কি হচ্ছে এসব ?
মাকে জন্মভূমির সাথে তুলনা করা হয়😊😊...ভাল কথা...কথা হইল মাকে মানে নারী জাতীকে সেই ভূমির সাথে তুলনা করা হয়েছে যেখানে কোটি কোটি মানুষ হাটাহাটি,হাগাহাগি,মুতামুতি,খুনাখুনি আরও কত কিছু করে😜😜😜...এতে নারীদের অসম্মান হয় না আর নারীদের শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করলেই অসম্মান হয়ে যায়!!😰😰😰
নাস্তিকদের পল্টিবাজিতে নোবেল দেয়া হোক😜😜😜
=============================
মাইকেল হার্ট, 'The 100: A Ranking of the
Most Influential Persons in History' - বইয়ের
লেখক।
তাঁর এ বইটি শেষ করতে ২৮ বছর লেগেছিল।
তিনি তাঁর বইয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ
(সা.) কে ১ নম্বরে স্থান দেন।
.
তো তিনি একবার লন্ডনে একটি
অডিটোরিয়ামে লেকচার দিচ্ছিলেন। তখন
তাঁর প্রতি অবজ্ঞাসূচক ধ্বনি করা হচ্ছিল
এবং লেকচারে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছিল।
উপস্থিত লোকজন অভিযোগ করছিল - কেন
তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে ১ নম্বরে
স্থান দিয়েছেন?
.
উত্তরে তিনি বললেন, 'মুহাম্মদ (সা.) ৬১১
খ্রিস্টাব্দে মক্কার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তিনি লোকদের বললেন, 'আমি আল্লাহর
প্রেরিত রাসুল।' চারজন লোক তাঁর উপর
বিশ্বাস এনেছিল - তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড, তাঁর
স্ত্রী আর দুই শিশু!
.
এখন, ১৪০০ বছর পরে মুসলমানদের সংখ্যা
১০০ কোটিরও বেশি যা এখনো বাড়ছে।
তিনি মিথ্যাবাদী হতে পারেন না কারণ
একটি মিথ্যা ১৪০০ বছর ধরে টিকে থাকতে
পারে না অথবা কেউ ১০০ কোটি মানুষকে
বোকা বানাতে পারে না।
.
আরেকটা ব্যাপার। এত সময় পরেও
মুসলমানরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করতে
দ্বিধাবোধ করবে না একটিমাত্র শব্দের
উপর যেটি হয়তো তাঁদের নবিকে আঘাত
করতে পারে। এখানে একজন খ্রিস্টান কি
আছে যে কিনা ঈসা (আ.) এর জন্য এটি
করতে রাজি হবে?' এরপরে পুরো
অডিটোরিয়ামে পিনপতন নীরবতা।
=================================
মাওলানা তারিক জামিলের বাংলাদেশ সফরের একটি ঘটনা
মাওলানা তারিক জামিল একবার তার বয়ানে বাংলাদেশ সফরের একটি ঘটনা উল্লেখ কলেন। তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশ থেকে ফিরছিলাম। পথে আমার পাশে সিট পড়লো গৌর বর্ণের একটি ব্যাক্তির। ঘন্টা খানিক আমি কোন কথাই বলিনি। ভেবেছি ইংরেজি হয়ত আমি ভুলে গেছি। প্রায় পঁচিশ বছর হলো আমি ইংরেজি বলি না। তারপর ভাবলাম, ‘একে দাওয়াত দেয়া দরকার। কিন্তু সাহস যুগাতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে আমাদের সামনে খাবার পরিবেশিত হলো। এবার আর আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলাম না।
মনে মনে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য চাইলাম – ‘হে আল্লাহ! জীবনে তো বহু ইংরেজি বলেছি। তুমি আমাকে সাহায্য কর।’ তারপর তার সাথে কথা বলতে শুরু করলাম। আল্লাহ তায়ালা ধীরে ধীরে ইংরেজি বলাটা আমার জন্য সহজ করে দিলেন।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম – “আচ্ছা! এই যে তোমরা সারা জীবন নাচছো, গাইছো, ডিসকো গিয়ে জুয়া খেলছো এবং একে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে তোমাদের জীবন। তোমার হৃদয়কে একবার জিজ্ঞেস করে দেখ তো এই বিশাল পৃথিবীটা কি এই উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করা হয়েছে?”
আমি তাকে খুব সহজে বললাম, ‘কিছু লোক কোথাও একত্রিত হয়ে নাচবে, গাইবে, পরষ্পরে হাত বদল করবে, রাতভর শরাব পান করবে। তারপর বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকবে। সারা সপ্তাহের উপার্জন এক রাতে এনে ঢেলে দেবে। পরদিন সকাল বেলা উঠে গাঁধার মত আবার উপার্জন শুরু করবে। বলো, এটা কি কোন মানুষের জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ হতে পারে?’
সে আমার প্রশ্ন শুনে চুপ হয়ে গেল। বললোঃ ‘এমন প্রশ্নতো জীবনে আমাকে কেউ করেনি!’
আমি বললাম, ‘তুমি আমার প্রশ্নের জবাব দাও। বলো, এই পৃথিবীতে আমরা কি জন্যে এসেছি?’ এই তুচ্ছ কাজগুলোর জন্যেই কি আমরা পৃথিবীতে এসেছি?’
সে একটু ভেবেচিন্তে বললো, ‘না!’
আমি বললামঃ ‘এগুলোই যদি জীবনের টার্গেট হয় তাহলে আমরা তো জানি, টার্গেট অর্জনের পর মানুষের জীবনে একটা সুখ ও স্হিরতা আসে। মানুষ শান্তি ও নিবিড়তা অণুভব করে। তুমি তোমার অন্তরকে জিজ্ঞাসা করে দেখ তো। তুমি কি তোমার হৃদয়ে কখনও প্রশান্তি অণুভব করেছো?’
সে বললোঃ ‘না!’
আমি বললামঃ ‘তাহলে তোমার জীবনে কোথাও একটা শূণ্যতা আছে?’
আমি বললামঃ “আমরা এমন একটি ইসলাম গ্রহন করেছি যেখানে আমাদের জীবনের একটি পরিপূর্ণ চিত্র আছে। কিন্তু কি করবো? আমরা তো নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছি।”
একথা বলে আমি তাকে ইসলাম বুঝাতে শুরু করলাম। আমি তাকে বুঝালাম, “ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম। ইসলামের বেশ কিছু সুন্দর দিক তার সামনে তুলে ধরলাম। কথা প্রসঙ্গে আমার মুখ থেকে অলক্ষেই বেরিয়ে এলে ইসলামে মদ পান সম্পূর্ণ হারাম। কারণ, মদ মানুষকে পাগল বানিয়ে ফেলে।”
সে আশ্চর্য হয়ে বললোঃ “তোমাদের ধর্মে মদ হারাম?
আমি বলললামঃ “অবশ্যই।”
সে বললোঃ “আমিতো সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াই। এবং করাচীতে গিয়েই সবচাইতে ভালো মদ পাই”
এই কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম, এখন তাকে কি বলতে পারি? আমার হৃদয়টা তখন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো। মনে হলো, মুসলমানরাই এখন কাফেরদের ইসলাম গ্রহণের পথে বড় বাঁধা।
তবুও আমি তাকে বললাম, “আমাদের দেখো না। আমাদের ধর্মের কিতাব পড়। বাস্তব জীবনে আমরা দুর্বল। আমাদের কিতাবের সব কথা আমরা মানতে পারি না। কিন্তু আমাদের ধর্মগ্রন্হ পূর্ণ সত্য তাতে কোন খাদ নেই।
এবার নিজেদের বিবেক দিয়ে বিবেচনা করুন। আগে দাওয়াত কাদের জন্য জরুরী? মুসলিমদের জন্য? না অমুসলিমদের জন্য? মূর্খতার সাথে বড় গলায় বলে থাকি যে, ‘নবী ও সাহাবীরা অমুসলিমদের কাছে দাওয়াত দিয়েছে। মুসলমানদের কাছে দাওয়াত কিসের?’
জবাবে বলি, ‘ভাই নবীর জামানায় ১০০% মুসলিম নামাজ পড়েছে। ১০০% মুসলিম পর্দা করেছে। আজকে কত পার্সেন্ট মুসলিম নামাজি? জুম্মার দিনে মসজিদে জায়গা নেই আর ফজরের সময় মসজিদ ফাঁকা কেন? আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন। দাওয়াতের কাজে কবুল করুন ও সকল নামধারী মুসলিমকে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার তওফিক দান করুন। আমিন।।
=====================================
মাত্র ৫মিনিট সময় ব্যয় করে ৫টা গল্প পড়ুন। অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
.
.
. গল্প-১:
বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে।
.
ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন,"আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস করো।"
.
বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা।
.
শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
.
বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,"কে ছিল দরজায়?"
.
ছেলেটিঃ "পাশের বাসার করিম সাহেব"
.
বাবা বললেনঃ ওহ,"আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?"
.
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ
আপনার ধার-দেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।
.
.
.
.
. গল্প-২:
সেলসম্যান,অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন।পথে তাঁরা একটি পুরোনো প্রদীপ পেলেন।তাঁরা ওটাতে ঘষা দিতেই দৈত্য বের হয়ে এল।
.
দৈত্য বলল,"আমি তোমাদের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব।"
.
"আমি আগে! আমি আগে!" বললেন অফিস ক্লার্ক,"আমি বাহামা সমুদ্রপারে যেতে চাই, যেখানে অন্য কোনো ভাবনা থাকবে না, কাজ থাকবে না।"
.
দৈত্যঃ "ফুঃ...!!"
.
তিনি চলে গেলেন।
.
"এরপর আমি! এরপর আমি!" বললেন সেলসম্যান,"আমি মায়ামি বিচে যেতে চাই, যেখানে শুধু আরাম করব।"
.
দৈত্যঃ "ফুঃ...!!"
.
তিনিও চলে গেলেন।
.
দৈত্য ম্যানেজারকে বললোঃ "এখন তোমার পালা"
.
ম্যানেজার বললেনঃ "আমি ওই দুজনকে আমার অফিসে দেখতে চাই।"
.
শিক্ষণীয় বিষয়:
সব সময় বসকে আগে কথা বলতে দেবেন। তা না হলে নিজের কথার কোন মূল্য থাকবে না।
.
.
.
.
.
. গল্প-৩:
একটি ঈগল গাছের ডালে বসে আরাম করছিল।এমন সময় একটি ছোট খরগোশ ঈগলটিকে দেখে জিজ্ঞেস করল,"আমিও কি তোমার মতো কিছু না করে এভাবে বসে আরাম করতে পারি?"
.
ঈগল উত্তর দিলোঃ "অবশ্যই, কেন পারবে না।"
.
তারপর খরগোশটি মাটিতে এক জায়গায় বসে আরাম করতে থাকলো। হঠাত একটি শিয়াল এসে হাজির, আর লাফ দিয়ে খরগোশকে ধরে খেয়ে ফেললো।
.
শিক্ষণীয় বিষয়:
যদি কোনো কাজ না করে বসে বসে আরাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক ওপরে থাকতে হবে।
.
.
.
.
.
. গল্প-৪
একটি মুরগি ও একটি ষাঁড় আলাপ করছিলো।
.
মুরগিঃ "আমার খুব শখ ওই গাছের আগায় উঠব, কিন্তু আমার এত শক্তি নেই", মুরগিটি আফসোস করল।
.
উত্তরে ষাঁড়টি বললোঃ "আচ্ছা, তুমি আমার গোবর খেয়ে দেখতে পারো, এতে অনেক পুষ্টি আছে।"
.
ষাঁড়ের কথা মতো মুরগি পেট পুরে গোবর খেয়ে নিলো এবং আসলেই দেখল সে বেশ শক্তি পাচ্ছে। চেষ্টা করে সে গাছের নিচের শাখায় উঠে পড়লো।
.
দ্বিতীয় দিন আবার খেলো, সে তখন এর ওপরের শাখায় উঠে গেল।
.
অবশেষে চার দিন পর মুরগিটি গাছের আগায় উঠতে সক্ষম হলো।
.
কিন্তু খামারের মালিক যখন দেখলেন মুরগি গাছের আগায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি করে তাকে গাছ থেকে নামালেন।
.
শিক্ষণীয় বিষয়:
ফাঁকা বুলি (বুল শিট) হয়তো আপনাকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বেশিক্ষণ ওখানে টিকে থাকতে পারবেন না।
.
.
.
.
.
. গল্প-৫
একটি পাখি শীতের সময় দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলো। কিন্তু এত ঠান্ডা ছিল যে পাখিটি শীতে জমে যাচ্ছিল এবং সে একটি বড় মাঠে এসে পড়ল।
.
যখন সে মাঠে পড়ে ছিল, একটি গরু তার অবস্থা দেখে তাকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিল।
.
কিছুক্ষণ পর পাখিটি বেশ উষ্ণ অনুভব করল। যখন গোবরের গরমে সে খুব ঝরঝরে হয়ে উঠল,আনন্দে গান গেয়ে উঠল।
.
এমন সময় একটি বিড়াল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, পাখির গান শুনে খুঁজতে লাগলো কোথা থেকে শব্দ আসে। একটু পরই সে গোবরের কাছে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গোবর খুঁড়ে পাখিটিকে বের করে তার আহার সারে।
.
শিক্ষণীয় বিষয়:
(!). যারা আপনার ওপর কাদা ছোড়ে, তারা সবাই-ই আপনার শত্রু নয়।
.
(!!). যারা আপনাকে পঙ্কিলতা থেকে বের করে আনে, তারা সবাই-ই আপনার বন্ধু নয়।
.
(!!!). এবং যখন আপনি গভীর পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত, তখন মুখ বেশি না খোলাই শ্রেয়।
..
.
========================================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.