Visitors

Tuesday, 3 September 2019

মিথ্যার দুলভ



================================
পশ্চিমবঙ্গে কেন হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে ??
.
.
১৯৫১ সালে ২২%
১৯৬১ সালে ১৮.৫%
১৯৭৪ সালে ১৩.৫%
১৯৮১ সালে ১২.১%
১৯৯১ সালে ১০.৫%
২০০১ সালে ৯.২%
২০১১ সালে ৮.৫%
.
আদমশুমারি অনুসারে এটা ছিল বাংলাদেশের হিন্দুদের জনসংখ্যার শতকরা হার । এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে বাংলাদেশের রাম, বাম, হিন্দু গাধারা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রমান দেখায় । তারা প্রমান করতে চায়, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কারনে বাংলাদেশের হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে ।
.
আসুন এবার আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের জনসংখ্যার হারের পরিসংখ্যান দেখি । আদমশুমারি অনুসারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের জনসংখ্যার হার ছিল—
.
১৯৫১ সালে ৭৮.৪৫%
১৯৬১ সালে ৭৮.৮০%
১৯৭১ সালে ৭৮.১১%
১৯৮১ সালে ৭৬.৯৬%
১৯৯১ সালে ৭৪.৭২%
২০০১ সালে ৭২.৪৭%
২০১১ সালে ৭০.৫৩%
.
উপরের দুই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৬০ বছর সময়ের মধ্যে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে ২২% থেকে ৮.৫% এ নেমে এসেছে । অন্যদিকে একই সময়ে বাংলার অপর অংশ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে ৭৮.৪৫% থেকে ৭০.৫৩% এ নেমে এসেছে ।
.
.
এখন আমার প্রশ্ন হলো, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের কারনেই যদি বাংলাদেশের হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের জনসংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে । সেখানে তো হিন্দুদের শাসন প্রতিষ্ঠিত যার কারনে বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশে ঘর বাড়ি না করে ভারতে টাকা পাচার করে পশ্চিমবঙ্গে ঘর বাড়ি সহায় সম্পদ তৈরি করে ।
.
হিন্দুদের এমন নিরাপদ জায়গায় কেন হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে ? হিন্দুদের জনসংখ্যা কমার জন্য হিন্দু নির্যাতন দায়ী নাকি কচু ঘেচু খাওয়া হিন্দুদের পুরুষত্বহীনতা দায়ী ??

===================================
পড়বেন_আশা_করি_ভাল লাগবে।

এক খিস্টান পাদ্রি খিস্টানদের জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিল।
হটাৎ এই জনসভায় ভিতরে এক আল্লাহর ওলি ডুকে পড়ল যার দরুন খিস্টান পাদ্রির মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিলনা।
খিস্টান পাদ্রি বলল এখানে কি কোন মুসলমান আছ যার কারনে আমার কথা আসতেছেনা।
তখন আল্লাহর ওলি দাঁড়ালেন!!
তখন খিস্টান পাদ্রি বলল যে তুমি কি জাননা এটা খিস্টানদের জনসভা আর কেনইবা এখানে আসছ।
আল্লাহর ওলি বললেন আমি কালিমার দাওয়াত দিতে এসেছি।
তখন খিস্টান পাদ্রি বলল ঠিক আছে তুমাকে আমি কিছু প্রশ্ন করবো যদি উত্তর দিতে পার তাহলে আমি তোমার কালিমার দাওয়াত গ্রহণ করব।
আল্লাহর ওলি বললেন ঠিক আছে আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার ১ম প্রশ্ন হলো- যার এক আছে কিন্তু দুই নাই!!
আল্লাহর ওলিঃ
♪ যার এক আছে দুই নাই সেটা হলো -
"আল্লাহ"
খিস্টান পাদ্রিঃ
→ তোমার কাছে আমার ২য় প্রশ্ন হলো- যার দুই আছে কিন্তু তিন নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
♪যার দুই আছে তিন নাই সেটা হলো -
দিন,
রাত।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার ৩য় প্রশ্ন হলো- যার তিন আছে কিন্তু চার নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
♪যার তিন আছে চার নাই সেটা হলো-
এক দিন আমরা ছিলাম না,
এখন আছি,
আর একদিন থাকবোনা।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার ৪র্থ প্রশ্ন হলো- যার চার আছে পাঁচ নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
♪যার চার আছে পাঁচ নাই তা হলো-
★বড় বড় চারটি আসমানি কিতাব।
তাওরাত যা মুসা (আঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল।
যবুর যা দাউদ (আঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল।
ইন্জিল যা ইসা (আঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল।
কোরআন যা মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার ৫ম প্রশ্ন হলো- যার পাঁচ আছে কিন্তু ছয় নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
যার পাঁচ আছে ছয় নাই তা হলো-
★পাঁচ ওয়াক্ত নামায যা হুজুর (সাঃ) সবে মেরাজের রাত্রিতে নিয়ে এসে ছিলেন।
ফযর।
যোহর।
আছর।
মাগরিব
ইশা।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার ৬ষ্ঠ প্রশ্ন হলো- যার ছয় আছে কিন্তু সাত নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
যার ছয় আছে সাত নাই তা হলো-
★আল্লাহ তায়ালা ছয় দিনে সম্ত কিছু সৃস্টি করেছিলেন।
★যেমন-
১ম দুই দিনে পৃথিবী।
পরের দুই দিনে অন্যান্যা কাজ(যথা খাদ্যের ব্যবস্তা)
শেষ দুই দিনে আকাশ সৃস্টি করেছেন।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার প্রশ্ন হলো-যার সাত আছে কিন্তু আট নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
♪যার সাত আছে কিন্তু আট নাই তা হলো-
★সাতটি দোযখ-
যেমন-
১-ছায়ীর-
২-লাজা-
৩-ছাকর-
৪-জাহীম-
৫-জাহান্নম -
৬-হাবিয়া-
৭-হোতামা-
খিস্টান পাদ্রিঃ
→তোমার কাছে আমার শেষ প্রশ্ন হলো-যার সাত আছে কিন্তু আট নাই।
আল্লাহর ওলিঃ
যার আট আছে নয় নাই তা হলো-
★জান্নাত-
যেমন-
১ফিরদাউস -(জান্নাতের সর্বচ্ছ বাগান)
২-দারুস সালা-(শান্তির নীড়)
৩-জান্নাতুল মাওয়া(বসবাসের জান্নাত)
৪-দারুল খুলদ-(চিরস্হায়ী বাগান)
৫-জান্নাতুল আদন-(অনন্ত সুখের বাগান)
৬-জান্নাতুল আখিরাহ-(আখেরাতের আলয়)
৭-জান্নাতুন নাঈম-(নেয়ামত পূর্ণ কানন/বাগান।
৮-দারুল মুকামাহ-(বাড়ি)
আল্লাহর ওলি বললেন-
ঠিক আছে আপনিত আমাকে অনেক গুলো প্রশ্ন করলেন আপনাকে আমি একটি প্রশ্ন করব।
খিস্টান পাদ্রিঃ
→ঠিক আছে করেন।
আল্লাহর ওলিঃ
♪আসমান জমিনের চাবি কি???
খিস্টান পাদ্রিঃ
চুপ হয়ে রইলেন।
সমস্ত সূতারা বলতে লাগল হে আমাদের সর্দার আপনি এই লোক টাকে অনেক গুলো প্রশ্ন করলে আর লোকটি সবগুলোর উত্তর দিল কিন্তু আপনাকে একটি প্রশ্ন করল অতছ তার উত্তর দিতে পারছেন না। তাহলে আপনি কি করে আমাদের সর্দার হন।
তখন খিস্টান পাদ্রির সর্দার বলল আমি তার উত্তর জানি কিন্তু আমার সাথে সাথে এই উত্তরটা সবাই যদি বল তাহলে আমি উত্তর বলব। তখন সকল সূতারা বলল ঠিক আছে বলুন আমরাও আপনার সাথে সাথে বলব।
তখন খিস্টান পাদ্রি বলল-
সমস্ত আসমান জমিনের চাবি হলো-
"লা ইলাহা ইললাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"
এই কথা সমস্ত খিস্টান সূতা খিস্টান পাদ্রিরর সাথে বলে মুসলমান হয়ে গেল।
সুবহানাল্লাহ!!
===================================
#পড়লে_নতুন_কিছু_জানতে_পারবেন "প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক এসেছে" (সূরা রাদ/১৩;৭)
তাছাড়া সূরা রাদের ৩৮ নং আয়াত অনুসারে প্রত্যেক জাতি আর গোত্রের জন্য আলাদা আলাদা অনেক আসমানি কিতাব পাঠানো হয়েছে যা পড়ে মানুষের হাতে বিকৃত হয়ে গেছে।
যখন প্রচার করি হিন্দু ধর্ম আর ইসলামের সাদৃশ্য গুলি সূরা আল ইমরানের ৬৪ নং আয়াত অনুযায়ী আর তখন আমরা প্রচার করি যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সর্বকালের শ্রেষ্ট নবী মুহাম্মদ সাঃ এর কথাও তখন ভবিষ্যত পুরাণের শ্লোগ অনুযায়ী বেশিরভাগ হিন্দুরাই স্বীকার করে মুহাম্মদ সাঃ কে কারণ সেখানে তার নাম সহ তিনি যে আসবেন তার ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে কিন্তু অনেকেই বলে আমরা পুরাণকে কম গুরুত্ব দি আমরা বেশি গুরুত্ব দি বেদ আর উপনিষদকে কারণ বেদ আর উপনিষদ ছাড়া বেশিরভাগ গ্রন্থে সমস্যা আছে আর যখন বেদ থেকে রেফারেন্স দি "একজন মহান ঋষি আসবেন নাম নরশাংসা তিনি ৬০ হাজার ৯০ জন শত্রুকে পরাজিত করবেন" (অথর্ববেদ খন্ড ২০ শুক্তা ১২৭ মন্ত্র ১) এরপর ২ নং মন্ত্রে আছে "তিনি উটে চড়ে আসবেন" এরকম ১৪ নং মন্ত্র পর্যন্ত বলা আছে। তারপর আছে সামবেদ ১ম অংশ অগ্নী ৬৪ নং মন্ত্রে "সেই ঋষি মা বাবার কাছ থেকে খাবার পাবে না তার মায়ের দুধ পান করতে পারবে না" এরকম রেফারেন্স চারটি বেদে কম পক্ষে ১০০ বারের উপড়ে আছে নবিজির নাম। নরশাংসা মানে একজন প্রশংসনীয় মানুষ আর আরবী ডিকশনারী অনুযায়ী মুহাম্মদ সাঃ এর নামের অনুবাদ প্রশংসনীয় ব্যক্তি। নবীজি মায়ের দুধ পান করেন নি। আর মক্কায় ওনার শত্রু সংখ্যা জানা যায় ইতিহাস থেকে ৬০ হাজার ৯০ জন। আর হিন্দু শাস্ত্রে স্পষ্ট আছে কোন ভারতীয় ব্রাহ্মণ উট এবং গাধার পিটে চড়তে পারবে না এটা পাপ তার মানে বেদ অনুসারে বাইরের ঋষির কথা বলা হয়েছে। এখানে নবীর নাম তারা অস্বীকার করে যদিও ধরে নি এক মুহুর্তের জন্য এটা নবীজি নন তাহলেও মন্ত্রের সেই নরশাংসা কে তা কেউ জানে না কারণ অথর্ববেদের ২০;১২৭;১ এর শুরুতে বলা আছে "কুন্টাপ শুক্তাস" যার মানে এগুলি লোকানো মন্ত্র এর সমাধান কেউ দিতে পারবে না পড়ে এর সমাধান জানা যাবে। এমনকি শ্রী রাম, শ্রী কৃষ্ণের কথাও বেদে উল্লেখ নেই আর হিন্দুরা বলে বেদ কোন ইতিহাস বা ভবিষ্যতবাণীর বই না এটা জ্ঞানের বই আর শ্রী কৃষ্ণ আসার আগে বেদ লেখা হয়েছিল তাই তাদের নাম নেই বেদে তখন প্রশ্ন করি আপনাদের ইশ্বর জানতেন না ভবিষ্যতে শ্রী কৃষ্ণ বা রাম পৃথিবীতে আসবেন? কিন্তু তাদের নাম নেই আছে নরশাংসা নবীজির নাম।
যদিও তারা বলে বেদের নরশাংসা নবীজি নয় আর তাদের কথা অনুযায়ী যদি এক মুহূর্তের জন্য ধরে নি ওটা নবীজি নয় তারপরেও নরশাংসা কে তা অস্পষ্ট থেকে যায় তার জায়গাটা অন্য কেউ নিতে পারে না বেদের মাঝে। এমনকি ঋগবেদ মন্ডল ২ শুক্তা ১ মন্ত্র ১১ তে "ইলা" এবং মন্ডল ৯ শুক্তা ৬৭ মন্ত্র ৩০ এ আল্লাহর নাম "আলা" পাওয়া যায় এর অনুবাদ করে না তুলশি রাম। বেদের অধিকাংশ কথা কোরানের সাথে মিল পাওয়া যায়। আর হিন্দু সংস্করা অনুযায়ী তাদের সব গ্রন্থের কথা বাদ দিয়ে বেদের কথা মানতে হবে যদি বেদ আর অন্য সব গ্রন্থের কথা না মিলে তখন, তাই তারা বেদে নবীজির নাম স্বীকার করতে চাই না।
================================================
ফিলোসফার C Stephen Evans এর বই Natural signs and Knowledge of God পড়তে ছিলাম। ওনি মনে করেন যদি স্রষ্টা থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই মানুষের জন্য তাঁর অস্তিত্বের পক্ষে ন্যাচারাল নলেজ থাকবে। মানে কোন ধরণের ওহী বা রেভিলেশন ছাড়াই মানুষ তাঁর সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।অনেকেই ভাবেন যে স্রষ্টা থেকে থাকলে তিনি কেন নিজেকে মানুষ থেকে লুকিয়ে রাখলেন? কেন তিনি দিনের আলোর মত নিজেকে প্রকাশ করলেন না? এই ব্যাপারটা ফিলোসফারদের জগতে Divine Hideness নামে পরিচিত। তবে অনেক এথিস্ট ফিলোসফাররাও মনে করেন যে যদি স্রষ্টা থেকে থাকেন তবে তিনি নিজেকে এমনভাবে অবশ্যই উপস্থাপন করবেন না যে দুনিয়ার সবাই তাঁর উপর বিশ্বাস এনে ফেলবে অথবা তিনি সবাইকে তাঁর উপর বিশ্বাস আনতে বাধ্য করবেন। কেননা তাহলে মানুষের কোন স্বাধীন ইচ্ছাই থাকবে না।স্রষ্টা থেকে থাকলে অবশ্যই তিনি স্বাধীনভাবে তাঁর উপর মানুষকে বিশ্বাস আনতে সুযোগ দিবেন।
যাইহোক, ইভানস মনে করেন আমরা যেভাবে 'ন্যাচারাল সাইনের' মাধ্যমে প্রাকৃতিক জগতকে উপলব্ধি করি ঠিক অনেকটা সেরকমই ন্যাচারাল সাইন বা নিদর্শন নির্ভর স্রষ্টার জ্ঞান রয়েছে। যেভাবে আমরা সেনসেশনের (sensation) মাধ্যমে কোন বস্তুকে পার্সিভ (perception) করি অনেকটা সেরকম।যেমন আপনি আপনার বন্ধুর মৌখিক ভঙ্গী দেখে তার মানুষিক অবস্থা বুঝতে পারেন।এখানে মৌখিক ভঙ্গী ন্যাচারাল সাইন হিসেবে কাজ করে। ঠিক তেমনি স্রষ্টার পক্ষের প্রচলিত আর্গুমেন্টগুলোর কেন্দ্রেও রয়েছে 'ন্যাচারাল সাইন'। কোন ধরণের আর্গুমেন্টেশন ছাড়াই মানুষ এই নিদর্শনগুলোর দ্বারা স্রষ্টাকে সরাসরি উপলব্ধি করতে পারবে।এই নিদর্শন বা সাইন গুলো কেমন হবে? এরা কি মানুষকে স্রষ্টার উপর বিশ্বাস আনতে বাধ্য করবে? দুনিয়ার সকলেই কি এই নিদর্শনগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে? আগেই বলেছি স্রষ্টা থেকে থাকলে অবশ্যই তিনি মানুষকে তার সম্পর্কে স্বাধীন ভাবে সচেতন হওয়ার সুযোগ দিবেন।তাই এই থিয়েস্টিক ন্যাচারাল সাইন ( theistic natural sign) গুলোতে যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে আবার চাইলেই এই নিদর্শন গুলো অনেকে কনভিন্সিং হিসেবে পাবে না।অর্থাৎ এথিস্টরা এই নিদর্শনগুলার জন্য ডিফিটার দাড় করাতে পারবে। ইভানস নিদর্শনগুলোর এই বৈশিষ্ট্যকে বলেছেন 'Wide Accessibility Principle' এবং 'Easy Resistivity Principle'।
ইভানসের মতে প্রচলিত আর্গুমেন্ট যেমন cosmological argument, teleological argument, moral argument এর মূল কেন্দ্রে রয়েছে ন্যাচারাল সাইন। উদাহরণ স্বরূপ প্রায় সব ধরণের কজমোলজিক্যাল আর্গুমেন্ট বলে যে মহাবিশ্বের contingency একজন necessary being এর উপর নির্ভরশীল।এখানে যে নিদর্শন কাজ করে সেটা হলো "cosmic wonder"। মহাবিশ্বের যেদিকেই তাকান মহাবিশ্ব আপনাকে বিষ্মিত করবে,আপনার কাছে একটা ব্যাখ্যা দাবি করবে। Richard Swinburne ব্যাপারটাকে এভাবে বলেছেন- "Cry out for an explanation"। কিন্তু অনেক এথিস্ট এই আর্গুমেন্টকে কনভিন্সিং হিসেবে পাবে না 'cosmic wonder' এর Easy Resistivity Principle এর কারণে। তারা বুঝতে পারছে সবকিছুর একটা explanation দরকার এবং সেটা অবশ্যই contingent নয় কিন্তু তারা যেহেতু নিজেরাও contingent তাই কোন necessary concrete being কেও ভাল করে অনুধাবন করছে পারে না।যার ফলে তারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করছে। [1]

"আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন।"[১৩:২৭]

.
ন্যাচারাল থিওলজি কেবল স্রষ্টা সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা দেয়। cosmological argument বলে সবকিছু কোন একটি necessary being এর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই সত্ত্বা ঠিক কেমন তা বলে না।teleological argument বলে সেই সত্ত্বা intelligent, moral argument বলে সেই সত্ত্বা morally good এবং personal কিন্তু স্রষ্টার প্রকৃতি সম্পর্কে থিয়েস্টিক ন্যাচারাল সাইন পুরো ছবিটা দেখাতে পারে না। সেটা যদি হত তাহলে আল্লাহ মানুষের জন্য ওহী পাঠাতেন না, পাঠাতেন না কোন নবী-রসুল। ন্যাচারাল থিওলজি কেবল ওহীর সত্যতা নির্নয়ে সাহায্য করে।
এই ব্যাপারটাকে বলে two stage apologetic, যার প্রথমটা ন্যাচারাল সাইন ভিত্তিক স্রষ্টার জ্ঞান আর দ্বিতীয়টা ওহী ভিত্তিক জ্ঞান যা আল্লাহ কোর'আন ও পূর্ববর্তী অন্যান্য কিতাবের মাধ্যমে মানব জাতিকে দিয়েছেন।

"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্যে।" [ ৩:১৯০]

"আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য।" [৪১:৫৩]

নোটঃ

[১] কোন কিছুর অস্তিত্ব যখন অন্য কোন কিছুর উপরে নির্ভর করে তখন তাকে contingent বলা হয়। অথবা অন্যভাবে বললে কোন কিছু যেমন আছে তেমন না হয়ে অন্যভাবেও হতে পারতো। যেমন আপনার হাতের ফোনের ডিসপ্লে ৫ ইঞ্চি না হয়ে ৬ ইঞ্চি বা ৪ ইঞ্চিও হতে পারতো। এর মানে ডিসপ্লে ৫ ইঞ্চি হওয়ার একটা কারণ রয়েছে।ফোনের ডিজাইনারের ইচ্ছায় ৫ ইঞ্চি হয়েছে।
অন্য দিকে, কোন কিছুর অস্তিত্ব যখন অন্য কোন কিছুর উপরে নির্ভর করে না তখন তাকে necessary being বলে। যেমন ২+২ = ৪ এটা necessarily true।
====================================

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...