==============================
পর্বতমালার অবস্থান পরিবর্তন ও বিস্ময়কর
সত্য আল- কুরআনে।
--Md Rasidul, 8/10/17 ---------
★ হ্যা যে সত্য কুরআন' অবতীর্ণ হওয়ার
আগে কোন গ্রন্থে ছিল না, আধুনিক
বিজ্ঞান যা সদ্য জানল, কিন্ত কুরআনে
আল্লাহ বলে দিয়েছেন ১৪০০ + বছর আগে।
★বিস্ময় হল কুরআনে হাজারের ও বেশি
বৈজ্ঞানিক আয়াত রয়েছে।
★
প্রতিনিয়তই পর্বতমালা রয়েছে সচল,
গতিশীল।
ভূ-বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কার-
”পৃথিবীর উপরিস্তর যাকে Geological
ভাষায় প্রকাশ করা হয় (Crust) বা ঝুটিঁ
হিসেবে।, যার উপরে পর্বতসমূহ অবস্থিত,
সে স্তরের (Crust) নড়াচড়াই পর্বতমালার
গতিশীলতার কারণ । নীচে অধিকতর পুর
আরেকটি স্তর রয়েছে যাকে বলা হয়
ম্যান্টল ; ম্যান্টলের উপরে ভাসমান
রয়েছে এই উপরিস্তরটি(Crust)। যেমন
পানির উপরে বরফ।”
এটি ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ, যখন
জার্মান বিজ্ঞানী Alfred Wegner
ইতিহাসে সর্বপ্রথম প্রস্তাব করেন যে
প্রথম যখন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়, মহাদেশগুলো
একত্রে সংযুক্ত অবস্থায় ছিল। অর্থাৎ
এশিয়া, আমেরিকা, রাশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া
এবং ইউরোপ সমস্ত উপমহাদেশ একই স্থলে
সংযুক্ত ছিল। কিন্তু এরপর এরা ভেসে
বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায় ধীরে ধীরে
কয়েক কোটি বছর সময় নিয়ে আমদের এসব
মহাদেশ উপমহাদেশ ইন্চি ইন্চি স্থান
পরিবর্তন করে পরস্পর হতে পৃথক হয়ে গেছে
এবং এই শতাব্দির দ্বার প্রান্তে এসে
আমরা দেখি একেকটি মহাদেশ আরেকটি
হতে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে সরে
গেছে যা ঘটতে সময় নিয়েছে কোটি
বছরেরও বেশি।
বিস্তারিত আলোচনা-
আর এভাবেই নড়াচড়ার কারণে একটি
আরেকটি থেকে দূরে সরে যায়। Wegner এর
মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর পর ১৯৮০ এর দশকে ভূ-
তত্ত্ববিদগণ Wegner এর এই প্রস্তাবটি সঠিক
ছিল বলে বুঝতে পারেন। ”১৯১৫ সালে
Wegner একটি আর্টিকলে নির্দেশ করেন
যে, প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে ভুপৃষ্ঠের
সলভাগসমূহ একসঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় ছিল।
আর এই বৃহৎম স্থলভাগটি পৃথিবীর দক্ষিণ
মের তে ছিল Pangaea নামে।প্রায় ১৮০
মিলিয়ন বছর পূর্বে Pangaea দুটি ভাগে
ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে ভেসে চলে যায়।
এদের মাঝে Gondwana নামে বৃহৎ একটি
মহাদেশ ছিল, যাতে বিদ্যমান ছিল
আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া, এন্টার্টিকা আর
ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় অংশটি ছিল Laurasia
নামে, যেথায় অবসিত ছিল ইউরোপ, উত্তর
আমেরিকা আর ইন্ডিয়া বাদে এশিয়া। এই
পৃথকীকরনের পর ১৫০ মিলিয়ন বছর ধরে
Gondwana আর Laurasia ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে
আলাদা হয়ে যায়।”
Pangaea বিভক্তির পর আর্বিভূত এ
মহাদেশগুলো ভূপৃষ্ঠের উপর অবিরাম সরে
যাচ্ছে প্রতি বছরে কয়েক সেন্টিমিটার
করে। ইতিমধ্যে পৃথিবীর স্থলভাগ আর
সমুদ্রের অনুপাতও বদলে গিয়েছে।বিংশ
শতাব্দীর গোঁড়ার দিকে চালানো
গবেষণায় উদঘাটিত ভূপৃষ্ঠের কঠিন আবরণ
ক্রাস্ট এর নড়াচড়া বিজ্ঞানীগণ নিম্নরূপে
ব্যাখ্যা করেনঃ
Crust আর Mantle এর সর্বোপরিসিত স্তরটি
প্রায় ১০০ কিলোমিটার পুরত্ব নিয়ে
বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত হয় যাদের Plate বলা
হয়ে থাকে। ছয়টি বড় বড় আর কয়েকটি ছোট
খাট প্লেট বিদ্যমান রয়েছে এখানে। Plate
Tectonics নামক থিওরী অনুসারে এই
প্লেটগুলো তাদের সঙ্গে মহাদেশ আর
সমুদ্রের তলভাগ নিয়ে ভূপৃষ্ঠে নড়ে চড়ে
ঘুরে বেড়ায়। পরিমাপ করে দেখা গেছে
যে, মহাদেশগুলোর এই গতি বছরে প্রায় ১-৫
সেন্টিমিটার। প্লেটগুলো যেহেতু অবিরত
চলমান রয়েছে সেহেতু পৃথিবীর ভূগোলে
ধীর গতির পরিবর্তন হবে। দৃষ্টান্তসরূপ
প্রতি বছর আটলান্টিক মহাসাগরের
তলদেশ একটু একটু সরে যাচ্ছে। এখানে এটি
উল্লেখ করার মতো গুরতপূর্ণ একটি পয়েন্টঃ
আয়াতটিতে আল্লাহ তাআলা পর্বতমালার
নড়াচড়াকে চলমান বা প্রবাহিত হওয়া
হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আজ আধুনিক
বিজ্ঞানীগণও এই গতির জন্য ’’মহাদেশের
প্রবাহ’’ (continental drift) শব্দটি ব্যবহার
করেছেন। প্রশ্নাতীতভাবেই এটি
কোরআনের একটি অলৌকিকত্ব। বিংশ
শতাব্দীতে সম্প্রতি সেদিন যা
বিজ্ঞানদ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছে তাই
কোরআনে অনেক আগেই ঘোষিত হয়েছিল।
বিশ্ব বিখ্যাত ভূতত্ববিদ Dr Frank Press
বলেন-
ভূতত্ব গবেষনার জন্য প্রায় প্রতিটি
বিশ্ববিদ্যালয় ‘The Earth’ নামক বইটি
ব্যবহার করা হয়। Dr Frank Press যিনি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি
কার্টারের উপদেশমন্ডলীর মধ্যে অন্যতম
তিনি বলেন-পর্বতের অত্যন্ত গভীর শিকর
রয়েছে পৃথিবীর অভ্যন্তরে। সত্যিকার
অর্থে পর্বত একটি ভাষমান বরফের মতো
যার ৯০% থাকে পানির নীচে ও ১০% থাকে
উপরে।
আমাদের অবস্থান চলমান প্লেটের উপর?
ভূতত্ববিদগনের তথ্যানুসারে, যে ভারী
ভারী বড় প্লেটগুলো পৃথিবীর উপরের শক্ত
স্তর সৃষ্টি করে, সেগুলোর নড়াচড়া আর
সংঘর্ষের ফলেই উৎপত্তি ঘটে
পর্বতমালাসমূহের। দুটি প্লেট যখন পরস্পর
ধাক্কা খায় তখন শক্তিশালী প্লেটটি
অন্য প্লেটের নীচে গড়িয়ে চলে যায়, তখন
উপরের প্লেটটি বেঁকে গিয়ে পর্বত ও উঁচু
উচুঁ জায়গার জন্ম দেয়। নিম্নের স্তরটি
ভূমির নীচে অগ্রসর হয়ে ভেতরের দিকে
এক গভীর প্রসারণের জন্ম দেয়। এর মানে
পর্বতের রয়েছে দুটো অংশ, উপরে সবার
জন্য দর্শনযোগ্য একটি অংশ যেমন থাকে,
তেমনি নীচের দিকে গভীরে এর
সমপরিমাণ বিস্তৃতি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে
আধুনিক ভূ-বিজ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্যসমূহের
মাধ্যমে কেবলি সেদিন এ বিষয়টি প্রকাশ
পেল। ভূ-পৃষ্ঠের উপরের অংশ বা ক্রাস্ট
অবিরাম গতিশীল প্লেট নিয়ে গঠিত।
পর্বতগুলোর দৃঢ়ভাবে ধরে রাখার
বৈশিষ্ট্যটিই ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরকে ধরে
রাখে ,কম্পন প্রতিরোধ করে অনেকাংশে।
অথচ এই ক্রাস্টের রয়েছে গতিশীল গঠন।
বিজ্ঞানের বইগুলোতে পাহাড়ের গঠন
বর্ণিত হয়েছে নিম্নরূপেঃ
মহাদেশগুলোর যে অঞ্চলসমূহ পুরু, যেখানে
সারি সারি পর্বতমালা রয়েছে, সেস্থানে
ভূ-পৃষ্ঠের শক্তস্তর বা ক্রাস্ট ম্যান্টলের
ভেতরে গভীরে ঢুকে যায়। যদিও তা
চলমান।
কুরআনে ১৪৩০ বছর আগেই উল্লেখ করা
হয়েছে?-
এই ব্যাপারটি কোরআনের আয়াতে
উল্লেখিত আছেঃ
027.088 ﻭَﺗَﺮَﻯ ﺍﻟْﺠِﺒَﺎﻝَ ﺗَﺤْﺴَﺒُﻬَﺎ ﺟَﺎﻣِﺪَﺓً ﻭَﻫِﻲَ ﺗَﻤُﺮُّ ﻣَﺮَّ
ﺍﻟﺴَّﺤَﺎﺏِ ﺻُﻨْﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺗْﻘَﻦَ ﻛُﻞَّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺇِﻧَّﻪُ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ
ﺗَﻔْﻌَﻠُﻮﻥَ
027.088 Thou seest the mountains and
thinkest them firmly fixed: but they shall pass
away as the clouds pass away: (such is) the
artistry of Allah, who disposes of all things in
perfect order: for he is well acquainted with all
that ye do.
আর তুমি পর্বতসমূহকে দেখে অটল-অচল
মনে কর, অথচ এগুলো সেদিন মেঘরাশির
ন্যায়চলমান হবে। এ হল আল্লাহর সৃষ্টি
নৈপুণ্য, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুষম-
সুসংহত। তোমরা যা কিছু করছ, তিনি তা
সম্যক অবগত আছেন।(কোরআন, ২৭: ৮৮)
আল্লাহ তাআলা ব্যতীত তিনি আর কে
হতে পারেন, যিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর কুরআন
মাজিদে এই তথ্য অবতীর্ণ করেছেন?
===========================
[প্রসঙ্গঃ ডায়নোসর]
আমাদের নাস্তিক ভাইদের খুব কমন একটি অভিযোগ হল, কোরআন যদি আল্লাহ্র বানী হয়েই থাকে তবে আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার ‘ডায়নোসর’ সম্পর্কে কেন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না? সে সম্পর্কে আলোচনার আগে চলুন আমাদের বিজ্ঞানের কিছু সিমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করি-
প্রথমেই জেনে নেই আমাদের পৃথিবীর বয়স আধুনিক বিজ্ঞান কিভাবে নির্ণয় করেছে- পৃথিবীর বয়স নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য পদ্ধতির নাম রেডিও একটিভ ডেটিং । পৃথিবীর বয়স নির্ণয়ের মতো একটা অকল্পনীয় কাজকে বাস্তবায়ন করতে মূল ভূমিকা পালন করেছে ইউরেনিয়াম। এই তেজস্ক্রিয় পদার্থটির বৈশিষ্ট্য হল এর পরমাণুর ভেতরে থাকা নিউক্লিয়াসগুলো ক্রমাগত রশ্মি বিকিরণ করতেই থাকে আর সেটা এক সময় অতেজস্ক্রিয় স্থিতিশীল মৌলিক পদার্থ সিসায় পরিনত হয়। এক হিসাব অনুযায়ী তেজস্ক্রিয় ইউরনিয়াম সিসায় পরিণত হতে ৯০০ কোটি বছর সময় লাগে। তো এটা ধরে নেয়া হয়েছে যে মহাবিস্ফোরণের পর সৌরজগৎ জলন্ত অগ্নিপিণ্ড রুপে আত্মপ্রকাশ ঘটে তখন বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সাথে ইউরেনিয়াম সৃষ্টি হয়। ইউরনিয়াম সে সময়ের সৃষ্টি ধরে এর অর্ধায়ু পৃথিবীর বয়স কল্পনা করা হয় (৪৫০-৫০০ কোটি বছর)।
যাইহোক হতেও পারে তারা যেটা কল্পনা করবে সেটাই সঠিক, তবে এর থেকে ভাল কোন নির্ভরযোগ্য মতবাদ যেহেতু এখনও প্রতিষ্ঠিত হয় নি, তো ধরে নিলাম এটাই সঠিক। তবে কিছুদিন আগে শুনতে পেয়েছিলাম ইউরেনিয়াম থেকেও অনেক শক্তিশালী আরেকটি অতি তেজস্ক্রিয় শক্তিশালী মৌলিক পদার্থ মেটালকের নাম। শুনেছি শোনা কথায় বিশ্বাস করতে নাই, তাই ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলাম।
আবার এটা খুব বেশি স্বাভাবিক যে আমাদের পেন্টলজিসট যারা আছেন তাদের পুরাতত্তের বয়স নির্ধারণে বেক্তিবিশেষে হেরফের দেখা যায়, তাও আবার ব্যাপক হারে। তবে ম্যাস স্পেকটোমিটার সেই দ্বিমত কমাতে সাহায্য করেছে। তবুও আমাদের পুরাতত্তের বয়স নির্ধারণে প্রকৃতির খেয়াল এর উপরে এখনও পুরোপুরি অসহায় থাকতে হয়। যদিও বিজ্ঞানিরা দাবী করেন যে রেডিওমেট্রিক ডেটিং এর ভুলের সম্ভবনা ০.৫% তবুও আসুন দেখি বাস্তবে কি হচ্ছে-
প্রথমেই এক কাজ করুন, একটুকরো হাড় নিন, এবার সেটা হলুদযুক্ত নরমাল পানিতে তিনদিন ভিজিয়ে রাখুন। দেখতে পাবেন সেটার রঙ পরিবর্তন হয়ে গেছে। তো মাত্র তিনদিনেই যেখানে এই অবস্থা সেখানে লক্ষ বছর এর হিসাবে তো গড়মিল থাকবেই। যদিও রং দেখে বয়স নির্ধারিত হয় না, তারপরও প্রকৃতি ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আবার এদিকে পৃথিবীর এক এক অঞ্চলের মাটির ভিতরের খনিজ উপাদান ভিন্ন। আদ্রতা বেশি এমন মাটির হাড়কে প্রভাবিত করার ক্ষমতা বেশি। আবার শুষ্ক মরুর বালির ভিতরে পাওয়া লক্ষ বছর আগের ফসিল দেখলে মনে হয় সদ্য মারা গেছে। বিজ্ঞানীরাই বলছেন যদি কোন কারনে প্রত্নতত্তের স্থানে (পরিবেশে) কার্বন ডাই-অক্সাইড এর পরিমান বেড়ে যায় তবে মূল সময়ের চেয়ে হাড় এর বয়স অনেক বেশি দেখায়। আবার এদিকে সূর্যরশ্মি এবং পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর প্রভাব ও অনেক সমস্যা করে। একদিকে পেন্টলজিসটেরা জিগ-সো পাজেল মিলাতে গিয়ে অন্য প্রানির হাড় ঢুকিয়ে দিয়ে থাকেন, তেমনি আবার একই হাড় বিভিন্ন স্থানে ভুলক্রমে সেট হয়ে জেতে পারে। তো এটা বলা যায় আমাদের কাছে এগুলোর চেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি না থাকলেও সেটা ত্রুটিমুক্ত না।
তো প্রস্ন ছিল কেন ডায়নোসর এর কথা কোরআন শরিফে আসে নাই? পালটা প্রস্ন করছি- ডায়নোসর কি আদৌ ছিল পৃথিবীতে?
ডায়নোসর এর হাড় যেগুলো মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেল সেগুলো দেখলে মনে হতেই পারে যে এগুলো কিসের? আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ডায়নোসর আসলে কোন নির্দিষ্ট প্রানির নাম না। এটা হল প্রজাতির নাম। আর এসব প্রজাতির প্রতিটিই আমাদের পরিচিত প্রাণীদের D.N.A বহন করে। এই কারনেই বিজ্ঞানিরা মনে করেন আমাদের কিছু কিছু প্রানি সেসব ডায়নোসরদের বিবর্তিত রূপ (যেমনঃ মুরগি)। আবার বিভিন্ন মুভি দেখে আমাদের মনে এই ধারনা হয়েছে যে ডায়নোসর মানেই অনেক বড় কিছু। আদতে বেশিরভাগ প্রজাতির সাইজ ছিল একটা সাধারন মুরগি থেকেও ছোট। বিজ্ঞানীদের মতে বর্তমানে জীবিত আছে এমন ডায়নোসর হল পাখি বা পক্ষিকুল। আর বাকিগুলো ৬৫.৫ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে উল্কাপাতের ফলে। আবার সেই বিজ্ঞানীরাই কিভাবে ডায়নোসর এর বিবর্তিত রূপ হিসেবে মুরগিকে দেখিয়ে থাকেন বুঝে আসে না। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ করেছেন কি? ডায়নোসর এর ভিতরে উভচর জাতীয় থাকাটা কি একেবারে অস্বাভাবিক ছিল? তাহলে যদি তাই হতো তবে পানিতে (সমুদ্রে) থাকা প্রাণীগুলো উল্কাপাতে কিভাবে মরলো? আবার এদিকে সমুদ্রের কোন মাছকে কখনই ডায়নোসর হিসেবে কল্পনা করা হয় না। এমনকি এসব দাবি কোথাও দেখিও না।
আরেকটি ব্যাপার আলোচনা প্রয়োজন, উল্কাপাতে ডায়নসরের মত শক্তিশালী প্রাণী বিলুপ্ত হওয়া সম্ভব কিনা সেটা কখনও ভেবে দেখেছেন? আপনি কি জানেন উল্কা কি জিনিস? আমরা ছোটবেলায় অনেকে তারাবাজি জালিয়েছি, উল্কার ব্যাপারটিও অনেকটা সেইরকম। এখন ধরে নিলাম পৃথিবীর বড় ভাই শনির বলয় আর এদিকে সূর্যের মহাকর্ষ ফাকি দিয়ে, পৃথিবীর সুরক্ষাকবজ ফাকি দিয়ে যদি কোন উল্কা সত্যি সত্যিই পৃথিবীতে পতিত হয়েও থাকে। তবুও এটা বলা যায় সেটা তো আর বিস্ফোরক না যে সারা পৃথিবীতে আগুন জ্বালাবে। আবার উল্কার সাইজ যদি এত বড় হয় যা পৃথিবীর কেন্দ্রের লাভা উদগিরন করে তাহলে তো ডায়নোসরদের হাড় ও গলিয়ে ফেলার কথা।
ডায়নোসর সম্পর্কে যারা একটু গবেষণা করেন তারা একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, কোথাও এটা পাবেন না যে ডায়নোসর এর কঙ্কাল প্রথম কবে আবিষ্কৃত হয়। তবে বিজ্ঞানীরা প্রথমে 18২0-এর দশকে ডাইনোসরগুলি অধ্যয়ন শুরু করেন সেই তথ্য পেতে পারেন। 184২ সালে ব্রিটেনের নেতৃস্থানীয় প্যালিওয়োনটোলজিস্ট স্যার রিচার্ড ওয়েন প্রথম "ডাইনোসর" শব্দটি উদ্ভাবন করেছিলেন। তিনি তিনটি সরীসৃপ পেয়েছিলেন যেগুলোর মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত তিনটি কাটা ছিল। এই তিনটি সরীসৃপ অন্যান্য যেকোনো জীবিত সরীসৃপ থেকে সামান্য বড় ছিল। অবশ্য সেই তিনটি ফসিল একই জায়গায় ছিল। এখন প্রস্ন হল অতিরিক্ত তিনটি কাটা কি অন্য কোন প্রানির থেকে ঢুকতে পারে না? তিনি এই তিনটি সরীসৃপের একটি দল গঠন করলেন আর নাম দিলেন ডাইনোসরিয়া। তখন থেকে সারা পৃথিবী থেকে ডায়নোসর এর ফসিল পাওয়া শুরু হল যা আদ্য-অবধি চলছে। আস্তে আস্তে মানুসের কৌতূহল বেড়ে চলল, আর পরিচিত প্রানি ঘোষণার বদলে কিছুটা উদ্ভট আর নতুন প্রজাতির আবিস্কারের নেশায় মানুষ ইচ্ছাকৃত হলেও জিগ-সো পাজেল এর বাতিক্রম সেটিং করতে দ্বিধা করলো না। আচ্ছা আঠারশ শতকের আগে মানুস মাটি খুঁড়ত কিনা কে জানে?
এখন যেহেতু ডাইনোসরের হাড় অনেক আগেই মানুষ পেয়েছে কিন্তু এটা নিয়ে বিজ্ঞানি মহল তেমন জানাজানি করতে দেয় নি, সেহেতু এটা বলাই যায় যে মানুষের বড় কঙ্কাল যদি কোথাও পাওয়া যায় সেটাকে এলিয়েন বা টপ সিক্রেট বিষয়ের নাম করে লোকচক্ষুর আড়াল করা হতে পারে। এরকম দু একটি খবর যে পত্রিকাতেও ছাপা হয় নি তা কিন্তু না। কিছুদিন আগেও শুনলাম সৌদিতে এরকম কঙ্কাল পাওয়া গেছে, কিছুদিন এটা নিয়ে লেখালেখি হল, পরে তার আর কোন খোজ পাওয়া যায় নি। আবার ১৯৩০ সালে ঠিক এরকমই ব্যাপার ঘটেছিলো ইন্ডিয়াতে। যাইহোক হয়তো আমাদের জনপ্রিয় টি-রেক্স প্রজাতি হয়তো বহু যুগ আগের একটি নরমাল কুকুর হতে পারে। যেহেতু বর্তমান মানুষ থেকে আদম আঃ ১৮ গুন বড় ছিলেন তাই ইংল্যান্ডের হিস্টরি অফ ন্যাচারাল সাইন্স মিউসিয়ামে সংরক্ষিত ডায়নোসর এর হাড়টি দেখে তো আমার সেটাই মনে হয়। শুধুমাত্র লেজের দিকের অতিরিক্ত হাড়গুলো দিয়ে সামনের ছোট পা গুলোর সাইজ বড় করে দিলেই হয়। আবার এদিকে আদম আঃ এর পায়ের ছাপ এর আনুপাতিক বিশ্লেষণও একই হিসাব নির্দেশ করে। আসুন এই ব্যাপারে আরও একটু ভালভাবে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখি-
https://www.youtube.com/watch?v=ASnF6xrCrAY
এখন মূল প্রসঙ্গ ছিল কেন কোরআনে ডায়নোসর এর উল্লেখ পাওয়া যায় না? এটা তো আমাদের দেয়া নাম, তবে নিরাশ হবেন না, আসুন হাদিস দেখি-
আবূ হূরায়রা থেকে বর্ণিত যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ আদমকে সৃষ্টিকালে তার উচ্চতা ছিল ৬০ কিউবিট এবং মানুষ বেহেশতে প্রবেশকালে আদমের আকার লাভ করবে [Sahih Bukhari Volume 4, Book 55]
==================================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.