সত্যের চিরকুট
===================
পৃথীবির নিকৃস্ট চিন্তার অধিকারী নাস্তিকদের প্রশ্ন ও তার উত্তর
===========================
সঘোষিত "নাস্তিক" সম্প্রদায় তথা ইতর শ্রেনীর প্রানীগুলো ( কর্মে ইতর শ্রেনীর মত লজ্জাহিন কর্মের প্রকাশ্য সমর্থক) অভিযোগ করে "মুহাম্মদ সাঃ নাকি বিকৃত যৌন রুচির মানুষ ছিলেন।" (নাউযুবিল্লাহ)
------------------------------------------------------
উত্তরঃ ১) যেই শ্রেনী হতে এই অভিযোগটা আসে তারা হল নাস্তিক শ্রেনী ও বিধর্মি। এই নাস্তিক শ্রেনী এই যুগে গেট টুগেদার বা ছেলে মেয়ের বিবাহ বর্হিরভুত একত্রে বসবাস, সমকামিতা ও আধুনিকতার নামে অবাধ যৌনাচারের পক্ষে সোচ্চার কন্ঠস্বর। এদের অবস্থা এমন নিজে চোর হয়ে, অন্যে সব চুরি করে ফেলছে এমন কিসসা গেয়ে, নিজেরাই নিজেরাই আফসোস করে মরে।
২) রাসুল সাঃ বয়স যখন ২৫ বছর তখন খাদিজা রাঃ বিয়ের প্রস্তাবে রাসুল সাঃ ৪০ বছর বয়সি বিধবা খাদিজা রাঃ বিয়ে করেন। খাদিজা রাঃ মৃত্যুর (৬৪ বয়সে ইন্তেকাল করেন) আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত টকবগে তরুন আর কোন বিবাহ করেন নাই। টকবগে তরুন রাসুল সাঃ এর কেমন বিকৃত যৌনতা কাজ করতো যে এক বিধবা নারীকে বিবাহ করে তার যৌবনের সময়টা পার করে দিলেন। নাস্তিকদের এই (৫০ বছর) বয়সে বিকৃত যৌনতা কাজ করতে পারে কারন অবাধ যৌনতার নোংরামির কারনে কোন মেয়ের তাদের সাথে বেশী দিন সংসার করতে পারে না।
৩) রাসুল সাঃ পরর্তিকালে যাদের বিবাহ করেন তারে মধ্যে (আয়েশা রাঃ) ছাড়া সবাই বিধবা নারী ছিলেন। কেমন যৌন বিকৃতি কাজ করতো যে অবিবাহিতা মেয়ে বিয়ে না করে বিধবা নারীকে বিয়ে করতেন।
৪) আরবের সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থায় একাধিক মেয়ে বিয়ে ও অল্প বয়সে বিয়ের প্রথা ছিল। রাসূল সাঃ এর পূর্বেই আয়েশা(রাঃ), জুবাইর ইবনে মুতিম এর সাথে engaged ছিলেন। পরবর্তীতে, আবু বকর(রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করলে এ বিয়ে ভেংগে যায়। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, সে সময় এই বয়সেই বিয়ে করা আরবে একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তাহলে রাসুল সাঃ সমাজ মেনে বিয়ে করলে সমস্যা কোথায়।
৫) আয়েশা রাঃ এর বয়স ৬ থাকা অবস্থায় রাসুল সাঃ এর বিয়ে হয় ও ৯ বছর বয়সে রাসুল সাঃ সংসারে আসেন। সেই সময়কার যারা রাসুল সাঃ এর ঘোর বিরোধি ছিল ও যারা পদে পদে রাসুল সাঃ হত্যার ষড়যন্ত্র করতো ও ওহি নাজিল নিয়ে কত ধরনের গল্প তারা প্রচার করেছিল তারাতো রাসুল সাঃ এত অল্প বয়সের মেয়ের বিয়ে করা নিয়ে কোন রটনা প্রচার করে নাই এবং মেয়ে পক্ষের পরিবারের পুর্ন সম্মতিক্রমে বিবাহ করেন।
তার মানে সেই যুগে এমন বয়সের মেয়ে বিয়ে হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল বলে কেও বা রাসুল সাঃ চরম বিরোধি ছিল যারা তারা আপত্তি করে নাই।
আর আয়েশা রাঃ রাসুল সাঃ এর সংসারে এসে ইসলামের কি উপকার হইছে সেটা অনেক মুসলিমরাই জানে না নাস্তিকগুলো জানবে কেমনে। আয়েশা রাঃ ইসলামের খেদমতে একটা আল্লাহর পক্ষ হতে বড় নিয়ামত ছিল।
৬) আপনি খেয়াল করে দেখবেন আরবের ছেলে মেয়েদে শারীরিক বৃদ্ধির হার পশ্চিমা বিশ্বের মতই এখনো, অর্থাৎ বাংলাদেশ ভারতের যে ছেলে মেয়ের বয়স ১৪ বা ১৫ তাদের মত শারীরিক গঠনের হয় আরবের ৯ বা ১০ বছর বয়সি ছেলে মেয়েদের।দেখবেন এ যুগের নাস্তিক ও কিছু নাম মুসলিম এই অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধির সাথে আরবের ছেলে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি তুলনা করে ভুল খুজার চেস্টা করে। এই শ্রেনীটাই আবার বলে আল্লাহ এক হলে আল্লাহ কেন আল কুরআনে "আমরা" শব্দ ব্যবহার করছে। কিন্তু রাসুল সাঃ এর সময়ের কাফের মুসরীকগন এমন কি ইসলামের বিরুদ্ধে বই লেখে ডক্টরেট পাওয়া ড উইলিয়ম কেম্বেল "আমরা" শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাই, কারন তারা জানে আরবিতে "আমরা" শব্দের ব্যবহারের ইতিহাস।ঠিক তেমনি রাসুল সাঃ এর যুগে অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওই ছিল তাদের রীতি তাই তারা এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন তুলে নাই।
৭) এখানে pubescent বা বয়ঃপ্রাপ্তির বিষয়টা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় একেক অঞ্চলের মেয়েরা একেকসময় বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। যেমনঃ মরুভূমি অঞ্চলের মেয়েরা শীতপ্রধান অঞ্চলের মেয়েদের চেয়ে দ্রুত বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। মরুভূমির মেয়েরা যেখানে ১০ বছর বয়সে বয়ঃপ্রাপ্তি লাভ করে সেখানে অনেক শীতপ্রধান অঞ্চলের মেয়েরা ১৩-১৫ বছর হয়ে গেলেও বয়ঃপ্রাপ্ত হয় না। ফ্রেঞ্চ ফিলোসফার Montesqueu তার ‘Spirit of Laws’ বইটিতে[৭] উল্লেখ করেছেন, উষ্ণ অঞ্চলে মেয়েরা ৮-৯-১০ বছর বয়সেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। বিশ বছর বয়সে তাদেরকে বিয়ের জন্য বৃদ্ধ ভাবা হয়। ‘Spirit of Laws’ বইটি আমেরিকার সংবিধান তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে।
--------------------------------------------------------
নিকৃস্ট নাস্তিক শ্রেনীর আবালের মত ফালাফালির কারন
১) এই আবালগুলোর ক) জ্ঞান সল্পতা খ) সময় গ) স্থান ঘ) সামাজিক অবস্থা ভেদে সমাজ পরিবার রাস্ট্রের মানুষের কালচার যে ভিন্ন হয় এটা তাদের মাথায় কাজ করে না। কিছু উদাহরন দেই
২) ক) জ্ঞান সল্পতা খ) সময়ঃ আমারা জানি আল কুরআনের অনেক সুরা হুরুফে মুক্কাতায়াত দিয়ে শুরু হইছে যেমন সুরা বাকারা, সুরা আল ইমরান, সুরা সেজদা সুরা ইয়াছিন এমন আরো অনেক সুরা। এ যুগের আবাল এমন কি মুসলিম নামধারী কিছু মানুষ বলে যেই শব্দের কোন অর্থ প্রকাশ/ জানা যায় না এমন আয়াত কেন আল্লাহ আল কুরআনে দিল। কিন্তু দেখুন রাসুল সাঃ যুগে মুশরিক কাফের রাসুল সাঃ এর ঘোর বিরোধিরাও আল কুরআনে সুরার সুরুতে হুরুফে মুক্কাতায়াত নিয়ে একটাও প্রশ্ন তুলে নাই। কারন তারা জানতো এই হুরুফে মুক্কাতায়াত কোন অবস্থায় ব্যবহার হয়। তেমনি আরবের কাফের মুশরীকগন রাসুল সাঃ এর বহু বিবাহ নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠায় নাই বা এটা নিয়ে কোন কিসসা প্রচার করে বেড়ায় নাই। কারন সেটা সেই যুগে সবার নিকট গ্রহনযোগ্য সামাজিক ব্যবস্থা ছিল। এই যুগে এসে কিছু আবাল হুরুফে মুক্কাতায়াত ও অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
৩) গ) স্থান ঘ) সামাজিক অবস্থা ভেদেঃ a) ভারতের দক্ষিনাঞ্চলে নীলগীরি পাহাড়ি এলাকায় সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুসারী "টােডা" ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, নেপাল, তিব্বতে অঞ্চলে এক নারী এক সাথে একাধীক পুরুষ বা একই পরিবারের যদি ৫ বা ৬ ভাই থাকে তাদেরকে এক সাথে বিবাহ করে সংসার করা তাদের নিকট স্বাভাবিক অবস্থা বা তাদের সামাজিক রীতি। তাদের যদি বলা হয় নারীরা এক বিয়ে করবে অমনি কি ঐ সমাজ মেনে নিবে। নিশ্চই না। অথচ আমরা জানি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে একটার বেশী বিবাহ করা যায় না।
কিন্তু এই ব্যবস্থাটা অন্য স্থানে বা সমাজে নিকট অগ্রহনযোগ্য প্রথা ও ঐ প্রথা এই সমাজে চাপিয়ে দিলে কেও মেনে নিবে না। তেমনি আবাল শ্রেনীর নাস্তিকরা স্থান ও সামাজিক অবস্থা ভেদে কালচার যে ভিন্ন হয় তাদের মাথায় কাজ করে না বা মেনে নিতে চায় না।
b) ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে taboos নামক এক ডকুমেন্টারি প্রগ্রামে দেখিয়েছিল, নেপালের এমন এলাকা আছে যাদের বংশ পরম্পরায় ছেলে মেয়েদের ৬ বা ৭ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তাদের বয়স যখন ১২ বা ১৩ হয় তখন তারা একত্রে বসবাস শুরু করে এবং তারা আবার ৩৪ হতে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দাদা দাদী হয়ে যায়। এই প্রথা তাদের বন্ধ করতে বললে তারা কি বন্ধ করে দিবে বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই রীতি, বা একই প্রথা কি অন্য সমাজ এক দিনে মেনে নিবে। নিশ্চই না।
আর নিকৃস্ট নাস্তিক প্রানিদের এই ৩৪ বা ৪০ বয়সটা খাও দাও ফুর্তি করার বয়স। এই বয়সে তারা দাদাতো দুরের কথা বাপও হতে পারে না।
জ্ঞানের সল্পতা, সময়, স্থান ও সামাজিক অবস্থা ভেদে কালচার পার্থক্য হতে পারে এটা এই নিকৃস্ট শ্রেনীর নিজের বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থা দিয়ে বিবেচনা করার কারনে না জেনে না বুঝে আবালের মত ফালা ফালি করে।
=====================================
#পুনারজনম_কি_যৌক্তিক_না_অযৌক্তিক?
.
হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ ঋগ্বেদ বলে ১০ম মন্ডল ১৬ নং শুক্তা ৫ম মন্ত্র "পুনারজনম" অর্থাৎ "পুনার" অর্থ পরবর্তী আর "জনম" অর্থ জীবন। তার মানে এই বেদে বলা হচ্ছে পরবর্তীতে সবাইকে জীবিত করা হবে যেভাবে পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে। সূরা আল বাক্কারাহ/২:২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে আমাদের জীবিত করা হবে কিয়ামতের দিন।
আবার একি কথা বলা আছে শ্রীমদভগবতগীতা ২য় অধ্যায় ২১ নং অনুচ্ছেদ শ্রী ককৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন "এই পার্থিব জীবনকে চালিয়ে কখনো ইশ্বরের রাজ্যে অর্থাৎ স্বর্গে যেতে চাওয়া পৃথা এই জীবনকে থামতে হবে মরতে হবে"
পরের অনুচ্ছেদ ২২ নং বলা আছে "যেভাবে মানুষ পুরাণ কাপড় ত্যাগ করে নতুন কাপড় পরিধান করে সেইভাবে মানব আত্মা পুরাণ শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর গ্রহণ করে"
এতেও আমি একমত। কিন্তু দাদা আমায় অথর্ববেদ এর ১৮ম খন্ডের ৩ নং শুক্তা ৮ম মন্ত্র দেখিয়ে বলে মানুষ মারা যাবার পর অন্য কারু গর্ভে জন্ম নেন ওই মন্ত্রে বলা আছে আংশিক ভ্রুণতত্ত্ব সম্পর্কে কোন পুনরজন্ম নয়। আর যদি যুক্তি দিয়ে দেখি আমরা মানুষ পাপ করলে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ার হয়ে আবার জন্মায় বা নিচু জাতে জন্মায় তাহলে যারা জন্তু হয়ে জন্মায় তারা আর মানুষ হয়ে জন্মাবে না এভাবেই থেকে যাবে আর অন্য দিকে যারা ভাল কর্ম করে মুখ্য লাভ করবে তারা আর জন্মাবে না তারা স্বর্গে চলে যাবে আর যারা খারাপ কর্ম করবে তারা মানুষ হয়ে জন্মালেও তো আবার পাপ করবে তাহলে তারা হবে জানোয়ার পরের জন্মে যদি এমন হয় আমি এক মিনিটের জন্য ধরে নিলাম এই পুনারজনম সত্য তাহলে ভারতকে দেখি কারণ দেশটাতে সবচেয়ে বেশি হিন্দু আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২৫ কোটি আর বর্তমানে ১৩২ কোটি পুনরজন্ম চলতে থাকলে ভারতের জনসংখ্যা বাড়বে কিভাবে বা পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ার কারণ কি কিন্তু অন্যান্য জীব জন্তুর সংখ্যা কমছে। যদি বলা হয় মানুষের জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধ না করার কারণে মানুষ বাড়ছে তাহলে ভুল হবে কারণ পৃথিবীতে এখন তাদেরই জন্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী যারা আগে মারা গিয়েছে এবং যারা মারা যাচ্ছে তারা আবার অন্য পরিবারে জন্ম নিচ্ছে তাহলে হয় পৃথিবীর জনসংখ্যা বা ভারতের জনসংখ্যা একি অনুপাতে থাকার কথা যদি মানুষ পাপ বেশি করে আর তার জন্য বিভিন্ন পশু হয়ে জন্ম নেয় পৃথিবীর জনসংখ্যা কমার কথা না হয় একি থাকার কথা কিন্তু তার উল্টা হচ্ছে কেন? বাড়তি মানুষ গুলো কোথা থেকে জন্ম নিচ্ছে? কিছু প্রশ্ন রইল
.
১। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে ছিল? এবং
২। তিনি তার আগের জন্মে কি করেছিল?
৩। ধরে নিলাম যারা মুখ্য লাভ করেছে তারা এই জন্ম মৃত্যু চক্র থেকে বেঁচে গেল এবং স্বর্গে চলে গেল কিন্তু যারা জানোয়ার হয়ে রইল তারা তো মানুষ হবার সুযোগ নেই তারা পাপি তাদের স্থান কোথায়? হিন্দু কিতাবে স্বর্গ নরক দুটই আছে কিন্তু পুনরজন্ম অনুযায়ী মানুষ মুখ্য লাভ করলে স্বর্গে যাবে যারা মুখ্য লাভ করবে না পশু হয়ে থাকবে তারা নরকে যাবে না? নরক কই?
৪। পৃথিবীতে এত পশু এত জানোয়ার শিয়াল, কুকুর এরা পথেঘাটে থাকে কেন? আপনারা এদের আগলে রাখেন না কেন? এরা তো আপনাদের আপনজন।
.
=================================
পবিত্র আত্মা কি আদৌ সেন্ট পৌলকে বাইবেলের নতুন নিয়মের ১৩ অধ্যায় লিখতে সাহায্য করেছিল?...
*************************************
বাইবেলের নতুন নিয়মের ২৭ টা অধ্যায়ের মধ্যে সেন্ট পৌলের লিখা ১৩ টা অধ্যায়।।
যদিও যীশু কখনই সেন্ট পৌলকে নির্দেশ দেন নি,ঐ ১৩ অধ্যায় লিখতে...
*************************************
🌍অাব্রাহামের পুএ সংখ্যা কতটি?..
✌✌✌সেন্ট পৌল বলেছে...
গালাতীয় - অধ্যায় 4 - 22
"" শাস্ত্র বলছে যে অব্রাহামের দুটি পুত্র ছিল- একটি পুত্রের মা ছিল দাসী - অপর পুত্রের মা ছিল স্বাধীন স্ত্রী৷""
********😰😰😰
✌✌✌বাইবেলের পুরাতন নিয়ম বলছে....
♦অাদি পুস্তুক ২১:১-৯ অব্রাহামের স্ত্রী সারা + উপপত্নী হাগার এক এক পুএের জন্ম দিয়েছিলেন,অর্থাৎ মোট দুইটি(২) পুএ,ইসহাক +ইসমাইল""
♦বংশাবলি ১ - অধ্যায় 1 - 32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরা- ছয়(৬) পুএের জন্ম দিয়েছিলেন..
*************************************
🔔খ্রিষ্টান দের কাছে প্রশ্ন,কে সঠিক,
সেন্ট পৌল "না" বাইবেলের পুরাতন নিয়ম?..
🔔অাব্রাহামের ২ টা পুএ ছিল "না" ৮ টা পুএ ছিল?
==============================================
পবিত্র কোরআন এবং হাদীসের খণ্ডিত অংশ দিয়ে ইসলামকে আঘাত করাটা নাস্তিক এবং ইসলাম-বিদ্বেষীদের অনেক পুরোনো অভ্যাস।আজ একজন হিন্দু অথবা হিন্দু নামধারী বলেছে “পবিত্র কোরআন স্ত্রীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করে ভোগ্যপণ্য করে ফেলেছে”।আমি সেই হিন্দু অথবা হিন্দু নামধারীকে জবাব দিচ্ছিঃ
যখন পবিত্র কোরআনের কোন আয়াতের ব্যাখা করা হবে তখন সেই আয়াতের আশেপাশের আয়াতগুলোও দেখতে হবে।এমনও দেখা গেছে যে এক সূরার আয়াতের ব্যাখা অন্য সূরাতে পাওয়া যায়।সূরা আল বাকারার যে আয়াতে স্ত্রী’কে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে তার আগের কয়েকটি আয়াতের অর্থ পড়লে আপনারা জানতে পারবেন সেখানে নারীদের প্রাকৃতিক সমস্যা হায়েজ এর কথা বলা হয়েছে।হায়েজ চলাকালীন সময়ে স্ত্রী’র কাছে যাওয়া স্বামী’র জন্য নিষেধ।কিন্তু যখনই হায়েজ শেষ হয়ে যাবে তখন স্বামী তার স্ত্রী’র কাছে নিজস্ব শস্যক্ষেত্রের মতো যেতে পারবে।হায়েজ সংক্রান্ত কারণে স্ত্রী’র প্রতি স্বামীর অরুচি অথবা বিরক্তি লাগতে পারে।অরুচি বা বিরক্তি যেন না ঘটে সে কারণে স্ত্রী’কে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা তুলনা করা হয়েছে।আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছিঃমা যখন কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন তখন সন্তান যদি তার কাজে বিরক্ত করে তখন মা অনিচ্ছা সত্বেও তার সন্তানকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।কিন্তু যখনই কাজ শেষ হয় তখন সন্তানকে মা বুকে টেনে নেন।স্ত্রী’কে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করার কারণ এ রকমই।
আমি সেই হিন্দু অথবা হিন্দু নামধারীকে বলছি “রাজা রামমোহন রায়,লর্ড উইলিয়াম বেন্টিক,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং লর্ড ডালহৌসি হিন্দু ধর্মের কিছু সংস্কার করেছিলেন বলেই আজ আপনি কথা বলতে পারছেন।আপনার প্রতি আমার অনুরোধ,আপনি আগে নিজ ধর্মকে ভালমতো জানুন”।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।আমীন।
বিঃদ্রঃ টাইপিং মিসটেক কথার অর্থ বদলে দিতে পারে।টাইপিং মিসটেককে পুঁজি করে কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করবেন না।যদি কেউ করে তবে সে নিজের দূর্বলতা স্বীকার করবে।টাইপিং মিসটেক সংশোধনের পরামর্শ দেবেন।
=================================================
- পবিত্র কোরআনে তারকা বিজ্ঞান-
(ASTRONOMY IN THE HOLY QURAN)
সূধী পাঠক, মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রচলিত ইতিহাস খুবই প্রাচীণ, এর জানা প্রকৃত ইতিহাস আজও মানুষের ভাল জানা নেই; প্রাপ্ত ইতিহাস থেকে যতটা বুঝা যায় তাতে মনে হয়; মস্তিস্কে চিন্তাধারার অগ্রযাত্রায় মানুষ মহাজাগতিক বস্তু নিলয়কে তাদের মনের মত করে নানাভাবে নানা কাঠামো দাঁড় করিয়েছে; বাহ্যিক দৃষ্টি থেকে প্রাপ্ত ধারণার উপর বিত্তি করে প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা পৃথিবী কেন্দ্রিক এক মহাকাশের চিন্তা পোষণ করতেন; তাদের গ্রহ পরিচিতি জানা চিল, মনে করতেন আকাশে পাঁচটি গ্রহ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ায়। অন্যান্য তারা গুলোকে স্থীর অবস্থানে স্বর্গীয় প্রদীপ মনে করতেন। দৈনন্দিন দৃশ্যপট থেকে তাদেরও ধারণা হয়েছিলযে, ঝুলন্ত প্রদীপ গুলোকে নিয়ে আকাশ নামক গোলকটি প্রতিদিন রাতে পশ্চিম থেকে ঘুরে এসে পূবের আকাশে সাকাল বেলায় উদিত হয় দিন শেষে আবার পশ্চিম আকাশে অস্ত যায়, সূর্যো তাদের দল নেতা; এভাবেই চলে মহাকাশের সকল বস্তু। তারাগুলো আমাদের বায়ু মণ্ডলে মেঘের উপরে ঝূলন্ত অবস্থায় থাকে। গণিতবিদ পিথাঘোরাস সর্ব প্রথম পৃথিবী কেন্দ্রীক এই ধারণা দিয়েছিলেন। দার্শনিক এরিষ্টোটলও এই ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন। খৃষ্ট জন্মের প্রায় শত বর্ষ পূর্বে গ্রীক দার্শনিক টলেমি এই ধারণাকেই পাকা পোক্ত করে দিলেন। খৃষ্ট জন্মের পরেও প্রায় হাজার বছর ধরে এই ধারণাই মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে রইল। অনেকের বিরোধীতার পরেও ১৪০০ সাল পর্যোন্ত টলেমীর পাকা করে দেওয়া প্রস্তাবই মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে রইল। শুধু গ্রীক নয় সারা পৃথিবীর মানুষের কাশে এই পৃথিবী কেন্দ্রীক আকাশই পরিচিত হয়ে রইল। ১৫৪৩ সালে বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস জিওসেন্ট্রিক বা পৃথিবী কেন্দ্রীক ব্যবস্থার বিরোধীতা করে বললেন সৌর ব্যবস্থার কেন্দ্রে স্থির সর্যো রাজকীয় সিংহাসনে বসে তার চারিদিকের গ্রহ সদস্যদের নিয়ন্ত্রন করে। এই তত্ত্বটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে রইল। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানীদের মনে ধারণা জন্মাতে লাগল যে, আকাশে কোটী কোটী তারার সমাবেশ রয়েছে আর এরা আমাদের পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। ১৬০৯ সালে গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিস্কারের ফলে বিজ্ঞান জগতে ঝড় উঠল, আর বিজ্ঞানীদের মনে ধারণা পাল্টাতে লাগল। দূরবীণ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মহাকাশ পর্যোবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা বললেন আমাদের সৌর জগৎ্কে বিশাল ব্যাপ্তির তারা দলেরই একাংশ। তারা এই তারাদলেল নাম দিলেন ছায়াপথ। তাদের ধারণা হল আমাদের এই ছায়াপথ নিয়েই সমগ্র মহাবিশ্ব ব্যাপৃত। অনেক চিন্তাশীলরাই মহাকাশ নিয়ে ভাবতে লাগলেন, চিন্তার পথধরে ধীরে ধীরে মহাকাশে উদ্ভাসিত হতে লাগলো তারার জগৎ। সময়ের অগ্রযাত্রায় বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে হাবল টোলিস্কোপ আবিস্কৃত হওয়ার পর মহাকাশের চিত্র পাল্টে যেতে লাগল, আবিস্কৃত হতে লাগল কোটি কোটি তারা আর অসংখ্য ছায়াপথ। নতুন করে চিত্রায়িত করতে হল আমাদের মহাবিশ্বকে।
বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন দাঁড়াল- আমাদের এই মহাবিশ্ব কি করে সৃষ্টিতে এল? যদিও এ প্রশ্ন প্রাচীন কালের, তথাপি কারও কাছেই এর সঠিক জবাব পাওয়া গেলনা, নানা মুণি নানা মতবাদ দিতে লাগলেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণাও চলতে লাগল নিরন্তর। অবশেষে বিংশ মতাব্দীর শেষের দিকে এসে বিজ্ঞানীরা একমত হলেন যে, আমাদের মহাবিশ্ব প্রায় ১৫০০ কোটি বছর আগে যখন কোন কিছুই ছিলনা তখন কোন এক মহাবিস্ফোরণ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই কোন কিছুই ছিলনা বলতে যা বুঝায় তা হল – ছিলনা সময়, না ছিল কোন শূণ্য স্থান, এমনকি মহাজাগতিক বস্তু নিলয় সৃষ্টির কোন রসদও মজুদ ছিলনা।এমন একটা অবস্থায় শক্তির ঘণায়ন থেকে ঘটে মহাবিস্ফোরণ আর সেই বিস্ফোরণ তেকে বিচ্ছুরিত শক্তি ধীরে ধীরে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তৈরী হয়েছে পদার্থ; যা আজকের মহাকাশ জুড়ে রয়েছে প্রদীপমালা রূপে। বিজ্ঞানীদের এই ধারণা বেশ সমাদৃত হয়ে উঠে। তবে তারা এই শক্তির ঘণায়নের উৎস সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি, শুধু মাত্র তার উপস্থিতিকে মেনে নিয়েচে। বস্তুবাদীরা এই তত্ত্বকে মেনে না নিলেও বক্তব্য বিষয় অধিকাংশ ভাবুকদেরই মনে ধরেছে তাই এই মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাঙ তত্ত্ব আজও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে রয়েছে।
সূধী পাঠক বিজ্ঞানীদের ধারণায় এই সৃষ্টি প্রকিয়া ও তার বিবর্তন অনেক জটিল বিষয় ও দীর্ঘ মেয়াদী। সে যাই হোক, সৃষ্টি প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ আমাদের লক্ষ্য নয়, আমরা দেখবো বিজ্ঞানের এ সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোন আলোকপাত করা হয়েছে কি না! অর্থাৎ মহাবিকাশ সৃষ্টি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে কি বলেছেন। পবিত্র কোরআন দ্বারা বিজ্ঞানকে অনুমোদন করানো বা পবিত্র কোরআনকে বিজ্ঞান গ্রন্থ প্রমাণ করা নয়। আমাদের মৌলিক লক্ষ্য হল পবিত্র কোরআনের অলৌকিকতা প্রমান করা। কালন অবিশ্বাসীরা বলে থাকেন যে, এই গ্রন্থটি নবী মোহাম্মদ কর্তৃক রচিত।
সূধী পাঠক এবার আমরা দেখব মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে মহাকাশ সৃষ্টি প্রসঙ্গে কি বলেছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ ন বলছেন,
ﻭَﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﺑَﻨَﻴْﻨَﺎﻫَﺎ ﺑِﺄَﻳْﺪٍ ﻭَﺇِﻧَّﺎ ﻟَﻤُﻮﺳِﻌُﻮﻥَ
৫১:৪৭ আমি অসীম শক্তিদ্বার আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ইহার সম্প্রসারক। সূরা- আয যারিয়াত
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻳَﻮْﻡَ ﻳُﻨﻔَﺦُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼُّﻮَﺭِ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒِﻴﺮُ
৬:৭৩ তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেনঃ হয়ে যা, অতঃপর হয়ে যাবে। তাঁর কথা সত্য। যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে, সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে। তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। -আল আনাম
ﺃَﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛَﺎﻧَﺘَﺎ ﺭَﺗْﻘًﺎ ﻓَﻔَﺘَﻘْﻨَﺎﻫُﻤَﺎ ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﻛُﻞَّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺣَﻲٍّ ﺃَﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ
২১:৩০ কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? – সূরা আম্বিয়া
সূধী পাঠক উপরের উদ্ধৃত ৫১:৪৭ ও ২১:৩০ আয়াত দুটির দিকে লক্ষ্য করুন কি বলছেন মহান আল্লাহ্? হুবহু বিজ্ঞানীদের উক্তি যা আজকের বিজ্ঞান সবেমাত্র আবিস্কার করেছে, অথচ মহান আল্লাহ্ তা বর্ণনা করেছেন প্রায় ১৫০০ বছর আগে ( সুবাহানাল্লাহ)
===========================================================================
পবিত্র কোরআনে তিন অক্ষরের ব্যাপকতা।
মজিবুর রহমান খোকা, লসএঞ্জেলস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে: হঠাৎ হঠাৎ কিছু সাধারণ বিষয় মানুষকে অকারণে অতি উৎসাহীত করে তোলে। আমি সেই প্রকৃতির একজন। ক'দিন থেকে মাথায় ভেতর তোলপাড় করছে আরবী ভাষায় ৩ অক্ষরের প্রাবল্য দেখে। কৈশোর থেকে জানতাম, পবিত্র কুরআনে ৩ (ছালাছা) অক্ষরের কয়েকটি শব্দ আছে যার অর্থ দুর্জ্ঞেয়। একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এর মাহাত্ম্য জানেন না। যেমন : আলিফ-লাম-মীম, আলীফ-লাম-রা, আলিফ-লাম-ছোয়াদ, কা-ফ হা-ইয়া-আইন ছোয়াদ, ত্বা-সীন, ত্বাহা, হামীম, ইয়াছিন প্রভৃতি।
সম্প্রতি ৩ অক্ষরে আরবী কি কি শব্দ আছে তা স্মরণ করার চেষ্টা করলাম। বিস্মিত হলাম দেখে যে, শত শত শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যে এমন কিছু শব্দ আছে যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত স্মরণ করে থাকি।
মহান আল্লাহ-তায়ালা কেন ৩ অক্ষরকে প্রাধান্য দিয়েছেন সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। আমাদের আলেম-ওলামাদের কাছ থেকে কখনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে শুনিনি। হয়তো এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে কিন্তু আমরা তা জানি না। মহান আল্লাহ নিশ্চয় অকারণে এভাবে শব্দগুলো ৩ অক্ষর দিয়ে তৈরী করেননি! এসব বৈশিষ্টপূর্ণ শব্দের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বাংলা হরফে তুলে ধরছি:-
আল্লা (বিশালার্থে আল্লাহু), হাকিম, মা'বুদ, মালিক, খালিক, কারিম, রাহিম, জাব্বার, আজিজ, গফুর, মুহাম্মদ, রাসুল, ইমাম, বিছমি (বিছমিল্লাহ), ফাতিহা, কিবলা, সিজদা, কালিমা, আযান, সালাত, সিয়াম, জাকাত, হজ্জ্ব, কুরইআ (ব্যাপক অর্থে কুরআন), নিয়াত, ফারজ, লাইলি, নাহার, আরদ্ব্ (পৃথিবী), দুনিয়া, জামিন, কিতাব, সালাম, সামছ্ (সূর্য), কামর (চন্দ্র), হায়াত, ময়ুত, হালাল, হারাম, গুনাহ, সিদ্দিক (বিশ্বাসী), শুহাদা (শহীদ), ছাহাবা, তাওবা, ক্বদর, কবর, হাশর, কিয়াম, আরাফা, জান্নাত, আমীন প্রভৃতি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ শব্দ আছে ৩ অক্ষর দিয়ে।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নামসমূহ। চুল থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত দুটি/তিনটি ছাড়া প্রতিটির নাম ৩ অক্ষরে সৃষ্ট। বাংলা ভাষা বা অন্যকোনো ভাষায় এ সব নামের এক বা একাধিক অক্ষর থাকে কিন্তু আরবীর ক্ষেত্রে অনধিক ৩ অক্ষর। যেমন :
জিছম = শরীর, রা'আছ = মাথা, শা'য়ার = চুল, জাবহা = কপাল, হাজীব = ভ্রু, আঈন = চোখ, জিফিন = চোখের পাতা, রিমিশ = চোখের পাতার পাপড়ি, আনফ্ = নাক, উজন = কান, শাবিব = গোঁফ, ফাম = মুখ, শিফাহ = ঠোঁট, সিন = দাঁত, লিসান = জিহবা, খাদদুন = গাল/চোয়াল, জাকন = থুতনী, আহইয়া = দাড়ি, ওয়াজহ্ = মুখমণ্ডল, রাকাবা = গলা, হানাজা = কণ্ঠনালী, কাতিফ্ = কাঁধ, ছাদর = বুক, ছাদইয়ূন = স্তন, জিরা'আ = হাত (সম্পূর্ণ), খানুদ = বাহু, মারফিক = কনুই, মায়াছম = কব্জী, ইয়াদ = পাঞ্জা, কফফ = করতল, বাততন = পেট, আনাহু = তলপেট, ছুররাত = নাভী, ফারজু = গুপ্তাঙ্গ, দা'হার = পৃষ্ঠদেশ, ই'রক্ = পশ্চাতদেশ, ছা'য়াক = পা (সম্পূর্ণ), ফাখজুন = পা (রান থেকে হাঁটু), রুকবাহ = হাঁটু, সাক্কুন = (হাঁটুর নিচ অংশ), কাহাল = গোড়ালী, কাদম = পায়ের পাতা, উছবায়া = হাত-পায়ের আঙুল, তিফার = হাত-পায়ের নখ।
মহান আল্লাহ নিরাকার। কিন্তু তাঁর অস্তিত্ব সর্বত্র বিরাজমান। তাঁর নামের অক্ষর ৩টি। তিনি মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন ৩ অক্ষর আবর্তে। এতে কি প্রমাণিত হয় না যে, মানবদেহে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রবাহমান। তিনি তো আদমকে মাটি দ্বারা সৃষ্টির পর তাঁর রুহানী ফুঁ দিয়ে আত্মা দান করেছেন।
আমরা মানব সন্তানরা মহান আল্লাহর অনেক সহজ বিষয় বুঝতে পারি না। তিনি আমাদের এত নৈকট্যে থাকার পরও আমরা তাঁকে অনুভব করতে পারি না। এবাদতে বা ধ্যানে মন বসাতে পারি না। গর্হিত এবং অনৈতিক কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে পারি না।
====================

No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.