Visitors

Tuesday, 3 September 2019

সাম্যবাদ এবং খগেনিজম



সাম্যবাদ এবং খগেনিজম

এই একটা পোস্ট দিয়ে পৃথিবীর সকল নাস্তিকতা ব্যন করে দিলাম!! এবং এই একটা পোস্ট দিয়ে পৃথিবীর সকল মানুষকে এক করে দেয়া যায়!! যদি সে মানুষগুলো সাম্যবাদে বিশ্বাস রাখে এবং বাপ দাদার কান কথায় অন্ধভাবে ধর্মের অনুসরণ অনুকরণ না করে থাকেন!!
_____________________________________________
অভিযাগ: এক নাস্তিক ভাই বললেন আমি চ্যালেঞ্জ করলাম ইসলাম সহ সকল ধর্মই মানবরচিত। সব ধর্ম বুলশিট এবং ইসলাম ধর্ম সব চেয়ে বড় বুলশিট!!

জবাব: অমুসলিমদের ধারনা এমনকি অনেক মুসলিমদেরও ধারনা ইসলামের প্রবর্তন হয়েছে ১৪০০ বছর আগে, প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকে। অথচ ইসলাম ছিলো তখন থেকেই, যখন প্রথম মানুষের পা পরে এ পৃথিবীতে কিংবা তারও আগে থেকে এবং হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন শেষ নবী এবং রাসূল। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ তায়ালার অমিয় বানী নিয়ে নবী এবং রাসূলরা (Messengers) আমাদের কাছে এসেছেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে বারবার বলেন, এ পৃথিবীতে এমন কোন মানব সম্প্রদায়ের জন্ম হয়নি যাদের কাছে তিনি নবী-রাসূলগনদের পাঠাননি (সূরা ফাতের-অধ্যায় ৩৫ আয়াত ২৪, সূরা রাদ অধ্যায় ১৩ আয়াত ৭, সূরা ইউনুস অধ্যায় ১০ আয়াত ৪৭, সূরা নেহেল অধ্যায় ১৬ আয়াত ৩৬)। আল্লাহ-তায়ালা আল ক্বোরআনে তাঁদের মধ্যে মোট ২৫ জন নবী এবং রাসূলদের নাম উল্লেখ করেন। আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে জানতে পারি প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী এবং রাসূল এ পৃথিবীতে এসেছেন।

পৃথিবীতে ইসলাম বাদে যত ধর্মমত ও ধর্মগ্রন্থ আছে সেখানেও নবী (সা.)-এর উচ্চ প্রশংসাসহ তাঁর আগমনের খবর দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে, হজরত ঈসা (আ.) শেষ নবী সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্ববাণী করেছিলেন- “এবং স্মরণ কর যখন মরিয়ম পুত্র ঈসা বলেছিলেন, হে ইসরাইল বংশীয়গণ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। আমার সামনে যে তাওরাত কিতাব আছে আমি তার সত্যতার প্রমাণকারী এবং এরূপ একজন প্রেরিত পুরুষের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যাঁর নাম হবে আহমদ” (সূরা সফ-৬)

আসুন হিন্দু ধর্মে নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কি ভবিষ্যদ্বানী করা আছে তাহা একটু জেনে নেই।
____________________________________________
হিন্দু ধর্মের গোপন তথ্য । হিন্দুগ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ
(সাঃ) এর পরিচয় ও হিন্দু
সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশ ।
যে জন্য যুগে যুগে বহু সত্য সন্ধানী শিক্ষিত হিন্দু , ইসলাম
গ্রহন করেন ।
কল্কি অবতারের (শেষ নবীর) নামঃ নরাশংস।
পিতার নামঃ বিষ্ণুযশ ।
মাতার নামঃ সুমতি ।
জন্মস্থলঃ সম্ভল ।
জন্মতারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল
পক্ষের দ্বাদশ তারিখ ।

এবারউপরের পরিচয়টা যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সেটা
দেখুন । নাম-
সংস্কৃতেঃ নরাসংশ =
অর্থঃ প্রশংসিত (বেদঋগ্ বেদ ১-১৮-৯)
আরবীতেঃ মুহাম্মদ=
অর্থঃ প্রশংসিত । (কুরঅন ৪৮-২৯,
৩৩-৪০) এবং আহমদ শব্দ
বেদঋগ্বেদে ৮-৬-১০ , ও কুরআনে ৬১-৬
। পিতার নামঃ
সংস্কৃতেঃ বিষ্ণুযশ=অর্থঃ প্রভুর
দাশ , (শ্রীমদ্ভাগবত
মহাপুরান ১-৩-২৫)
আরবীতেঃ আবদুল্লাহ= অর্থঃ প্রভুর
দাশ
মাতার
নামঃ সংস্কৃতেঃ সুমতি= অর্থঃ শান্তি (কল্কি পুরান ১-৪),
আরবীতেঃ আমিনা=অর্থঃ শান্তি ।
জন্মস্থানঃ সংস্কৃতেঃ সম্ভল=অর্থ
শান্তির ঘর (শ্রীমদ্ভগবত
মহাপুরান
১২-২-১৮) আরবীতেঃ দারুল আমান=
অর্থঃ শান্তির ঘর । মক্কাকে বালাদুল
আমিন অর্থ
শান্তির শহরও বলা হয় ।
জন্ম তারিখঃ মাধব
মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ জন্ম
গ্রহণ করবেন । অর্থাত বৈশাখ মাসের
(শুক্লপক্ষ)
প্রথম অংশে ১২
তারিখে জন্ম
গ্রহণ করবেন ।
কল্কিপুরান ১-২-১৫
বিক্রমী ক্যালেন্ডারে বৈশাখ
মাসকে বসন্ত
কাল বলে । আরবীতেঃ রবি অর্থ=
বসন্ত ,আওয়াল অর্থ= প্রথম অংশ
। একত্রে রবিউল আওয়াল
অর্থঃ বসন্তের
প্রথম অংশ । দ্বাদশ অর্থ ১২ ।
প্রশিদ্ধ
মতানুযায়ী ১২ রবিউল
আওয়ালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম
গ্রহন করেছেন । সমাপ্ত

আসুন বৌদ্ধ ধর্মে নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কি ভবিষ্যদ্বানী করা আছে তাহা একটু জেনে নেই।
_____________________________________________
প্রায় সব বৌদ্ধ ধর্ম গন্থে আছে ভবিষ্যতে একজন মায়িত্রি আসবেন, বলা হয়েছে সেকেন্ড বুক অব ইস্টে ৩৫ নম্বর খন্ডে ২৩৫ পৃষ্ঠায়, একজন মায়িত্রী আসবেন যার কিছু বৈশিষ্ট আর গুন থাকবে, তিনি হাজার হাজার মানুষকে নেতৃত্ব দিবেন যেখানে
আমি নেতৃত্ব দিয়েছি মাত্র কয়েকশো মানুষকে।
এর পর আরো আছে গস্তল অব বুদ্ধায় ২১৭ ও ২১৮ নম্বর পৃষ্ঠায়, আনন্দ বুদ্ধকে প্রশ্ন করলেন, 'হে আশীর্বাদ প্রাপ্ত আপনি যখন চলে যাবেন কে আমাদের পথ দেখাবেন?' গৌতম বুদ্ধ উত্তরে বললেন, 'আমি এই পৃথিবীতে প্রথম বুদ্ধ নই, এমন কি শেষ বুদ্ধ নই, ভবিষ্যতে এই পৃথিবীতে আরএকজন বুদ্ধ আসবেন যিনি পবিত্র, সবার উপরে, যিনি আলোকপ্রাপ্ত, যিনি মঙ্গল জনক, যার রয়েছে বিশ্ব জগতের জ্ঞান, তিনি প্রচার করবেন একটা ভালা ধর্ম, তিনি যে ধর্ম প্রচার করবেন তার শুরুতে গৌরবময় থাকবে, চরম সময়ে গৌরবময় থাকবে এবং শেষ সময়েও গৌরবময় থাকবে। তিনি যে ধর্ম প্রচার করবেন তার ভিত্তি হবে সত্য আর সেঠাই হবে সঠিক জীবনদর্শন আর তার থাকবে হাজার হাজার শিষ্য যেখানে আমার রয়েছে মাত্র কয়েকশ শিষ্য।

বুদ্ধের প্রধান শিষ্য আনন্দ তাঁকে প্রশ্ন করল, আমরা তাঁকে চিনব কিভাবে? বুদ্ধ উত্তর দিলেন, 'সেই লোকের নাম হবে 'মায়িত্রী' । মায়িত্রী অর্থৎ 'ক্ষমাশীল, স্নেহময়, দয়ালু, করুনাময় এই শব্দটার আরবী করলে হবে 'রাহমা'।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, 'সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে, "অমা আরসালনাকা ইল্লা রমতুল্লিল আলামিন" অর্থ- আমিতো তোমাকে শুধুমাত্র পাঠিয়েছি বিশ্ব জগতের প্রতি রহমত হিসাবে, জীবজগতের প্রতি রহমত হিসাবে পুরো মানুষ জাতীর প্রতি রহমত হিসাবে।" এই 'রহমত' এর সমর্থক শব্দ "ক্ষমা" যা পবিত্র কোরআনে আছে সব মিলিয়ে ৪০৯ বার। আর কোরআনের প্রত্যেক সূরা শুধুমাত্র সূরা তওবা বাদে প্রত্যেক সূরার শুরুতেই আছে "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" দয়াময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। তাহলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থ সমূহে মায়িত্রী নামে একজনের ভবিষ্যত বানী করা হয়েছে , তিনি হলেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সঃ), তিনি ছিলেন আলোকপ্রাপ্ত (যখন ওহী নাযিল হত তখন তিনি উজ্জল হতেন) হয়তো প্রশ্ন করবেন ওহী কি? ওহী হচ্ছে আল্লাহর দূত জীবরাঈল (আঃ) যখন নবীর কাছে আসতেন তখন তিনি উজ্জল হতেন। সমাপ্ত

আসুন খ্রিস্টান ধর্মে নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কি ভবিষ্যদ্বানী করা আছে তাহা একটু জেনে নেই।
_____________________________________________
বাইবেলে যাকে সত্যের আত্মা, সহায় এবং গ্রীক ভাষায় বলা হয়েছে প্যারাক্লীতোস (শব্দের অর্থ হল প্রসংশিত) – তিনিই হলেন মুহাম্মদ (প্রশংসিত), তিনিই আহম্মদ (প্রশংসনীয়)।

বাইবেলেও অসংখ্যবার হুজুর (সাঃ) এর কথা বলা হয়েছে। ওল্ড টেষ্টামেন্টে বুক অফ ডুইট্রনমি অধ্যায় ১৮, ভার্স নাম্বার ১৮ তে, আল্লাহ তায়ালা মূসা (আঃ)-কে বলছেন, "আমি তোমার ভ্রাতাদিগের মধ্য থেকে আরেকজন নবী আনবো যে হবে তোমারি মতন। আর সে নিজে কিছু বলবেনা, আমি যা তাকে বলতে বলবো সে শুধু তাই বলবে।" বুক অফ আইজাহা অধ্যায় ১৯ ভার্স নাম্বার ১২, তে বলা হয়েছে, "এবং কিতাবখানি নাযিল করা হবে তাঁর উপর যিনি নিরক্ষর। তাকে বলা হবে পড় তোমার প্রভুর নামে, সে বলবে আমি তো পড়তে জানিনা, আমি নিরক্ষর।"সমাপ্ত
_____________________________________________

এই হলো সংক্ষেপে ৩টা ধর্মে মুহাম্মদ (সা:) এর ভবিষৎবাণী। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্ট করুন। এইভাবে সিক ধর্ম, ফার্সি ধর্ম, এবং ইহুদী ধর্ম থেকেও রেফারেন্স দিতে পারবো যেখানে অজস্র বার ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) এর ভবিষৎবাণী তার জন্মের হাজার হাজার বছর আগে করা হয়েছে।

নাস্তিকতা আগে থেকেই মাজা ভাংগা ছিলো এখন পুরোপুরি কবর রচনা করে দিলাম!! আলহামদুলিল্লাহ্‌

মহান স্রস্টা বলেন:
যখন সত্য এসে মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়। কারণ মিথ্যা তাঁর প্রকৃতগত কারণেই বিলুপ্ত হয়।বানী ইসরাঈল,আয়াত ৮১

No comments:

Post a Comment

Note: only a member of this blog may post a comment.

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি

তথ্য সত্য মুক্তি প্রগতি কুরআনে বিস্ময়!যে বিস্ময় ভাবনাতে ও আসেনা। ★ আজ দেখব,সূরা আসহাবে কাহফ হতে, সূরা,আয়াত,ঘটনা বর্ণনা,বর্ণিত শব্দের...