Pages

Wednesday, 11 September 2019

আল্লাহ এবং মানুষ


আল্লাহ এবং মানুষ

মানুষ আল্লাহকে তখনি বিশ্বাস করে, যখন সে নিজে থেকে 'উপলব্ধি' করতে পারে যে, তিনি সত্যিই আছেন।
.
ধরুন,মখলেছ মিয়া একজন বিরাট বড় মাপের ব্লগার॥
.
শুধু তাই নয় ফেসবুকেও তিনি খুব হিট। তার প্রচুর ফলোয়ার আর প্রতি পোস্টে তিনি হাজারের উপর লাইক পান।
.
তো মখলেছ মিয়া লেখালেখি করেন নানা বিষয় নিয়ে। তিনি তার লেখা দিয়ে প্রমান করতে চান এই পৃথিবীতে আল্লাহ, গড, ভগবান বলে
কিছুই নেই, মোট কথা সৃষ্টিকর্তা বলেই কিছুই নেই।
.
এবং তিনি তার লেখা দিয়ে প্রমান করতে চান ধর্মগ্রন্থ গুলো সব মিথ্যা - সবই বিজ্ঞানের
খেলা।
.
এখন মখলেছ মিয়াকে যদি বলা হয় কুরআন বিশ্বাস করেন কি না?
এর উত্তরে মখলেছ মিয়া অবশ্যই 'না' বলবে এবং নানান রকমের যুক্তি তর্ক দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্ঠা করবে, কুরআন আল্লাহর কোনো বাণী না।
.
এখন যদি আকাশ থেকে আলোর তৈরি কোনো ফেরেস্তা বা অন্য কিছু এসে মখলেছ মিয়াকে বলে, 'হ্যা, কুরআন সত্যিই আল্লাহর বাণী, কোনো সন্দেহ নেই। তোমাকে এর পুরোটাই মানতে হবে।'
.
এই কথা শোনার পরে কি মখলেছ মিয়া একদম পুরোপুরি ঈমানদার বা মুসলমান হয়ে যাব??
.
আসলে হবেনা। মখলেছ মিয়া তখন নানান রকম যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাইবে, ঐ আসলে ফেরেস্তা টেরেস্তা কিছুই না - ঐ টা আসলে হ্যালুসিলেশন ছিল কিংবা দেখার ভুল ছিল॥
.
আবার যদি, মখলেস মিয়ারে প্রশ্ন করা হয়, আল্লাহ আছে এই কথা আপনি বিশ্বাস করেন না কেনো??
.
স্বাভাবিকভাবেই, অন্য আর দশজন নাস্তিকের মতই মখলেছ মিয়া উত্তর দেবে - "যেহেতু আল্লাহকে কোনোদিন দেখিনি এবং কেউ দেখেনি তাই
বিশ্বাস করিনা।" .
স্বাভাবিক ভাবে এই দ্বন্দটা হাজার হাজার বছর থেকে হয়ে আসছে। হাজার বছর পূর্বে থেকেই কিছু মানুষ এই একই প্রশ্ন করে যাচ্ছে।
.
যেমন মুসা আঃ
.
এর সময় তার সম্প্রদায়ের কিছু লোক বলেছিলেন - আল্লাহকে না দেখা পর্যন্ত বিশ্বাস করবো না যে মুসা আল্লাহর প্রেরিত নবী এবং আল্লাহ বলে
কেউ আছেন। সুরা বাকারায় আছে, "হে মূসা, কস্মিনকালেও আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহকে (প্রকাশ্যে) দেখতে পাব।
(আল বাকারা - ৫৫)"
.
. এই একই প্রশ্ন হাজার বছর থেকে চলে আসছে, তবে তার সাথে মখলেছ মিয়ার মতো মানুষ আরো কিছু প্রশ্ন যোগ করেছে।
.
বিজ্ঞান মনষ্ক উঠতি নাস্তিক : আল্লাহ যদি সবকিছুই সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে?
.
হতাশাগ্রস্থ নাস্তিক: সত্যিই যদি আল্লাহ থাকে, তাহলে পৃথিবীতে এত দুঃখ, কষ্ট কেনো? সারা পৃথিবীতে মুসলিমরা এতো মারা যাচ্ছে কেনো?
.
. দার্শনিক নাস্তিক : আল্লাহ বলে কেউ আছে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। যেহেতু আল্লাহকে কেউ দেখেনি এবং এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞান
সম্মত প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাই আল্লাহ বলে কিছুই নাই॥
.
উগ্রবাদি নাস্তিক : ধর্মটাই একটা ভাওতাবাজি তাই আল্লা থাকা না থাকার কথা উঠছে কেন?? স্রষ্টা একটা কাল্পনিক বিষয় সব মৌলবাদীদের
ধান্দা।
.
. উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর অনেক যুক্তি সম্পন্ন উত্তর আছে কিন্তু তারপরও মখলেছ মিয়ার মতো মানুষরা বিশ্বাস করবেনা যে সত্যিই স্রষ্ঠা বলে
কেউ আছেন!!!
.
এর কারণ নাস্তিকতার মুল ভিত্তি হলো অবিশ্বাস।
.
নাস্তিকতার সংগা বিষয়ে উইকিপিডিয়া বলছে, [নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং
অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য]
.
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না। মানে নাস্তিকদের সংখ্যাটা খুব কম।
.
আর নাস্তিক মাত্রই ধরে নেবে যে আল্লাহ নেই॥
.
কারণটা হাজার বছরের পুরনো - যেহেতু আল্লাহকে তারা দেখেনি তাই বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসেনা। '
.
বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আল্লাহকে নিজের চোখে দেখছি '- এটাই তাদের বড় যুক্তি!
.
মানুষ এখন পর্যন্ত সৃষ্টি জগতের ৫% ও বৈজ্ঞানিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি। তাই কেবল মাত্র একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মানুষের পক্ষেই
বলা সম্ভব যে, স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই।
.
মানুষ আল্লাহকে তখনি বিশ্বাস করে, যখন সে নিজে থেকে 'উপলব্ধি' করতে পারে যে, তিনি সত্যিই আছেন।
=============================
মানুষের ঈমান-আমল বিনষ্টকারী প্রচলিত কিছু কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

তেমনি ২০ টি প্রচলিত কুসংস্কার নিয়ে থাকছে আজকের প্রথম পর্বে।
______________________________
১→ পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।

২→ দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই বা বাকি দিতে নাই, তাহলে পুরো দিনটাই কাস্টমার আসবেনা বা বাকিতে যাবে।

৩→ জোড়া কলা বা জোড়া যেকোনো খাদ্য খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।

৪→ রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই,কাটলে নাকি হায়াত কমবে।

৫→ চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।

৬→ ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।

৭→ ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।

৮→ ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।

৯→ ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।

১০→ কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।

১১→ ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁতটা নে।”

১২→ মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না,এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১৩→ ভাঙা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে।

১৪→ ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে টাকা যাবে বা বিপদ আসবে।।

১৫→ বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এ অবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে ‘দোস্ত তোর হায়াত আছে।’ কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।

১৬→ হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুঃখ আসার সম্ভাবনা আছে।

১৭→ বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙ্গল হয়।

১৮→ স্ত্রী গনকে স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে স্বামীর অমঙ্গল হয়।

১৯→ বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু-দৃষ্টি থেকে বাঁচা যায়

২০→ বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে।

আল্লাহ আমাদের এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করা থেকে হেফাজত রাখুক এবং শিরক মুক্ত ঈমান রাখুক, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

Collected and edited by...
→ Md Atikur Rahman Noyon
=-=================================

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.