যারা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন এবং ইসলামকে বিশুদ্ধভাবে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের এই উপহার ।
▼
Pages
▼
Tuesday, 3 September 2019
ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্যের আলোকে কুরআনের অলৌকিকতা যাচাই
ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্যের আলোকে কুরআনের অলৌকিকতা যাচাই। সত্যিই মহাবিস্ময়!! -------------------------------- যদি আমরা কুরআনের দিকে তাকাই,তার ভাষাশৈলী সম্পূর্ন অজানা ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী সাহিত্যিক কাঠামোতে গঠিত।কুরআনের এই অদ্ভুত গঠন একে ব্যতিক্রম করে তুললেও এর ভাষাতাত্বিক ও সাহিত্যিক মান এর কোন অবনমন ঘটায়নি। আলোচিত বিষয়গুলি মাথায় রেখে দুইটি উপায়ে দেখানো যায়যে,কেন কুরআন ঐশ্বরিক ও অলৌকিক।প্রথম উপায়টি হল যৌক্তিক সিদ্ধান্ত,আরেকটি অলৌকিকতার দর্শন। যৌক্তিক সিদ্ধান্তঃ এটি চিন্তার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে যুক্তির মাধ্যমে সমাপ্তি টানা হয় কোন সর্বজনস্বীকৃত বিবৃতি থেকে বা এমন কোন সম্ভাব্য বিষয় হতে। কুরআনের ক্ষেত্রে প্রাচ্য আর পশ্চিমের পন্ডিতদের স্বীকৃত বিবৃতি হচ্ছে,”কুরআনকে এর নাযিল হবার সময়ে আরবরা সফলভাবে অনুকরন করতে পারেনি অর্থাৎ এর সমতুল্য কিছু রচনা করতে সক্ষম হয়নি।“এই বিবৃতি থেকে নিন্মোক্ত যৌক্তিক সমাপ্তিসমূহ পাওয়া যায়ঃ ১। কুরআন কোন আরবের রচনা হতে পারেনা,কারন তখনকার আরবরা ভাষায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ হওয়া সত্তেও কুরআনের অনুকরন করতে পারেনি,এমনকি তারা এর প্রশংসা করে এমনও বলেছে-এটি কোন মানুষের রচনা হতে পারেনা, ২।কুরআন একজন অনারব রচনা করতে পারেনা,কারন এর ভাষা আরবি এবং যথাযথ ভাবে কুরআনকে অনুকরন করতে আরবি ভাষার জ্ঞান লাগবে। ৩।কুরআন নবী(সা) এর রচনা হতে পারেনা।কারনঃ ক-১ নং এ বর্ণনা অনুযায়ী,যেহেতু নবী(সা) একজন আরব,আরবরা সবাই এটি অনুকরনে ব্যর্থ তাই যৌক্তিকভাবে রাসুল(সা) এর পক্ষে এটি রচনা সম্ভব নয়। খ-আরব ভাষাবিদরা নাযিলকালে কখনোই কুরআনের রচয়িতা মুহাম্মাদ(সা) এই অভিযোগ করেনি। গ-হযরত মুহাম্মাদ(সা) তার নবুওয়্যাতের জীবনে অনেক পরীক্ষা,বিপদ আপদের মাঝে কাটিয়েছেন।উদাহরনসরূপ,এই সময়ে তাঁর সন্তানেরা মারা যায়,স্ত্রী খাদিজা মৃত্যুবরন করেন,আরবরা তাঁকে পরিত্যাগ করে,তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহাবীরা নির্যাতিত ও নিহত হন।এতকিছুর পরও কুরআনের সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য,ঐশ্বরিক কন্ঠের রেশ কোনটারই কোন পরিবর্তন আসেনি।নবী(সা) এর উপর নির্যাতন,তাঁর কষ্টের কোন ছাপই কুরআনে পড়েনি যা মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিকভাবে অসম্ভব ব্যাপার। ঘ-কুরআন সাহিত্যিক বিচারে সবসময়ই অনন্য বলে বিবেচিত হয়েছে যদিও বিভিন্ন অবস্থা,পরিবেশ অনুযায়ী এটি ভাগে ভাগে নাযিল হয়েছে। কোনরকমের পরিবর্তন ছাড়াই এটি একটি অনন্য সাহিত্য।অথচ মানবীয় যত বিখ্যাত সাহিত্য রয়েছে তার সবই কতরকম ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বৈশিষ্ট্যে অনুপম হবার জন্যে। ঙ-হযরত মুহাম্মাদ(সা) এর হাদিসের ভাষা কুরআন হতে সম্পুর্ন আলাদা।একজন মানুষের পক্ষে কি করে সম্ভব ২৩টি বছরের বিশাল সময়ে সম্পূর্ন ভিন্ন দুটি ধরনে কথা বলা?আধুনিক গবেষনার আলোকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি অসম্ভব। চ-মানুষের সকল ধরনের শিল্প/সাহিত্যকেই অনুকরন করা যায় যদি তা বিদ্যমান থাকে,যেমন অত্যন্ত বিখ্যাত চিত্রগুলিরই নকল করা সম্ভব।কুরআন আমাদের কাছেই আছে,কিন্তু কেউই সক্ষম হয়নি নকল করতে। ৪।কুরআন জ্বীন বা তেমন কিছু থেকে আসতে পারেনা,কারন তাদের অস্তিত্বের প্রমানই হচ্ছে কুরআন।তাই কেউ যদি দাবী করেযে কুরআন অন্য কোন আত্মিক শক্তি থেকে এসেছে তাহলে তাকে সেটা প্রমান করে দিতে হবে এবং এভাবে এটা প্রমান হয়ে যাবেযে কুরআন সত্য। ৫।উপরোক্ত সবগুলো সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটাই বলতে হয়যে,কুরআন অলৌকিক।কুরআনের ব্যতিক্রমধর্মীতার কারন উপরের কোন পয়েন্টই বের করতে পারেনি। অলৌকিকতার দর্শনঃ একটি ব্যাপারকে তখন অলৌকিক বলা হয় যখন সেটি প্রাকৃতিক নিয়ম ভঙ্গ করে।এটি আসলে অলৌকিকতার পুর্নাঙ্গ সংজ্ঞা হতে পারেনা।প্রাকৃতিক নিয়মগুলো আমরা বিশ্বে যা পর্যবেক্ষন করি তার আলোকেই অনুমিত কিছু ধারা।যদি এদের ভঙ্গ করাকেই অলৌকিকতা বলে তাহলে প্রাকৃতিক নিয়ম সংক্রান্ত আমাদের ধারনায় আত্মবিরোধ দেখা দেয়।সেটি হল,আমরা কেন মনে করছিনা,এই নিয়মভাঙ্গনটা নিজেই একটা ধারা বা কোন ধারারই একটা অংশ?দার্শনিক উইলিয়াম লেন ক্রেইগ এর সংজ্ঞাটাই সবচেয়ে পুর্নাঙ্গঃ’অলৌকিক হল এমন কোন ঘটনা যা প্রকৃতির পক্ষে ঘটানো অসম্ভব’ আর তাই কার্যকারনগত বা যৌক্তিকভাবে অসম্ভব ঘটনাকেই অলৌকিক বলে। অলৌকিক কুরআনঃ কুরআন অলৌকিক হবার কারন হল,আরবি ভাষার সমস্ত সৃষ্টিশীলতা দিয়েও কুরআনকে অনুকরন করা যায়না। আরবি শব্দ,অক্ষর,ব্যাকরনের যত নিয়ম সবকিছু প্রয়োগ করেও কুরআনের সাহিত্যিক ধারা নকল করা সম্ভব নয়।ফরষ্টার ফিটজজেরাল্ড,ব্রিটিশ প্রাচ্য বিশেষজ্ঞ বলেন,”যদিও অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে,তাও কুরআনের ভাষার মত কিছু রচনা করা যায়নি” এখান থেকে মনে হয় যে,কুরআন আর আরবি ভাষার ভিতর কোন যোগাযোগ ই নাই।কিন্তু এটা অসম্ভব কারন কুরআন আরবি ভাষায় রচিত।সুতরাং মেনে নিতে হয়যে কুরআন অতিপ্রাকৃত কিছু। সর্বশেষ সিদ্ধান্তঃকুরআন সম্পূর্নরূপেই একটি অলৌকিক ও ঐশ্বরিক গ্রন্থ। (translated:a philosophical perspective on literary miracle of the QURAN by HAMZA ANDREAS TZORTZIS)
=============================
বৃদ্ধ নাস্তিকের কমন কিছু নসিহত।
,
,
১/ তুমি বিজ্ঞানের ছাত্র হলে তোমাকে বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করতে হবে।দরকার হলে অন্ধের মত বিশ্বাস করবে।
,
২/ তুমি মুসলিম হলে তোতা পাখির মত করে মুখস্ত কুরআন পড়বে,আর নাস্তিকদের বানানো ব্যাখ্যা গুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।কারণ, নাস্তিকরাই প্রকৃত মুহাদ্দিস।
,
৩/ তুমি কেন আল্লাহতে বিশ্বাস করে বন্দি জীবন-জাপন করবে?মানুষ হিসেবে তোমার সাধীনতার দরকার,যেটা নাস্তিকদের কাছ থেকে শেখো।
,
৪/ যদি আল্লাহ থাকতো তবে নাস্তিকরা ধ্বংশ হয়ে যেত, যেহেতু নাস্তুিকরা বেঁচে আছে সেহেতু আল্লাহ নেই।তাই তোমার উচিত নাস্তিক হওয়া।
,
৫/ ঈশ্বর থাকলে থাকলো তাতে তোমার কি? তোমার দরকার টাকা, উন্নত জীবন। so নাস্তিকদের দলে এসে তোমারটা তুমি বুঝে নাও।
,
৬/ ঈশ্বর থাকলেও ধর্মের দরকার নেই। ধর্ম তোমাকে বোকা বানিয়ে দেয়।তুমি নাস্তিক হয়ে জ্ঞানী হও।
,
৭/ তোমার ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তা তোমাকে কি টাকা দেয়? আমাদের দেখ, আমরা নাস্তিকতা প্রচার করে টাকার সাথে উন্নত জীবন পাই।
,
৮/ নাস্তিকরা কখনো গরীব থাকেনা, তাদের জন্য উন্নত দেশের অর্থ বরাদ্ধ আছে। তোমারও উচিত। সুযোগ গ্রহন করা।
,
৯/ ধর্ম তোমাকে লাল পানি(মদ) পান করা থেকে দূরে রাখছে। তুমি কেন মদ পানের সুখ থেকে বিরত থাকবে।
,
১০/ নাস্তিকদের চেহেরা বলদের মত হলেও সুন্দরী বউ পায়। তোমার চেহেরা বলদের মত হলে তোমার উচিত নাস্তিকতা গ্রহন করে সুন্দরী বউ অর্জন করা।
,
১১/ শুনো ছেলে-মেয়েরা নাস্তিকতার বিভিন্ন কোর্সে বিনা টাকায় ভর্তি চলছে। সেখানে পাস করলে সোজা জার্মানির টিকেট হাতে পাবে। আগে আসলে আগে পাবে ভিত্তিতে দেয়া হবে।
,
১২/ শুনো, তোমাকে শেষ অফার দিলাম তুমি ইচ্ছে করলে গোপনে ফেক আইডি খুলে ধর্মকে গালা-গালি করতে পারো।বিনিময়ে তোমাকে অর্থনৈতিক সহয়তা দেওয়া হবে।আর, মোল্লাদের খেপাতে পারলে তুমি পাবে ইউরোপের ভিসা!
=======================
বুদ্ধধর্মের অজানা কথা..
বুদ্ধ কি নাস্তিক ছিল? বুদ্ধ ধর্মে ইশ্বর নেই?!
উইকিপিডিয়া পাওয়া বৌদ্ধধর্ম বিশ্লেষণ :-
#মুসলিম_Vs_বৌদ্ধ
#Muslim_Vs_Budda
১::>> " গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্রীয়
চরিত্র। বৌদ্ধরা তাঁকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা
দিব্য [৭] শিক্ষক মনে করেন, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব
অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা
সকলকে জানিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম
ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন।
বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনি,
কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলি তাঁর
মৃত্যুর পর তাঁর অনুগামীরা সূত্রায়িত করেন এবং
স্মরণে রাখেন। প্রায় ৪০০ বছর পরে তাঁর
উপদেশ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন সংকলন মৌখিক
প্রথা থেকে প্রথম লিপিবদ্ধ হয় ।"
%% ব্যাখ্যা :- গৌতম বুদ্ধেরর মৃত্যুর প্রায় ৪০০ বছর পর যেহেতু তার উপদেশ & জীবনকাহিনী প্রথম লেখা হয়েছে তাই অনেক কিছু বিকৃত হওয়া স্বাভাবিক। ৪০০ বছর কিন্তু কম সময় না, তাছাড়া মুখস্থ করার ক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ আছে। একজন থেকে কিছু শুনে, আরেকজনকে তা হুবহু বলা প্রায় অসম্ভব। মুখে মুখে যে কথা ঘুরে তা বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
রাজার কালো ছেলে হয়েছে '" ঘুরতে ঘুরতে রাজার কাক হয়েছে রটে যাওয়ার :O গল্পটা আমরা অনেকেই জানি।
(fb- newmuslimsbd)
2>> " বুদ্ধের প্রধান দুই শিষ্য
সারিপুত্ত ও মোগ্গল্লান প্রথম জীবনে
ছিলেন সংশয়বাদী (নাস্তিকবাদী) সঞ্জয় বেলট্ঠিপুত্তর প্রধান
শিষ্য। [১৫]"
%% ব্যাখ্যা :- তার প্রধান ২ শিষ্য একসময় নাস্তিক ছিল। তারা পরবর্তীতে আস্তিক হয়েছিল কিনা যানা যায়না। তারাই হয়তো বুদ্বের বাণী প্রচারের সাথে সাথে নাস্তিকতা প্রচার করেছে & বুদ্ধকে সৃষ্টিকর্তাই বিশ্বাসহীন দেখিয়েছে!!
৩>> "তিপিটকে প্রায়শই দেখা যায় যে, বুদ্ধ
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মতধারার সমর্থকদের সঙ্গে
বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ, বুদ্ধ নিজেও
ছিলেন সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রমণ
দার্শনিক। [১৬] "
%% তিনি যে নাস্তিক ছিলেননা এটাই তার প্রমাণ, কারণ তিনি নাস্তিক হলে, নাস্তিকের শিষ্যরা আবার তার শিষ্য হতোনা..
৪>> "
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত
প্রধান [৪] ক্ষত্রিয় বংশের [৫৪][৫৫] শুদ্ধোধনের
পুত্র ছিলেন। তাঁর মাতা মায়াদেবী কোলিয়
গণের রাজকন্যা ছিলেন। শাক্যদের প্রথা
অনুসারে গর্ভাবস্থায় মায়াদেবী শ্বশুরালয়
কপিলাবস্তু থেকে পিতৃরাজ্যে যাবার পথে অধুনা
নেপালের তরাই অঞ্চলেরে অন্তর্গত
লুম্বিনী গ্রামে এক শালগাছের তলায় সিদ্ধার্থের
জন্ম দেন। তাঁর জন্মের সময় বা সপ্তম দিনে
মায়াদেবীর জীবনাবসান হয়। শুদ্ধোধন শিশুর
জন্মের পঞ্চম দিনে নামকরণের জন্য আটজন
ব্রাহ্মণকে আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা শিশুর নাম
রাখেন সিদ্ধার্থ অর্থাৎ যিনি সিদ্ধিলাভ করেছেন।
[৫৬] এই সময় পর্বতদেশ থেকে আগত অসিত
নাম একজন সাধু নবজাত শিশুকে দেখে
ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে এই শিশু
পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা
একজন সিদ্ধ সাধক হবেন। [৫৬] একমাত্র
সর্বকনিষ্ঠ আমন্ত্রিত ব্রাহ্মণ কৌণ্ডিন্য
স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই শিশু
পরবর্তীকালে বুদ্ধত্ব লাভ করবেন।"
%% নবিদের ভবিষ্যৎ বাণীর মতইনা? নাস্তিকদের বিষয়ে কেউ কখনও ভবিষ্যৎ বাণী করেছে?!!
৫>> " কথিত আছে, উনত্রিশ বছর বয়সে রাজকুমার
সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে কয়েকবার ভ্রমণে
বেরোলে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, একজন
অসুস্থ মানুষ, একজন মৃত মানুষ ও একজন
সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। সাংসারিক দুঃখ কষ্টে
সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ সিদ্ধার্থ তাঁর সারথি ছন্নকে
এঁদের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে, ছন্ন
তাঁকে বুঝিয়ে বলেন যে সকল মানুষের নিয়তি
যে তাঁরা একসময় বৃদ্ধ, অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখে
পতিত হবে। মুণ্ডিতমস্তক পীতবর্ণের জীর্ণ
বাস পরিহিত সন্ন্যাসী সম্বন্ধে ছন্ন তাঁকে
বলেন, যে তিনি মানুষের দুঃখের জন্য নিজ
গার্হস্থ্য জীবন ত্যাগ করেছেন, তিনিই
সন্ন্যাসী। এই নূতন অভিজ্ঞতায় বিষাদগ্রস্ত
সিদ্ধার্থ বাধর্ক্য, জরা ও মৃত্যুকে জয় করার জন্য
বদ্ধপরিকর হয়ে একজন সন্ন্যাসীর
জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। [৫৯] সংসারের
প্রতি বীতরাগ সিদ্ধার্থ এক রাত্রে ঘুমন্ত
স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে
প্রিয় অশ্ব কন্থক ও সারথি ছন্নকে নিয়ে প্রাসাদ
ত্যাগ করেন। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের
শেষ প্রান্তে পৌঁছে রাজবস্ত্র ত্যাগ করে
তলোয়ার দিয়ে তাঁর লম্বা চুল কেটে
মুণ্ডিতমস্তক হন। এরপর কন্থক ও ছন্নকে বিদায়
জানিয়ে রাজগৃহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
বোধিলাভ
কঠিন তপস্যার ফলে অস্থিচর্মসার সিদ্ধার্থ
প্রথমে তিনি আলার কালাম নামক একজন
সন্ন্যাসীর নিকট যোগ শিক্ষা করেন। [৬০][৬১]
[৬২] কিন্তু তাঁর প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর
লাভ না করায় এরপর তিনি উদ্দক রামপুত্ত নামক অপর
একজন সন্ন্যাসীর নিকট শিষ্যত্ব গ্রহণ করে
যোগশিক্ষা লাভ করেন। [৬৩] কিন্তু এখানেও তাঁর
জিজ্ঞাসা পূরণ না হওয়ায় তিনি তাঁকে ত্যাগ করে [৬৪]
বুদ্ধগয়ার নিকট উরুবিল্ব নামক একটি রম্য স্থানে
গমন করেন।
শরীরকে অপরিসীম কষ্ট প্রদানের মাধ্যমে
মুক্তিলাভ হয় এই বিশ্বাসে তিনি ও অন্য পাঁচজন
তপস্বী ছয় বছর ধরে অনশন, শারীরিক
নিপীড়ন ও কঠোর সাধনায় অতিবাহিত করেন।
দীর্ঘকাল ধরে কঠোর তপস্যার পর তাঁর
শরীর অস্থিচর্মসার হয়ে পড়ে ও তাঁর
অঙ্গসঞ্চালনের ক্ষমতা কমে গিয়ে তিনি
মরণাপন্ন হলে তাঁর উপলব্ধি হয় যে, অনশনক্লিষ্ট
দুর্বল দেহে শরীরকে অপরিসীম কষ্ট
দিয়ে কঠোর তপস্যা করে বোধিলাভ সম্ভব
নয়।[web ১০] ধর্মচক্রপ্রবর্তন
সূত্রানুসারে[web ১০], অসংযত বিলাসবহুল
জীবনযাপন এবং কঠোর তপস্যার মধ্যবর্তী
একটি মধ্যম পথের সন্ধান করে বোধিলাভ
সম্ভব বলে তিনি উপলব্ধি করেন। [web ১০] তিনি
তাই আবার খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন ও সুজাতা
নাম্নী এক স্থানীয় গ্রাম্য কন্যার কাছ থেকে
তিনি এক পাত্র পরমান্ন আহার করেন। [web ১১]
সিদ্ধার্থকে খাদ্য গ্রহণ করতে দেখে তাঁর
পাঁচজন সঙ্গী তাঁর ওপর বিরক্ত হয়ে তাঁকে
ছেড়ে চলে যান।
এই ঘটনার পরে একটি অশ্বত্থ গাছের তলায় তিনি
ধ্যানে বসেন এবং সত্যলাভ না করে স্থানত্যাগ
করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেন। [৬৫]
উনপঞ্চাশ দিন ধরে ধ্যান করার পর তিনি বোধি
প্রাপ্ত হন। [৬৫][web ১২] এই সময় তিনি মানব
জীবনে দুঃখ ও তাঁর কারণ এবং দুঃখ নিবারণের
উপায় সম্বন্ধে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেন, যা চতুরার্য
সত্য নামে খ্যাত হয়। [web ১২] তাঁর মতে এই
সত্য সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করলে মুক্তি বা নির্বাণ
লাভ সম্ভব।"
>> তিনি কার উদ্দেশ্যে ধ্যান করেছিলেন? & কার কাছ থেকে সত্য লাভ করেছিলেন? সৃষ্টিকর্তার কাছে নয় কি??
বি: দ্র :- আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) ও হেরা গুহায় ধ্যান করেছিলেন এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে সত্য ধর ইসলাম সমন্ধে জীবরাঈল (আ:) এর মাধ্যমে থেকে শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
===============================
বর্তমান মিশরের পিরামিড কেন্দ্রিক যে অঞ্চল, তার পুরোটাই মরুভূমি। একটা সময়, প্রাচীন মিশরে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একটি বৃহৎ সভ্যতা। এই অঞ্চলের লোকদের স্থাপত্যশিল্প, রন্ধনশিল্প, জ্যোতিষশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শিতার জন্য জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলো।
এটি আজকের কথা নয়। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগেকার কথা। প্রাচীন মিশরে তখন 'ফারাও' (ফেরাঊন) গোষ্ঠীর রাজত্ব।
ইতিহাসবিদরা সকলে একমত যে- বর্তমানে আমরা যে পিরামিড দেখি, তা প্রাচীন মিশরের প্রাচীন সভ্যতার প্রাচীন শাসক ফারাওদের হাতেই নির্মিত....
শুধু পিরামিডই নয়, প্রাচীন এই সভ্যতার জনগোষ্ঠীর হাতে নির্মিত হয়েছে আরো বহু স্থাপত্যশিল্প যার অনেককিছু সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে।
আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে নির্মিত পিরামিডের স্থাপত্যশৈলী দেখলে বর্তমান দুনিয়ার সু-উন্নত টেকনোলোজিকে আপনার নেহাৎ 'শিশু' মনে হবে। তাহলে চিন্তা করুন ৫০০০ বছর আগে তারা আমাদের চেয়ে কতোটা এগিয়ে ছিলো।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা (Archaeologist) বিশ্বাস করতেন, এই যে, পিরামিডের মতো এসব চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যশিল্প, এসব মরুভূমির বালুর বুকেই নির্মিত হওয়া। অর্থাৎ, তাদের ধারণা ছিলো, বর্তমান মিশরের পিরামিড অঞ্চলকে আমরা যেরকম দেখছি (মরূভূমির উপরে), আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে নির্মিত হওয়ার সময়টাতেও (অর্থাৎ, ফেরাঊনদের সময়টাতে) এই পরিবেশ ঠিক এরকমই ছিলো। অর্থাৎ, এখন যেমন আমরা মরুভূমি দেখছি, তখনও এরকম মরুভূমিই ছিলো এই অঞ্চল।
কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদদের খুব সাম্প্রতিক গবেষণা তাদের সুদীর্ঘকালের বিশ্বাসে জল ঢেলে দিলো।
সাম্প্রতিক গবেষণা মতে, আজকের মিশরের পিরামিড অঞ্চলকে আমরা যেরকম মরুভূমিময় দেখছি, প্রাচীনকালে এই অঞ্চল এমন ছিলো না।
অর্থাৎ, আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে যখন পিরামিডের মতো এসব স্থাপত্যশিল্প নির্মিত হচ্ছিলো, তখন সে অঞ্চল মরুভূমি, বালুময় ছিলো না।
তাহলে কেমন ছিলো তখন এসব অঞ্চল?
ব্রিটিশ পত্রিকা 'ডেইলি মেইল' ২০১২ সালে 'Climate change wiped out one of the world's first, great civilisations more than 4,000 years ago' নামে একটি সংবাদ কাভার করে। সেখানে প্রত্নতত্ত্ববিদরা তাদের গবেষণার ফসল হিসেবে জানিয়েছেন- আজ থেকে ৪৫০০-৫০০০ বছর আগে মিশরের এই অঞ্চলগুলো ছিলো সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা। এখানে নদী ছিলো, ঝর্ণা ছিলো, পাহাড় ছিলো। এই নদী,পাহাড়, ঝর্ণার পাশেই গড়ে উঠেছে তখনকার সেই সভ্যতা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ, প্রফেসর Michael Petragliaof বলেছেন,- ''that beneath these sands, there’s an enormous network of rivers which once fed the Egyptian civilization and which enabled the pharaohs to establish a great kingdom almost five thousand years ago''
অর্থাৎ, তারা এই মরুভূমির বালুকণা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, স্যাটেলাইট ডাটার মাধ্যমে দেখেছেন যে, এইসব অঞ্চলে একসময় নদীর অস্তিত্ব ছিলো, এবং এই নদীগুলো ফারাওদের তাদের রাজত্ব নির্মাণে সহায়তা করেছে।
তাহলে এইসব নদী, পাহাড়, ঝর্ণা সহ এরকম সবুজাভ প্রকৃতি কোথায় মিলিয়ে গেলো? কেনোই বা সেখানে এখন দৃষ্টির দূরতম সীমানা পর্যন্ত শুধু মরুভূমির বালুকণা?
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেছেন- এর কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন।
অর্থাৎ, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে সাথে একসময়কার এরকম সবুজাভ প্রকৃতি মিলিয়ে গিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ফারাও, তাদের রাজত্ব এবং তাদের সভ্যতা নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ তাদের ধারণা পাল্টেছেন।
তারা উপসংহারে এসেছেন যে- এখন যে মরুভূমিময় অঞ্চল আমরা দেখছি, একটা সময় এটি এরকম ছিলো না। ৫০০০ বছর আগে এটি একটি সবুজাভ সভ্যতা ছিলো।সেখানে ছিলো প্রাণের উৎস। ছিলো পাখ-পাখালির কোলাহল।
ফারাওদের(ফেরাঊনদের) ঘটনা আমরা পবিত্র আল কোরআনেও দেখতে পাই।
আল্লাহ তা'লা ফেরাঊনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন কোরআনের বেশকিছু জায়গায়।
কয়েকটি জায়গায় আছে-
“And Pharaoh proclaimed among his people, saying: "O my people! does not the dominion of Egypt belong to me, (witness) these streams flowing underneath my (palace)? What! See ye not then?”
[ “ফেরাউন তার সম্প্রদায়ের মাঝে ঘোষণা দিল। বলল- হে আমার সম্প্রদায়! মিসরের রাজত্ব কী আমার নয়? আর এ সব নদনদী (যা আমার প্রাসাদের) নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, তোমরা কি তা দেখ না? ” - সূরা যুখরুফ, ৫১]
এই আয়াতে প্রাচীন মিশরের ফারাওদের রাজত্বকালে তাদের অঞ্চলের আশপাশে নদ-নদীর যে অস্তিত্ব ছিলো, তার একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।
এতোদিন ধরে মনে করা হতো, ৫০০০ বছর আগ থেকেই তাদের অঞ্চল আজকের মতো মরুভূমিময় ছিলো। কিন্তু কোরআন সেই সময়কার ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে তাদের অঞ্চলে নদ-নদীর অস্তিত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ফেরাঊনের ঘটনা বলতে গিয়ে আরেকটি জায়গায় বলা হচ্ছে-
“And we removed them from gardens & springs” - Ash-Shuara 57
অর্থাৎ- [ “এবং আমি তাদেরকে বিতাড়িত করলাম উদ্যানরাজি এবং ঝর্ণাসমূহ থেকে ”]
এখানেও ফেরাঊনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তার সময়কার উদ্যান (যা মরুভূমিতে অসম্ভব) এবং ঝর্ণারাজির কথা বলছে।
আরো একটি আয়াতে বলা হচ্ছে-
“How many were the gardens and springs they left behind, And corn-fields and noble buildings,”- Dukhan 25-26
“ [ তারা পশ্চাতে রেখে গিয়েছিলো কতো উদ্যান এবং ঝর্ণাধারা। কতো শস্যক্ষেত এবং অভিজাত অট্টালিকা ”]
এই আয়াতেও, ফেরাঊন (ফারাওদের) এবং তাদের শেষ পরিণতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমন কিছু (উদ্যান, ঝর্ণাধারা, শস্যক্ষেত এবং অভিজাত অট্টালিকা) ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা প্রত্নতত্ত্ববিদরা আমাদের নিশ্চিত করেছেন কেবল সেদিন।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা এতোদিন ভাবতেন যে- প্রাচীন ফারাওদের রাজত্ব ছিলো মরুভূমিতেই। এই সভ্যতা টিকেই ছিলো মরুভূমির উপরে।কিন্তু মাত্র সেদিন তারা জানালেন যে- তারা এতোদিন যা ধারণা করেছে, তা ভুল। প্রাচীন ফারাওরা কখনোই মরুভূমির লোক ছিলো না। তারা শস্য-শ্যামল, সবুজাভ প্রকৃতির মধ্যে বাস করতো। তাদের অভিজাত অট্টালিকা (পিরামিড, ইত্যাদি....) মরুভূমিতে নির্মিত হয়নি। তা হয়েছে নদীর পাড়ে, নদীর অববাহিকায়....
ঠিক একই তথ্যগুলো, একই চিত্রপট আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দ শ বছর আগে আল কোরআন আমাদের জানাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ্।
এই যে এই ব্যাপারগুলো, এই নিদর্শনগুলো অবিশ্বাসীদের দেখানোর জন্য লিখি না।
এগুলো লিখি নিজেদের জন্য। কোরআন নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। কারণ, আল্লাহ কোরআন নিয়ে ভাবতে বলেছেন।
'নিদর্শনের সন্ধানে'/ আরিফ আজাদ
====================================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.