Visitors

Tuesday, 3 September 2019

বিজ্ঞানের প্রতি অতি আস্থাশীলদের পরিণতি


বিজ্ঞানের প্রতি অতি আস্থাশীলদের পরিণতি
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
দেশটির নাম সুইডেন। সেই দেশে বাঙ্গালি এক মহিলা দাতের সমস্যা নিয়ে গেছেন। দাঁতের ডাক্তার পরিক্ষা করে আতকে উঠে বললেন : দাঁতের গোড়ায় ভয়ঙ্কর একটা জীবাণু পাওয়া গেছে। এই জীবাণু হার্টে চলে যাওয়া মানে হার্ট ফেলিউর। তিনি ব্যবস্থা দিলেন : রোগীর সব দাঁত জরুরী ব্যবস্থায় তুলে ফেলতে হবে। মহিলা শুরু করলেন কান্না। মহিলার মেয়ে একজন ডাক্তার। সে বলল মা, তোমার চিকিৎসা হচ্ছে সুইডেনে, এত ভালো চিকিৎসা কোথাও হবেনা। দাঁত ফেলতে বলেছে ফেলে দাও।
বেচারির সব সুস্থ দাঁত টেনে তুলে ফেলে দেওয়া হলো। তাঁকে ভর্তি করা হলো ভয়ঙ্কর জীবাণু চিকিৎসা যে হাসপাতালে হয়, সেখানে। ডাক্তাররা ভয়ঙ্কর জীবাণুর সন্ধানে লেগে গেলেন। একসময় ডাক্তাররা ঘোষনা করলেন, এই জীবাণুর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুল হয়েছে। ভুলের কারনেই সব দাঁত ফেলে দেয়া হয়েছে। তারা দুঃখিত।
ভদ্র মহিলা হচ্ছেন নির্বাসিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিনের মা। তাসলিমা নাসরিন মাকে চিকিৎসা করাতে সুইডেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
# হুমায়ূন আহমেদের ফাউন্টেনপেন থেকে।

=================================
বিজ্ঞানমনস্করা কিন্তু বিজ্ঞানী না। তারা বড়জোর বিজ্ঞানান্ধ—ইতিবাচক অর্থে অন্ধ।
একজন বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে আমি কিন্তু কখ‌নো বিজ্ঞানীদের কাছে দাবি করিনি, স্যার আপনার পরীক্ষাটা আমি নিজে না-করে বিশ্বাস করব না। আপনার পর্যবেক্ষণটা আমি নিজে করে দেখেদ প্রমাণ পেতে চাই। গবেটের মতো এরকম কোনো কথা বলে আমি মানুষের হাসির পাত্র হইনি।
তারা বলেছেন মঙ্গল গ্রহ লালচে, আমি বিশ্বাস করে নিয়েছি। তারা বলেছেন, শনির চারপাশে বলয় আছে, আমি বিশ্বাস করে নিয়েছি। তারা হিসেব করে দেখেনছেন সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে এত সেকেন্ড সময় লাগে, আমি জ্বি হুজুর করেছি। পূর্ণ ইয়াকিনের সাথে আমি তাদের কথার উপর ঈমান এনেছি। তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন-পদ্ধতির উপর আমার আস্থা আছে। তারা এই বিষয়ের একজন পুরোধা।
কোনো দার্শনিক চিন্তা, কোনো যুক্তি খারটাইনি। খানলি চোখে যদিও দেখিয় চন্দ্র-সূর্য দুটোই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা যেহেতু বলেছেন পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘোরে, আমি দ্বিমত করিনি। আমি বলিনি, স্যার আমাকে একটু নভোযানে করে উপরে নিয়ে গিয়ে দেখাবন। আমি চর্মচক্ষু দিয়ে দেখ‌তে চাই। ইয়াকিন নেহি হোতা হ্যায়, হামারে পৃথবি ক্যায়সে ঘুমতা হ্যাঁ।
বিজ্ঞানী বলতে আমি অন্ধ।
কাল ওরা যদি বলে, টেলিস্কোপ দিয়ে ওরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে, তাতে আমার চোখ‌ কপালে উঠবে না।
পরশুদিন যদি বলে, বুধ গ্রহ সূর্যের প্রখ‌র তাপ সইতে না-পেরে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে, আমার মুখ‌ হা হবে না। বলব না, বলে কী! পাগল নাকি! গাঁজা খোয়ে বিজ্ঞানী হয়েছে নাকি? বলব না, এলিয়েনরা তাকে এই খ‌বর দিয়েছে নাকি। আমি তাদের বিশ্বাস করি। নিজের চোখেলর চেয়ে তাদের দক্ষতায় আমি আস্থা রাখি ।
আমি বিজ্ঞানমনস্ক। আমি বিজ্ঞানান্ধ। যারা বিজ্ঞানমনস্ক না, তারা মধ্যযুগীয়। তারা ১৪ শ বছরের পুরোনো মাক্কার কুরাইশ নেতাদের মতো। অবিশ্বাসী-কাফিরদের মতো। ব্যাকডেইটেড।
নবিজি সা. সরাসরি আল্লাহর প্রত্যাদেশ নিয়ে আসার পরও এই মূর্তান্ধরা তাঁর অথরিটি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
আজও অনেকে করে।
নবিজি সা. পরকালের ভিভিড বর্ণনা দেওয়ার পরও, এই ধর্মান্ধরা বলেছে, মরে যাওয়ার পর হাড্ডিমাংস ক্ষয় হয়ে গেলে তা আবার কীভাবে ফিরে আসবে।
যুক্তি-প্রমাণ-অথরিটি কিছুই তারা বুঝতে চায়নি। আজও আছে কেউ কেউ। বুঝতে চায় না। আমি আশাবাদী মানুষ। বিজ্ঞান একদিন এদের মনের পর্দা খুঅলে ফেলবেই। স্পষ্ট করে সব দেখি।য়ে দেবে। আবার কিছু লোক প্রমান পাওয়ার পরেও মানবে না, যে বিহজ্ঞান বলল বিশ্বজগত, বিগ ব্যাং অমুক তমুক এরক ওরকম তারা কিন্তু সেটা মেনে নেয় না দেখেই, কিন্তু সেই বিজ্ঞান যখন কুরানের কোন কিছুকে সত্য বলে প্রমান করে তখন তারা মানে না।
আমার মতো অনেক বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি এরই মধ্যে নবিজির সা. অথরিটি মেনে নিয়েছে। আল্লাহ চায় তো, এরাও নেবে। ভাবালুতায় ডুবে থেকে আর কত?
=================================
Nayan Chowdhury
বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণঃ (পর্ব ১৫) পৃথিবীর আবর্তন
****************************************
পবিত্র কোরআন মহাবিশ্বের বিস্ময়!
অনেকেই আছেন যারা অজ্ঞতাবশত বলেন - মুহাম্মদ(সাঃ) এর নিজের লেখা কোরআন আর এজন্যই কোরআন এ চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তনের কথা বলা হয়েছে কিন্তু পৃথিবীর আবর্তনের কথা বলা নাই! কারন খালি চোখে আমরা শুধু চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তন দেখি আর এটাই কোরআন এ এসেছে! পৃথিবীর আবর্তন দেখিনা তাই সেটি আসেনি। প্রকৃতপক্ষে কোরআন এ পৃথিবীর আবর্তনের কথাও বলা হয়েছে!

(33)
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।

It is He Who created the Night and the Day, and the sun and the moon: all (the celestial bodies) swim along, each in its rounded course.
এখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে-
১) দিন ও রাত্রি(যার সাথে পৃথিবী সম্পৃক্ত, আগের আয়াতে পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে! উল্লেখ্য যে আহ্নিকগতির ফলেই দিন- রাত হয়)
২) সূর্য
৩) চাঁদ
এর পরে বলেছে" সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে"!
অর্থাৎ পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরন করে!

যদি সবাই না বলে শুধু চাঁদ ও সূর্য বলত তবে বিষয়টা ভিন্নহত!

বিশ্বখ্যাত মুফাসসীরে কুরআন, বিজ্ঞানী আল্লামা ত্বানত্ববী আল জাওহারী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা আম্বিয়ার ৩৩নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, উক্ত আয়াতটি ব্যাপক অর্থ সম্বলিত। অর্থাৎ সূর্য, চন্দ্র, তারকা ও পৃথিবী, মোটকথা প্রত্যেকটি নক্ষত্র নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে। [আল জাওয়াহিরু ফী তাফসীরিল কুরআনিল কারীম : ১০/১৯৯]
প্রখ্যাত তাফসীরকারক আল্লামা আহমদ মোস্তফা মারাগী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা ইয়াসীনের ৪০নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, প্রত্যেকটি গ্রহ-নক্ষত্র অর্থাৎ পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে (ঘুরছে)। যেভাবে মাছ পানিতে সাঁতার কাটে। সূর্য ঘুরছে নিজ কক্ষপথে। নিজ অক্ষে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে একদিন ও একরাত(২৪ ঘন্টা)। পক্ষান্তরে “পৃথিবী”-কে একবার প্রদক্ষিণ করতে চন্দ্রের সময় লাগে একমাস। [আত তাফসীরুল মারাগী : ২৩/১০]
বিশ্বনন্দিত মুফাস্সীরে কুরআন আল্লামা মাহমুদ হিজাযী রহ. স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে সূরা আম্বিয়ার ৩৩নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, আল্লাহ পাক পৃথিবীর বুকে পাহাড়সমূহের বোঝা রেখে দিয়েছেন; যাতে করে পৃথিবী মানব মণ্ডলীকে নিয়ে ঝুঁকে না পড়ে। পৃথিবী নিজ কক্ষে ঘুরে এবং সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে। (আল্লাহ্) সূর্য ও চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন যেন প্রত্যেকটি নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরে। [আত তাফসীরুল ওয়াজেহ : ১৭/৫২৮]

কুরআন বলছে,
“তারা কি সতর্কতার সাথে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, যদি এটা আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছ থেকে হতো, তারা এতে বহু অসামঞ্জস্য খুঁজে পেতো।কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এর অসংগতি খুঁজে পায়নি এবং পাবেও না!
এটা এজন্যই যে কোরআন কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় বরং এটি একটি ঐশি গ্রন্থ।

===================================

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...