নাস্তিকীয় সমাজের চিত্র(সবাই যদি নাস্তিক হত তাহলে কেমন হত?
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
আমি নাস্তিকদেরকে পশু মনে করি।নাস্তিক #piu duttaও নিজেকে পশুই মনে করেন এবং নিজেকে পশু মনে করে পিউ গর্বিত। শুনেছি পশুরা সমকাম করে। আর নাস্তিকরাও সমকাম করে। পশুরা কি নাস্তিকদের আইডল? পশুরা সব সময় উলংগ থাকে। তাহলে নাস্তিকরা সব সময় উলংগ থাকেনা কেন? নাস্তিকদের মতঅনুযায়ী সারা দুনিয়ার রাষ্ট্র চালালে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে মানবজাতি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাবে। কিভাবে? নাস্তিকদের বিধান চালু হওয়া মানে হচ্ছে সমকামিতা, ফ্রি সেক্স চালু হওয়া এবং বিবাহ বন্ধ হওয়া। সমকামের মাধ্যমে মানুষের জন্মহার কমে যাবে। অপরদিকে ফ্রি সেক্সের কারণে অগণিত শিশু জন্ম নিবে কিন্তু ঐ সমস্ত শিশুদের কোনো পিত্রি পরিচয় থাকবেনা। পিত্রি পরিচয়হীন শিশুরা যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবে তখন তারা শুধু তাদের মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করবে। সন্তানেরা মায়ের পরিচয়ে বড় হবে। অপরদিকে পুরুষরা সন্তানহীন জীবন যাপন করবে কারণ কখন কোন নারীর সাথে সেক্স করেছে তার কোনো ঠিক ঠিকানা থাকবেনা। সন্তান যখন বাবার পরিচয় পাবেনা তখন সে মানসিক রোগ ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে, ভুগার সম্ভাবনাই বেশি। সন্তানহীন পুরুষরা যখন মারা যাবে তখন তাদের সম্পত্তি সরকারের হয়ে যাবে কারণ তাদের সম্পত্তির কোনো উত্তরাধিকার থাকবেনা। সকল মানুষ যখন মুক্তমনা নাস্তিক হয়ে যাবে তখন কেউ কারো মতকে সম্মান দিবেনা। ধর্ষনের কোনো শাস্তি হবেনা কারণ নাস্তিকীয় দর্শন অনুযায়ী ধর্ষন একটা প্রাকিতিক ব্যাপার এটা খারাপ কিছু নয়। তখন অনেক নারী অফিসে রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত ধর্ষনের সীকার হবে। যদিও ফ্রি সেক্স চালু থাকবে তারপরেও ধর্ষন যেহেতু প্রাকিতিক ব্যাপার তাই সেটা ঘটতেই পারে। আর ফ্রি সেক্স চালু থাকলেও সবাই সবার সাথে সেক্স করতে নাও রাজি হতে পারে। আর এজন্য ধর্ষন ঘটাও অসাভাবিক কিছু না। যখন নারীরা রাস্তাঘাটে অফিসে প্রতিনিয়ত ধর্ষনের সীকার হয়েও কোনো বিচার পাবেনা(বিচার পাবেনা কারণ নাস্তিকদের মতে ধর্ষন খারাপ কিছু না) তখন অনেক নারী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবে। সন্তানহীন পুরুষরা অসুস্থ হলে সেবা করার মত কাউকে পাবে কিনা ডাউট আছে কারণ যখন সেবা করার জন্য কাউকে ডাকবে হয়তো সে তখন সেক্সের কাজে ব্যস্ত থাকতেও পারে। আর ডাকবেই বা কাকে? নিজের বাড়িতে কি সব সময় সেক্স পার্টনার থাকবে? তাদের কি সেক্স ছাড়া উপার্জনের জন্য অন্য কোনো কাজ থাকবেনা?
যে সমস্ত নাস্তিক চোর তারা চুরি করাকে ভালো কাজ বোলে গন্য করবে এবং তারা চুরি করার পক্ষে তাদের প্রচারনা চালিয়ে যাবে। যারা পরিশ্রমী নাস্তিক তারা চোর নাস্তিকদেরকে সমর্থন করবেনা। এভাবে দুদলের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ তৈরী হবে এমনকি নাস্তিকদের মধ্যে এটা নিয়ে খুনাখুনি পর্যন্ত হয়ে যাবে। একজন নারী রেপের সীকার হলে সে মানসিকভাবে খুব কষ্ট পায়। আর নাস্তিক সমাজে রেপ হবে একটা ন্যাচারাল ব্যাপার। রেপের সীকার নারীরা বিচার না পেয়ে অনেকেই মানসিক রোগে ভুগবে, অনেকেই সুইসাইড করবে আবার অনেকেই পুরুষদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করবে। বাবাহীন সন্তান্দের খরচ কে বা কারা বহন করবে এটা নিয়েও নাস্তিক সমাজে ফ্যাসাদ তৈরী হবে।
যে সমস্ত নাস্তিক ডাকাত বা ছিনতাইকারী তারা তাদের কাজকে ভালো মনে করবে এবং এটার পক্ষে তারা প্রচারনা চালাবে। এভাবে সমস্ত মুক্তমনাদের মধ্যে দন্দ আর ফ্যাসাদ তৈরী হবে। বিচার করারও উপায় নাই কারণ সবাই নাস্তিক, আর সবাই নাস্তিক বোলে তাদের কাছে ভাল মন্দের কোনো মাপকাঠি থাকবেনা, আর মাপকাঠি থাকবেনা বোলে একজনের কাছে যেটা ভালো মনে হবে ঠিক সেটাই আবার অন্যজনের কাছে খুব খারাপ মনে হবে। এভাবে নাস্তিকদের মধ্যে মহা গ্যানজামের স্রিষ্টি হবে যার পরিণাম হচ্ছে ধ্বংস। আবার সমকামিতা আর ফ্রি সেক্সের কারণে যৌনরোগ যেমন-গনোরিয়া, সিফিলিস, এইডস ইত্যাদি মরনঘাতী ব্যাধি খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করবে, যার ফলে মানুষের ভুগান্তি আরো বেড়ে যাবে। ডাক্তার কবিরাজ সবাই নাস্তিক, তাই তারাও এসব রোগে আক্রান্ত হবেই হবে কারণ ফ্রি সেক্সের রাষ্ট্রে অগনিত গনহারে সেক্স করার সময় অত নিয়ম কানুন মানা সম্ভব হবেনা। এভাবে গোটা সমাজে বিভিন্ন বিশ্রিংখলা দেখা দিবে। মাত্র পঞ্চাশ থেকে একশো বছরের মধ্যে গোটা মানবজাতি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাবে।

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.