যারা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন এবং ইসলামকে বিশুদ্ধভাবে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের এই উপহার ।
▼
Pages
▼
Wednesday, 11 September 2019
কুরআন কি মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব ?
কুরআন কি মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব ?
মানুষের যে জিনিসটি আল্লাহ নিজের জন্য সৃষ্টি করেছেন ।” €€
***************************************************************
একদা হযরত থানভী (রহ.) খানকাহ্ থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন, সাথে ছিলেন
মুফতি মোহাম্মদ শফি (রহ.) যিনি আল্লামা ত্বকী উসমানীর পিতা।
রাস্তায় হঠাৎ দাড়িয়ে পকেট থেকে কাগজ বের করে কিছু একটা লিখে
আবার পকেটে রেখে জিজ্ঞাস করলেন, মৌলভী কিছু বুঝতে পেরেছো?
উত্তরে না বললে নিজেই বললেন, অন্তরের বোঝা কাগজে রেখে দিলাম।
একটি কাজের কথা স্মরণ হলো খানকায় গিয়ে করতে হবে।
যদি না লিখে রাখতাম তা হলে বার বার অন্তরে উদয় হয়ে খটকা
সৃষ্টি করতো। লিখার পর অন্তর খালি আছে। অতঃপর বললেন,
“অন্তরকে আল্লাহ পাক নিজের জন্য সৃষ্টি করেছেন।”
সূতরাং অন্তরকে ব্যস্ত রাখার জিনিস হলো আল্লাহপাকের স্মরণ।
আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম এবং আউলিয়ায়ে কেরামের হাত হাত
কাজে লিপ্ত থাকলেও অন্তরকে আল্লাহর ধ্যানে লিপ্ত রাখতেন।
পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা বিপরীত।
আমাদের দুনিয়াবী কাজে হাত-পা কম ব্যবহৃত হলেও অন্তর
সবর্দা দুনিয়ার মধ্যে লিপ্ত থাকে।
=============================
মানুষের পক্ষে কোরআন লেখা অসম্ভব!
সূরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন
69] ثُمَّ كُلى مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسلُكى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخرُجُ مِن بُطونِها شَرابٌ مُختَلِفٌ أَلوٰنُهُ فيهِ شِفاءٌ لِلنّاسِ ۗ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايَةً لِقَومٍ يَتَفَكَّرونَ
[69] এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
(সূরা নাহল)
এই আয়াতে আমরা দেখছি
(1) সর্ব প্রকার ফল হতে মৌমাছিকে খাবারের নির্দেশ
(2) পালন কর্তার নির্দিষ্ট পথে চলার নির্দেশ
(3) মৌমাছির পেট হতে মধু নির্গত হয়
(4) মধুতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ হয়
(5) এই আয়াতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে ৷
1'2'4 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে, আমি 3 ও 5 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা করব ৷
বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আমরা জানি যে মৌমাছিরা ফুল থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের পেটে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, বিজ্ঞানীরাই হয়ত মধু তৈরির একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা !
প্রশ্ন হল রাসূল (সাঃ )1400 বছর পূর্বে কিভাবে জানলেন যে মৌমাছি পেট হতে মধু নির্গত করে? কিভাবে নিশ্চিত হলেন মৌমাছি ফুল হতে মধু নিয়ে মৌচাকে রাখে না বরং বর্তমান যুগেও অধিকাংশ মানুষ মনেকরে মৌমাছি ফুল হতে মধু সংগ্রহ করে ? কোন বিজ্ঞানী জানিয়ে দিল?
5 নাম্বার point এ বলা হচ্ছে এটা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ! কেন বললেন? এত বড় চ্যালেন্জ কেন করলেন? কিভাবে বুঝলেন যে মৌমাছির শরীরে বিস্ময়কর system রয়েছে যা শুধু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমরা জেনেছি?
মূলত, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এটা জানিয়ে দিয়েছেন ৷ এবং আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই আয়াতটি যথেষ্ট ৷
বিঃদ্রঃ সর্ব প্রকার ফল থেকে খাবার কথা বলার মানে হল, " সব প্রকারের ফল তার জন্য বৈধ " তার মানে এই নয় যে তাকে সর্ব প্রকারের ফল খেতেই হবে ৷
============================
মানুষের পক্ষে কোরআন লেখা অসম্ভব!
*********************************
সূরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন
69] ثُمَّ كُلى مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسلُكى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخرُجُ مِن بُطونِها شَرابٌ مُختَلِفٌ أَلوٰنُهُ فيهِ شِفاءٌ لِلنّاسِ ۗ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايَةً لِقَومٍ يَتَفَكَّرونَ
[69] এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
(সূরা নাহল)
এই আয়াতে আমরা দেখছি
(1) সর্ব প্রকার ফল হতে মৌমাছিকে খাবারের নির্দেশ
(2) পালন কর্তার নির্দিষ্ট পথে চলার নির্দেশ
(3) মৌমাছির পেট হতে মধু নির্গত হয়
(4) মধুতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ হয়
(5) এই আয়াতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে ৷
1'2'4 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে, আমি 3 ও 5 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা করব ৷
বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আমরা জানি যে মৌমাছিরা ফুল থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের পেটে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, বিজ্ঞানীরাই হয়ত মধু তৈরির একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা !
প্রশ্ন হল রাসূল (সাঃ )1400 বছর পূর্বে কিভাবে জানলেন যে মৌমাছি পেট হতে মধু নির্গত করে? কিভাবে নিশ্চিত হলেন মৌমাছি ফুল হতে মধু নিয়ে মৌচাকে রাখে না বরং বর্তমান যুগেও অধিকাংশ মানুষ মনেকরে মৌমাছি ফুল হতে মধু সংগ্রহ করে ? কোন বিজ্ঞানী জানিয়ে দিল?
5 নাম্বার point এ বলা হচ্ছে এটা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ! কেন বললেন? এত বড় চ্যালেন্জ কেন করলেন? কিভাবে বুঝলেন যে মৌমাছির শরীরে বিস্ময়কর system রয়েছে যা শুধু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমরা জেনেছি?
মূলত, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এটা জানিয়ে দিয়েছেন ৷ এবং আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই আয়াতটি যথেষ্ট ৷
বিঃদ্রঃ সর্ব প্রকার ফল থেকে খাবার কথা বলার মানে হল, " সব প্রকারের ফল তার জন্য বৈধ " তার মানে এই নয় যে তাকে সর্ব প্রকারের ফল খেতেই হবে ৷
Copy: chayan chowdhury
================================
মানুষের পক্ষে সূরা ফাতিহা লেখা সম্ভব নয় ৷
সূরা ফাতিহার কথা কোরআনে বিশেষভাবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে ৷ আল্লাহ বলেন
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ
(Muhiuddin Khan)
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
-Sura Al-Hijr, Ayah 87
আর এই সূরা ফাতিহা নিয়ে নাস্তিকদের সমালোচনার শেষ নেই ৷ এটা নাকি মানুষের লেখা সূরা! মূলত এরা পড়েই নাই সূরাটি ৷ বিস্ময়কর এই সূরাটি লেখা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব ৷ মূলত এটি হল কোরআনের সীলমোহর ৷ এই সূরার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সমগ্র কোরআন ৷ খুবই অল্প কথায় কিছু তথ্য দিচ্ছি ৷
( A)
সূরা ফাতিহায় সাতটি আয়াত রয়েছে৷ প্রথম তিন আয়াতের শেষ অক্ষর হল মীম নূন, মীম ৷(1;2;3 আয়াত)
শেষের তিন আয়াতের শেষ তিন অক্ষর হল , নূন, মীম, নূন ৷( 5;6;7 আয়াত)
এখানে শুরু ও শেষের দিক হতে গননা করলে নূন এবং মীমের সংখ্যা সমান (3+3)৷
মাঝের অর্থাত চার নাম্বার আয়াতটিতে শেষ শব্দ নূন ৷ তাহলে কি নূন বেশি হয়ে গেল? না বরং এই একটি মাত্র আয়াতে শুরুতে মীম এবং শেষে নূন রয়েছে ৷ আর কোন আয়াতে নেই ৷ অর্থাত শুরু ও শেষ অক্ষরের দিক থেকে নূন এবং মীমের সংখ্যা সমান ৷
(B)
শুধু তাই নয়, বিস্ময়কর ভাবে প্রতিটি আয়াতের শেষের অক্ষরের পূর্বের অক্ষরটি " ইয়া "৷ পারবেন কেউ এমন লেখতে?
(C)
দেখুন, প্রথম, মাঝের (4 র্থ ) এবং শেষের আয়াতে তিনটি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে ৷
কিন্তু 2 য় এবং তৃতীয় আয়াতের প্রথম অক্ষর হল ," আলিফ " ও শেষ অক্ষর হল নূন, মীম এবং শেষের দিক হতে গননা করলে (2 য় এবং তৃতীয়) 5 ম ও 6 ষ্ঠ আয়াতের প্রথম অক্ষর আলিফ শেষের অক্ষর হল মীম ,নূন ৷
দেখুন এক্ষেত্রেও মীম ও নূনের হিসাব সমান রয়েছে এবং আলিফ অক্ষরের সাথে শব্দগত মিল রাখা হয়েছে ৷
কেন প্রথম, চতুর্থ বা সপ্তম আয়াতে আলিফ অক্ষরটি আসল না? চতুর্থ আয়াত ছাড়া অন্য আয়াতের শুরুতে কেন মীম আসল না ? আসলে কিন্তু লাইন এবং অক্ষরের সাথে মিল নষ্ট হয়ে যেত! ফলে এটি হয়ে যেত সাধারণ একটি সূরা ৷
(D)
অবাক হচ্ছেন কেন নূন, মীম নিয়ে কথা বলছি?
এই নূন ,মীম, আলিফ হল কোরআনের আসল মুজেজা ৷
(E) মীম ও নূন এর ব্যাখ্যা দিতে চাইলে সূরা মূমীনূনের এর আলোচনা করতে হয় কারন মুমিন শব্দের প্রথম অক্ষর মীম এবং শেষের অক্ষর নূন ৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হল সেই সূরার প্রতিটি লাইনের শেষের অক্ষর হল নূন এবং মীম ৷
আর আলিফ অক্ষরটি আল্লাহ শব্দের প্রথম অক্ষর ৷
জেনে অবাক হবেন, কোরআনের অধিকাংশ আয়াতের শেষ অক্ষর মীম এবং নূন! সেটা কি দেখেছেন কখনও?
সূরা ফাতিহার প্রতিটি শব্দ এবং অক্ষর দিয়ে বিশাল ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব ৷ উস্তাদ নোমান আলী দীর্ঘ দেড় ঘন্টায় ব্যাখ্যা শেষ করতে পারেনি ৷ আমি শুধু নাস্তিক এবং বিধর্মীদের বলব, আমি যেই শব্দ গতমিল দেখালাম, শুধু এতটুকু দিয়ে অর্থের মিল রেখে একটি সূরা এনে দেখান ৷ আপনারা কোন দিনও পারবেন না কারন আল্লাহ বলেছেন
قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَىٰ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَٰذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
(Muhiuddin Khan)
বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না৷
Sura Al-Isra', Ayah 88

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.