Visitors

Wednesday, 11 September 2019

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি



তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি


কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা।
★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের মিরাকল।
★ আরো দেখি, সু কৌশলে সৌর বছর,ও চদ্র বছর মিল রেখি বর্ণত সংখ্যা।(Md Rashidul,7/5/18)
★ বন্ধুগন, কি করে এত সমন্বয় সাধন করে সুরা আয়াত লেখা সম্ভব? হ্যা,একমাত্র সৃষ্টিকর্তার পক্ষেই সম্ভব। বিস্ময় এখানেই শেষ হত, যদি কুরআনে হাজারের উপর অলৌকি নিদর্শন না থাকত। ধারাবাহিক দেখব-
★★ সূরা ১৮: ২৫ - এখানে কেন বিভক্ত সংখ্যয় দেয়া হল, ৩০০ বছর ও আরো ৯ বছর? কি মিরাকল আছে আয়াতে?
★ আয়াতে গুহাবাসী যুবকদের
অবস্থান কাল প্রসঙ্গে বিভক্ত ধারণা দেওয়া
হয়েছে; বলা হয়েছে যুবকরা সেখানে তিনশত
বছর আরও ৯ বছর অতিবাহিত করেছে; কিন্ত
পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে বিষয়টা মহান
আল্লাহই ভাল জানেন; এখানে দ্বীধা দন্ধ যাই
হোকনা কেন আমরা এ বিষয়ে পরে দেখবো;
এখানে উক্ত আয়াতে হিসাব প্রদানের প্রক্রিয়া
সম্পর্কে নিবিষ্ট হয়েছি, গবেষকগণ হিসেব
করে দেখেছেন, ৩০০ সৌর বছর ঠিক ৩০৯
চন্দ্রবছরের সমান; তাহলে বলাচলে এই বর্ণনা
বছর হিসেবের দুইটি পদ্ধতিকেই স্বীকৃতি দেওয়া
হয়েছে;

সংখ্য দুইটির অনুপাত হয় ৩০৯/৩০০ = ১.০৩
এবার আমরা দেখবো এই অনুপাতটি কোথায়
কোথায় রক্ষা করা হয়েছে;
সৌর বছরের আরবী অনুবাদ হল ﺳﻨﺔ সানাত, এই
শব্দটির গাণিতিক মান ১১৫; আবার চন্দ্র বছরের
আরবী শব্দ হল ﻋﺎﻡ আ’ম যার গাণিতিক মান ১১১;
সংখ্যা সংখ্যা দুইটির অনুপাত করলে দাঁড়ায় ১১৫/১১১=
১.০৩৬০৩০৩৬০৩
সূধী পাঠক,আমরা উপরে বর্ণিত ১৮:২৫ আয়াত
থেকে ধারণা করতে পারলাম, গুহাবাসী যুবকেরা
৩০০ সৌর বছর বা ৩০৯ আরবী বছর ঘুমিয়েছিল; এখন
প্রশ্ন হল আমরা কিভাবে বুঝলাম যে এখানে সৌর ও
চন্দ্র পঞ্জিকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? বিষয়টা
কোরআনের আয়াতে উল্লেখ করা হয়নি বটে,
তবে আমরা বর্ণনার ধারা ও দিন সংখ্যার হিসেব
থেকে উক্ত ধারণা তৈরী করি; এখন প্রশ্ন হল
পবিত্র কোরআন কেন সরাসরি না বলে এইভাবে
ভেঙে বলল? যদি বিষয়টা যে কোন এক
পঞ্জিকার হিসেব হত তা হলে ১৮:২৬ আয়াতাংশ
যেখানে বলা হয়েছে ‘বলুন তারা কতকাল অবস্থান
করেছে, তা আল্লাহই ভাল জানেন ’ অর্থহীন
হয়ে যায়: কারণ আয়াতাংশ অনুযায়ী ৩০৯ বছরের
হিসেবটাও শতভাগ সঠিক নয় বলেই প্রতীয়মান হয়;
যদি হিসেবটা যে কোন এক পঞ্জিকার হিসেব হত
তাহলে তাকে বেঠিক বলা যায়না: এবার দেখি
হিসেবের গড়মিলটা কোথায়!
আমরা জানি প্রকৃত হিসেব অনুযায়ী গড়ে সৌর বছর
হয় ৩৬৫.২৪২৫ দিন আর চন্দ্র বছর হয় ৩৫৪.৩৬৭০৮
দিনে;
৩৬৫.২৪২৫ x৩০০ = ১০৯৫৭২.২৭৫;
৩৫৪.৩৬৭০৮ x ৩০৯ = ১০৯৪৯৯.৪২৭৭
১০৯৫৭২.২৭৫ – ১০৯৪৯৯.৩৬৭০৮ = ৭২.৮৪৭৩ দিন;
এখন যদি বলা হয়, যুবকরা ঠিক ৩০০ সৌর বছর ঘুমিয়ে
ছিল তাহলে ৩০৯ আরবী বছরের হিসেব শতভাগ
সঠিক থাকেনা, অর্থাৎ ৩০৯ হয়েও আরও ০.২৩৫৭
বছর কম হয়; সম্ভবতঃ এ কারণেই মহান স্রষ্টা
১৮:২৬ আয়াতে বলেছেন,‘বলুনঃ তারা কতকাল
অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভাল জানেন’:
সৌর ও চন্দ্র বছরের দিবস সংখ্যায় অনুপাত
সূধী পাঠক আমরা জানি পবিত্র কোরআনে দিবস
শব্দটি একবচনে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৬৫ বার;
বিজ্ঞান বলছে এক সৌর বছরে পূর্ণ দিবস সংখ্যা
৩৬৫ টি; অর্থাৎ আমাদের পৃথিবী বছরে সূর্যের
চারিদিকে ৩৬৫টি পূর্ণ পরিক্রমন শেষ করে; সূক্ষ
গড় হিসেবে বছরে সৌর দিন সংখ্যা হয় ৩৬৫.২৪২৫
দিন; অনুরূপ ভাবে এক চন্দ্রবছরে দিবস সংখ্যা
৩৫৪.৩৬৭০৮; এই দুইটি সংখ্যার অনুপাত করলে দাঁড়ায়
৩৬৫.২৪২৫/৩৫৪.৩৬৭০৮= ১.০৩০৬৮৯০১
পবিত্র কোরআনে ব্যবহৃত ৩৬৫টি একবচনে দিবস
শব্দের মোট গাণিতিক মান ২২৭৮১;
প্রথম থেকে ৩৫৪টি দিবস শব্দের মোট গাণিতিক
মান ২২১০৩
সংখ্যা দুইটির অনুপাত করলে দাঁড়ায় ২২৭৮১/২২১০৩=
১.০৩০৬৭

সূধী পাঠক এবার আমরা প্রাপ্ত অনুপাতগুলি তুলনা করি,
১. সৌর বছর ও চন্দ্র বছর শব্দদুইটির গাণিতিক মানের
অনুপাত করে পেয়েছি ১১৫/১১১=
১.০৩৬০৩০৩৬০৩
২. সৌর বছরে ও চন্দ্র বছরের দিন সংখ্যার অনপাত
কেরে পেয়েছি ৩৬৫.২৪২৫/৩৫৪.৩৬৭০৮=
১.০৩০৬৮৯০১
৩. পবিত্র কোরআনে দিবস শব্দটি ব্যবহৃত হওয়ার
মোট গাণিতিক মানের অনুপাত করে পেয়েছি
২২৭৮১/২২১০৩= ১.০৩০৬৭
এই অনুপাতগুলি থেকে দৃশ্যত প্রতীয়মান হয় যে,
মহান প্রভু সৃষ্টিজগতে যে অনুপাত দ্বারা সৃষ্টিকে
সুস্থিত করেছেন পবিত্র কোরআনে তাদের
বর্ণাতেও অনুরূপ অনুপাত রক্ষাকরে পবিত্র
কোরআনের অলৌকীকতাকে সমুন্বত
করেছেন; যা অবিশ্বাসী ও সন্দেহবাদীদের
চিত্তকে শান্ত করতে পারে ও পবিত্র কোরআন
সম্পর্কে তাদের অযৌক্তিক দাবীকে প্রশমিত
করতে পারে; এর পরেও যদি কেউ পবিত্র
কোরআনকে মানুষের রচনা বলে মনে করেন
তবে তা হবে শুধুমাত্র আবেগের তারণায় সত্যকে
অস্বীকার করা; মন যদি বিশ্বাসের দারগোড়ায় নাই
পৌঁছে থাকে তবে আসুন আমরা এই ‘দিবস’ নিয়ে
আরও কিছু সমন্বয় দেখি;
১৯ এর জালে দিবস শব্দটি
সূধী পাঠক,আমরা দেখেচি,পবিত্র কোরআনে
১৯ এর ব্যাখ্যাদান কারী আয়াত ৭৪:৩১ এ মহান স্রষ্টা
নিজেই বলেছেন,’১৯ শুধুমাত্র তত্বাবদায়কদের
সংখ্যাই নয়, এই সংখ্যা দূর্বলমনা কিতাবীদের মনের
বিশ্বাস আনয়ন ও বিশ্বাসীদের অন্তরকে দৃঢ় করার
লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে’; এই ধারণা প্রধান
করার পর পরই মহান স্রষ্টা চাঁদ, সুরুজ ও পৃথিবীর
পারস্পরিক সম্পর্কের কথা বলেছেন, আমরা এবার
দেখবো এই সম্পর্কের মধ্যে ১৯ এর কি প্রভাব
রয়েছে; আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি সৌর ও চন্দ্র
পঞ্জিকা উভয়েই কোরআনিক সম্পর্কে আবদ্ধ;
১৯ শুধুমাত্র দোযখের আগুনের তত্বাবদায়কই নয়
আমাদের সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রস্থিত আগুনেরও
তত্বাবদায়ক;
সৌর দিবস সংখ্যা ৩৬৫ সরাসরি ১৯ দ্বার বিভক্ত না হলেও
দিবসগুলির গাণিতিক মানের যেগফলটি ১৯ দ্বারা বিভক্ত;
২২৭৮১= ১৯ x ১১৯৯;
এক বচনে দিবস পবিত্র কোরআনে ব্যবহৃত
হয়েছে ৩৬৫ বার, যা সরাসরি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য নয়,
আবার বহুবচনে ব্যবহৃত হয়েছে ৩০ বার, এটিও
বিভাজ্য নয়, এছাড়া দিবস শব্দের আরও ৮০টি জাতক
শব্দ রয়েছে; এই তিনটি সংখ্যাকে যোগ করলে
দাঁড়ায় ৪৭৫ যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য
৪৭৫=১৯ x ২৫ ; এই ৪৭৫টি শব্দ উল্লিখিত
হয়েছে মোট ৪৩৭টি আয়াতে; এই সংখ্যাটিও ১৯
দ্বারা বিভাজ্য;
৪৩৭=১৯ x২৩ ;
সৌর-চন্দ্র অনুপাতের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক
মহা বিষ্ময়
★ আরো মিরাকল দেখুন-
. আসহাবে কাহাফ বা গুহার অধিবাসিদের বর্ণনা
থেকে জানা যায় ওরা গুহার ভিতর ৩০৯ বছর ঘুমন্ত ছিল।
এই গুহার অধিবাসিদের বর্ণনা আছে, কোরআনের
সূরা কাহাফের ৯ থেকে ২৫ নং আয়াতে। এই আয়াত
কয়টির মোট শব্দের সংখ্যা গণনা করুন্ ৩০৯ টি শব্দ
পাবেন!
** বিস্ময় কুরআন!
======================
মৃত্যুর পরের জগতটা কেমন? এই
প্রশ্নের উত্তর
কেবল
মৃতরাই দিতে পারবে। তবে মৃত্যুর
পরের জগত
কেমন এই
প্রশ্মের উত্তর খুঁজতে বিজ্ঞান
চেষ্টা করে
যাচ্ছে
বহুকাল ধরে।
ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন
ইউনিভার্সিটির একদল
গবেষক
প্রায় চার বছর ধরে দুই হাজার
লোকের উপর
একটা জরিপ
করে ,যেসব লোক জীবনের কোন
পর্যায়ে
কার্ডিয়াক
এরেস্টের শিকার হয়েছিল এবং
তাদের হার্ট,
ব্রেইন
ক্লিনিকালি কিছু সময়ের জন্য
বন্ধ হয়ে
গিয়েছিল।
এই দুই হাজার ব্যাক্তিকে প্রশ্ন
করা হয়, যে
সময়টাতে
উনারা ক্লিনিকালি ডেড ছিলেন
সে সময়টার
কোন কথা
মনে আছে কিনা?
এদের মধ্যে ৪০% পার্সেন্ট লোক
গবেষকদের
অবাক করে
দিয়ে বলেন হা যখন তারা
ক্লিনিকালি ডেড
ছিলেন সেই
সময়টার কিছু স্মৃতি আছে তাদের্।
মনে রাখবেন
এটা
কিন্তু অসম্ভব?
কারণ তখন তাদের হার্ট এবং
ব্রেইনের
কার্যাবলী বন্ধ
ছিল। তাহলে সে সময়ের স্মৃতি
থাকে কিভাবে?
মেমোরি জমা হতে হলে আগে
মেমোরি কার্ড
তো কাজ
করতে হবে?
এমন কি একজন ব্যাক্তি এটাও মনে
করেছিলেন
,যে তিনি
সে সময়টাতে তার দেহ থেকে বের
হয়ে যান এবং
রুমের
কোণায় দাড়িয়ে তার দেহটাকে
দেখেন।
আবার কিছু ব্যাক্তি বলেন
ক্লিনিকালি ডেড
থাকার
সেই সময়ে তারা তাদের সামনে
একটা খুব
উজ্জল আলো
দেখতে পেয়েছিল।
এই উজ্জল আলোটা আসলে কি
ছিল? মৃত্যুর
পরের জগতের
আলো? নাকি এই আলো কোরআনে
বর্ণিত
আজরাইল বা
বাইবেলে বর্ণিত এঞ্জেল অফ
ডেথ যিনি মানুষের
জান
কবচ করতে আসেন?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কোনদিন
পাবোনা?
এই গবেষণার সাথে দ্বিমতও ও
আছে অনেক এবং
সীমাবদ্ধতাও কম না।
তবে নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স
নিয়ে এই
রিসার্চ আরো
একটি প্রশ্নের সামনে দাড় করিয়ে
দেয় আমাদের
কে?
যেহেতু তারা ক্লিনিকালি ডেড
ছিল এবং তাদের
ব্রেইন
,হার্ট বন্ধ ছিল তারপরও ওই
সময়টাতে
কনশাসনেস ছিল
বলে দাবী করছে কিছু লোক
তার মানে কি দাড়ায় মানবদেহ
শুধুই একটি
বায়োলজিক্যাল সৃষ্টি না। এই
দেহের ভিতরে
একটা
আত্মা বা soul আছে যা সচেতন
থাকে এবং যার
কার্যক্ষমতার উপর মানবদেহের
কোন পরিবর্তন
ভূমিকা
রাখেনা?
Souls really exist?
এই প্রশ্মের উত্তর খুঁজতে আমাদের
যেতে হবে
১৯০৭
ম্যাসাচুসেটসে। ওই সময় ড.
ডানকান
ম্যাগডাওগেল ডেড
ওয়েইট এক্সপেরিমেন্ট নামের এক
এক্সপেরিমেন্ট
করেন
মানুষ এবং কুকুরের উপর্। ডক্টর
ডানকান ছয়জন
মৃত্যু
পথযাত্রী মানুষের ওজন নেন এবং
তারা মারা
যাওয়ার
একদমপর মুহুর্তেই আবার তাদের
ওজন পরিমাপ
করেন।
দেখা যায় প্রতিটা ব্যাক্তিই
মৃত্যুর একদম
ইমিডিয়েট
পরে ৩-৪ আউন্স করে ওজন হারায়।
এটা কিন্তু
মৃত্যুর একদম
পরের মিনিটে নেয়া ওজন। সুতরাং
শরীর ফুলে
যাওয়া বা
ইত্যাদি কারণ এক্ষেত্রে রুলড
আউট।
এরপর ডক্টর ডানকান একইভাবে ১৫
টি কুকুরের
ওজন নেন।
কিন্তু দেখা যায় কুকুরগুলা মৃত্যুর
পরে ওজন
হারায়নি।
ডক্টর ডানকান তখন এই সিদ্ধান্ত
নেন ছয় জন
মানুষ মৃত্যুর
ইমিডিয়েট পরে যে ওজনটা
হারিয়েছে তিন থেকে
চার
আউন্স। এটা আসলে সেই মানুষদের
আত্মা বা
সোলের
ওজন।
যদিও ডক্টর ডানকানের এই
এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে
অনেক
বিতর্ক আছে। অনেক ভুল
আছে। .তার দেয়া
সিদ্ধান্তও
সার্বিকভাবে প্রমাণিত না। বলা
যায় এটা একটা
অপ্রমাণিত থিউরি যা দিয়ে
মানুষের আত্মা
আছে যার
ওজন ৩/৪ আউন্স এই সিদ্ধান্তে
আসা যায়না।
মৃত্যু নিয়ে মানুষ এভাবে ভেবে
গেছে সৃষ্টির শুরু
থেকে।
যে মানুষটা আগের দিন বলেছিল
- তুমি কি খেয়েছ?
পরেরদিন সেই মানুষটা মারা
গেলে তার কথাগুলো
কোথায় যায়। কেন ওই শরীরটা
থামার সাথে
সাথে
ভেতরের কথাগুলো হারিয়ে যায়।
যদি আত্মা বা
সোল
বলে সত্যিই কিছু থাকে সে সোল
কি দুর থেকে
দাড়িয়ে
প্রিয়জনদের কান্না দেখে? এমন
হাজারো
প্রশ্ন জাগে
মনে
মৃত্যু নিয়ে নন লিনিয়ার
স্টোরিলাইনের একটা
এপিক
মুভি হল ফাউনন্টেইন। ড্যারেন
এরোনফস্কির
বানানো
হিউ জ্যাকম্যান অভিনিত। এখানে
জ্যাকম্যান
একজন
ডাক্তার যার স্ত্রী ক্যান্সার
রোগী আর
কিছুদিন পরেই
মৃত্যু হবে যার
জ্যাকম্যান চেষ্টা করে যাচ্ছে
যেভাবেই হোক
প্রিয়তমাকে বাচানোর মেডিসিন
আবিস্কার
করতে
ঠিক একই ভাবে পাচশ বছর আগে
টমাস ভার্ডে
দক্ষিণ
আমেরিকার জঙ্গলে খুজে
বেড়াচ্ছে রুপ কথার ট্রি
অফ
লাইফ যার মাধ্যমে বাচাবে সে
তার রাণী
ইসাবেলাকে।
তেমনি তিন নাম্বার গল্পে
ফিউচারের হিউ
জ্যাকমেনকে দেখা যায়
স্পেসশিপে করে
মহাকাশে ট্রি
অফ লাইফের সন্ধানে খুজে
বেড়াচ্ছে। সেও
মৃত্যুকে
থামিয়ে দিতে চায়
ফাইন্টেইন মুভির গল্পটা আমাদের
সবার গল্প।
আমরা
প্রত্যেকেই মৃত্যুকে থামিয়ে দিতে
চাই। আমাদের
নিজেদের কাছ থেকে না।
আমাদের বাবা মা ভাই
বোন
প্রিয়তমা আপন জন দের কাছ
থেকে। আমরা
অনেক শক্ত
করে আগলে রাখি। লাইফ
সাপোর্টে রেখে আশা
করি।
হয়ত ,হয়ত সে ফিরবে
কিন্তু হায় মৃত্যুকে হারানো
যায়না। দিনের শেষে
মৃত্যুই
সবচাইতে বড় সত্য
All men must die
==================
মৃত্যুর সময় ও মৃত্যুর পর নাস্তিকে আক্ষেপ, হায়...!!!!!! বিশ্বাসীরা কতভাবেই না আমাদের বুঝিয়েছিল যে স্রষ্টা সত্যি, আখেরাত সত্যি, জান্নাত সত্যি জাহান্নাম সত্যি, এসবের কত নিদর্শন ও আমাদের দেখানো হয়েছিল, কি ভুলই না করেছিলাম বিশ্বাস না করে!!!! আজতো আর রেহাই নেই।
হায়..!!!! এখন কি হবে.. #আর অমুসলিমরা তার দ্বিগুন আক্ষেপ করে বলবে, হায়..!!!এটা কি হল? এতো দেখছি মুসলিমদের কথাই সত্য। তারা কত ভাবেই না আমাদের বুঝিয়েছিল যে ইসলাম/ কোরআান ই সর্বশেষ ও চুরান্ত ধর্ম ও ধর্ম গ্রন্থ এমনকি আমাদের গ্রন্থও
তো সে সংবাদই দিয়েছিল, কিন্তু একবারও কর্নপাত করি নি, বিশ্বাস করি নি। ইসলামকে মেনে নিই নি। হায় আফসোস..!! এখন কি হবে।।।
#এরপর নামধারী মুসলিমরা তার চতুর্গুন আক্ষেপ করে বলবে, হায়..!হায়..! এ কি ভুল করলাম..!! ইসলাম পেয়েছিলাম, কোরআান পেয়েছিলাম, প্রতিটা মূহুর্ত হুজুরেরা/মুমিনেরা কত শতবার বলেছিল আন্যায় কাজ ছাড়, জেনা করোনা, মদ্য পান করো না, নামাজ পড়, রোজা কর, যাকাত দাও, হজ্জ কর, কত কষ্ট করে ঐ মুয়াজ্জিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজের জন্য কতই না আহ্বান করত, কিন্তুু কোন সারা দেই নি। হায়.আফসোস..! হায় আআফসোস..!!! আনেক তো সময় পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম বয়স হলে সব করব, কিন্তু দেখতে দেখতে সব সময় ফুরিয়ে গেল, কাল করব কাল করব বলে আরতো কিছুই করা হল না, কেন এমনটা করলাম?? সবই তো পেয়েছিলাম... কেন অবহেলা করলাম.. কেন অলসতা করলাম.. এখন তো আমার জাহান্নাম ছাড়া কোন উপায় নেই.. সবশেষে সবাই বলবে, হে আল্লাহ, আমাকে আরেকটি বার সুযোগ দাও... আমি তোমার সব বিধান মেনে চলব।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।। কিন্তু না, আর কোন সুযোগ আসবেনা। কারন এখন পর্যন্ত তোমার কাছে মৃত্যুর পরবর্তী সকল অবস্থার কথা হাজারো নোটিশ দেওয়া হচ্ছে, হাজারো মুমিন তোমার জন্য মেধা দিয়ে, সময় দিয়ে, শ্রম দিয়ে, এমনকি রক্ত ও জীবন দিয়ে তোমাদের সামনে কোরআানের বানীকে তুলে ধরছে। কিন্তু তুমি শয়তানের পথ অবলম্বন করেছ তাই তোমার জায়গাটাও হবে শয়তানের সাথে, জাহান্নামে।।।।।
=======================================
মনোবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন: কিশোরী বয়সে মেয়েদের যৌনইচ্ছা সবচেয়ে বেশী হয়। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌনইচ্ছা ও চাহিদা কমতে থাকে, ২৫ এর পর এ বিষয়ে তাদের হয় পড়ন্ত বেলা। এরপর মেয়েরা স্বামীর প্র্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু সে কোন সমস্যা ছাড়াই মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করেও থাকতে পারে।
মনো ও যৌনবিজ্ঞানীরা আরো জানাচ্ছেন: মেয়েদের যৌনচাহিদা পুরুষদের ৪ ভাগের ১ ভাগ।
মনোবিদ জুডিথ এডিসন জানিয়েছেন. কুড়ির শেষ থেকেই মেয়েদের শরীরে সন্তান ধারনের ক্ষমতায় ভাটা পড়ে এবং মধ্যচল্লিশ আসতেই সে সন্তান ধারনের প্রায় শেষ সীমায় এসে দাঁড়ায়।
উপরের কথাগুলোর সত্যতা সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা থেকেও উপলব্দি করা যায়।
বাংলাদেশের বিবাহিত মহিলাদের প্রায় ৩০ ভাগ মহিলা জীবনের কোনও না কোনও সময় স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। সম্প্রতি তাদের প্রকাশিত একটি প্রকাশনা থেকে জানা যায় যে, ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বাংলাদেশের বিবাহিত মহিলাদের প্রায় ৩০ ভাগ মহিলা জীবনের কোনও না কোনও সময় স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। নারী নির্যাতন নিয়ে "ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১" শীর্ষক এক সমীক্ষায় উত্তরদাতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক না করলে স্বামী কিছু করে কি না, সে ভয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হন তারা।
এই সমীক্ষা এটা স্পস্ট করে দিল যে, ২০ বছর বয়স হলেই মেয়েরা স্বামী'র আহবানে যৌনকর্ম করাকেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে মনে করছে। অর্থাৎ এই বিষয়ে তাদের প্রকৃত চাহিদা সত্যিই কমে যায়।
তাহলে “বাংলার নারী কুড়িতে বুঁড়ী” প্রবাদটির তথ্যগত ভিত্তি অবশ্যই আছে।
মেয়েদের এই অনুভূতি যে পুরুষদের মতো প্রবল নয় এবং তারা যে এর তাড়ণায় ধর্য্যহারা হন না এর প্রমাণ হলো পুরুষরাই ধর্ষক হয়, কখনও মেয়েরা ধর্ষক হয় না। যদি পুরুষের মতো একইরূপ আগ্রাসী যৌন অনুভূতি মেয়েদের মধ্যেও থাকতো তবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ২০১০ সালে যে ৮৪,৭৬৭ টি ধর্ষণকার্য "সু-সম্পন্ন" হয়েছে এর অর্ধেক সংখ্যক মেয়েদের দ্বারা "সংঘঠিত" হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্ধেকতো দূরের কথা মেয়েদের দ্বারা এর "একটি" ঘটনাও ঘটেনি, তখন এবং এখন।
উল্লেখ্য যে, ধর্ষণকার্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষেরাই বিশ্বসেরা। তাদের রেকর্ডের কাছাকাছিও অন্য অঞ্চলের পুরুষেরা পৌঁছতে পারে না। তবে তাদের রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য ভারতের পুরুষেরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মিডিয়া আমাদেরকে জানাচ্ছে।
==============================
মনোবিজ্ঞানের একটা বিশেষ নীতি - আপনি যাকে ঘৃণা করবেন তার ভাল কাজকেও ঘৃণা করবেন, আর যদি সে কাজটি তার জন্য গৌরভ বয়ে আনে তা আপনার জন্য তীব্র যন্ত্রণাদায়ক হবে।
আসা করি আর কথায় সবাই এক মত হবেন।
নাস্তিকদের ক্ষেত্রে ঠিক একই থিওরি কাজ করে। যাদের ধর্মিয় উপাসনা ভাল লাগে না তাদের সামনে ধর্ম ধর্ম করলে সেইটা তার জন্য বিষ হয়ে যাবে।
প্রত্যেক নাস্তিক যে যার নিজস্ব ধর্মকে সর্বাধিক ঘৃণা করে, কারণ সেইটা থেকেই সে মুক্তি পেয়েছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘৃণা করে যে ধর্ম সেইটা হলো ইসলাম। কারণ ইসলামের সুনাম সাড়া বিশ্ব ব্যাপি তুলপাড়। আর সেই জন্য নাস্তিকদের ঘৃণার মাত্রাটাও তুলপাড়, আর এই জন্য নাস্তিকদের বাননো বদনামের অভাব নেই বিশ্বব্যাপি,প্রথমত মিডিয়াকে এদের হাতিয়ার বানিয়েছে যেন এই সুনাম গুলোকে ঢাকা যায়, দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসবাদীর কলঙ্ক দিয়ে ইসলামকে ঢালার চেষ্টাও করছে যেইটা অনেকাংশে সফলও হয়েছে।যদিও জ্ঞানীরা এইটা তোয়াক্কা করে না। তাদের ঘৃণা ছড়ানোর কাজ অভ্যাহৃত রেখেছে।
ইসলামে কোনরূপ ত্রুটি না থাকলেও এরা ত্রুটি বের করেছে। প্রশ্ন করতে পারেন, ত্রুটি না থাকলে বের হয় কেমনে?
যেইসব ত্রুতি বের করেছে সেগুলো দেখলে মনে হয় কোনদিন সে বই পড়ে দেখেনি। আর মিথ্যাচার এর অন্ত নেই। আমি আগেই বলেছি যাকে আপনি ঘৃণা করেন তার সব কাজই আপনি ঘৃণা করবেন তাই ইসলাম যতই শান্তির কথা বলুকনা কেন সবই তাদের কাছে অশান্তির বিষয়।

মোবাইলে বেশি কথা বললে ক্যান্সার অনিবার্য, জানাল গবেষকগণ, নিজে জানুন এবং শেয়ার করে অন্যদের জানতে সাহায্য করুন



মোবাইলে বেশি কথা বললে ক্যান্সার অনিবার্য, জানাল গবেষকগণ, নিজে জানুন এবং শেয়ার করে অন্যদের জানতে সাহায্য করুন


চিন্তা-ভাবনাটা ছিল অনেক দিন ধরেই। আশঙ্কাও ছিল জোরদার। এত দিনে একেবারে হাতেনাতে পরীক্ষামূলক ভাবে তা প্রমাণিত হয়ে গেল। মোবাইল ফোন বড়ই বিপজ্জনক। ওই ফোন ব্যবহারের সময় যে রেডিও-তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে, তা থেকে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার অনিবার্যই। এমনকী, তা আমাদের ব্রেন ক্যান্সার বা ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনাও বহু গুন বাড়িয়ে তোলে।

সব সময় চালু টেলিভিশন সেটের সামনে বসে থাকলেও ছড়িয়ে পড়া রেডিও-তরঙ্গ আমাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক গুন বাড়িয়ে তোলে। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর তত্ত্বাবধানে একেবারে হালের একটি গবেষণার ফলাফল ওই তথ্য দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সেই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ জার্নালে। আর তার পরেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা মার্কিন মুলুকে। ওয়াশিংটনে, ‘ফেডারাল কমিউনিকেশন্স কমিশন’ (এফসিসি) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে চলেছে।

আড়াই কোটি ডলার খরচে ওই গবেষণাটি চালানো হয়েছে ‘ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রামে’। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে রেডিও-তরঙ্গে মার্কিন মুলুকে টেলিভিশন সম্প্রচার করা হয়, বা চালানো হয় উপগ্রহ মারফত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেই রেডিও-তরঙ্গ অনিবার্য ভাবেই ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।

ওই গবেষণায় পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইঁদুরের ওপর। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই বিশেষ রেডিও-তরঙ্গ পুরুষ ইঁদুরের শরীরে দু’ধরনের ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মূল গবেষক ক্রিস্টোফার পোর্টিয়ার তাঁর গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, যে রেডিও-তরঙ্গ থেকে পুরুষ ইঁদুররা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের রোজকার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন থেকে সেই রেডিও-তরঙ্গই ছড়িয়ে পড়ে নিয়মিত ভাবে। সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে বানানো মোবাইল ফোন থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ওই একই রেডিও-তরঙ্গ।

হযোগী গবেষক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ, অনাবাসী ভারতীয় তরুণ অগ্রবাল ই-মেলে আনন্দবাজারকে জানাচ্ছেন, ‘‘ওই বিশেষ রেডিও-তরঙ্গের মাত্রা বাড়ানো হলে, ইঁদুররা আরও বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। খুব দ্রুত হারে। সেই ক্যান্সার বা টিউমারটা হচ্ছে তাদের মস্তিষ্কে। যেটাকে বলে ‘গ্লিওমাস’। তারা আক্রান্ত হচ্ছে আরও ধরনের ক্যান্সারে।
তাদের হৃদযন্ত্রের ওই ক্যান্সারকে বলে ‘শোয়্যানোমাস’। কিন্তু ওই রেডিও-তরঙ্গের স্বাভাবিক মাত্রায় (যা রোজ মোবাইল ফোন থেকে ছড়িয়ে পড়ে) ওই দুই ধরনের ক্যান্সারে ইঁদুরগুলো আক্রান্ত হচ্ছে না। মানুষের ক্ষেত্রেও ওই রেডিও-তরঙ্গের প্রভাব একই রকম হবে। আলাদা হওয়ার অন্তত কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।’’
বৃহস্পতিবার ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হতেই তুমুল হই চই শুরু হয়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে। ফলে, যারা সব সময় মোবাইল ব্যবহার করেন, তাঁরা একটু সাবধানে থাকবেন! মাথায় রাখবেন, দিবারাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিপদ-আপদ!


মেরাজ বা ঊর্ধ্বগমনের ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক সত্যতা। ১৪০০+ আগের সত্য বিজ্ঞান মেনে নিল।




মেরাজ বা ঊর্ধ্বগমনের ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক সত্যতা। ১৪০০+ আগের সত্য বিজ্ঞান মেনে নিল।
**********************************
১৪০০ বছর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর আরশ পর্যন্ত ৫ হাজার বছরের পথ মুহূর্তেও মধ্যে ভ্রমণ করে ফিরে আসেন, যা জগতের চিন্তাশীল ও বিজ্ঞানীদের মনের দুয়ার খুলে দিয়েছে। আজ মঙ্গলগ্রহেও বসবাসের চিন্তা করছে মানুষ। যার দূরত্ব পৃথিবী থেকে সাড়ে ৩ কোটি মাইল।
যারা বিজ্ঞানময় কোরআন, পদার্থ বিজ্ঞান, মহাজাগতিক
বিজ্ঞান, আলোক বিজ্ঞান গতি ও সময়ের
সর্বশেষ গবেষণালব্ধ ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকভাবে
জ্ঞান রাখেন, তাদের কাছে মেরাজের সম্পূর্ণ
বিষয়টির সত্যতা দিনের মতো উজ্জ্বল। চোখের
পলকে লাখ-কোটি মাইল পথ অতিক্রম করার ক্ষমতা
আল্লাহপাক ‘বোরাক’কে দিয়েছেন। বোরাকের
নিয়ন্ত্রণকারী স্বয়ং আল্লাহ, তাই চন্দ্র অভিযানে
অ্যাপোলো-১৬-এর ন্যায় তা বিকল হওয়ার নয়।
গতিবিজ্ঞান (উুহধসরপং), মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব (খধি ড়ভ
এৎধারঃু) এবং আপেক্ষিক তত্ত্বের (খধি ড়ভ
জবষধঃরারঃু) সর্বশেষ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার
আলোকে মেরাজের ঘটনাকে বিচার করলে এর
সম্ভাব্যতা সহজেই আমাদের কাছে বোধগম্য
হয়ে ওঠে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে পারেননি যে, মাধ্যাকর্ষণ
শক্তিকে ভেদ করা সম্ভব। যেমন স্যার আইজাক
নিউটনের সূত্র অনুসারে, ‘ষধি ড়ভ সড়ঃরড়হ ধহফ ঃযব
রফবধ ড়ভ ঁহরাবৎংধষ মৎধারঃধঃরড়হ বা মাধ্যাকর্ষণ নীতি
যা ডিঙানো অসম্ভব। কিন্তু সত্তরের দশকের
বিজ্ঞানীরা চাঁদে পৌঁছার মাধ্যমে প্রমাণ
করেছেন যে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ডিঙানো
সম্ভব। এ সম্পর্কে আধুনিক বৈজ্ঞানিক অৎঃযবৎ এ
ঈষধৎশ তাঁর ঞযব বীঢ়ষড়ৎধঃরড়হ ড়ভ ংঢ়ধপব
প্রন্থে বলেছেন, ‘Arther G Clark Zuvi The
exploration of space cÖ‡š’ e‡j‡Qb, As the
distance from the earth lengthens in to the
thousand of miles the reduction (of Gravity)
becomes substantial twelve thousand miles up,
an one-pound weight would weight only an one
ounce. It follows, therefore, that further away
one goes from the Earth. The easier it is to go
onwards.
তিনি অন্যত্র বলেছেন, ‘Gravity steadily weakens
as we go up words away from Earth, until at very
great distances it becomes completely
negligible.
রিলেটিভিটি অফ টাইম তথা সময়ের আপেক্ষিকতা
তত্ত্ব
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ‘আপেক্ষিক
তত্ত্ব’ (খধি ড়ভ জবষধঃরারঃু) প্রকাশিত হওয়ার পর
মে’রাজসংক্রান্ত এ বিবরণ নিয়ে এখন আর
কোনো প্রশ্ন সাধারণত উত্থাপিত হয় না। বিজ্ঞান
দ্বারা এটি প্রমাণিত। একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে
বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি ও অগ্রগতির এ যুগে
মে’রাজ ও ইসলামের অন্যান্য বহু দিক ও বিভাগ
সম্পর্কে মুসলিম-অসুমলিম নির্বিশেষে সবাই
ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
আলবার্ট আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি অফ টাইম তথা
সময়ের আপেক্ষিকতার থিওরিটিও মেরাজের ঘটনা
বুঝতে সহায়ক হয়। দ্রুতগতির একজন রকেট
আরোহীর সময়জ্ঞান আর একজন স্থিতিশীল
পৃথিবীবাসীর সময়জ্ঞান এক নয়। রকেট
আরোহীর দুই বছর পৃথিবীর দুশ’ বছরের সমানও
হতে পারে।
পবিত্র কোরআনেও এমন একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
হযরত উযাইর আলাইহিস সালামকে আল্লাহতায়ালা একশ’
বছর ওফাতাবস্থায় রাখলেন। তারপর তাকে জীবিত
করে প্রশ্ন করলেন- ‘বলত, কতদিন এভাবে
ছিলে? তিনি বললেন, একদিন বা একদিনের কিছু সময়
আমি এভাবে ছিলাম। আল্লাহ বললেন, না। তুমি বরং
একশ’ বছর এভাবে ছিলে। তোমার খাবার ও
পানীয়ের দিকে তাকিয়ে দেখ সেগুলো পচে
যায়নি। আর দেখ নিজের গাধাটির দিকে। (বাকারা : ২৫৯)
। এ আয়াতে দেখা যাচ্ছে, হযরত উযাইর আলাইহিস
সালাম যে সময়টাকে একদিন বা তারও কম ভাবছেন
বাস্তবে তা একশ’ বছর। একদিকে তার খাবার পচে
যায়নি তাতে সময়টা সামান্যই মনে হচ্ছে, অপরদিকে
তার মৃত গাধার গলে-পচে যাওয়া বিচূর্ণ হাড্ডি প্রমাণ
করছে বহুকাল এরই মধ্যে চলে গেছে। এটাকে
রিলিটিভিটি অফ টাইম সময়ের আপেক্ষিকতা বলা
যেতে পারে। মার্কিন নভোযান ডিসকভারির
মহাশূন্যচারীরা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসায়
প্রমাণিত হয়েছে নভোভ্রমণ বাস্তবেই সম্ভব।
কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন
মেরাজে গিয়েছিলেন তখন বিষয়টা কল্পনাতীত
ছিল। মিরাজের ঘটনা মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন নতুন
আবিষ্কারের বিশাল অবদান রেখেছে।
বিজ্ঞান বর্ণিত বিশ্ব ও ইলমে মারিফাত
আমরা লক্ষ্য করি, ‘ইলমে মাআরিফাত’ বা আধ্যাত্মিক
জ্ঞানের যে সূত্র দ্বারা মে’রাজকে সহজে
উপস্থাপন করা যায়, তার সঙ্গেও বিজ্ঞানের সূত্রের
কোনো গরমিল নেই। ইলমে মাআরিফাত সমগ্র
সৃষ্টিকে তিনটি ‘আলম’ বা জগতে বিভক্ত করে। এ
তিনটি স্তরের প্রথমটি হচ্ছে ‘আলমে শাহাদাত বা
আলমে খালক’ অর্থাৎ ব্যক্তিজগৎ বা সৃষ্টজগৎ।
দ্বিতীয় স্তরটি হচ্ছে ‘আলমে গায়েব’ বা অদৃশ্য
জগৎ। এটি আমাদের স্থূল ইন্দ্রিয় জ্ঞানের অতীত
এক সূক্ষ্ম জগৎ। সৃষ্টির তৃতীয় স্তরটি হচ্ছে
‘আলমে মেসাল’ বা প্রতিরূপ জগৎ। এটিই হচ্ছে
অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি হচ্ছে পূর্ববর্তী
জগৎ দুটোরই অবিকল প্রতিরূপ- ঠিক যেন দর্পণে
প্রতিফলিত প্রতিবিম্ব। জড় জগৎ ও রূহানী জগতের
জড় ও অজড় সবকিছুই এখানে প্রতিবিম্বিত রূপে
বর্তমানে। এ জগতের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে এই যে, এখানে স্থান, কাল ও গতি বলে কিছু
নেই, এখানে সবই বর্তমান, সর্বলোকের। স্থান,
কাল ও গতি এখানে পরস্পরের সঙ্গে মিশে একাকার
হয়ে আছে। বিজ্ঞান বর্ণিত বিশ্বও ইলমে মারিফাত
বর্ণিত বিশ্বের মতোই তিনটি স্তরে বিভক্ত। যথা
জড় জগৎ, অতীন্দ্রিয় জগৎ ও ঋণাত্মক পদার্থ জগৎ
বা প্রতিরূপ জগৎ। কাজেই ইলমে মারিফাত ও
বিজ্ঞানের ধারণা এ ক্ষেত্রে অভিন্ন।
এখন দেখা যাক এ অভিন্ন ধারণার ভিত্তিতে
মেরাজের স্বরূপ ও প্রকৃতি কেমন। এ তত্ত্বের
ভিত্তিতে মে’রাজকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়
যে, মাসজিদে হারাম থেকে মাসজিদে আকসা
পর্যন্ত অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস
পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে
পরিভ্রমণ করেন, তা হচ্ছে জড় জগতে ভ্রমণ।
অতঃপর সেখান থেকে তিনি ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ পর্যন্ত
যে ভ্রমণ করেন তা হচ্ছে আলমে গায়েব বা
সূক্ষ্মজগৎ পরিভ্রমণ এবং সর্বশেষে আরশে
আযিম পর্যন্ত যে আলাদা জগৎ তিনি পরিভ্রমণ করেন,
তা হচ্ছে আলমে মেসাল বা প্রতিরূপ জগৎ। তিনি এ
জগতে প্রবেশ করেই স্থান-কালের অতীত
অবস্থায় সৃষ্টির সব রহস্য অবগত হন এবং ভূত-বর্তমান
ও ভবিষ্যতের সবকিছু চাক্ষুষ দর্শন করেন এবং
আল্লাহর দিদার লাভ ও তাঁর সঙ্গে কথোপকথন
সম্পন্ন করে পুনরায় জড় জগতে ফিরে আসেন।
ফিরে এসে দেখেন যে, পৃথিবীর সময়ের হিসাব
মোতাবেক অতি সামান্য সময়ই এতে অতিবাহিত
হয়েছে।
সুতরাং বিজ্ঞান মে’রাজকে আরো সহজে বোঝার
ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মেরাজের সময় মহানবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যবহৃত বাহনের
নামটিও এক্ষেত্রে বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। এর নাম
হচ্ছে ‘বুরাক’ অর্থাৎ মহাবিদ্যুৎচালিত বাহন, যার গতিবেগ
বিদ্যুৎ বা আলোর গতিবেগের চাইতেও বেশি ছিল।
কিন্তু লক্ষণীয় যে, তা ছিল ‘মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন’।
বর্তমান বিশ্বে নিয়ন্ত্রিত মহাশূন্যযানের কথা সবাই
অবগত আছেন এবং ভবিষ্যতে ‘ফোটনরকেট’ বা
আলোর গতিবেগসম্পন্ন যানের কথাও মানুষ চিন্তা
করছেন। যা হোক, বুরাকের গতিবেগ রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্পূর্ণ
নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল বলে তা কখনো আলোর
গতিবেগের সমান এবং কখনো বা প্রয়োজনের
তাগিদে কমবেশি করা হয়েছিল। কাজেই কাবা শরিফ
থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত তাঁর যে
পরিভ্রমণ ছিল, তাতে সম্ভবত আলোর চাইতে কম
গতিবেগে ‘বুরাক’ পরিচালিত হয়েছিল বিধায় তাতে
‘রাতের কিয়দংশ’ বা সামান্য সময় লেগেছিল, কিন্তু
সেখান থেকে ঊর্ধ্বলোকে তাঁর যে ভ্রমণ, তা
আলোর গতিবেগের সমান বা এর চাইতেও বেশি
ছিল। ফলে এ অংশের ভ্রমণে কাল ছিল স্থবির এবং
পরে পশ্চাৎগামী। বিশেষ করে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’
হতে ‘আলমে মেসাল’ বা প্রতিরূপ জগতে
পরিভ্রমণের সময় ‘বুরাক’ থেকে বেশি
গতিবেগসম্পন্ন ‘রফরফ’ ব্যবহৃত হয়েছিল বলে
সেখানে কাল ছিল পশ্চাৎগামী। ফলে তিনি
সেখানে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে
সম্যক অবহিত হয়েছিলেন ও চাক্ষুষ পরিদর্শন
করেছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর পৃথিবীতে
প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত সময় লেগেছিল অতি সামান্য।
বোরাক ও রফরফ
মেরাজে বাহন হিসেবে বোরাক ব্যবহৃত
হয়েছিল। ‘বোরাক’ আরবি ‘বারকুন’ শব্দ থেকে
উদ্ভূত, যার অর্থ হলো বিদ্যুত (ঊষবপঃৎরপরঃু)। এটা
নূরের তৈরি জান্নাতি বাহন। বিজ্ঞানীদের মতে
আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬০০০ (এক
লাখ ছিয়াশি হাজার) মাইল। শাব্দিক অর্থ বিবেচনায়
বোরাকের গতি অন্তত আলোর গতির সমান ছিল।
হয়তো আরও বেশিই ছিল অর্থাৎ এর গতি
অকল্পনীয় দ্রুত। যার কারণেই অতি অল্প সময়ের
ব্যবধানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সপ্তাকাশ ভ্রমণ সম্ভব হয়েছে।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বোরাকের দ্রুতগতির বর্ণনা দিয়ে বলেছেন,
বোরাক নিজ দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে প্রতিটি
কদম ফেলে। ইট-কংক্রিটের শহরে মানুষের দৃষ্টি
বেশিদূর যায় না ঠিকই, কিন্তু দৃষ্টির সামনে কোনো
অন্তরায় না থাকলে দিগন্ত দেখা যায়। আমরা পৃথিবী
থেকে আকাশও তো দেখতে পাই। সেটা প্রথম
আকাশ, সপ্তম আকাশের আগে কিছু না থাকলে
পৃথিবী থেকেই হয়তো সপ্তম আকাশও দেখা
সম্ভব হতো। এভাবে বিশ্লেষণ করলেই বুঝে
আসে বোরাক কত দ্রুতগতির বাহন ছিল।
বোরাকের গতির প্রকৃত জ্ঞান এখনও হয়তো
মানুষের অর্জনই হয়নি। উপরন্তু মসজিদে আকসা
থেকে ঊর্ধ্বলোকের ভ্রমণের জন্য মে’রাজ
(সিঁড়ি)ও নিয়ে আসা হয়েছিল। বোরাকে চড়ে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই সিঁড়িতে
উঠেছিলেন। ফলে বোরাকের গতি কত বেড়ে
গিয়েছিল তা মহান আল্লাহই ভালো জানেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হচ্ছে,
আলো অপেক্ষা আলোর তরঙ্গের গতি আরও
অধিক। বোরাক ও মিরাজে ব্যবহৃত সিঁড়ির সমন্বিত গতি
আলো ও আলোর তরঙ্গের গতি থেকেও
বেশি ছিল। কারণ মেরাজের জন্য এ যানটি
বিশেষভাবে পাঠানো হয়েছিল।
আর ‘রফরফ’ হলো বোরাকের চেয়েও
শক্তিশালী, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না।
‘রফরফ’-এর আভিধানিক অর্থ নরম তুলতুলে, সবুজ
বিছানা। সূর্যরশ্মির চেয়েও ক্ষিপ্র তার গতিবেগ।
নবীজীর মে’রাজ সশরীরে হয়েছিল বলেই
‘বোরাক’ ও ‘রফরফ’-এর মতো বাহন ব্যবহৃত
হয়েছিল।
‘বোরাক’ ও ‘রফরফ’ থিওসফি শাস্ত্রের ‘ইথালিক
দেহ’ মানসদেহ অপেক্ষা অধিকতর সূক্ষ্ম,
শক্তিশালী, যুক্তিময়, যা স্থান-কালের মাঝে কোন
সীমা-পরিসীমা ছাড়াই সসীমে মিশে যেতে
পারে। বোরাক ও রফরফ দুটিই বিদ্যুৎ জাতীয়
নূরের বাহন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের দেহ মোবারকও নূরের তৈরি। তাই
আলোর গতির চেয়েও অধিকতর দ্রুতগামী কুদরতি
বাহনে স্বল্প সময়ে মে’রাজ সংঘটিত হওয়া সম্ভব।
অতএব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
মে’রাজ সশরীরে হয়েছিল আজকের
বিজ্ঞানের মহাকাশ বিজয়ই তার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বিরুদ্ধবাদীরা বলেন, পৃথিবীর
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকায় শূন্য ভূ-ম-লের যে
কোনো স্থূল বস্তুকে সে নিচের দিকে
টেনে নামায়, তাই কোনো স্থূলদেহী মানুষের
দ্বারা মহাকাশ ভ্রমণ সম্ভব নয়। অর্থাৎ মাধ্যাকর্ষণ
শক্তির দোহাই দিয়ে তারা মে’রাজকে অস্বীকার
করেছেন।
বিরুদ্ধবাদীদের সে নীতি আধুনিক বিজ্ঞানীরা
প্রত্যাখ্যান করেছেন। শূন্যে অবস্থিত যে
কোনো স্থূল বস্তুকে পৃথিবী যেসব সময়
সমানভাবে আকর্ষণ করতে পারে না আজ তা
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
তাদের মতে, প্রত্যেক গ্রহেরই নিজস্ব আকর্ষণ
শক্তি রয়েছে। সূর্য ও পৃথিবী একে অন্যকে
টেনে রাখে। এ টানাটানির ফলে উভয়ের মাঝখানে
এমন একটা স্থান আছে, যেখানে কোনো
আকর্ষণ-বিকর্ষণ নেই। যার ফলে পৃথিবীর
কোনো বস্তু যদি সীমানা পার হয়ে সূর্যের
সীমানায় যেতে পারে, তা হলে তা আর
পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। গতিবিজ্ঞানের
মতে, পৃথিবী থেকে কোনো বস্তুকে প্রতি
সেকেন্ডে ৬.৯০ অর্থাৎ ৭ মাইল বেগে
ঊর্ধ্বলোকে ছুড়ে দেওয়া হলে তা আর
পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। আবার পৃথিবী
থেকে কোনো বস্তু যতই ওপরে উঠবে ততই
তার ওজন কমবে। যার ফলে অগ্রগতি ক্রমেই
সহজ হয়ে যাবে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা বলেন,
পৃথিবী থেকে কোনো বস্তুর দূরত্ব যতই
বাড়ে, ততই তার ওজন কমে, পৃথিবীর এক পাউন্ড
ওজনের কোনো বস্তু ১২ হাজার মাইল ঊর্ধ্বে
মাত্র এক আউন্স হয়ে যায়। এ থেকে বলা যায়,
পৃথিবী থেকে যে যত ঊর্ধ্বে গমন করবে,
ততই ততই ওজন কমবে।
বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, ঘণ্টায় ২৫
হাজার মাইল বেগে ঊর্ধ্বলোকে ছুটতে পারলে
পৃথিবী থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। একেই মুক্তিগতি
বলে। গতি বিজ্ঞানের এসব নতুন নতুন আবিষ্কারের
ফলে মানুষ চাঁদে যেতে পেরেছে এবং মঙ্গল
গ্রহে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। তাই মাধ্যকর্ষের
যুক্তি দিয়ে মেরাজের সত্য কেউ উড়িয়ে দিতে
পারে না।
জড়দেহের নভোলোকে গমন
বিরুদ্ধবাদীদের মতে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের দেহ জড়দেহ, তাই তা নভোলোকে
পৌঁছতে পারেন না। মূলত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম মানব ছিলেন বলে আমাদের মতো জড়
উপাদান বিশিষ্ট মানব ছিলেন না। আল্লাহর সৃষ্টিজগতে
দেখা যায়, বুনিয়াদ এক হলেও প্রতিটি বস্তুরই ভিন্ন
ভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন কয়লা থেকে
হীরক প্রস্তুত হয়। উভয়ই পদার্থ। কিন্তু তাই বলে
এ দুইটি পদার্থ এক নয়। তা ছাড়া সব পদার্থের
সবখানেই ধর্ম এক নয়। যেমন কাচ জড় পদার্থ, বাধা
দেওয়া তার ধর্ম। এ জন্য একটা কাঠ তার মধ্য দিয়ে
যেতে পারে না; কিন্তু আলোক রশ্মি তার বুকের
ভেতর ভেদ করে চলে যায়, বাধা দিতে পারে না।
আবার দেখা যায়, পানির কঠিন, তরল ও বায়বীয় তিন
অবস্থায় ভিন্ন-ভিন্ন তিনটি রূপ, একটি থেকে অন্যটি
ভিন্ন। এমন অনেক অস্বচ্ছ পদার্থ রয়েছে যার
ভেতরে সাধারণ আলো প্রবেশ করতে পারে না,
কিন্তু রঞ্জন রশ্মি বা এক্সরে তা ভেদ করে চলে
যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা যে পদার্থ দেখি
তা-ই যে তার একমাত্র সত্য রূপ, এ কথা নিশ্চিত করে
বলা যায় না।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
জড়দেহী মানুষ বেশে দেখা গেলেও
প্রকৃতপক্ষে তিনি জড়ধর্মী ছিলেন না। তিনি
জ্যোতি বা নূর দিয়ে সৃষ্ট। নূরের কোনো ওজন
নেই। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
দেহ নূরের তৈরি, তাই তার পক্ষে মহাকাশ ভ্রমণ
সম্ভব হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে গমন ও প্রত্যাবর্তন
সন্দেহবাদীদের ধারণা, এত অল্প সময়ের মধ্যে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাইতুল মোকাদ্দাস
হয়ে সপ্তম আসমানের ওপর সিদরাতুল মুন্তাহা
পেরিয়ে আল্লাহর সঙ্গে কথাবার্তা বলে আবার
মক্কায় ফিরে এলেন, তা কি করে সম্ভব!
মূলত আল্লাহর সময়ের সঙ্গে পৃথিবীর সময়ের
মিল হবে না। বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের ঘড়ি
অন্য গ্রহে অচল। এ বিষয়ে আধুনিক
বিজ্ঞানীদের মত, স্বভাবের প্রকৃত সময়
সম্পর্কে আজো আমরা জানি না। বিজ্ঞানীরা জানান,
আলোর গতির যত কাছে যাওয়া যায়, ততই সময় শ্লথ
হয়ে আসে। আলোর গতি অপেক্ষা বেশি
দ্রুতগতিতে গেলে সময় উল্টো দিকে বয়।
মেরাজের বেলায়ও তা হয়েছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহনের গতি আলোর গতি
অপেক্ষা বেশি ছিল; তাই মে’রাজ থেকে ফিরে
এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায় ‘ঞযবৎব রং
হড় ংঃধহফধৎফ ঃরসব, ধষষ ঃরসব রং ষড়পধষ’ স্ট্যান্ডার্ড
টাইম বলে কোনো টাইম নেই, সব টাইমই
লোকাল অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে প্রযোজ্য।
আল্লাহর কাছে স্থান, কাল, গতি ও সময়ের
কোনো বন্ধন নেই। তিনি যখন যা ইচ্ছা করেন
মুহূর্তের মধ্যেই তা ঘটিয়ে থাকেন। তার রহস্য
সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান অক্ষম।
রাসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বক্ষ বিদারণ
ও মহাশূন্যচারীর দৈহিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ
মে’রাজ বা ঊর্ধ্বলোক পরিভ্রমণের পূর্ব মুহূর্তে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্ষ
বিদারণের বিষয়টিও এখানে লক্ষণীয়। আমরা জানি,
সার্জিক্যাল অপারেশনের ক্ষেত্রে হৃৎপি-কে
বক্ষবিদারণের মাধ্যমে দেহের বাইরে এনে
প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার যথাস্থানে
প্রতিস্থাপন করা বর্তমান যুগে কঠিন কিছু নয়। তা ছাড়া
আজকাল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র কয়েক শ’ মাইল
দূরত্বের মধ্যে এবং প্রতি সেকেন্ডে মাত্র সাত
মাইলের মতো গতিবেগে পরিভ্রমণের জন্য
যেসব মহাশূন্যচারীকে কক্ষপথে পাঠানো
হচ্ছে, তাদেরও বহু সময়ব্যাপী বহুবিধ দৈহিক ও
মানসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এমনভাবে প্রস্তুত
করে নেয়া হয়, যাতে তারা অপার্থিব পরিবেশ-
পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের খাপ
খাইয়ে নিতে পারে। জড় জগতের এ সীমিত পরিসর
ও সামান্য গতিবেগে পরিভ্রমণকারীকেই যদি
এভাবে প্রস্তুত করে নিতে হয়, তাহলে স্থান-
কালের অতীত ঊর্ধ্বলোকে প্রতি
সেকেন্ডে এক লাখ ছিয়াশি হাজার মাইল বা এর
চেয়েও অধিক গতিবেগে পরিভ্রমণকারীর জন্য
সেরূপ পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন অবশ্যই আছে
এবং ওই ভ্রমণে যেসব অভিজ্ঞতা তিনি লাভ করবেন
সেগুলো পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করার লক্ষ্যে
বক্ষবিদারণের মাধ্যমে তাঁর কালবকে ‘বিশ্বাস ও
হিকমত’ অনুপ্রবিষ্ট করার মাধ্যমে শক্তিশালী করা
নিশ্চয়ই জরুরি ছিল।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বায়তুল
মোকাদ্দাস দর্শন ও বিবরণ প্রদান
মে’রাজ সম্পর্কিত যে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সম্পর্কে
খানিকটা আলোচনা করতে চাই তা হচ্ছে
প্রত্যাবর্তনের পর কাবা প্রাঙ্গণে অবস্থান করে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বায়তুল
মোকাদ্দাস দর্শন ও লোকজনের সামনে এর
বিবরণ প্রদান। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
যখন মেরাজের বিবরণ লোকজনের সামনে
প্রদান করছিলেন তখন মক্কার অবিশ্বাসী কুরাইশ
নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে আবু জাহল রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মিথ্যাবাদী ও পাগল
প্রতিপন্ন করার জন্য তাঁর কাছে চূড়ান্তভাবে বায়তুল
মোকাদ্দাসের যথাযথ বর্ণনা দাবি করে। ঠিক তখনই
আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস
সালাম স্বীয় পাখার ওপর বায়তুল মোকাদ্দাসসহ
রাসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সামনে
উপস্থিত হন অথবা তাঁর ও বায়তুল মোকাদ্দসের
মধ্যকার পর্দা উঠিয়ে নেয়া হয়। প্রিয়নবী হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দেখে
দেখে সবার সামনে তা উপস্থাপন করেন। আজকাল
টেলিভিশনের পর্দায় যে কোনো দূরের
বস্তুকে চাক্ষুষ দর্শনীয় করে তোলা
বিজ্ঞানের কল্যাণে খুব সহজ ব্যাপারে পরিণত
হয়েছে। কাজেই মহান আল্লাহও যদি এ ধরনের
কোনো পদ্ধতিতে দূরবর্তী বায়তুল
মোকাদ্দাসের প্রতিচ্ছবি হযরত জিব্রাইলের
আলাইহিস সালাম মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের সামনে উপস্থাপন করেন, তাতে
আশ্চর্যের কী আছে? বরং আধুনিক বিজ্ঞান
বিষয়টিকে সহজে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।
আল্লাহতাআলার নূরকে সচক্ষে দর্শন
সর্বশেষ একটি কথা বলা জরুরি, তা হচ্ছে, মহান
আল্লাহতাআলার নূরকে সচক্ষে তথা চর্মচক্ষে
দেখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। হযরত মুসা আলাইহিস
সালামের মতো একজন বিশিষ্ট পয়গম্বরও তা
পারেননি, বরং আল্লাহর নূর দর্শনে তিনি অজ্ঞান
হয়ে পড়েন। অথচ কী আশ্চর্য, মহানবীকে
স্বয়ং প্রভু তাঁর সান্নিধ্যে ডেকে পাঠালেন,
আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন
এবং তাঁর দিদার লাভে ধন্য হলেন। আল্লাহকে চাক্ষুষ
দর্শনের পরও তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আর এ
ক্ষমতা স্বয়ং আল্লাহপাকই তাঁকে দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে তিনিই সম্পূর্ণ সফল এবং এটাই তাঁর
শ্রেষ্ঠত্বর বড় প্রমাণ।
উপসংহার
প্রকৃত পক্ষে মানুষের কাছে যা অসাধারণ বা অসাধ্য
আল্লাহর কুদরতের কাছে তা একেবারেই সাধারণ,
সম্ভব। মিরাজের গোটা ঘটনাটিই মানুষের কাছে
বিস্ময়কর হলেও বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের
মাধ্যমে তার যথাযত প্রমাণিত হয়েছে। কিয়ামত অবধি
তা আরও স্পষ্ট হতে থাকবে। মে’রাজ
বিজ্ঞানীদের চিন্তা ও গবেষণার দিগন্ত উন্মোচন
করেছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নতি মেরাজের
সত্যতাকেই বারবার প্রমাণ করেছে। ভবিষ্যতে
আরও করতে থাকবে। মে’রাজকে কেন্দ্র
করে গবেষণা অব্যাহত রাখলে বিজ্ঞানীরা আরও
বহুদূর এগিয়ে যাবেন নিঃসন্দেহে। তাতে
ঈমানদারদের ঈমান-বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় হবে।
প্রত্যেক নবী-রাসূলের জীবনেই কিছু না কিছু
মুজিজা বা অলৌকিক ঘটনা থাকে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিজাসমূহের
মধ্যে মেরাজ অন্যতম। এটি এমনই এক ঘটনা, যার
সাথে রয়েছে ঈমানের গভীরতম সম্পর্ক।
কাজেই মেরাজের বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁজতে যাওয়াও
বলা বাহুল্য, যুক্তি কোনো দিনই ঈমানের ভিত্তি নয়,
ঈমানই হচ্ছে যুক্তির ভিত্তি। বরং যুক্তির মত যেখানে
শেষ ঈমানের যাত্রা সেখান থেকেই শুরু। তার
পরও কোনো কোনো মহৎ ব্যক্তি এ ব্যাপারে
যুক্তির অবতারণা করে থাকেন, সেটা শুধু ঈমানের
স্বাদ অনুভব করার জন্যই। বিজ্ঞানের এ চরম
উৎকর্ষের যুগে আমরাও তাই মেরাজকে
বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাই

মিচিও কাকুর প্রশ্ন; ধরাশায়ী স্টিফেন হকিং:::



মুহাম্মাদ আইনুন ইবনে গোলাম রব্বানী

মিচিও কাকুর প্রশ্ন; ধরাশায়ী স্টিফেন হকিং:::
-----------------------------------------------------------------------------------
বিজ্ঞানমনস্ক অবিশ্বাসীদের কাউকে যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন, ‘ভাই, স্টিফেন হকিং-কে চিনেন?’

প্রশ্ন শুনেই তিনি চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলবেন, ‘আরে, মিঞা, চিনি না মানে…। উনারে না চিনলে তো আপনার জীবনের ষোল আনাই মিছে’।

এরপর, যদি আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘ভাই, মিচিও কাকু-কে চিনেন?’

তিনি একটা শুকনা কাশি দিয়ে বলবেন, ‘কোন গ্রামের ‘মিস্ত্রী চাচা’র কথা বলছেন?’

আসলে, বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিরা স্টিফেন হকিং-কে খুব ভালোভাবে চিনলেও মিচিও কাকু-র নামও জানেন না অনেকেই। অথচ, দুই জনই বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানে অবদানের ক্ষেত্রে মিচিও কাকু-র অবদান স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে অনেক বেশি। মিচিও কাকু হলেন ‘স্ট্রিং তত্ত্বের’ কো-ফাউন্ডার, যা অতীতের বিগ ব্যাং তত্ত্বকে পিছনে ফেলে বর্তমান বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে।

অবিশ্বাসী বাঙালিরা ব্যতীত, বিশ্বের অন্য মানুষদের কাছে, স্টিফেন হকিং এর চেয়ে মিচিও কাকু অনেক বেশি জনপ্রিয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় সাধারণত কোনো বিজ্ঞানের বই পাওয়া যায় না। কিন্তু সেখানেও মিচিও কাকু-র বিজ্ঞান বিষয়ক তিনটি বই বেস্টসেলার হয়েছে। অথচ, সেই তালিকায় স্টিফেন হকিং-এর নাম-গন্ধও নেই। মিচিও কাকু বয়সে স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে ৫ বছরের ছোট হলেও জ্ঞানে স্টিফেন হকিং-এর চেয়ে ৫ ধাপ বেশি এগিয়ে আছেন।

উপরে, স্টিফেন হকিং-এর সাথে তুলনা করার জন্যে আমি মিচিও কাকু’র নামটি উল্লেখ করেছি। কারণ, দুই জনের গবেষণা ও কাজের ক্ষেত্র প্রায় এক হলেও তাদের বিশ্বাস ভিন্ন। কাকু আস্তিক, কিন্তু হকিং নাস্তিক।

অবিশ্বাসী বাঙালিরা প্রচার করেন যে, বিজ্ঞানী হতে হলে হকিং-এর মত নাস্তিক হতে হয়। কিন্তু বিজ্ঞানে চোখ মেললেই আমরা দেখি, কুখ্যাত নাস্তিকেরা আস্তিক বিজ্ঞানীদের ছাত্র হবার যোগ্যতাও রাখেন না। অন্য একটি লেখায় বিশ্বকুখ্যাত নাস্তিক রিচার্ড ডকিন্সের অজ্ঞতার বিষয়ে বলেছিলাম।

এ লেখায় বিজ্ঞানী কাকু ও নাস্তিক হকিং-এর চিন্তার পার্থক্যটা বোঝার মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব – বিজ্ঞানে আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ্বটা আসলে কি?

বিজ্ঞানী কাকুর জন্ম অ্যামেরিকায় হলেও তার বাবা-মায়ের জন্ম জাপানে। কাকুর পরিবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। কাকু পড়াশুনা করেছেন অ্যামেরিকার খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে। সুতরাং, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে কাকুর ধর্ম বিশ্বাস। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কাকু অইনস্টাইনের অনুসারী। তিনি এই তিনটি বিশ্বাসের সমন্বয়ে আবিষ্কার করেছেন স্ট্রিং ফিল্ড থিওরি। [অন্য একদিন এই তত্ত্বটি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলব, ইনশাল্লাহ]

অন্যদিকে, নাস্তিক হকিং-এর জন্ম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। তার তার পূর্বপুরুষ সবার জন্মই ইউরোপে।

আপনি হয়তো ভাবছেন, ওদের বাপ-দাদার জন্ম জানা আমাদের প্রয়োজন কি? আসলে জানার প্রয়োজন আছে। ব্রিটিশ হকিং-কে কেন নাস্তিক হতে হলো? কেন বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিরা ব্রিটিশ হকিং-কে পূজা করে? কেন ইউরোপের দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দ্বন্দ্ব হয়েছিল? কেন ইউরোপের সাথে আমাদের দাশ-মনিব সম্পর্ক? –এসব জানলে হকিং-এর সাথে আমাদের দেশীয় অবিশ্বাসী বিজ্ঞানমনস্কদের চিন্তার মিল কি, তা বুঝতে পারবো।

অবিশ্বাসী বাঙালিদের জ্ঞানের দৌড় স্টিফেন হকিং পর্যন্ত। তাই, এখানে আমি স্টিফেন হকিং-এর দু’একটি ভ্রান্ত চিন্তার উদাহরণ দিচ্ছি। এবং হকিং-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিজ্ঞানী মিচিও কাকু’কে হাজির করছি।

১ – ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক।

হকিং তার ‘The Grand Design’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে বলেন, ‘দর্শন মরে গেছে’। অন্যস্থানে বলেন, ‘ধর্ম অকার্যকর, এখন কেবল বিজ্ঞানের যুগ’। তার মতে, সত্য মানেই বিজ্ঞান। ধর্ম ও দর্শনের যাবতীয় সমস্যা বিজ্ঞান দিয়ে সমাধান করা সম্ভব। তাই, ধর্ম ও দর্শন এখন অপ্রয়োজনীয়।

কিন্তু বিজ্ঞানী মিচিও কাকু এই মতের সাথে একমত নন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রচুর ধর্ম ও দর্শনের বই পড়েছি’। সত্যকে কোনো ভাবেই কেবল বিজ্ঞানের খাঁচার মধ্যে আবদ্ধ করা যায় না। এবং আইনস্টাইন ধর্ম ও দর্শনের গুরুত্ব নিয়ে প্রচুর লিখেছিলেন।

পাঠ্যবইয়ে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা হলো – “বিশ্বের যাবতীয় ভৌত বিষয়াবলী পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, যাচাই, নিয়মসিদ্ধ, বিধিবদ্ধ ও গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে যে জ্ঞান লাভ করা হয়, তাকে বিজ্ঞান বলে”।

কাকু বিজ্ঞানের এই সংজ্ঞাটিকে ভুল প্রমাণ করেন। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান প্রথমে স্বপ্ন দেখে, তারপর তা বাস্তবায়ন করার জন্যে চেষ্টা করে এবং সূত্র আবিষ্কার করে। আইনস্টাইন স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি একটি সূত্র তৈরি করবেন, যা দিয়ে স্রষ্টার উদ্দেশ্য বোঝা যায়। কিন্তু তিনি তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। অবশেষে আমরা এসে ‘স্ট্রিং তত্ত্ব’টি আবিষ্কার করেছি, যা দিয়ে স্রষ্টার কার্যক্রম সহজে বোঝা যায়’।

নাস্তিক হকিং বিজ্ঞানকে ‘ল্যাবরেটরি’ নামক একটি খাঁচায় বন্ধী করে রাখতে চাইলেও বিজ্ঞানী কাকু তার বিপরীত। আইনস্টাইনের মত কাকু’ও মনে করেন – ‘ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি ও অর্থনীতির সাহায্যে বিজ্ঞানকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা উচিত’। ধর্ম ও দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক বুঝানো জন্যে কাকু তার ‘Physics of the future’ বইয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। সেখান থেকে একটি উদাহরণ হুবহু অনুবাদ করে তুলে দিচ্ছি।

“প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জাপান বিশ্বের প্রথম সারির একটি দেশ। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যে সঙ্কট তৈরি হবে, রোবটের সাহায্যে সেই সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্যে জাপান প্রচুর টাকা খরচ করছে। জাপান বিশ্বের প্রধান রোবটের জাতি হওয়াটা আশ্চর্যের কিছু নেই। এর প্রথম কারণ হলো জাপানের শিন্তো ধর্ম। এই ধর্ম মতে, জড়বস্তুর মধ্যেও এক ধরণের আত্মা রয়েছে; এমন কি মেশিনেরও আত্মা আছে। [ইসলাম ধর্ম মতেও, জড়বস্তুর চেতনা আছে, এবং তারা আল্লাহর ইবাদাত করে। এ নিয়ে অন্যদিন লিখব, ইনশাল্লাহ।] পশ্চিমা বিশ্বের শিশুরা সিনেমায় দেখে যে, রোবটেরা মানুষকে হত্যা করার জন্যে দৌড়াচ্ছে। তাই শিশুরা যখন রোবট দেখে তখন তাকে সন্ত্রাসী মনে করে ভয়ে চিৎকার শুরু করে। কিন্তু জাপানি শিশুরা মনে করে, রোবট তাদের মতই একটি আত্মা, রোবটেরাও খেলাধুলা করে এবং তারাও শান্তিপ্রিয়। জাপানের বড় বড় দোকানগুলোতে আপনি যখনি প্রবেশ করবেন, সচরাচর দেখতে পাবেন যে, রোবট আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। বিশ্বে ব্যবসায়িক যত রোবট আছে, তার ৩০ শতাংশ আছে জাপানে। জাপান রোবটকে ধ্বংসের নয়, বরং সাহায্যের প্রতীক মনে করে।” [সূত্র: মিচিও কাকু, ভবিষ্যতের পদার্থবিজ্ঞান, পৃষ্ঠা – ৪৮]

বিজ্ঞানী মিচিও কাকু তার এ বইটিতে অনেক স্থানেই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, ধর্ম ও দর্শন বিজ্ঞানের শত্রু নয়, বরং বন্ধু। ধর্ম ও দর্শনের সাহায্যে বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটে, অবনতি নয়।

মিচিও কাকুর এই কথাগুলো আসলে আইনস্টাইনের কথার-ই প্রতিধ্বনি।
📚📚১৯৪১ সালে আইনস্টাইন তার “Science, philosophy and religion” নামক সম্মেলনের সর্বশেষ বাক্যে বলেছিলেন – ‘বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম পঙ্গু, এবং ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অন্ধ”। সুতরাং, নাস্তিক হকিং যে বলেছিলেন, ‘ধর্ম ও দর্শনের আর কোনো প্রয়োজন নেই’; তা আসলে একটি ভ্রান্ত ও অবৈজ্ঞানিক কথা ছাড়া আর কিছুই নয়।

২ – আল্লাহ সম্পর্কে নাস্তিক হকিং-এর ভ্রান্তি এবং বিজ্ঞানী মিচিও কাকু’র জবাব।

বিজ্ঞানী কাকু তার অনেক বক্তব্যে একটি ঘটনাটি তুলে ধরেন।
⁉️⁉️⁉️একবার, নাস্তিক হকিং বিজ্ঞানী কাকু’ কে বললেন, ‘বিশ্বজগতে স্রষ্টার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, বিশ্বজগত চলে পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মে’। বিজ্ঞানী কাকু তখন নাস্তিক হকিং-কে বললেন, ‘আচ্ছা, বিজ্ঞানের সূত্র সৃষ্টি করলো কে? আমরা বিজ্ঞানীরা তো এ সূত্রগুলো তৈরি করি নাই, আমরা কেবল এ সূত্রগুলো আবিষ্কার করেছি। তাহলে, সূত্রগুলো আসলো কোত্থেকে? এই প্রশ্নের উত্তরে হকিং বলেন, ‘আমি তা জানি না’।⁉️⁉️⁉️

‘আম গাছে আম ধরে’ – এটা যেমন একটি সূত্র, আবার ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে’ – এটাও একটি সূত্র। দুটি সূত্র একই মানের। ‘আম গাছে আম ধরে’ – এ সূত্রটি পৃথিবীর সবাই জানে। তাই, এ কথা কেউ বলে না – ‘আম গাছ আল্লাহর কথা শুনে না, বরং বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী কাজ করে’।

মানুষ যখনি বিশ্বজগত সম্পর্কে নতুন কোনো সূত্র আবিষ্কার করে, তখনি কিছু কিছু বিজ্ঞানমনস্ক নাস্তিক বলতে শুরু করেন, ‘আল্লাহর প্রয়োজন নেই, কারণ, বিশ্বজগত বিজ্ঞানের এ সূত্র অনুযায়ী চলে।’ বিজ্ঞানী কাকু মনে করেন, নাস্তিকদের এই দাবীটা এক ধরণের মূর্খতা।

২০১৪ সালে, Starmus Festival-এ নাস্তিক হকিং বলেন যে, ‘স্রষ্টা যা জানে, আমরাও বিজ্ঞানের মাধ্যমে তা জানতে পারি। কোনো কিছুই বিজ্ঞানের অজানা নয়’। কিন্তু বিজ্ঞানী কাকু বলেন যে, বিজ্ঞান শত চেষ্টা করেও বিশ্বজগতের শতকরা ৫ ভাগও জানতে পারে না। বিশ্বজগতের বাকি ৯৫ ভাগেরও বেশি কিছু বিজ্ঞানের জানার বাইরে, এটা এক অদৃশ্য রহস্যের জগত।

নাসা বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ ও গণনা অনুযায়ী মহাবিশ্বের মোট পদার্থ ও শক্তির ৭৩% ই হলো অদৃশ্য শক্তি বা ডার্ক এনার্জি। ২৩% হলো অদৃশ্য বস্তু বা ডার্ক ম্যাটার। ৩.৬% হলো মুক্ত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম, যা মহাজাগতিক ধূলিকণা। এবং মাত্র ০.৪% হলো পদার্থ, যা দিয়ে উপগ্রহ,গ্রহ, নক্ষত্র,ধূমকেতু ইত্যাদি গঠিত। সুতরাং বিজ্ঞানীদের মতে, হকিং-এর এই চিন্তা শতভাগ-ই ভুল। আমরা বিশ্বজগত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। [এ বিষয়ে আগে একটি বিস্তারিত লেখা লেখেছি।]

হকিং নিজেকে সবসময় নাস্তিক হিসাবে পরিচয় দেন। কিন্তু কাকু সবসময় বলেন, আমি আইনস্টাইনের আল্লাহ’তে বিশ্বাস করি। আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। ইহুদীরা যেহেতু তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ পরিবর্তন করে ফেলেছেন, তাই ইহুদী ধর্মে আইনস্টাইনের তেমন বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু আইনস্টাইন সবসময় বলতেন আমি বৌদ্ধ ও স্পিনোজার স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। শাইখ হোসাইন য়েই সহ অনেক মুসলিম স্কলার বৌদ্ধকে নবী মনে করেন। কারণ, বৌদ্ধ একত্ববাদের প্রচার করেছিলেন। অন্যদিকে, স্পিনোজা ইহুদী ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে মুসলিম দার্শনিকদের দ্বারা প্রভাবিত হন। স্পিনোজার দু’জন শিক্ষক মাইমোনাইড্‌স এবং এবিসেব্রন ছিলেন মুসলিম দার্শনিকদের ভক্ত। এ কারণে দেখা যায়, বিজ্ঞানী কাকু বৌদ্ধ ধর্মের কঠিন ধর্মীয় রীতিনীতি এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানব-ঈশ্বরের ধারণা বাদ দিয়ে অনেকটা একত্ববাদী স্রষ্টায় বিশ্বাসী। তিনি বলেন, যে স্রষ্টা বিশ্বজগতকে সুন্দর নিয়মে সাজিয়েছেন, আমি সেই স্রষ্টায় বিশ্বাসী।

কাকু বলেন, একজন মানুষের ধর্ম বিশ্বাস বিজ্ঞান জানা বা না-জানার উপর নির্ভর করে না। একজন বিজ্ঞানী একজন সাধারণ মানুষের মতই আস্তিক ও নাস্তিক উভয়টি হতে পারে। কেউ বিজ্ঞান বুঝে বলে সে নাস্তিক হয় ব্যাপারটা এমন না।

কাকু তার ‘The Future of the Mind’ বইয়ে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক উদাহরণ দেন। একটি উদাহরণ নিচে তুলে ধরলাম।

একবার, বিজ্ঞানী মাইকেল পের্সিঙের তার অফিসে বিশ্বকুখ্যাত নাস্তিক রিচার্ড ডকিন্স-কে ডেকে আনলেন। তারা ডকিন্সকে বললেন, ‘গড হেলমেট’ দিয়ে আমরা আপনার মস্তিষ্কে কিছু ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের সিগন্যাল পাঠাব। এবং আমরা দেখার চেষ্টা করব, আপনাকে নাস্তিক থেকে আস্তিক বানানো যায় কিনা।

এরপর, একটা বদ্ধ ঘরে ডকিন্সকে প্রবেশ করিয়ে ‘গড হেলমেটের’ সাহায্যে ৪০ মিনিট তার মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় অনুভূতির সিগন্যাল পাঠানো হলো। কিন্তু ডকিন্সের মস্তিষ্কে কোনো ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হয়নি, এবং তার নাস্তিকতারও পরিবর্তন ঘটেনি।

বিজ্ঞানী মাইকেল পের্সিঙের নাস্তিক ডকিন্সের মাথা পরীক্ষা করার পর বলেছিলেন, ‘ডকিন্সের মাথায় সমস্যা আছে। তাই, বিজ্ঞানের কারণে নয়, বরং তার মাথায় সমস্যা থাকার কারণে সে স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না’। আমি মনে করি, ডকিন্সের মাথার চেয়েও তার হার্টে সমস্যা বেশি।

প্রাসঙ্গিক আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি। নিউরো বিজ্ঞানী মারিও বেয়াওরিগার্ড মানুষের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেন। তার গবেষণাটির নাম – “The Spiritual Brain: A Neuroscientist’s Case for the Existence of the Soul”। পরবর্তীতে এই গবেষণাটি বিশ্বের সমস্ত নিউরো বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বেয়াওরিগার্ড বিভিন্নভাবে প্রমাণ করে দেখান যে, মানুষের মন তার ব্রেইনের উপর নির্ভরশীল নয়। বরং, মানুষের মন-ই তার ব্রেইন কাঠামোকে পরিবর্তন করে। মানুষের বিশ্বাস গড়ে উঠে তার চতুঃপার্শ্বের পরিবেশের উপর নির্ভর করে। বৈজ্ঞানিক যুক্তি-অযুক্তির কারণে তার বিশ্বাস পরিবর্তন হয় না। বিজ্ঞানের কারণে আস্তিক আরো বড় আস্তিক হয়, এবং নাস্তিক আরো বড় নাস্তিক হয়। বিজ্ঞান এখানে একটি প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। পদার্থ বিজ্ঞানী মিচিও কাকু তার ‘The Future of the Mind’ বইতে নিউরো বিজ্ঞানী বেয়াওরিগার্ড-এর এই মতটি সমর্থন করেন।

অর্থাৎ, বিজ্ঞানের কারণে নয়, বরং পারিবারিক ও সামাজিক কারণে মানুষ আস্তিক ও নাস্তিক হয়ে থাকে। পারিবারিক ও সামাজিক কারণেই হকিং নাস্তিক হয়েছিল। অন্যদিকে, বিজ্ঞানী কাকু’র মত শত শত বিজ্ঞানী আস্তিক হবারও কারণও হলো তার পরিবার ও সমাজ।

সুতরাং, বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিদের নাস্তিক হবার কারণ বিজ্ঞান নয়, বরং পরিবার ও সমাজ।

নাস্তিক হকিং ও তার বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালি দোসরগণ পরকালকে অস্বীকার করেন। অথচ, বিজ্ঞানী কাকু বিশ্বাস করেন জীন, ফেরেশতা, বেহেশত, দোজখ ও আখেরাত সহ সবকিছুর অস্তিত্বকে। তিনি তার বিপ্লবী ‘স্ট্রিং থিওরির’ আলোকে এসবের চমৎকার ব্যাখ্যা হাজির করেন। তিনি বলেন, জীন-ফেরেশতারা আমাদের চেয়ে হাজার-বিলিয়ন বছর এগিয়ে আছে। তারা আমাদের চেয়ে অনেক স্মার্ট। [এই স্ট্যাটাসটা একটু বড় হয়ে যাওয়ায় আজ আর সেসব লিখছি না। অন্যদিন, ইনশাল্লাহ।]

একটু বলে শেষ করছি,

বিজ্ঞানী মিচিও কাকু’র কোনো ভুল নেই, এমনটা বলবো না। তবে নাস্তিকদের চেয়ে তিনি অনেক বেশি সৎ, দক্ষ, জ্ঞানী ও বিজ্ঞানী। বাঙালি-মূর্খ-বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিরা মিচিও কাকুর বই অনুবাদ করে নিজের নামে চালিয়ে দিলেও কাকুর নাম উল্লেখ করতে লজ্জা বোধ করেন। কারণ, বিজ্ঞানী কাকু’র নাম বললে তো মানুষ জেনে যাবে যে, নাস্তিকদের চেয়ে আস্তিক বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি জ্ঞানী।

আমাদের বিজ্ঞানমনস্কদের দৌড় সর্বোচ্চ নাস্তিক হকিং পর্যন্ত। এর বেশি তারা যেতে পারেন না। তাই তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন –

مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ ٱلَّذِى ٱسْتَوْقَدَ نَارًۭا فَلَمَّآ أَضَآءَتْ مَا حَوْلَهُۥ ذَهَبَ ٱللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِى ظُلُمَـٰتٍۢ لَّا يُبْصِرُونَ

“তাদের উদাহরণ সে ব্যক্তির মত, যে একটু আগুন জ্বালালো, ফলে তার চতুর্দিক সামান্য আলোকিত হলো। ঠিক এমন সময় আল্লাহ তাদের সেই আলোটি নিয়ে নিলেন, এবং তাদেরকে অন্ধকারে ফেলে দিলেন। এখন তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না”। [সূরা ২/বাকারা – ১৭]

অসাধারণ আল্লাহ তায়ালার এই উপমা।

অবিশ্বাসী বাঙালি বিজ্ঞানমনস্কদের কথা একটু ভাবুন। তারা ‘জ্বালো… জ্বালো… আগুন জ্বালো…’ বলে সামান্য কিছু আলোকিত হয় ঠিক, কিন্তু তখনি আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে অন্ধকারে ফেলে দেন। তারা ঘোর অন্ধকারে দিক-বিদিক ছুটাছুটি করে। এবং তাদের দৌড় ততটুকুই সীমাবব্ধ থাকে।

ভাগ্য তাকদির এবং ইউটিউব কেন ব্যাবহার করে মুসলিমরা ?


ভাগ্য তাকদির এবং ইউটিউব কেন ব্যাবহার করে মুসলিমরা ?

মানুষের ভাগ্য পূর্ব নির্ধারিত,লিখিত।মানুষ তাই করে যা তার ভাগ্যে লেখা আছে।তাহলে কেউ যখন পাপ কাজ করে, ধর্ষণ করে,চুরি-ডাকাতি করে,মদ খায়, তখন সেগুলো মূলত সে করেনা।আল্লাহ তার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন বলে, আল্লাহ ইচ্ছে করেন বলেই তো করে। নইলে করতে পারতোনা।আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটি পাতাও তো নড়েনা। তাহলে যারা পাপ করে তাও তো আল্লাহর হুকুমেই।তিনি এমনটি লিখে রেখেছেন বলেই তো করে।এরজন্যে শাস্তি দেওয়া হবে কেনো? ' উপরের এই প্রশ্নটি 'তাকদির' তথা 'ভাগ্য' সম্পর্কিত। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। মুক্তমনা টাইটেলধারী ইসলাম বিদ্বষীগন একজন তরুন মুসলিম যুবকের ব্রেইনওয়াশ করতে যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রপাগান্ডা চালায়, তার মধ্যে এই প্রশ্নটিও অন্যতম।তারা বোঝাতে চায়, আমরা যা করি (পাপ/পূণ্য) তার সবই আল্লাহ আমাদের জন্মের অনেক আগেই নির্ধারন করে রেখেছেন। আল্লাহ আসিফ মহিউদ্দীনের ভাগ্য লেখার সময় লিখেছেন যে সে নাস্তিক হবে।ইসলাম বিরোধী হবে।তাই সে নাস্তিক হয়েছে।ইসলাম বিদ্বেষী হয়েছে।এখানে মূলত দোষটি কার? আসিফ মহিউদ্দীনের? নাকি আল্লাহর? (নাউজুবিল্লাহ)। এমনটি বলে তারা মূলত ইসলাম ধর্ম আর কোরআনকে অযৌক্তিক প্রমানের চেষ্টা করে। আর, আমার মতো যেসকল যুবকের ধর্মীয় জ্ঞান খুব অল্প, তারা ইসলাম বিদ্বেষীদের এসব কথা শুনে ভাবে,- 'আরে! সত্যিই তো! কথায় তো লজিক আছে।আল্লাহ তো ভাগ্য আগেই লিখে রেখেছেন যা কোরআনে আছে।আর তাই-ই তো আমরা করছি।তাহলে এখানে মূল ডিরেক্টর তো আল্লাহ।তাহলে কেউ ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার,কেউ খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার হবে কেনো?' এইসমস্ত কথিত মুক্তমনাদের কথার ফাঁকে ফাঁকে ব্যবহৃত কিছু দূর্বোধ্য, ভারি ইংরেজি শব্দ শুনে আমরা ভাবি,- 'আহা! ভাঈয়া কত্ত জ্ঞানী! কতোগুলো কিতাবই না পড়েছে! নাহলে এমন যুক্তিনির্ভর কথাগুলো ব্রেইনে আসে ক্যামনে? এরপর আমরা সন্দেহে পড়ে যায়।সেই সন্দেহ একসময় সংশয়ে রূপ নেয়।আর হয়ে পড়ি ঈমানচ্যুত। ' তাকদির সম্পর্কিত এই বিষয়টি নিয়ে প্রথমদিকে আমারও কিছু কনফিউশান ছিল।কারন ব্যাপারটা ঠিক বুঝতাম না।মাথায় খালি সেসবই মাথায় আসতো যা কথিত মুক্তমনা বুদ্ধিজীবিকূল বোঝায়।আলহামদুলিল্লাহ! পরে বুঝতে পারি বিষয়টি। বিষয়টি বোঝার আগে আপনাকে দুটি বিষয়ে ক্লিয়ার হতে হবে। ১) তাকদিরের কিছু বিষয় এমন নির্ধারিত যে যার উপর আমাদের কারো হাত নেই।যেমন- জন্ম,মৃত্যু এসব।এসব ব্যাপারে আপনাকে পরকালে জিজ্ঞাসাও করা হবেনা। ২) কিছু বিষয় আছে যার উপর আমাদের হাত আছে।যেমন- আমরা যা করি।ভাল কাজ করি না খারাপ কাজ করি, এসবে।অর্থাৎ, আপনি এক্ষেত্রে স্বাধীন।আপনি আপনার পছন্দ মত পথটি বেছে নিতে পারবেন।সে সুযোগ আপনার কাছে রয়েছে। ঘাপলাটা মূলত দুই নাম্বারে। ওরা বলে, আমাদের পছন্দ মত পথ বেছে নেবার সুযোগ কই? আল্লাহ তো সবই আগে থেকে লিখে রেখেছে। আল্লাহ তা'লা আগে থেকেই লিখে রেখেছে বলেই যে কেউ নাস্তিক হচ্ছে,কেউ আস্তিক হচ্ছে,কেউ ধার্মিক হচ্ছে,কেউ অধার্মিক হচ্ছে ব্যাপারটি কিন্ত এমন নয়। ব্যাপারটি হচ্ছে এই- 'আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ।তিনি ভূত-ভবিষ্যত সব জানেন।তিনি জানেন আসিফ মহিউদ্দীন কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে বিফ বিরিয়ানি গিলতে গিলতে মুসলমানদের কোরবানিকে বর্বর পশুহত্যা বলে মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করবে।তাই তিনি সেটা আগেই লিখে রেখেছেন আসিফের তাকদিরে। ব্যাপারটি এমন না যে, আল্লাহ লিখে রেখেছেন বলেই আসিফ লিখছে। ব্যাপারটি এমন, আল্লাহ তার ইলমের দ্বারা জানেন যে আসিফ কাল সকালে সেটাই করবে, তাই তিনি সেটা লিখে রেখেছেন। একটি উদাহরন দেওয়া যাক।ধরুন আপনি জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেনীর ম্যাথের ক্লাশ নিয়েছেন।দীর্ঘ এগারো মাস টানা ক্লাশ নেওয়ার পর নবম শ্রেনীর প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে আপনার একটি অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে।ধরুন, ডিসেম্বরে তাদের আপনি ম্যাথের একটি ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা নিবেন।পরীক্ষার প্রশ্নও আপনি তৈরি করেছেন।এখন, প্রশ্নও আপনার তৈরি, ছাত্র-ছাত্রীগুলোও আপনার। তাদের কার কেমন মেধা,কে কিরকম অঙ্ক পারে, আপনার তৈরি করা প্রশ্নে কে কে পাশ করতে পারবে,আর কে কে ফেল করবে, তার মোটামুটি একটি ক্লিয়ার আইডিয়া আপনার মধ্যে থাকবে। ধরুন, পরীক্ষাটি নেওয়ার আগে আপনি একটি কাগজের একপাশে যারা পাশ করবে তাদের নাম, এবং অন্যপাশে যারা ফেল করবে তাদের নাম লিখে রেখেছেন। পরীক্ষা নেওয়ার পরে দেখা গেলো, আপনি যারা পাশ করবে বলে লিখে রেখেছেন তারাই পাশ করেছে, আর যারা ফেল করবে বলে লিখে রেখেছেন,তারাই ফেল করেছে। তার মানে কিন্ত এই না যে, পরীক্ষার আগে আপনি যারা পাশ করবে বলে লিখে রেখেছেন বলে তারা পাশ করেছে, যারা ফেল করবে বলে লিখে রেখেছেন বলেই তারা ফেল করেছে।ব্যাপারটি হলো এই- আপনি জানতেন কারা কারা পাশ করবে, কারা কারা ফেল করবে। তাকদিরের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি সেইম।আল্লাহ তা'লা জানেন আমরা কে কি করবো।তাই তিনি তা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এমন না যে,তিনি আমাদের উপর তা আগে থেকে লিখেই চাপিয়ে দিচ্ছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, আল্লাহ যদি সর্বজ্ঞই হবে,তাহলে এসব পরীক্ষার কি দরকার? উত্তর হলো এই- 'কিয়ামতের মাঠে কেউ যেন আল্লাহর দিকে পক্ষপাতের প্রশ্ন তুলতে না পারে।কেউ যেন বলতে না পারে আল্লাহ তার পছন্দের দলকে জান্নাতে আর অপছন্দের দলকে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন।কেউ যেন বলতে না পারে, 'দুনিয়ায় আমাদের মাঝে পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে আজকে অবশ্যই আমরা পাশ করে জাহান্নামের বদলে জান্নাতে যেতে পারতাম।

============================================
মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তাঁর আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি মুসলমানদের জন্য ঠিক হচ্ছে ?
নাস্তিক ভাইয়া ও আপুরা প্রায়ই একটা প্রশ্ন করেন যে মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তাঁর আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে ? আচ্ছা নাস্তিক আপুরা যে প্রতিদিন সকালে রিকশায় চড়ে ক্যাম্পাসে যান সেই রিকশাওয়ালা তো মুসলমান তাইলে সেই রিকশায় চড়া কি ঐ নাস্তিক আপুর জন্য ঠিক হচ্ছে ? এখন হয়তো ঐ নাস্তিক আপু আমাকে বলবেন যে - '' আমি তো আমার বাপের টাকা খরচ করেই রিকশায় চড়ছি কিন্তু তুমি তো FREE তে ফেইসবুক ব্যবহার করছ ? '' আপাত দৃষ্টিতে ফেইসবুক ব্যবহার করা FREE হলেও মার্ক জুকারবার্গ কিন্তু Google Adsense এর মাধ্যমেই আমাদের কে উনার ফেইসবুক ব্যবহার করতে উত্সাহ দেন। আর আমরা ফেইসবুক ব্যবহার করি বলেই মার্ক জুকারবার্গ ফেইসবুক থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে বান্ধবীদের সাথে ছবি তুলতে পারেন। আর ফেইসবুকের সব কিছুই কিন্তু FREE না। সামান্য কিছু ডলারের অভাবে বর্তমানে অনেক বড় বড় পেইজের এডমিনরা এখন Like খরায় ভুগছেন। Gmail ব্যবহার করাও কিন্তু Free কিন্তু আপনি পিসি থেকে Gmail এ ঢুকলে Google ও আপনাকে অনেক বিজ্ঞাপন দেখাবে। ইন্টারনেটের অনেক কিছু আপাতদৃষ্টিতে Free মনে হলেও এটা দেখিয়ে ঐসব কোম্পানী তাদের user বাড়িয়ে তারপর ঐ user দের কে ভিত্তি করে তারা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার আয় করে। আচ্ছা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন Programmer আর আমরা জানি কম্পিউটার Program করতে এলগরিদমের সাহায্য নিতে হয় ? আর এলগরিদম বীজগণিতের জনক তো মুসলমানরা। মুসলিম বিজ্ঞানী আল খাওরেজমি তো বীজগণিত ও এলগরিদমের জনক। এলগরিদম শব্দটি আল খাওরেজমি থেকেই এসেছে। আর আল খাওরেজমির লেখা ''আল জেবর ওয়াল মুকাবিলা '' বই থেকেই আল জেবরা শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। তাহলে মধ্যযুগের একজন মুসলিম গণিতবিদের আবিস্কৃত তত্ত্বের সাহায্যে ফেইসবুকের Programming চালানো কি মার্ক জুকারবার্গের জন্য ঠিক হচ্ছে ? আসলে এইখানে আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে যে জ্ঞান বিজ্ঞান বস্তু উপকরন এইগুলি হচ্ছে মানব সভ্যতার অংশ। এইসব জড় বস্তু কোন জাতি বা ধর্মের নিজস্ব সম্পত্তি নয়। সাহাবীরা ইরাক ইরান মিশর তুরস্ক জর্ডান চীন এইসব দেশের খ্রিষ্ট ধর্ম, অগ্নি পূজ্ মূর্তি পূজা, এবং ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতিকে অস্বীকার করেছিলেন কিন্তু ঐসব দেশের প্রযুক্তি ভাষা ও খাদ্যভাস কে সহজ ভাবে গ্রহন করেছিলেন। আর ধর্ম হচ্ছে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু এই মানব সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি হচ্ছে সমগ্র মানব জাতির সম্পদ। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকা পেটেন্টের মাধ্যমে প্রযুক্তি পণ্য গুলি খুব ব্যয়বহুল করে তুলেছে ইসলামী শরীয়াহ কিন্তু তথাকথিত পেটেন্টের এই কড়াকড়ি গুলি সমর্থন করে না।
=-==============================


কুরআন কি মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব ?


কুরআন কি মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব ?


মানুষের যে জিনিসটি আল্লাহ নিজের জন্য সৃষ্টি করেছেন ।” €€

***************************************************************

একদা হযরত থানভী (রহ.) খানকাহ্ থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন, সাথে ছিলেন

মুফতি মোহাম্মদ শফি (রহ.) যিনি আল্লামা ত্বকী উসমানীর পিতা।

রাস্তায় হঠাৎ দাড়িয়ে পকেট থেকে কাগজ বের করে কিছু একটা লিখে

আবার পকেটে রেখে জিজ্ঞাস করলেন, মৌলভী কিছু বুঝতে পেরেছো?

উত্তরে না বললে নিজেই বললেন, অন্তরের বোঝা কাগজে রেখে দিলাম।

একটি কাজের কথা স্মরণ হলো খানকায় গিয়ে করতে হবে।

যদি না লিখে রাখতাম তা হলে বার বার অন্তরে উদয় হয়ে খটকা

সৃষ্টি করতো। লিখার পর অন্তর খালি আছে। অতঃপর বললেন,

“অন্তরকে আল্লাহ পাক নিজের জন্য সৃষ্টি করেছেন।”

সূতরাং অন্তরকে ব্যস্ত রাখার জিনিস হলো আল্লাহপাকের স্মরণ।

আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম এবং আউলিয়ায়ে কেরামের হাত হাত

কাজে লিপ্ত থাকলেও অন্তরকে আল্লাহর ধ্যানে লিপ্ত রাখতেন।

পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা বিপরীত।

আমাদের দুনিয়াবী কাজে হাত-পা কম ব্যবহৃত হলেও অন্তর

সবর্দা দুনিয়ার মধ্যে লিপ্ত থাকে।
=============================
মানুষের পক্ষে কোরআন লেখা অসম্ভব!

সূরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন

69] ثُمَّ كُلى مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسلُكى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخرُجُ مِن بُطونِها شَرابٌ مُختَلِفٌ أَلوٰنُهُ فيهِ شِفاءٌ لِلنّاسِ ۗ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايَةً لِقَومٍ يَتَفَكَّرونَ
[69] এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।

(সূরা নাহল)

এই আয়াতে আমরা দেখছি
(1) সর্ব প্রকার ফল হতে মৌমাছিকে খাবারের নির্দেশ
(2) পালন কর্তার নির্দিষ্ট পথে চলার নির্দেশ
(3) মৌমাছির পেট হতে মধু নির্গত হয়
(4) মধুতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ হয়
(5) এই আয়াতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে ৷

1'2'4 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে, আমি 3 ও 5 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা করব ৷

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আমরা জানি যে মৌমাছিরা ফুল থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের পেটে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, বিজ্ঞানীরাই হয়ত মধু তৈরির একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা !

প্রশ্ন হল রাসূল (সাঃ )1400 বছর পূর্বে কিভাবে জানলেন যে মৌমাছি পেট হতে মধু নির্গত করে? কিভাবে নিশ্চিত হলেন মৌমাছি ফুল হতে মধু নিয়ে মৌচাকে রাখে না বরং বর্তমান যুগেও অধিকাংশ মানুষ মনেকরে মৌমাছি ফুল হতে মধু সংগ্রহ করে ? কোন বিজ্ঞানী জানিয়ে দিল?

5 নাম্বার point এ বলা হচ্ছে এটা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ! কেন বললেন? এত বড় চ্যালেন্জ কেন করলেন? কিভাবে বুঝলেন যে মৌমাছির শরীরে বিস্ময়কর system রয়েছে যা শুধু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমরা জেনেছি?

মূলত, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এটা জানিয়ে দিয়েছেন ৷ এবং আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই আয়াতটি যথেষ্ট ৷

বিঃদ্রঃ সর্ব প্রকার ফল থেকে খাবার কথা বলার মানে হল, " সব প্রকারের ফল তার জন্য বৈধ " তার মানে এই নয় যে তাকে সর্ব প্রকারের ফল খেতেই হবে ৷
============================
মানুষের পক্ষে কোরআন লেখা অসম্ভব!

*********************************
সূরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন

69] ثُمَّ كُلى مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسلُكى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخرُجُ مِن بُطونِها شَرابٌ مُختَلِفٌ أَلوٰنُهُ فيهِ شِفاءٌ لِلنّاسِ ۗ إِنَّ فى ذٰلِكَ لَءايَةً لِقَومٍ يَتَفَكَّرونَ
[69] এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।

(সূরা নাহল)

এই আয়াতে আমরা দেখছি
(1) সর্ব প্রকার ফল হতে মৌমাছিকে খাবারের নির্দেশ
(2) পালন কর্তার নির্দিষ্ট পথে চলার নির্দেশ
(3) মৌমাছির পেট হতে মধু নির্গত হয়
(4) মধুতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ হয়
(5) এই আয়াতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে ৷

1'2'4 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে, আমি 3 ও 5 নাম্বার point নিয়ে আলোচনা করব ৷

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে আমরা জানি যে মৌমাছিরা ফুল থেকে যা সংগ্রহ করে তা মোটেও মধু না ,তা দেখতে অনেকটা সাদা আঠালো রসের মত যাকে নেকটার বলে ! আর তখন তারা সেইটা তাদের পেটে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মধু তৈরী করে মৌচাকে জমা রাখে ! সত্যি কথা বলতেকি যদি মৌমাছি এরকম ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতে পারত তাহলে, বিজ্ঞানীরাই হয়ত মধু তৈরির একটা উপায় বের করে ফেলত ! তবে, মৌমাছি কিভাবে সেই রসটাকে মধুতে রুপান্তরিত করে তা এখনো অজানা !

প্রশ্ন হল রাসূল (সাঃ )1400 বছর পূর্বে কিভাবে জানলেন যে মৌমাছি পেট হতে মধু নির্গত করে? কিভাবে নিশ্চিত হলেন মৌমাছি ফুল হতে মধু নিয়ে মৌচাকে রাখে না বরং বর্তমান যুগেও অধিকাংশ মানুষ মনেকরে মৌমাছি ফুল হতে মধু সংগ্রহ করে ? কোন বিজ্ঞানী জানিয়ে দিল?

5 নাম্বার point এ বলা হচ্ছে এটা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ! কেন বললেন? এত বড় চ্যালেন্জ কেন করলেন? কিভাবে বুঝলেন যে মৌমাছির শরীরে বিস্ময়কর system রয়েছে যা শুধু আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমরা জেনেছি?

মূলত, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এটা জানিয়ে দিয়েছেন ৷ এবং আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এই আয়াতটি যথেষ্ট ৷

বিঃদ্রঃ সর্ব প্রকার ফল থেকে খাবার কথা বলার মানে হল, " সব প্রকারের ফল তার জন্য বৈধ " তার মানে এই নয় যে তাকে সর্ব প্রকারের ফল খেতেই হবে ৷

Copy: chayan chowdhury
================================
মানুষের পক্ষে সূরা ফাতিহা লেখা সম্ভব নয় ৷

সূরা ফাতিহার কথা কোরআনে বিশেষভাবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে ৷ আল্লাহ বলেন

وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ

(Muhiuddin Khan)
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
-Sura Al-Hijr, Ayah 87

আর এই সূরা ফাতিহা নিয়ে নাস্তিকদের সমালোচনার শেষ নেই ৷ এটা নাকি মানুষের লেখা সূরা! মূলত এরা পড়েই নাই সূরাটি ৷ বিস্ময়কর এই সূরাটি লেখা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব ৷ মূলত এটি হল কোরআনের সীলমোহর ৷ এই সূরার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সমগ্র কোরআন ৷ খুবই অল্প কথায় কিছু তথ্য দিচ্ছি ৷

( A)
সূরা ফাতিহায় সাতটি আয়াত রয়েছে৷ প্রথম তিন আয়াতের শেষ অক্ষর হল মীম নূন, মীম ৷(1;2;3 আয়াত)

শেষের তিন আয়াতের শেষ তিন অক্ষর হল , নূন, মীম, নূন ৷( 5;6;7 আয়াত)

এখানে শুরু ও শেষের দিক হতে গননা করলে নূন এবং মীমের সংখ্যা সমান (3+3)৷

মাঝের অর্থাত চার নাম্বার আয়াতটিতে শেষ শব্দ নূন ৷ তাহলে কি নূন বেশি হয়ে গেল? না বরং এই একটি মাত্র আয়াতে শুরুতে মীম এবং শেষে নূন রয়েছে ৷ আর কোন আয়াতে নেই ৷ অর্থাত শুরু ও শেষ অক্ষরের দিক থেকে নূন এবং মীমের সংখ্যা সমান ৷

(B)
শুধু তাই নয়, বিস্ময়কর ভাবে প্রতিটি আয়াতের শেষের অক্ষরের পূর্বের অক্ষরটি " ইয়া "৷ পারবেন কেউ এমন লেখতে?

(C)
দেখুন, প্রথম, মাঝের (4 র্থ ) এবং শেষের আয়াতে তিনটি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে ৷

কিন্তু 2 য় এবং তৃতীয় আয়াতের প্রথম অক্ষর হল ," আলিফ " ও শেষ অক্ষর হল নূন, মীম এবং শেষের দিক হতে গননা করলে (2 য় এবং তৃতীয়) 5 ম ও 6 ষ্ঠ আয়াতের প্রথম অক্ষর আলিফ শেষের অক্ষর হল মীম ,নূন ৷
দেখুন এক্ষেত্রেও মীম ও নূনের হিসাব সমান রয়েছে এবং আলিফ অক্ষরের সাথে শব্দগত মিল রাখা হয়েছে ৷
কেন প্রথম, চতুর্থ বা সপ্তম আয়াতে আলিফ অক্ষরটি আসল না? চতুর্থ আয়াত ছাড়া অন্য আয়াতের শুরুতে কেন মীম আসল না ? আসলে কিন্তু লাইন এবং অক্ষরের সাথে মিল নষ্ট হয়ে যেত! ফলে এটি হয়ে যেত সাধারণ একটি সূরা ৷

(D)
অবাক হচ্ছেন কেন নূন, মীম নিয়ে কথা বলছি?
এই নূন ,মীম, আলিফ হল কোরআনের আসল মুজেজা ৷

(E) মীম ও নূন এর ব্যাখ্যা দিতে চাইলে সূরা মূমীনূনের এর আলোচনা করতে হয় কারন মুমিন শব্দের প্রথম অক্ষর মীম এবং শেষের অক্ষর নূন ৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হল সেই সূরার প্রতিটি লাইনের শেষের অক্ষর হল নূন এবং মীম ৷
আর আলিফ অক্ষরটি আল্লাহ শব্দের প্রথম অক্ষর ৷

জেনে অবাক হবেন, কোরআনের অধিকাংশ আয়াতের শেষ অক্ষর মীম এবং নূন! সেটা কি দেখেছেন কখনও?
সূরা ফাতিহার প্রতিটি শব্দ এবং অক্ষর দিয়ে বিশাল ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব ৷ উস্তাদ নোমান আলী দীর্ঘ দেড় ঘন্টায় ব্যাখ্যা শেষ করতে পারেনি ৷ আমি শুধু নাস্তিক এবং বিধর্মীদের বলব, আমি যেই শব্দ গতমিল দেখালাম, শুধু এতটুকু দিয়ে অর্থের মিল রেখে একটি সূরা এনে দেখান ৷ আপনারা কোন দিনও পারবেন না কারন আল্লাহ বলেছেন

قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَىٰ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَٰذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا

(Muhiuddin Khan)
বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না৷
Sura Al-Isra', Ayah 88

মানুষ চাদে অবতরন করে সত্য, কিন্তু এ নিয়ে অপপ্রচার ও ভুল ধারনার নিরসন হোক।





মানুষ চাদে অবতরন করে সত্য, কিন্তু এ নিয়ে অপপ্রচার ও ভুল ধারনার নিরসন হোক।

**************************************
চাঁদে অবতরণের ষড়যন্ত্র তত্ত্বে (Moon
Landing Conspiracy Theory) বিশ্বাসীরা মনে
করে, এপোলো নভোযানের চাঁদে অভিযান
মিথ্যা, সাজানো ঘটনা (Hoax) এবং নীল আর্মস্ট্রং ও
এডউইন অলড্রিনসহ আমেরিকার কোন
নভোচারীই চাঁদে যাননি। তাদের বিশ্বাস,
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদে
অবতরণের যেসব ছবি ও ভিডিও প্রচার করেছে, তা
মিথ্যা এবং এতে আসলে চাঁদে নামার কোন দৃশ্য নয়,
১৯৭৪ সালে বিল কেসিং নামে
একজন আমেরিকান লেখক তার ‘We Never Went to
the Moon’ নামক বইতে প্রথম দাবি করেন, ছয়টি
এপোলো অভিযানের সবগুলোই বানোয়াট।
এরপর এ নিয়ে বহু গবেষণাধর্মী বই
বেরিয়েছে, তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে এবং
ওয়েবসাইট দাঁড়িয়ে গেছে। তখনকার সময়ে
মহাকাশভ্রমণের প্রযুক্তিগত অনগ্রসরতা, চন্দ্রপৃষ্ঠ
ও মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশ এবং চন্দ্রাভিযানের
ছবি ও ভিডিওতে বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতার আলোকে
অনেকেই মনে করে, চাঁদে অভিযান নিতান্তই নাসার
সাজানো ঘটনা। চাঁদে অবতরণের ষড়যন্ত্র
তত্ত্বের বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ার এই নিবন্ধটি
দেখা যেতে পারে।

প্রথম প্রথম পাত্তা না দিলেও শেষ পর্যন্ত মহাকাশ
গবেষণা সংস্থা নাসা এসব অভিযোগের জবাব দিতে
বাধ্য হয় এবং চন্দ্রাভিযানের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণসহ
নাসার অফিশিয়াল বক্তব্য তুলে ধরে তাদের
ওয়েবসাইটে । এপোলো অভিযানের ছবিতে
বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতার অভিযোগের জবাব পাওয়া
যাবে উইকিপিডিয়ার এই নিবন্ধে । অন্যদিকে নাসা ছাড়াও
আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে পরিচালিত স্বতন্ত্র
গবেষণা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষায় মানুষের চাঁদে
অবতরণের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে, যার বিস্তারিত
বিবরণ রয়েছে উইকিপিডিয়ার আরেকটি নিবন্ধে।
তারপরও যারা বিশ্বাস করতে চায় না, তাদের বিশ্বাস করায়
কার সাধ্য!

শীতল যুদ্ধ (Cold War) চলাকালীন রাশিয়াকে
টেক্কা দেওয়ার জন্য ইউএসএ’র একটা চাল ছিল। মিথ
ব্যবসায়ীদের কাছেও এটা বেশ একটা হট-কেক।
ইউটিউব, ফেসবুক এবং নানান হোক্স (hoax – গুজব)
সাইটে চন্দ্রাভিযানের খুঁত বের করার জন্য তৈরি করা
ছবি / ভিডিওর অভাব নেই। চন্দ্রাভিযান মিথ বেশ
পুরনো ব্যাপার হলেও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত
এলাকার মানুষের কাছে ইন্টারনেট যেমন অল্প
কিছুদিন ধরে পৌঁছাতে শুরু করেছে। একইভাবে এই
ভুয়া সংবাদগুলোও নতুন করে পৌঁছাচ্ছে। এমনকি
বাংলাদেশের একটা প্রথম সারির অনলাইন নিউজ
পোর্টালও ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবরের সংখ্যায়
একই রকম একটি খবর প্রকাশ করেছে। আজকের
লেখা চন্দ্রাভিযানের সেই মিথ নিয়েই।
রাশিয়াকে ফেলে আমেরিকা আগে চাঁদে
কেমনে গেলো?
অনেকেই বলতে চান যে ঐ সময় আমেরিকা
টেকনোলজির দিক থেকে রাশিয়ার চেয়ে
অনেক পিছিয়ে ছিলো। তাহলে, রাশিয়া কেন
আগে যেতে পারলো না? আমেরিকা আগে
কীভাবে গেলো?
সত্যিটা হচ্ছে, আমেরিকাও তখন মহাশূন্য যাত্রা নিয়ে
অনেক বেশি সচেতন ছিলো। কিন্তু ওদের জন্য
বজ্রপাতের মত খবরটা ছিলো রাশিয়া আগেই
মহাকাশে যান পাঠিয়ে দিয়েছে। তখন তারা
জোরেসোরে এক্সপ্লোরার মিশন নিয়ে
নেমেছিলো, এবং খুব অল্প সময়ে ওরাও মহাকাশে
যান পাঠিয়েছিলো। এরপর প্রেসিডেন্ট জন এফ
কেনেডি ১৯৬২ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর এক
বিখ্যাত ভাষণে (বাংলা অনুবাদ করেছেন রজত
দাশগুপ্ত)
চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এবং সেই
অঙ্গীকারেই আমেরিকা ১৯৬৯ সালে চাঁদে
অবতরণ করে।
আসুন প্রথমে দেখি, বাতাস ছাড়া পতাকা নেতিয়ে
পড়ছে না কেন?
চন্দ্রাভিযানের মিথ ব্যবসায়ীদের মধ্যে
সবচেয়ে জনপ্রিয় যুক্তি হচ্ছে চাঁদে তো বাতাস
নেই তাহলে পতাকা উড়ছে কিভাবে?
চাঁদে যে পতাকা উড়ানোর জন্য বাতাস নেই সেটা
নাসার বিজ্ঞানীরাও জানতেন। হ্যাঁ উনারা পৃথিবীতে
বসেই জানতে পেরেছিলেন যে চাঁদে বাতাস
নেই। এখন পৃথিবীতে যখনই পতাকা উড়ানো হয়
স্বাভাবিক অবস্থায় পতাকাটা দণ্ডের সাথে নেতিয়ে
থাকে। বাতাস আসলে পত-পত করে উড়তে
থাকে। চাঁদে তো বাতাস নেই, ফলে সবসময়ই
নেতিয়ে থাকবে। ইউএসএ’র পতাকা তাহলে বোঝা
যাবে কিভাবে? তাই পতাকাকে সোজা রাখার জন্য তাঁরা
উল্টো “L” এর মত একটা দণ্ড ব্যবহার করলেন।
কী চমৎকার বুদ্ধি! বাতাস এসে পত-পত করে
উড়ানো লাগবে না, সবসময়ই পতাকা সোজা হয়ে
থাকবে। এটা অবশ্য কোনও মৌলিক আবিষ্কার নয়,
অনেক জায়গায়ই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
পতাকা কি আসলেই উড়ছে?
আমাদের প্রথমে চিন্তা করতে হবে উড়া বলতে
কি বুঝছি? উড়া এবং নড়া এক ব্যাপার নয়। পতাকা উড়ছে
বলে যে ভিডিওটি প্রচার করা হয় তা আসলে বাতাসে
পতাকা উড়ছে সেরকম নয়। পতাকা মাটিতে লাগানোর
সময় “L” আকৃতির দণ্ডের নড়াচড়ায় পতাকাটাও নড়ছে।
আর যেহেতু চাঁদে বাতাস নেই ফলে বাতাসের
বাধাও নেই। ঘর্ষণহীন পরিবেশে পতাকা বরং
পৃথিবীর পরিবেশের চেয়ে বেশিই নড়ছে। এই
নড়াচড়ার ভিডিওকে পতাকার উড়া বলে প্রচার করাটা
আসলেই হাস্যকর।
★ পায়ের ছাপ সংক্রান্ত গুজব
আরেকটা প্রচলিত গুজবে নভোচারীদের
পায়ের ছাপ আর জুতো দেখিয়ে অনেকটা
বিজয়ীর হাসি হেসে বলা হয়, “শুনি, এই ছাপ
কেমনে আসলো?”
যে এই প্রোপাগান্ডা প্রথমবারের মত ছড়িয়েছে,
সে এটা দেখায়নি যে, ঐ জুতোটা আসলে
ভেতরের জুতো যেটার ছাপ পড়ার কথা না।
বাইরের জুতোটা না দেখিয়ে ওরা কী প্রমাণ
করতে চায়, কে জানে?
প্রোপাগান্ডা ভিডিওগুলো আসলেই খুবই চমৎকার
করে বানানো হয়। বিশ্বাস করে ফেলতে ইচ্ছা
করে।( নিচে ছবি)
* বিজ্ঞানের উপরে বিশ্বাস রাখুন। আর
নাসার এপোলো মিশনের এই চমৎকার ছবিগুলো
দেখুন। NASA অনেকগুলো ( প্রায় দশ হাজার ) ছবি
রিলিজ করেছে এপোলো মিশনগুলোর।
চাঁদ থেকে কত ক্ষুদ্র দেখায় আমাদের এই নীল
গ্রহটা। খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে মানুষ হয়তো
ভিন্ন গ্রহে বসতি স্থাপন করতে করতে একদিন
মহাবিশ্বের এতই দূরে চলে যাবে যে তাঁদের
আদি নিবাস খুঁজে বের করার জন্য সেখান থেকে
স্পেস মিশন পরিচালিত হবে।
ছবিসূত্রঃ পাবলিক ডোমাইনে প্রকাশ করা নাসার ফ্লিকার


তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...