নাস্তিকতার বিশ্বাস একটি বর্বর বিশ্বাস
নাস্তিক গুরুঃ আল্লাহ নাই, এগুলো সবই অন্ধ মানুষ বানিয়েছে।
ছাত্রঃ উস্তাদ আপনে ঠিক কইছেন। তবে প্রায় আস্তিকরা প্রশ্ন করে।
গুরুঃ কি প্রশ্ন করে আমার কাছে বোল, আমি যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে দিচ্ছি।
ছাত্রঃ ওরা বলছে এই Universe কি সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট?
গুরুঃ ইয়ে মানে! বলে দিবি অসৃষ্ট।
ছাত্রঃ সেটা তো আমিও কইলাম কিন্তু প্রমান?
গুরুঃ বলবি প্রকৃতি থেকে এমনিই পুড়ুত করে হয়ে গেছে।
ছাত্রঃ যে উস্তাদ খুবি ভালো যুক্তি দিয়েছেন। এবার এটা ট্রাই করে দেখুম। তবে প্রকৃতি কেডা? এই ব্যাক্তিকে তো চিনলাম না?
গুরুঃ বেয়াদব যা কইছি তাই কর বেশি বুঝস তুই।
=======================================
দাসী সহবাস বিষয়ে নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীকে কিভাবে যুক্তি দিয়ে বুঝাবেন ?
অনেক মুসলিম ভাইকে পথভ্রষ্ট করে দেয়ার জন্য নাস্তিকরা কৌশল প্রয়োগ করে থাকে।
যদি কখনো কোন নাস্তিক আপনাকে বলে,"তোমাদের ইসলামে নারীদের সম্মান দেয়া হয়নি,নারীদের শস্যক্ষেত্র ভাবা হয়,দাসীদের সাথে যৌনকাজ করা হয়,নয় বছরের মেয়ের সাথে সংসার করেছেন ইসলামের নবী।এগুলো অমানবিক।ব্লা...ব্লা...।"
তখন আপনি তাকে উল্টো ধোলাই দেয়া শুরু করুন।
কথার খাতিরে নিজেকে কন্ট্রোল করে তাকে বলেন,"নিশ্চয়ই এগুলো আপনার কাছে পুরোপুরি গর্হিত কাজ।রাইট?"
তখন নাস্তিকটা বলবে,"অবশ্যই,আধুনিক যুগে এসব মানানসই না"
তখন আপনি প্রতিউত্তরে বলুন,"আচ্ছা,আপনাকে দুইটা অপশন দিলাম।
১)আপনার মা
২)দাসী
এখন আপনাকে যদি বলা হয়,যে কোন একটা বেছে নেন।তখন আপনি কোনটা বেছে নিবেন যৌনকাজের জন্য?আপনি কি আপনার মাকেই বেছে নিবেন?"
নাস্তিকটা বলবে,"অবশ্যই না।দাসীকেই বেছে নিব।"
তখন তাকে কৌশলের ফাঁদে আটকিয়ে দিন।
তাকে জিজ্ঞেস করুন,"কেন আপনি আপনার মাকে বেছে নিলেন না যৌনকাজের জন্য?"
তখন সে হয়তো বলবে,"এটি গর্হিত কাজ।সমাজ মেনে নিবেনা।মা তো মা'ই।তবে মা যদি সম্মতি দেয় তখন......"
আবার বলুন,"আপনারা নাস্তিকরা বলেন,মায়ের সম্মতি থাকলে তার সাথেও যৌনকাজ করা যাবে।নাউযুবিল্লাহ।অথচ ইসলামে এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ।আমরা এই দুনিয়ায় মা'কেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।ভালোবাসার সর্বোচ্চ লেভেলকে "সম্মতির" দোহাই দিয়ে বৈধ করে নেন।আপনাদের থেকে আপনাদের মা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।"
তাকে আরো বলুন,"দাসী,পুত্রবধু,নয় বছরের মেয়ের সাথে সংসার-এই বিষয়গুলোকে ঠিক যে অবস্থান থেকে অমানবিক বলছেন,গর্হিত কাজ বলছেন,নিকৃষ্ট কাজ বলছেন,আপনার ঠিক সেই অবস্থানটাইতো বিশ্বজগতের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অবস্থান,যে অবস্থান লুচ্চামিতে ভরপুর।যে অবস্থান এতই নিকৃষ্ট যে যার থেকে আপনার মা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।অথচ ইসলাম ধর্মমতে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।কতই না সম্মানিত মা জাতি।"
তখন হয়তো নাস্তিকটার মাথা খারাপ হয়ে যাবে এবং এনিয়ে-বিনিয়ে প্রসংগ ছাড়া অনেক কিছু বলবে,পাশাপাশি আপনাকেও বিভিন্নভাবে আক্রমন করার চেষ্টা করবে।
তখন তাকে আবার বলেন,"আপনারাইতো তারা ,যারা সমকামি।আপনারাইতো তারা যাদের থেকে পুরুষ জাতিটাও রক্ষা পায়নি।যাদের বিকৃত মন মানসিকতার থাবায় পরে পুরুষরাও ইজ্জত হারাচ্ছে।"
সেই নাস্তিক নিজেকে ভালো প্রমান করার জন্য উঠেপরে লাগবে।সে যাই বলুক না কেন.........।
এবার তাকে চুড়ান্ত ধোলাইয়ের উদ্দেশ্যে বলুন,"আপনি যদি সঠিক অবস্থান থেকে ইসলামের ভুল ধরতে আসতেন তাহলেও একটা কথা ছিলো,কিন্তু আপনি যে অবস্থান থেকে ইসলামের ভুল ধরছেন।ছিঃ ছিঃ বলে ধুয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।আপনার সেই অবস্থানটাইতো লুচ্ছামিতে ভরপুর।আপনি কিসের কি ভালো অবস্থানে যাবেন,উল্টো নিজেইতো নিকৃষ্ট অবস্থানে চলে গেলেন।যান আগে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন।আগে আপনাদের "সম্মতি" নামক থাবা থেকে সম্মানিত "মা" জাতি এবং "সমকামি" নামক আরেক থাবা থেকে আমাদের পুরুষ জাতিটা রক্ষা পাক।এরপর না হয় আপনাকে গুরুত্ব দেয়া যাবে।তবে আরেকটা শর্ত হচ্ছে কিছুদিনের জন্য পাবনা মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি হবেন এবং তার সার্টিফিকেট শো করবেন আমাদের কাছে।"
[ বিঃদ্রঃ যদি দুইটা অপশনের কোনটাই সে বেছে না নেয়,তখন?
এর কৌশলও আছে।সময় পেলে আরেকটা পর্ব লিখবো ইনশা আল্লাহ]
"(আর দাসী,পুত্রবধু,নয় বছরের মেয়েকে নিয়ে সংসার)-এগুলোর অনেক ভালোভালো জবাব আছে।আলহামদুলিল্লাহ।যদি এই পোস্টটা শুধুমাত্র যুক্তি প্রয়োগের জন্য"
===============================================
নাস্তিক মুক্তিযোদ্ধার নাম জানতে চাই ?
নাস্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের মোট/আনুমানিক সংখ্যা কত জন ছিলেন?
বীর শ্রেস্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কি কেউ নাস্তিক ছিলেন ?
বীর প্রতিক মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কি কেউ নাস্তিক ছিলেন ?
বীর বিক্রম মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কি কেউ নাস্তিক ছিলেন ?
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের মাঝে কি কেউ নাস্তিক ছিলেন ?
বিঃ দ্রঃ বামপন্থী বা কমিউনিস্ট দের কে খোদ নাস্তিক রা নাস্তিক গন্য করেন না। এই পোস্টে দেখুন।
Click This Link https://goo.gl/iznYLC
তাই শুধু জানতে চাচ্ছি এমন নাস্তিক যারা নিজেকে নাস্তিক "দাবী" করেছেন।
বামপন্থী ছিলেন বা অমুকের বন্ধু ছিলেন দয়া করে এই অজুহাতে কোন আস্তিক বা সংশয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা কে "নাস্তিক" বলবেন না ।
"যদি সৎ উত্তর না থাকে তাহলে কার এতবড় সাহস যে কিনা দেশের সংবিধান নিয়ে কথা বলেহ???
============================================================
নাস্তিকঃ মানবজাতির আশীর্বাদ না অভিশাপ ?
কোন অনির্ণীতকাল পূর্বে মহানরাব্বুল আলামিন তাঁর ইবাদতেরজন্য ফেরেস্তাদের সৃষ্টি করেছিলেন বা ফেরেস্তারা সৃস্টির কতদিন পরে ইবাদত শুরু করেছিল বা তার কতদিন পরে এসে আল্লাহ্ তাদের ইবাদতে অসন্তুষ্ট হয়ে ইবাদতের জন্য মানুষ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারকোন বর্ণনাই কোরানশরিফে পাওয়া যায়না । তবে এটুকু জানা যায় তার এই নবসৃস্টির ইচ্ছাসুখের কথা যখন তিনি ফেরেস্তাদের অবগত করলেন তখন তারা তাদের একচ্ছত্র অধিকার হারাবার ভয়ে জীবনের প্রথম আপত্তি তুলে বলল আপনি কি এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে অশান্তি ঘটাবে ও রক্তপাত করবে ? অথচ আমরাইতো আপনার পবিত্রমহিমা ঘোষণা করি। সুরা বাকারা = ৩০।
কিন্তু ফেরেস্তাদের এ, দাবী অত্যন্ত দ্রুততার সাথে অব্যাখ্যাততার সাথে, অগ্রাহ্যকরে সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ বললেন, ' নিশ্চয় আমি যাহা জানি তোমরা তাহা ইমজানোনা । ' এবং ফাঁস প্রশ্নের এক অসম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণে তাদেরকে বাধ্য করলেন । অসহায়ের মত ফেরস্তারা বিনীতের সুরে নিজেদের অপারগতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছাসমর্পিত হয়ে বলল, আমাদের কোন জ্ঞাননেই শুধু আপনার শেখানো ছাড়া ।
এই অন্যায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফলে আদমকে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করে ফেরেস্তাদের উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করার প্রমাণ স্বরূপ আদমকে সেজদা করার নির্দেশ দিলেন । সুরা বাকারা =৩২ - ৩৯।
প্রশ্নহল কোন অনন্তকাল ব্যাপী নিয়ত গুণকীর্তনকারী পবিত্র স্বত্বাকে স্মরণকারী এই পাপহীন চির আজ্ঞাধীন ফেরস্তাদের অপরাধ কি ছিল ? কি অপরাধে তাদের এই গুরুদণ্ড ?
তাদের অপরাধ ছিল একটাই, আর তা হল, আল্লাহ্র স্বৈরিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদহীনতা।
মানুষ সৃষ্টির প্রয়োজন হয়েছিল শুধুমাত্র একটি কারণে, তাহল, ভেড়ামার্কা ইবাদতকারীকে আল্লাহ্ পছন্দ করেননা। সেদিনই মানবজাতি ধ্বংস হবে যেদিন সকলমানুষ প্রতিবাদহীনভাবে নির্বিকারভাবে ভেড়েরভেড়ো হয়ে ইবাদত করা শুরু করবে। এবং যার অনিবার্য এবং অবধারিত পরণতি ওই ফেরেস্ততাদের মতই । সেদিক থেকে পৃথিবীতে মানবকূলকে টিকিয়ে রেখেছে প্রশ্নহীন অন্তঃসারহীন আস্তিকরা নয় প্রশ্নবাণে জর্জরিতকারি, নিত্য কৌতুহলী চির অনুসন্ধানী নাস্তিকরা।
===========================================================
নাস্তিকগুরু যখন শিশুর কাছে পরাজিত।
★★★★★★★★
[রিচার্ড ডকিন্স এবং এক শিশু]
বর্তমান বিশ্বে নাস্তিকদের এক পুরোহিতের নাম রিচার্ড ডকিন্স। সে একবার এক শিশুকে পড়াচ্ছিলেন। ডকিন্স শিশুটির উদ্দেশ্যে একটি মন্তব্য করে বসলেন।
ডকিন্সঃ সৃষ্টিকর্তাকে দেখা যায় না, অতএব সৃষ্টিকর্তা নেই।
(পড়ার টেবিলের উপর ছিল মাটির তৈরি একটি পুতুল। পুতুলকে দেখিয়ে শিশুটি বলল)
শিশুঃ এই পুতুলটাও তার সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পায় না। অতএব এই পুতুলটারও সৃষ্টিকর্তা নেই।
===================================================================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.