Visitors

Tuesday, 3 September 2019

অজানা-অদৃশ্য বিষয়ের উপর কি আছে ?



নাস্তিকদের হাস্যকর যুক্তি...
বর্তমান বিশ্বের সব চেয়ে বড় বিজ্ঞানী হল Stephen Hawking.।।উনি একবার বলেছিলেন,সৃষ্টকর্তা থাকলেও থাকতে পারে।।কিন্তু তিনি একজন নাস্তিক।।
যদিও বিজ্ঞান দ্বারা স্রষ্টার ধারনা অপ্রমানিত করা যায় না এবং বিজ্ঞান শুধুমাএ সৃষ্টির রহস্য বা প্রক্রিয়া মাএ ৪% অাবিষ্কার করেছে।।
♦যাক হোক,নাস্তিকরা হাস্যকর দাবী করে,তা হল ""যদি Stephen Hawking মত বিজ্ঞানীরা জাহান্নামে যায়, তাহলে তারা জাহান্নামকে ওলট পালট করে পেলবে""...♦
কিন্তু দেখুন,Stephen Hawking এত বড় বিজ্ঞানী হওয়ার পরেও, নিজে বিশাল এক অসুস্থতায় ভুগছেন।।
বিশ্বের সব বিজ্ঞানী, ডাক্তার মিলেও তাকে সুস্থ করতে পারছেন না।।।
♦♦যে সৃষ্টি কর্তা Stephen Hawking এর মত বিজ্ঞানীকে এই দুনিযাতে অাটকে দিতে পারেন,সে সৃষ্টিকর্তা Hawking এর মৃত্যুর পর কেন তাকে অাটকাতে পারবেন না।।??♦♦
বি দ্রঃ কেউ Stephen Hawking কে নিয়ে খারাফ মন্তব্য করবেন না।।।
===================
#আল-কোরআন VS Science.
বিজ্ঞানীরা বলছেন আত্নার অস্তিত্ব এখন প্রমাণিত ।
দুজন পৃথিবী বিখ্যাত কোয়ান্টাম বিজ্ঞানী বলছেন যে, উনারা আত্নার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবেন ।
American Dr Stuart Hameroff and British physicist Sir Roger Penrose মানুষের সচেতনতার একটি কোয়ান্টাম থিউরী দাড় করিয়েছেন যার মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে যে, আমাদের মস্তিস্কের কোষ সমূহের মধ্যে microtubules নামের যে কাঠামো আছে তার মধ্যে আত্না অবস্থান করে ।
মানুষের মস্তিস্ক মূলতঃ একটি জৈবিক কম্পিউটার যা ১০০ বিলিয়ন নিউরনের নেটওয়ার্ক দিয়ে গঠিত যার মধ্য দিয়ে তথ্য প্রবাহিত হয় ।
Dr Hameroff, Professor Emeritus at the Departments of Anesthesiology and Psychology and Director of the Centre of Consciousness Studies at the University of Arizona, and Sir Roger have been working on the theory since .
তারা মতামত দেন যে, আমরা যে সচেতন থাকি
তা মূলতঃ মস্তিস্কের microtubules মধ্যে কোয়ান্টাম মধ্যকর্ষণের ফল (result of quantum gravity effects inside these microtubules) ।
যে কারো মৃত্যু নিকটবর্তী অভিজ্ঞতায় মস্তিস্কে microtubules এ কোয়ান্টাম আকর্ষণ হারায় বা তথ্যের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় কিন্তু তার মানে এই না যে তথ্য হারিয়ে যায় । খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে বলা যায়, আত্নার মৃত্যু হয় না বরং তা মহাবিশ্বে ফিরে যায় ।
Dr Hameroff আমেরিকার সায়েন্স চ্যানেলের ডকুমেন্টারী Through the Wormhole এই থিওরির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
The quantum soul theory is now trending worldwide.
“Let’s say the heart stops beating, the blood stops flowing, the microtubules lose their quantum state,” Dr Hameroff said.
Dr Hameroff বলেন, ধরা যাক হার্ট এর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল, রক্ত চলাচল থেমে গেল এবং microtubules তার কোয়ান্টাম অস্তিস্ত্ব হারাল ।
এখন microtubules যে তথ্য ছিলো তা হারিয়ে বা ধ্বংস হয়ে যায়নি, ধ্বংস হয়ে যেতে পারেনা বরং এটা এখান থেকে সরে যায় এবং মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক স্কেলে ।
যদি রোগীর অবস্হা পরিবর্তিত হয় , হার্ট আবার চলা শুরু করে তাহলে এই কোয়ান্টাম তথ্য যা সরে গিয়েছিলো তা আবার ফিরে আসে microtubules এ এবং রোগী জেগে ওঠে বলে যে, আমার মত্যুর নিকটবর্তী অভিজ্ঞতা (near death experience) হয়েছে ।
আর যদি রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে এটা সম্ভব যে, আত্না হিসেবে – এই কোয়ান্টাম তথ্য শরীরের বাইরে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অবস্থান করতে পারে ।
এবার আসুন দেখি কুরআন কি বলেঃ
বিজ্ঞানীরা এখন হয়তো আত্না সম্মন্ধে আস্তে আস্তে জানতে পারছেন । আল-কুরআনে আল্লাহ পাক মানুষকে আগে থেকেই আত্নার কথা বলেছেন এবং মানুষের শেষ পরিণতি সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন ।
‘সেদিন (বিচার দিবস) প্রত্যেক আত্নাই যা কিছু সে ভাল কাজ করেছে; চোখের সামনে দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ করেছে তাও, ওরা তখন কামনা করবে, যদি তার এবং এসব কর্মের মধ্যে ব্যবধান দুরের হতো! ‘- (৩/৩০)
‘যেদিন প্রত্যেক আত্নাই আত্ন-সমর্থনে সওয়াল জওয়াব করতে করতে আসবে এবং প্রত্যেক আত্নাই তাদের কৃতকর্মের পূর্ণ ফল পাবে এবং তাদের উপর জুলুম করা হবে না।'(১৬/১১১)
‘আল্লাহ মানুষের আত্না হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার আত্না ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে’ । (৩৯/৪২)
এই আয়াতে আল্লাহ পরিস্কার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন যে এখানে আল্লাহ এমন কিছু বলেছেন যা চিন্তাশীল তথা গবেষক লোকদের জন্য গবেষণা করার উপাদান দিয়েছেন । আল্লাহর এমন ইঙ্গিত কুরআনের অনেক স্হানেই রয়েছে ।
‘হে প্রশান্ত আত্না ! তুমি তোমার পালন কর্তার নিকট ফিরে আসো সন্তুষ্ট এবং সন্তোষভাজন হয়ে । অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তঃভূক্ত হয়ে যাও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর ।'(৮৯/২৭-৩০)
‘তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।'(১৭/৮৫)
এই আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে, রুহ বা আত্না আল্লাহর এক প্রকার আদেশ এবং মানুষকে এই বিষয়ে খুবই কম জ্ঞান দান করা হয়েছে । সুতরাং এটা ধারণা করা যেতে পারে যে, মানুষ এই আত্না সম্পর্কে বেশী কিছু জানেনা এবং জানতে পারবেনা । কারণ , স্রষ্টা মানুষকে এ সম্পর্কে বেশী কিছু জানার তৌফিক বা ক্ষমতা দেন নি ।
‘তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।’ (সূরা ইয়াসিন/৮২)
সুতরাং আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা হলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সর্ব শক্তিমান এবং সর্ব জ্ঞানী । তিনি কোন কিছু করতে চাইলে শুধু হুকুম করেন যে হয়ে যাও, অমনি তা সৃষ্টি হয়ে যায় । সুতরাং সমস্ত সৃষ্টি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর এক প্রকার হুকুম বা আদেশ । ইংরেজী বলা যায় Instructions.
সৃষ্টির সব কিছুই বোধহয় আল্লাহর Instructions বা হুকুম । অনেকটা কম্পিউটারের সফটওয়্যারের কোডের মত । আল্লাহ ভালো জানেন ।
======================
#বিজ্ঞানের কুফল পর্ব - ১।
বিজ্ঞান দিয়ে সব কিছুর পরিমাপ করতে গিয়ে মানুষ আজ তার আপন সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে অনেক দূরে চলে গেছে । একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন , ১৪০০ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞানের রাজত্য মুসলিমদের ছিল । তারা সেগুলোই আবিষ্কার করে গেছে যা মানুষের শুধু কল্যানেনে দিতে পারে ।তারা শল্য চিকিৎসা, গনিত শাস্ত্র , রসায়ন , ভুগল ,জ্যোতির্বিদ্যা , ইত্যাদি প্রথম মানব কল্যানে ব্যাবহার করেছে, তারা তাদের লিমিট পার করেনি কারন তারা ছিল পবিত্র কোরআন এর ছাত্র । তারা জানত আল্লাহ সীমালঙ্ঘন করা উচিৎ নয় । তারপর মুসলইমরা ভোগ বিলাশে মত্ত হয়ে গেল এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের লেখা ইউরোপ নিয়ে গেল । আমার কথা বিশ্বাস না হলে ইবনে নাফিস আর উইলিয়াম হার্ভের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করুন ,তাও যদি না পান তবে উইকিপিডিয়া গিয়ে মুসলিম সাইন্টিশট বলে সার্স দিন। লিখতে বসলে অনেক প্রসংগ মাথায় চলে আসে । এবার আসা যাক আধুনিক বিজ্ঞানের কুফলের কথায় । হার্ট অপারেশন্থেকে শুরু করে পৃঠিবীর ম্যাপ প্রথম
মুসলিমরাই আবিষ্কার করে । যা কিছু সব মানব কল্যানের জন্যে ছিল । ১৮ শতাব্দি থেকে
আধুনিক বিজ্ঞানের যুগ বলে বিবেচনা করা হয় । এই যুগের থেকেই শুরু হয়েছে বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংস লিলা । পরবর্তি পর্বে ইনশাল্লাহ বিজ্ঞানের কুফল নিয়ে আরো লেখা হবে ।
======================
কেউ কেউ বলেন – ‘বিজ্ঞান আজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে’। আমার মনে হয়, এভাবে না বলে আমাদের বলা উচিত – ‘বিজ্ঞান আজো অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে’।
কেন এ কথা বলেছি? একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
কোর’আনের শুরুতেই বলা হয়েছে – যারা ‘অজানা’ বা ‘গায়েব’কে বিশ্বাস করে, তাঁরা সফল।
কিন্তু, সেকেলে উগ্র-মূর্খ বিজ্ঞানীরা বলতেন, ‘আরে বেটা, বিশ্বজগতে অজানা-অদৃশ্য বলে কিছুই নেই; সব-ই তো আমাদের জানা, সবই তো আমাদের দেখা। তোরা কি-সব অদৃশ্য বেহেস্ত-দোজখ-জিন-ফেরেশতার কথা বলছিস? এসব এখন রাখ, এখন বিজ্ঞানের যুগ। আমরা তোদের ঐ-সব অদৃশ্য জগত বিশ্বাস করি না’।
এরপর, ঐসব মূর্খ বিজ্ঞানীদের পাল্লায় পড়ে আমাদের বাঙালি কবি-সাহিত্যিকরাও তখন লিখতে শুরু করলেন –
“উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন ,পরী, দেও, দানা।”
---সুফিয়া কামাল, আজিকার শিশু।
কিন্তু, কয়দিন আগে ঘটলো ভিন্ন ঘটনা – এসব মূর্খ-বিজ্ঞানীদের হুঁশ ফিরে আসতে শুরু করলো। তারা তাদের আশেপাশের ঘুমন্ত বিজ্ঞানীদের জাগাতে শুরু করলেন। এবং বললেন – ‘আরে... আরে... শুনছ...? তোমরা তো এ বিশ্ব জগত সম্পর্ক কিছুই জানো না’।
ঘুম থেকে উঠে তখন মূর্খ-বিজ্ঞানীরা বলতে শুরু করলেন – ‘আরে, হয়েছে কি? খুলে বল’।
তখন, নাসা (National Aeronautics and Space Administration) বিজ্ঞানীদের থেকে একটি আওয়াজ আসলো –
‘হে ঘুমন্ত-মূর্খ-বিজ্ঞানীদের দল! মনোযোগ দিয়ে শুন, এ বিশ্বজগত সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু জানি, যা কিছু অনুভব করতে পারি, যা কিছু আমাদের বিজ্ঞানাগারে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারি, এবং যা কিছু আমাদের শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে অনুমান করতে পারি, এগুলো সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বজগতের ৫% -ও জানা যায় না। বিশ্বজগতের বাকি ৯৫% -এর বেশি কিছু আমাদের ‘অজানা-অদৃশ্য’ বা ‘গায়েব’।
আওয়াজ থামলো না। বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীদেরকে উপদেশ দিয়ে নাসা বিজ্ঞানীরা বললেন –
“এগুলো সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না, কিন্তু এগুলোকে বিশ্বাস না করলে আমাদের বিজ্ঞান আর সামনে যেতে পারছে না, আমাদের সূত্র ও হিসাব মিলছে না। তাই তোমরা আজ থেকে এই ‘অদৃশ্য বস্তু’ ও ‘অজানা শক্তি’কে বিশ্বাস করতে হবে।’
উপরের কথাগুলো পড়ে আপনার হয়তো মনে হতে পারে – “ছেলেটা আবোলতাবোল কি-সব লিখছে, আমাদের সময় নষ্ট করছে।”
আসলে দেখুন, আমি কিন্তু নিজ থেকে একটা কথাও লিখছি না। কমেন্টে, NASA সহ বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও ইউটিউবের লিঙ্ক দিচ্ছি। আপনারা নিজেরাই পড়তে পারেন এবং দেখে নিতে পারেন।
নাসা আমাদেরকে জানাচ্ছে –
“The standard model of cosmology indicates that the total mass–energy of the universe contains 4.9% ordinary matter, 26.8% dark matter and 68.3% dark energy. Thus, dark matter constitutes 84.5% of total mass, while dark energy plus dark matter constitute 95.1% of total mass–energy content.”
অর্থাৎ, বিশ্বজগতের যত বস্তু ও শক্তিকে আমরা জানতে পারি, তার পরিমাণ হলো আনুমানিক ৪.৯%। এর বাইরে, বিশ্বজগতের ৯৫.১% সম্পর্কে আমরা কোনো কিছুই জানতে পারছি না। আমাদের বিশ্বজগতের এই অজানা-অদৃশ্য বস্তুগুলোকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন – ‘ডার্ক ম্যাটার’ বা ‘গুপ্ত পদার্থ’। এবং এই অজানা শক্তিকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন – ‘ডার্ক এনার্জি বা ‘অদৃশ্য শক্তি’।
তাহলে, ‘ডার্ক ম্যাটার’ এবং ‘ডার্ক এনার্জি’ কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে, নাসার বিজ্ঞানীরা বড় করে লিখে দিয়েছেন –
‘More is unknown than is known. No one expected this, no one knew how to explain it. But something was causing it. It is a complete mystery. But it is an important mystery.
অর্থাৎ, আমাদের জানার চেয়েও অজানা অনেক বেশি। ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ‘ডার্ক এনার্জি’ কি? পৃথিবীতে কেউ এটা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারছে না। কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে, আমরা কেউ এ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছি না। এটা সম্পূর্ণ একটা রহস্য। এবং এই রহস্য আমাদের বিশ্বজগতের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এখন তাহলে প্রশ্ন হলো, বিজ্ঞানীদেরকে কেন এই ‘অদৃশ্য বস্তু’ এবং ‘অজানা শক্তি’কে বিশ্বাস করতে হবে? বিশ্বাস না করলে কি হবে?
এ প্রশ্ন আমাদের দেশীয়-মূর্খ বিজ্ঞানীরা হয়তো করতেই পারেন। তাই দু’একটি কারণ উল্লেখ করছি।
১ – অদৃশ্য বস্তুগুলোকে বিশ্বাস করার কারণ।
এই যে আপনি এই লেখাটা পড়ছেন, এটা একটা তরঙ্গের মাধ্যমে গিয়ে আপনার কাছে পোঁছে। বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এই তরঙ্গকে এক ধরণের অদৃশ্য বস্তু প্রভাবিত করছে। এই বস্তুগুলো একটি পরমাণুর চেয়েও ছোট। এত ছোট যে, কোনো পরীক্ষাগারেও দেখা সম্ভব না। এদের পরিমাণ হলো বিশ্বজগতের ২৭%।
অর্থাৎ, সগর-নদী, পাহাড়-পর্বত, গাছ-পালা, পৃথিবী, গ্রহ-তারা, নক্ষত্র সহ বিশ্বের যা কিছু আমরা দেখতে পারি বা অনুমান করতে পারি তার পরিমাণ বিশ্বজগতের মোট বস্তুর ৫% এর চেয়েও কম। কিন্তু আমাদের আশেপাশে বিশ্বজগতে অদৃশ্য বস্তুর পরিমাণ ২৭%, যা কোনোভাবেই দেখা সম্ভব হবে না। কারণ, এ বস্তুগুলোর এক্স-রে ধরা পড়ে না। তাই, বিজ্ঞানকে এগিয়ে যেতে হলে এগুলোকে বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় নাই।
২ – অজানা শক্তিকে বিশ্বাস করার কারণ।
ঘটনার শুরু ১৬৮৭ সালে। আপনারা জানেন, নিউটন নামের এক ভদ্রলোক ছিলেন। বিজ্ঞানী। তো, হঠাৎ গাছ থেকে আপেল পড়া দেখে তিনি একটা সূত্র আবিষ্কার করে ফেললেন। যার নাম দিলেন – ‘মাধ্যাকর্ষণ শক্তি’। এ সূত্র দিয়ে তিনি বলতে চাইলেন যে, এ মহাবিশ্বে যা কিছু আছে, সবাই একে অপরকে আকর্ষণ করছে। বস্তুসমূহ একে অপরের যত কাছে আসে, আকর্ষণ তত বাড়ে; যত দূরে যায়, আকর্ষণ তত কমে।
নিউটন যখন এই সূত্র দিয়েছিলেন, তখন পৃথিবীতে বিশাল হইচই পড়ে গেল। সব বিজ্ঞানী ‘পাইলামরে... পাইলামরে...’ বলে চিৎকার শুরু করলেন। কিন্তু, গত ক’বছর আগে, ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানী আবার বলতে লাগলেন, “আরে... সব শেষ হয়ে গেল রে... নিউটন তো আমাদেরকে ভুয়া সূত্র দিলো রে...।”
ঘটনাটা এবার বিস্তারিত বলছি।
১৯৯০ সালে বিজ্ঞানীরা জানলেন যে, আমাদের বিশ্বজগত দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তো, নিউটন ও আইনস্টাইনের সূত্র মতে, কোনো এক নক্ষত্র থেকে অন্য একটি নক্ষত্র দূরে সরে গেলে তাদের মাঝে আকর্ষণ কমে যাওয়ার কথা। এবং এভাবে আস্তে আস্তে উভয়ের আকর্ষণ শেষ হয়ে গিয়ে গতি কমে যাওয়ার কথা।
কিন্তু সম্প্রতি নাসা বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে, দুটি নক্ষত্র যত দূরে যাচ্ছে, তত তাদের গতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সুতরাং, নিউটনের ৩০০ বছরের সেই পুরানো সূত্র এখন ভুল প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং, বিজ্ঞানীদেরকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হলো যে, আসলে অভিকর্ষ শক্তির বাইরে অনেক অজানা-অদৃশ্য শক্তি আছে। বিশ্বজগতের মোট শক্তির ৬৮% হলো এই অজানা-অদৃশ্য শক্তি। এই অদৃশ্য শক্তিকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বিজ্ঞানকে সামনে নিয়ে যেতে হলে আমাদেরকে এই অদৃশ্য শক্তিকে বিশ্বাস করতেই হবে।
কথা হলো, এই অদৃশ্য শক্তি ও অদৃশ্য বস্তুগুলোকে বিজ্ঞানীরা তত্ত্ব দিয়ে প্রমাণ করতে হয়তো আরো একশত বছর চলে যেতে পারে। এবং হয়তো কখনোই এগুলোকে জানা সম্ভব হবে না।
কিন্তু,
আমরা তো অনেক আগ থেকেই জানি, আমাদেরকে অজানা ও অদৃশ্যে বিশ্বাস করতে হবে। আমরা তো জানি, আমারা যদি অজানা ও অদৃশ্যে বিশ্বাস না করি, তাহলে আমাদের জীবনের অনেক সূত্র-ই মিলবে না। এ কথা বিজ্ঞান আজ বুঝলেও আমরা কিন্তু তো অনেক আগ থেকেই তা জানতাম।
কোর’আনের শুরুতেই বলা হয়েছে – ‘যারা ‘অজানা’ বা ‘গায়েব’কে বিশ্বাস করে, তাঁরা সফল’।
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَـٰهُمْ يُنفِقُونَ وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ أُو۟لَـٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدًۭى مِّن رَّبِّهِمْ ۖ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ
“যারা অজানা-অদৃশ্য বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে, এবং তোমার ও তোমার পূর্বে যে-সব কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাস করে, তারা নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, এবং তারাই যথার্থ সফল।” [সূরা ২/বাকারা – ৩ থেকে ৫]
সুতরাং,
‘বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে’ –এ কথা না বলে আমাদের বলা উচিত – ‘বিজ্ঞান অনেক অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে।’
#অদৃশ্যে_বিশ্বাস_১ । চলবে...

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...