীরাত যা একি সাথে ইতিহাসের উৎস, সেখানে দেখা যায় একাধিক সাহাবীদেরে এই ঘটনা চাক্ষুসের কথা। ভারতের কেরালায় একটি প্রচলিত মিথ আছে যেখানে বলা আছে চক্রবর্তি ফরমাস নামক এক রাজা এই ঘটনাটি ভারত থেকে প্রত্যক্ষ করেন। পরে একসময় তার দরবারে কিছু আরব এলে তাদের কাছে তিনি নবিজির এই চাঁদ বিভাগের ঘটনাটি শোনেন এবং ইসলাম গ্রহন করেন। বাবা রতন নামেরো একজন কে পাওয়া যায় ইন্ডিয়াতে, যিনি এই ঘটনা দেখে পরবর্তিতে নবিজির সাহাবী হন। নাস্তিকদের বিবেক কি বলে ? হিপনোটিজমের কোন সুত্র একটি পুরো জাতিকে ভিজুয়াল হিপনোটাইজ করতে শেখায়?
========================



No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...