যারা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন এবং ইসলামকে বিশুদ্ধভাবে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের এই উপহার ।
▼
Pages
▼
Tuesday, 3 September 2019
আরজ আলী মাতুব্বর এর মাতুব্বরীর
মুক্তমনা ধর্মের নাস্তিক রাসুল আরজ আলী মাতুব্বর এর মাতুব্বরীর জবাব : (স্ক্রিনশটে তার ১ ও ২ নং প্রশ্ন সংযুক্ত) --- ১ম পর্ব :
.........................................................................
১ ও ২ নং প্রশ্নের জবাব :
মাতুব্বর সাহেব যেজন্য বিভ্রান্ত হয়েছেন, সেটা হোলো মানবদেহের কোটি কোটি জীবকোষের প্রতিটির প্রাণশক্তি আলাদা আর মৃত মানুষের দেহ জড় পদার্থে পরিণত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়। সুতরাং আমার দেহ, আমার আত্না হলে - আমিটা কে? আর এ আমির স্বরুপ বা আকার কি?
মাতুব্বর সাহেব যদি আরেকটু চিন্তা-গবেষণা করতেন, তবে এ সহজ বিষয়টি অতি সহজে বুঝে যেতেন। এতে শুধু তাকে এতটুকুই চিন্তা করতে হোতো যে, একটি মানুষ যখন নিদ্রা যায় - তখন তার দেহ ও কোটি কোটি দেহকোষের প্রাণ স্বাভাবিকভাবেই ক্রিয়া করতে থাকে কিন্তু তাতে কি এমন বিষয়ের অনুপস্হিতি ঘটে যে, সকল ইন্দ্রিয় সক্রিয় থাকলেও তাতে কোন বোধ ও জ্ঞান থাকে না?
সেই অনুপস্হিত স্বত্তাটি হলো 'আমি'। এবং কোটি কোটি প্রাণসমৃদ্ধ জৈবকোষের দেহবাহনটা এই 'আমি' স্বত্তার দাড়াই পরিচালিত হয়। এবং এই স্বত্তাসমুহ প্রত্যেকটি যে স্বতন্ত্র, তার প্রমাণ হোলো নিজ নিজ দেহবাহনে স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে ফিরে আসা। এবিষয়ে পবিত্র কোরআন বলে,
"তিনি (স্রস্টা) রাত্রিবেলা তোমাদের রূহ কবয করেন আর দিনের বেলা তোমরা যা কিছু কর তা তিনি জানেন।(রূহ কবয করার পর তিনি দ্বিতীয় দিনে) আবার তিনি তোমাদের সেই কর্মজগতে ফিরে পাঠান; যেন জীবনের নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ন হতে পারে। কেন না শেষ পর্যন্ত তাঁর নিকটেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে। তোমরা কি কাজ কর? তখন তিনি তা তোমাদের বলে দিবেন।”[ সূরা আল আনআমঃ৬০]
সুতরাং এটা নিশ্চিত যে, মানুষের রুহ বা স্বত্তা জৈবকোষের প্রাণ ও দেহের উপর নির্ভরশীল নয়।
এখন এর স্বরুপ বা আকার কি?
এই দুনিয়ায় মানুষের স্বত্তাকে যে দেহবাহন দেয়া হয়েছে, তার সকল ইন্দ্রিওতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একারনে আমরা ২০-২০০০০ সাইকেলের কম বা বেশী আওয়াজ শুনতে অথবা ৪০০০-৮০০০kn এর কম বা বেশী রেজুলেশনের বস্তু দেখতে সক্ষম নই। স্রস্টা এবিষয়ের জ্ঞান আমাদের প্রদান করেন নি এবং বিজ্ঞানও এটি কস্মিনকালেও আবিস্কার করতে সক্ষম হবে না যে, ঘুমন্ত অবস্হায় মানুষের 'আমি' স্বত্তাটির বৈশিষ্ট্য কি? কারণ পবিত্র কোরআন এবিষয়ে দ্যার্থহীনভাবে বলে,
"তারা আপনাকে রূহ (স্বত্তা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন - রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।" [সুরা বনী-ইসরাঈল ১৭:৮৫]
.........
অতএব, মানব স্বত্তাকে বিকল্প দেহ প্রদান করে প্রতিদান দিতে স্রষ্টা সক্ষম - এতে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই।
"তিনিই প্রথমবার সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি পুণরায় সৃষ্টি করবেন। এটা তাঁর জন্যে অতি সহজ।" (রুম:২৭)
.........

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.